মদিবীগুরঃ সংস্কৃতি মানবসমাজ

তারাপদ সাতরা

দৌ্ি

প্রকাশনী

গ্রাম £ নবাননঃ ডাকঘর £ বাগনান, জেল! £ হাঁওড়া-৭১১৩০৩

রাখা] : 9449 0 141৯8 977440

প্রথম প্রকাশ :₹ ১৯৮৭ গ্রন্থন্বত্ব : শুভদশপ সাতর!

প্রচ্ছদ : পূর্ণেন্দু পত্রী

প্রকাশক £

কৌশিকী প্রকাশনীর পক্ষে

শৈেলেন ঘোষ

গ্রাম £ নবাসন, ডাঁকঘুর £ বাগনাঁন, জেলা : হাওড়া-৭১১৩০৩

মুদ্বক মস্ত মওল রূপনারায়ণ প্রেস ডাকঘর : কোলাধাট জেল! : মেদিনীপুর

মেদিনীপুর জেলার ইতিহাস সংস্কৃতি চর্চায় অকীত্তিত স্বেচ্ছাব্রতী নীরব গবেষক ঞ্ীরাধারমণ সিংহ (আঞ্চলিক ইতিহাসজ্ঞ £ চন্রকোণা ) স্রীপুর্ণচন্্র দাস (লোকসংস্কতিবিদ্‌: এগর1 ) শ্রীণন্ুনাথ ঘটক (প্রত্বতাত্বিক : গড়বেত! ) মহোদয়গণের করকমলে

লেখকের অন্যান্য গ্রন্থ

হাওড়া জেলার লোকউৎসব (১৯৬২)

শরৎচন্দ্র £ সামতাবেড়ের জীবন সাহিত্য (১৯৬৯) হাওড়া জেলার পুরাকীতি (১৯৭৬)

বাংলার দারু ভাস্কর্য (১৯৮০)

ছড়া-প্রবাদে গ্রামবাংলার সমাজ (১৯৮১) মন্দিরলিপিতে বাংলার সমাজচিক্র (১৯৮৩) পশ্চিমবঙ্গের পুরাসম্পদ £ উত্তর মেদিনীপুর (১৯৮৭

পুরাকীতি সমীক্ষা মেদিনীপুর (১৯৮৭)

গ্রন্থকারের নিবেদন

সরকারীভাবে মেদিনীপুর জেলার পুরাকীর্তি বিষয়ক এক গ্রন্থ রচনার, তাগিদে এই জেলাটির নানাস্থানে আমাকে পরিভ্রমণ করতে হয়েছে সে সময় এই জেলার অপন্িয়মান ইতিহাস, পুরাতত্ব সংস্কৃতি সম্পর্কে যেসব বিষয়গুলি আমাকে বিশেষভাবে আকুষ্ট করেছিল, তা নিয়ে বেশ কিছু নিবন্ধ রচনা করি এবং সেগুলি বথারীতি পরিচয়, দর্শক, বিশ্ববাণী, চতুষ্কোণ, খেজুরী- বার্তা, দক্ষনাবিক, বনেদীঘর, অভিযাত্রী, সন্ধানী, সাহান1, বাগনান বার্তা, রূপনারায়ণ বার্তা, আজকাল, বর্ণমালা, মতান্তর, প্রদীপ, তাঅলিপ্ত সংগ্রহশালা গবেষণ। কেন্জ্র স্মরণিকা, সকালবেলা, যাদুঘর, এখন যেরকম, রূপান্তর, লোক- সংস্কৃতি, মুসাফির, স্মরণিকা প্রভৃতি খ্যাত-অখ্যাত পত্র-পত্রিকায় সময়ে সময়ে প্রকাশিত হয় সে সব বিচ্ছিন্ন প্তবন্বগুলি একত্র করে একটি গ্রন্থ প্রণয়নের ইচ্ছা বহুদিন ধরে থাকলেও সেটি পুস্তক-প্রকাশকদের অনাগ্রহের কারণে প্রকাশ কর! সম্ভব হয় নি। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের পক্ষ থেকে অনুদান পাওয়ায় পুস্তকটি প্রকাশ করা সম্ভব হল এবং এজন্য বিভাগীয় কর্তৃপক্ষকে আস্তরিক ধন্যবাদ জানাই

গ্রন্থে প্রকাশিত নিবন্ধগুলি বিভিন্ন সময়ে বিবিধ বিষয় নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে রচনার কারণে গ্রস্থনার ক্ষেত্রে স্থসংবদ্ধ ধারাবাহিক ক্রম অনুসরণ করা যে সম্ভব হয়নি, সে ক্রটির জন্য একান্তই ক্ষমাপ্রার্থী। এছাড়া জেলার চিত্রকলা, লোকশিল্প হস্তশিল্প বিষয়ক বিভিন্ন প্রবন্ধাবলী পরিসরের অভাবে এই গ্রন্থে অন্তভূক্ত করা গেল না বলে আন্তরিক ছুঃখিত। ভবিষ্যতে পরবর্তী কোন গ্রন্থে সেগুলি যথাযথ প্রকাশ করার ইচ্ছে রইল।

গ্রন্থে আলোচিত বিভিন্ন প্রবন্ধ রচনায় নানাভাবে সাহায্যের জন্য সবশ্রী প্রবোধচন্দ্র বন, ডঃ ত্রিপুরা বন্থ, শিবেন্দু মান্না, কমলকুমার কু, তাপসকাস্তি রাজপণ্ডিত, আনন্দগে।পাল গঙ্গোপাধ্যায়, রসময় বন্দ্যোপাধ্যায়, অসিতকুমার সামুই, শস্তুনাথ ঘটক, শ্ঠামনুন্দর চন্দ্র, পার্থসারখি দাস, সরোজকুমার জানা, ডঃ প্রবালকাস্তি হাজরা, শিশুতোষ ধাওয়া, বাশরীমোহন ভৌমিক প্রমুখের কাছে আমি একান্তই খণী। সম্প্রতি লোকাস্তরিত আর এক উৎসাহী বন্ধু তরুণ মিত্রের সহযোগিতার জন্য বিষন্ন হৃদয়ে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই প্রত্বতত্, আঞ্চলিক ইতিহাস সংস্কৃতি বিষয়ে এদের অনুরাগ উৎসাহ আমাকে বিপুলভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।

ছাড়া পুস্তকটি রচনায় অযাচিতভাবে বহু মূল্যবান পরামর্শ ছাড়াও বেশ কিছু তথ্যাদি সংগ্রহে জর্বশ্রী সন্তোষকুমার বস্থ্‌, ডঃ স্তভেন্দুশেখর মুখোপাধ্যায়, ডঃ পূর্ণেন্দনাথ নাথ, বিশ্বনাথ সামন্ত, ডঃ দেবাশিল বনু, ডঃ হিতেশরঞ্রন সান্যাল, অমিত রায়, ডঃ দীপকরঞ্জন দাস প্রমুখের সহৃদয় সহায়তায় আমি কৃতার্থ। গ্রন্থে আলোচিত ওড়িশা ট্াঙ্ন রোড. সম্পফিত শিলালিপিটি যে ভুবনেশ্বরের ওড়িশা স্টেট মিউজিয়মে সংরক্ষিত, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রীইন্দ্রজিৎ চৌধুরী এবং এঁ সংগ্রহশালার কর্তৃপক্ষের সৌজন্যে সেটির আলোকচিত্র সংগ্রহে সহায়তা করেন ভারতীয় প্রত্বতাত্বিক সর্বেক্ষণের সিউপারিনটেগ্ডিং আকিওলজিষ্ট ডঃ গোপালচন্দ্র ছাউলে আগুইবনির আলোকচিত্রটি শ্রীরণজিৎকুমার সেনের গৃহীত এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রত্বতত্ব অধিকারের সৌজন্যে প্রাপ্ত রেনেল কৃত মানচিত্রের ৭নং প্লেটটি দেখার স্থযোগ করে দিয়েছেন বন্ধুবর শ্রীষজ্ঞেশ্বর চৌধুরী এদের সকলের কাছেই আমি একাস্তভাবে খণী। পুস্তকটি যত্ব সহকারে মুদ্রণের জন্য বূপনারায়ণ প্রেসের শ্রীজয়স্তকুমার মগ্ডলকে এই প্রসঙ্গে ধন্যবাদ জানাই

অগ্রজপ্রতিম স্বনামখ্যাত শ্রীঅমিয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও আমার কৃতজ্ঞতার সীমা নেই। তীর ঘৃল্যবান আলোকচিত্র সংগ্রহ থেকে “বিরিঞি”র আলোকচিত্রটি প্রদান ছাড়াও অযাচিতভাবে নানাবিধ সহায়তা করেছেন। তার স্থযোগ্য সহধম্সিণী ন্বর্গতা উম] বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রাম-বাংলার অপন্জিয়মান সাংস্কৃতিক উপাদানগুলির তথ্য সংগ্রহে যেভাবে গভীর নিষ্ঠার সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন, তা চিরদিন আমার কাছে গ্রেরণাস্বরূপ হয়ে থাকবে।

গ্রন্থটির প্রচ্ছদ একে দিয়েছেন প্রখ্যাত শিল্পীবন্ধু পৃেন্দু পত্রী এছাড়া প্রবন্ধের শিরোনামে ব্যবহৃত অলংকরণটির শিল্পী তপন কর। এদের সকলকে জানাই আমার হাদিক অভিনন্দন

সংসার ভার থেকে মুক্তি দিয়ে আমার স্ত্রী শ্রীমতী নীল! সাঁতরা পুত্র শীমান শুভদীপ সতরা পরোক্ষভাবে যে প্রেরণা সহানুতৃতি দেখিয়েছেন তা ষ্থাযোগ্য খণ স্বীকারের অপেক্ষ। রাখে না।

পরিশেষে মেদিনীপুর জেলার আঞ্চলিক ইতিহাস সংস্কৃতি বিষয়ে জন-

সাধারণকে আগ্রহী করার উদ্দেশ্তে রচিত গ্রন্থটি তাদের কাছে আদূত হলে তবেই আমার শ্রম সার্থক হবে

গ্রাম £ নবাপন ) ডাকঘর £ বাগনান ; জেলা £ হাওড়া টি পিন £ ৭১১৩০৩) তারাপদ সাতর। বিজয়! দশমী £ ১৩৯৪

০.6

সূচীপত্র

মেদিনীপুর £ ইতিকথা, নামকরণ সীমানাবদল-_১ জেলার সাবেকী "পরগণাঁর' হকিকত--৫ প্রস্তরযুগের মানব সংস্কাতি-_৮

তাত্রধুগ সভ্যতার এতিহ-_৯

তট তটিনী সংনাদ--১১

অন্নদার পাঁচালী--১৬

মেদিনীপুরের বিভীষিকা £ বুনো৷ মোষ__২১ পাকুলিয়ার ঝর্ণাধারা-- ২৪

যেসব ঝর্ণাধারার মাহাত্ম্য নিয়ে মন্দির-_২৮ পথের সন্ধানে--৩২

জগনাথ রাস্তার পথিকুৎ-__-৩৮

শতব্র্ষের এক অবহেলিত জলপথ-_-৪৫

বি. এন. আর থেকে এস. ই. আর-_-৫০ পাশকুড়া-গেঁওখালি রেললাইন বন্দর-_৫৫ দ্রীঘা-বেলদ। রেললাইন--৫৬

দীঘ। পরিকল্পনার সাধক কে? --৫৮ বাংলার প্রাচীন সেতু কি মেদিনীপুরে ? __৫৯ নরহাট থেকে নরঘাট-_-৬২

মানুষ কেনাবেচার কারবার--৬৭

কবিকস্কণের বাসভৃমিতে--৭১

জিনসহর, না| জিনসর, না বালিহাটি-_৭৭ স্বতিরক্ষার প্রাচীন এক প্রথা £ সন্ধান সংরক্ষণ-_-৮০ চমকায় প্রজা বিক্ষোভ-_৮৮

মুণমারীর ইতিকথা-_৯২

আগুনখাগীর মাড়ো--১০২

২৬,

২৭, ২৮. ৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৩৬, ৩৭,

২৩৮

৩৯০

মেদিনীপুরের এক গণ-আন্দোলন £ প্রসঙ্গ গোপালনগর ইউনিয়ন বোর্ড২-১০৫

শিল্পীর প্রতিবাদের স্বাক্ষর--১১১

মেদিনীপুরের একজন মন্দির-স্থপততি £ শিল্পনিপুণ জীবন পরিচয়--১১৫ পেডি সাহেবের ইন্তাহার--১২৩

সঙ্গীত সাধনায় মেদিনীপুর-_.১২৬

বার্জ সাহেবের সমন-_-১৩২

খড়িয়াল--১৩৪

মেদিনীপুর জেলার বিরিঞ্ি গুঞো--১৩৬

অস্থল সংবাদ--১৭১

কুকুমবেড়া £ দুর্গ না দেবায়ূতন ?--১৫১

জমিদারী সেলামী মাহাত্্য--১৫৮

জেলার এঁতিহাসিক কৃষক সন্মেলন__১৬৩

হর্ধের সংসার--১৭৩

বিলুপ্ত পথের রূপরেখ 1১৮০

্স্থপ্ধী রি ১৯৬ ১৯৭ অনুক্রমণিকা টু *** ১৯৮-২০২

৬৫: ঠা? পতি ২2? ইউ

৯. স্েদিভীপৃ্ 8 ইতিহপ্রা, আমরণ লীঘ্রালাবদজ

মেদিনীপুর জেলার নামের উৎপত্তি নিয়ে নানান মত প্রচলিত। মেদিনীপুর শহরটি বেশ প্রাচীন হলেও, এর নামকরণ নিয়ে পণ্নিতেরা সঠিকভাবে কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী শিখরভূমের ন্পতি রাজ। রামচন্দ্রের রচিত এক পুঁথির বিবরণ থেকে এই সিদ্ধান্ত করেছিলেন যে, খ্রীষ্টীয় তের থেকে পনের শতকের মধ্যে এদেশে প্রাণকর নামে কোন এক স্বাধীন হিন্দু রাজার পু মেদিনীকর এই নগবীর পত্তন করায় কালক্রমে সেটির নামকরণ হয় মেদিনীপুর শান্্ী মশীয় এই প্রসঙ্গে আরও অবগত্ত করান যে, এই মেদিনীকরই “মেদিনীকোষ? নামে একটি সংস্কত গ্রস্থও বচন! করেছিলেন।

অপর এক মত অনুসারে মেদনমল্প রায় নামে গুড়িশীর এক প্রত।পান্বিত ন্ূপতি ১৫২৭ শ্রীষ্ঠটাকে এখানকার বিস্তীর্ণ ভূভাগ দখল করে কীসাইতীরবর্তী এই এলাকায় ষে মেদিনীবংশের শাসন কায়েম করেছিলেন তা থেকেই পববর্তী- কালে মেদিনীপুর নামকরণ হয়। কিন্তু মন্তটি কোন উল্লেখযোগ্য দলিল- দৃস্তাবেজ ছার! সমর্থিত নয়।

ডঃ মহম্মদ শহীছুল্লাহ ত্বার রচিত “ইসলাম প্রসঙ্গ! গ্রন্থে মন্তব্য করেছেন, “মৌলানা মুস্তফা মদনীকে (রঃ) সম্রাট আওরঙ্গজেব বর্তমান মেদিনীপুর সহরে একটি মসঞ্জিদ সম্পফিত মহল বহু লাখেরাজ সম্পত্তি দান করেন। এই মৌলানা মানী সাহেবের নাম হইতে মদিনীপুর নাম হয়) পরে তাহার অপভ্রংশ মেদিনীপুর হইয়াছে বাঁদশাহী অনের তারিখ ১০৭৭ হিজরী (বাংলা সন ১০৯৩-৯১)। ইহা ফুরফুরা শরীফের কেবলাগাহ সান্বের খান্দানে রক্ষিত

মেদিনীপুর £

আছে; (পৃঃ ১৮৮)। কিন্তু আওরঙ্গজেবের বছু আগেই ষোল শতকে প্রণীত “আইন-ই-আকবরী'তে মেদিনীপুর মহলের অন্তর্গত মেদিনীপুর নগরের নাম উল্লিখিত হয়েছে। সুতরাং মৌলনা মুস্তফা মদনীর নামেই যে মেদিনীপুর নামকরণ হয়েছে তা কোনমতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না আর এক মতে, তুরস্ক থেকে আগত জনৈক গাজী হিজলী পরগণার নামকরণ করেছিলেন মদিনার অশ্গকরণে মর্দিনাপুর, যা থেকে নাকি এই মেদিনীপুর নাম। কিন্তু অভিমত তেমন বিশ্বাসযোগ্য নয়

মেদিনীপুর নামকরণের পিছনে আরও একটি মত বিবেচনার যোগ্য 'এতরেয় আবণ্যক' গ্রন্থে বঙ্গ, মগধ ঠেরপাদের নাম উল্লিখিত হয়েছে সেখানে বঙ্গ মগধ আমাদের পরিচিত হলেও চেরপাদ ভূভাগটি কোথায়? বিষয়ে এতিহাসিকেরা সিদ্ধান্ত করেছেন যে, চেরপাদ হুল দক্ষিণাপথের এক প্রাচীন রাজ্য সম্প্রতিকালে গবেষক-নৃতাত্বিক হরিয়োহন তার রচিত “চেরো; নামক এক গ্রন্থে দেখিয়েছেন যে, চেরো। এলাকা ছিল মগধেরই লাগোয়া, যা গয়ার দক্ষিণ ভূভ্গ থেকে হাঁজারিবাগ, ডালটনগঞ্জ সারগুজা পর্যপ্ত ছিল বিস্তুত। জনভ্রুতি, সেই চেরো ভূভাগে মেদিশীরায় নামে এক পরাক্রাস্ত ন্বপাতি যে বিশাল রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তা৷ ছিল হয়ত মেদিনীপুর অবধি বিস্তুত। এই অম্নমান যে অমূলক নয় তার কারণ চেরে৷ জাতির ব্যবহারিক সামাজিক জীবনের সঙ্গে ঝাড়খ গড মেদিনীপুরের বহু অঞ্চলের জনজীবনের মিল খুজে পাওয়া যায়। স্ততরাং উল্লিখিত মেদিনীরায়ের নাম থেকে যে মেদিনীপুরের নামকরণ হয়েছে এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় ন।।

খ্রীষ্টীয় বারো শতকের ওড়িশার গঙ্গবংশের ইতিহাঁন থেকে জানা যায় যে, অনস্তিবর্মন চোঁড়গঙ্ষদেব তার রাজ্য বহুদুর পর্যস্ত বিস্তু'ত করেছিলেন। বিষয়ে ১১৩৫ গ্রীষ্টাবে তর প্রদত্ত শ্রীকুর্মান লিপি থেকে জান! যায় যে, এই বৎসরই তিনি উত্তর-পশ্চিম পূর্বাঞ্চলের বহু দেশ অধিকার করে রাজধানীতে ফিরে আঁসেন এবং গঙ্গা থেকে গোদীবরী পর্যস্ত এই বিল্তুত "ভাগ তার অধিকারভুক্ত হয়। এছাড়। অনস্তবর্জন চোড়গঙ্গ, ২য় নরসিংহ ৪র্থ নরসিংহের প্রদত্ত বিভিন্ন দলিলের সাক্ষ্য থেকেও জানা যায় যে, অনন্তবর্মনের রাজ্য বিস্তু ছিল দক্ষিণে গোদাবনী, 'উত্তরে মিধুনপুর, পুবে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে পূর্বধাট পৰতমাল পর্যন্ত। এখন এসব লিপিতে উল্লিখিত. এই লাক্ষ্যগ্রমাণের ভিত্তিতে ডঃ নীহাররঞ্জন রায় কার “বাঙ্গালীর ইতিহাস? গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে গুঁড়শার চোড়গঙ্গ রাজাদের

সংস্কৃতি মানব সমাজ

আধিপত্য যে মিধুনপুর পর্যন্ত বিস্তু ত' হয়েছিল, মিঃসন্দেহে সেটিই হুল বর্তমান মেদিনীপুর সুতরাং আলোচা এই মিধুনপুর অপত্রংশে যদি মেদিনীপুর নামকরণ হয়ে থাকে তাহলে বারো শতকেই “মেদিনীপুর” নামের অস্তিত্ব রয়েছে সেক্ষেত্রে তের শতকে প্রাণকরের পুত্র মেদিনীকরের দ্বার! মেদিনীপুর নগর প্রতিষ্ঠা নামকরণের যুক্তি টিকতে পারে না 'তবে নামকরণের ইতিহাস যাই হোক ন| কেন, ইংরেজ রাজত্বে ১৭৮৩ খ্রীষ্টাব্দে প্রথম এই মেদিনীপুর শহরই জেলার সদর দণ্ধর হিসেবে ঘোষিত হম্ন।

কিন্তু সে সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠার পিছনেও এক দীর্ঘ ইতিহাস আত্মগোপন করে আছে। কারণ, আজকের মেদিনীপুর জেলার যে এলাকা! আমরা দেখি, এটি সম্পূর্ণ দপ পেতে বহু বছর সময় লেগেছিল। প্রশাসনিক কারণে জেলার ীমান। পরিবর্তনের ইতিহাসও বেশ বিচিত্র স্্রীষ্টায় ষোল শতকের শেষ দিকে প্রণীত “আইন-ই-আকবরী” থেকে জানা যায় যে, সে সময় ওড়িশ। প।চটি সরকারে বিভক্ত ছিল। হিন্দুযুগে যেমন এলাকাগত বিভাগ ছিল “ভূক্তি', মেল? বা “বিষয়” তেমনি মুসলমান রাজত্বে সেই বিভাগগ্ুলি “সরকার', “মহল” “চাকলা” বা “পরগণা*় পরিবন্তিত হয় এক্ষেত্রে আঠাশট মহল নিয়ে গঠিত সরকার জলেশ্বরের মধো অন্তভুক্ত ছিল জেলার প্রায় সমগ্র অশ এরপর শাহজাহানের আমলে ১৬৮৫ খ্রীষ্টাবধে & পাঁচটি সরকারকে ভেঙ্গে বাবটি সরকারে পুনর্গঠিত করা৷ হয় এবং উত্তরাংশের ছ+টি সরকারকে ওড়িশা থেকে পথক করে বাংলার অন্তভুক্ত করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছুটি সরকার বালেশ্বরের এবং অবশিষ্ট চারটি সরকার যথা, জলেশ্বর, মালঝিটা, মজকুরী গোয়ালপাড়া মূলতঃ মেদিনীপুরের এলাকা- ভুক্ত হয়। এছাড়া এই সঙ্গে চারটি সরকারের মধো পুনর্গঠিত বিরাশীটি মহলও ভাগাভাগি করে দেওয়া হয়।

১৭২২ খ্রীষ্টাব্দে মু্গিদকুলী খার আমলে যখন খাঁজনার তালিকা সংশোধন করা হয়, তখন থেকেই “মহল'-এর বদলে প্পরগণী”র প্রচলন হয় এবং “সবকার' নামীয় বিভাগকে ভেঙ্গে তা বিভিন্ন "চাঁকলা "য় বিভক্ত করা হয়। এই ভাগাভাগির দরুণ চাকল। হিজলীর সমগ্র অংশ এবং চাঁকল। বালেশ্বরের কতক অংশ আজকের এই মেদিনীপুর জেলার মধ্যে চলে আসে পরবর্তী পর্যায়ে ১৭৫১ গ্রীষ্টা্জে মারাঠা অধিকারের পর্‌ উল্লিখিত চাকল! বালেশ্বরকে মেদিনীপুর জলেশ্বর এই ছু'ভাগে বিভক্ত করে দেওয়া হয়।

১৭৬০ গ্রীষ্টাবে যখন ইস্ট ইপ্রিয়া কোম্পানি জীরজফরকে পদচাত করে তার

মেদিনীপুর £ জামাতা মীরকাঁসিমকে বাংলার নবাবী প্রদান করেন তখন এই মর্ধাদাপ্রাপ্তির মূল্য হিসাবে মীরকাসিম এক চুক্তিবলে ইংরেজ কোম্পানিকে মেদিনীপুর, চট্টগ্রাম বর্ধমান জেল হস্তাস্তরিত করে দেন এবং বলতে গেলে এই সময় থেকেই জেলায় ইংরেজদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠত হয়। তখনকার হন্তাস্তরিত এই জেলার মধ্যে যে তিন ভাগে প্বণিত “চাকলা"গুলি বিভক্ত ছিল তা হল, ১। সরকার মালঝিটার অন্তভূক্ত চাঁকলা হিজলী, ২। চাকলা মেদিনীপুর, ৩। চাকল! জলেশ্বর এর মধো চাকল! হিজলী ছিল হুগলীর সংলগ্ন এবং পশ্চিমে জঙ্গল অধ্যুষিত এলাকার সরকার গোয়ালপাঁড়ীর কতকগুলি পরগণার মধোও চাকল! মেদিনীপুর অন্তভুক্তি ছিল। ইংরেজদের কাছে হস্তান্তরের পর জেলাটির মধো তখন বাদ থেকে যায় সে সময়ের হুগলীর অন্তভূক্তি হিজলী, মহিষাদল তমলুক ; মারাঠা্দের অধীনস্থ পটাশপুর, কামারডিচোর ভোগরাই এবং বর্ধমানের অধীন তদানীন্তন ঘাটাল মহকুমা, সদর মহকুমার গড়বেতা শালবনী থানার কিছু অংশ এবং কেশপুর থান কিন্তু ্বর্ণরেখার উত্তরে বালেশ্বরের কিছু অংশ এবং মিংভূমের ধলভূম মহকুমা, মানভূমের জঙ্গলমহুল, বরাহভূম মানভূম এবং বীকুড়ার জঙ্গলমহল ছাতনা অস্িকানগর জেলার এলাকাধীন হয়

এইভাবে মেদিনীপুর জলেশ্বর এই দুটি চাকলার শাঁসনভার মিঃ জনস্টান নামে জনৈক ইংরেজ অফিসারের অধীনে দেওয়া হয়, যিনি একাধারে রাজস্ব, ফৌজদারী বিচারবিভাগীয় কর্তা ছাড়াও কমাণিয়াল এজেন্ট, রাজনৈতিক আধিকারিক মিলিটারী গভর্ণরও ছিলেন। মেদিনীপুর জেলার দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই তিনি এই জেল। শহরে একটি কমা্রিয়াল ফ্যাক্টরীও নির্মাণ করেন ১৭৭৪ থেকে ১৭৭৭ খ্রীষ্টা্ৰ পর্বস্ত সে সময়ের জেলা সরাসরি বর্ধমানের প্রার্দশিক কাউন্সিলের অধীন থাকে এবং পরবর্তা ১৭৭৭ খ্রীষ্টাবকে সর্বপ্রথম জেলায় “কালেক্টর,-এর পদ স্থষ্ট হওয়ায়, মিঃ জন পিয়ার্স সে পদে নিযুক্ত হন।

চিরস্থায়ী বন্দোবন্তের সময়, হিজলী, মহিযাদল তমলুক ছিল সপ্ট কালেক্টরের অধস্তন সণ্ট এজেন্টের অধীন এবং সদর মহকুমা (উত্তর) ঘাটাল এই ছুই মহকুমা ছিল বর্ধমানের এলাকাধীন ১৭৭৫ খ্রীষ্টাবে সে সময়ের জঙ্গলমহুল গড়বেতার এলাকাধীন বগড়ীর বেশ কিছু অংশ ১৭৯৫-এর ৩৬ রেগুলেশন অশ্নযায়ী বর্ধমান থেকে মেদিনীপুরে হস্তাস্তবিত করা হয় এবং তার ঠিক পাঁচ বছর পরে, বিশেষ এক আদেশবলে, বগড়ীর অবশিষ্ট অংশ ব্রাহ্মণভূম পরগণা চেতুয়। পরগণার অংশ তরফ দাঁসপুর, হুগলী জেল! থেকে পৃথক করে মেদিনীপুরের

সংস্কৃতি মানব সমাজ

ভুক্ত করে দেওয়া হয়। পরবর্তী ১৮০৩ খ্রীষ্টাবে মারাঠাদদের অধিকাবভুক্ত পটাশপুর পরবর্ণরেখার উক্জরে অন্ত ছুটি পরগণাও মেদিনীপুরের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়। এর ঠিক ছু'বছর পরেই জঙ্গলমহলে চুয়াড় বিদ্রোহজনিত অশান্তির কারণে, ১৮৫-এর ১৮ রেগুলেশন অনুযায়ী সাতটি জঙ্গলমহল এলাকা মেদিনীপুর থেকে বিচ্ছিন্ন করে পৃথক একটি জঙ্গলমহল জেল গঠিত হয়। এর ঠিক পরের বৎসর ১৮০৬ খ্রীষ্টাবে তিনটি মারাঠা.অধিকৃত পরগণ। শীসনকাজের স্ববিধার জন্য হিজলীর সণ্ট এজেন্সির মধো যুক্ত করে দেওয়। হয়

১৮৩২ স্রীষ্টাবে ভূমিজ বিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশীসনিক পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখা দেওয়ায় ১৮৩৩-এবর ১৩ রেগুলেশন অন্তযায়ী জঙ্গলমহল জেলাটির বেশ কিছুটা অংশ নিয়ে পৃথকভাবে মানভূম জেলার পত্তন কর! হয় এবং ১৮৩৭ ্ীষ্টাকে জেলার মারাঠা অধিকুত ভোগরাই, কামারডিচোরা সাহীবন্দর পরগণ] ওড়িশীর বালেশ্বর জেলার অন্তভুক্তি করে দেওয়া হয়।

ব্রিটিশ অধিকার থেকেই আঁজকের ঘাটাল চন্্রকোণা থানা এলাক। ছিল হুগলী জেলার অংশীভূত। কিন্তু ১৮১৬ খ্রীষ্টাকে চন্দ্রকোণার অধিবাসীদের আবেদন অস্থ্যায়ী, কেবলমাজ্র রাজস্ব ক্ষেত্রীধিকার বাদে ফৌজদারী ক্ষেত্রাধিকীরটি হুগলী জেল! থেকে মেদিনীপুর জেলার অধীনে চলে আসে ১৮৪৫ খ্রীষ্টাব্দেও হুগলী জেলার সদর মহকুমা ছিল ক্ষীরপাইতে, কিন্তু ১৮৭২ খ্রীষ্টাব্বের ১৭ই জুন তারিখের প্রজ্ঞ/পন অন্রযায়ী চুড়াগ্তভাবে চন্দ্রকোণ। ঘাটাল থানা মেদিনীপুর জেলার অন্তভূক্ত হয়। বলতে গেলে, এই তারিখ থেকেই মেদিনীপুর জেলার সীমানা প্রায় পাকাপাকিভাবে নির্ধারিত হয়ে যায় এবং পরবর্তীকালেও তেমন কিছু পরিবত্তন হয়নি

নী ৬৫, ৩17 ৩৫। ৩৯ ১৪৬

২, (জজ্বাঘ গাবকী 'পলগণাস্ম হক্রিক্রত

১৮৫২ সাদুলর ইংরেজ সরকারের হিসেব অন্ুযায়ী, একশো -বারটি পরগণ। নিয়ে জেলার আয়তন ছিল পাঁচ হাজার একত্রিশ বর্গমাইল তখন লোকসমাজে মান্ষের পরিচয় তার আচাবর-বাবহার সংস্কৃতির স্বাতন্ত্রা 'পরগণা'র লীমানা

৬" মেদিনীপুর £ দিয়েই জেলা বা মহকুমার কোন নামগন্ধ ছিলি না। একথা মত্যি যে পরগণা? বিভাগটি ছিল সেকালের মুসলমান শাসকদের স্ছি। অন্যদিকে হিন্দু বাজতে গ্রাম নিয়ে যে এলাকা বিভীগ ছিল তাকে বলা হত “মঞ্চল” এবং “বিষয়” যা আবার অন্তভূন্ত ছিল বড় মাত্রার “ভূক্তি' বিভাগের সঙ্গে বাংলার প্রাচীন ইতিহাসের পাতায় তাই আমরা 'বর্ধমানভূক্তি', 'দ পভুক্তি” স্কগ্রামভূক্তি” পু বর্ধনভূক্তি” প্রভৃতি নামের উল্লেখ পাই। পরবর্তী মুসলমান রাজতে গ্রাম” কথাটির বদলে চালু হয় আরবী শব “মৌজাআ', যা আজকের এই “মৌজা? ম্বভাবতই মৌজা দিয়েই তৈরী কর! হয় বিভিন্ন পরগণা” বিভাগ এবং শাসন কাঁজের স্ববিধার জন্য এসব পরগণ! নিয়ে গঠন করা হয় “মহল” আর “চীকলা”, যা দিয়ে ৃট্টি হয় বড় মাত্রার “সরকার” নামীয় বিভাগ

কালে কালে ইংরেজ বণিকের মানদণ্* যখন এদেশে শাসনদণ্ে কায়েম হযে বসলো, তখন এসব পরগণা গুলি নিয়ে রাঁজকার্ষের তবিধার জন্য সীমানা বদলিয়ে “জিলা*য় ভীগ কবে নতুন করে লীমকরণ করা৷ হল মূলতঃ “ডিট্রিক্' কথাটির প্রতিশব্দ হিসাবে বিদেশী শাসনকর্তর! আরবী “জিলা” শবটিকেই গ্রহণ করলেন এইভাবে পশ্চিমবাংলার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমাণ্ত অঞ্চলের এমন ছোট বড একশো- বারোটি পরগণা নিয়ে ব্রিটিশ রাজত যে জেলা টির স্ষ্ট হল, তার নামকরণ করা হুল মেদিনীপুর

কিন্তু জেল! বিভাগ হালে, জেলার স|পারণ মানষ এই সেদিন পর্যন্তও পরগণার” অধিবামী হিস'বই তীদের পরিচয় প্রদান করে এমেছেন। জেলার পুব প্রান্তের পরগণাতিস্তিক অধিবামীদদের চালচলন নিয়ে তাই মে সময় একট! ছড়াঁও প্রচলিত ছিল বিশ্বৃতির হাত থে;ক উদ্ধার করে কাগজকলমে নিয়ে এলে তার রূপটি দ্রাড়ায় £ “ময়নার কাইকুই, চেতৃয়।র বন্দোবস্ত, মণ্ললঘাটের ধারা, কাখীজোড়ার গেরা”। পরে ইংরেজ শাপনের অবসান হয়েছে এবং ভারত স্বাধীন হওয়ার পর আরও চল্লিশ বছর অতিবাহিত হয়েছে সাহেবী আমলের জেল'-বিভীগের ভোৌগেলিক উত্তবাধিক।র আমর! এতদিন ধরে বহন করে এসেছি বলেই পরগণার অস্তিত্বকে আজ বিশ্বৃতির গ্ডে বিসর্জন দিয়েছি

তাই আঙ্গ জেলার মধো অন্ততুক্ত সেই একশো-বারঠি পরগণার অস্তিত্ খুঁজে পাওয়া না গেলেও, সে পরগণাগুলির নাম অগ্তত নিবদ্ধ রাখার একা প্রয়োজন বিদেশী শাসকরা শ।সন শোষণের তাগিদে প্রয়োজনমত পরগণাগুলিকে গুণগত অবস্থা অন্ষায়ী জঙ্গল, আবাদি নিমক এই তিন

সংস্কৃতি মানব সমাজ

শ্রেণীতে ভাগ করেছিলেন সেই শ্রেণী বিভীগ ধরেই একশো-বারটি পরগণার তালিকা করলে ষ1 দীঁড়ায় তা হোল £

জঙ্গল পরগণা-_বগড়ী, ব্রাক্ষণভূম, ভগ্তভূম, বাহাছুবপুর, বলবামপুর, নাবাণগড়, গগণেশ্বর, নাবাঙ্গাচোর, ফতেয়াবাদ, জঙ্গলমহল অর্থাৎ ঝাঁড়গ্রাম, বামগড়, লালগড়, কেশিয়াড়ী, কাকড়াঁজিৎ, নইগী?, নয়াবসান, ছ্বীপাকিয়ারঠাদ, জামিরাপোল, তগ্নে ধারেন্দী, মুকনুদপুর, ঝাঁটুভূমি, জামবনি, বেলবেড়্যা, ঝড়ীজিৎ, কেরৌলি, কিসমৎ্ কেবৌলি, মনোহরগড়, কিসমৎ কিয়ারী চিয়াচ।

সাধারণ আবাদী পরগণী-__খক্তাপুর, কেদারকু ৭, চেতুষ়্, কুতুবপুর, সাপুর, কাশীজোড়া, কিসমৎ কাশীজে়া, ঢেকিয়বাজার, সবং খান্দ।র) ময়নাচোব, অমর্ধি, পটাসপুর, উত্তরবেহার, রাজঘর, তুর্কাচোর, কুটিনাগড়, অগ্রাচোর, শিবপুর, কুকুলচোর, দেরাইসমাইলপুর, জলেশ্বর, দীতনচোর, বেলাড়াচৌর, নিপোয়াচোর, কিসমৎ্ সাপুর, কিসমৎ্ মেদিনীপুর, কিসমতৎ্ নাবাণগড়, অগ্লে নাঁড়াজোল, তগঞ্পে বালীসীত, তগ্গে পুরুষোত্তমপুর, গাগনাঞ্ুর, বাঁটিটাকী, দুতমুঠাঃ পাততভূম, ভূঁঞামুঠা, জামনা, জলকাপুর, বুজারপুর, বড়িগ়াচোর, মতন্তা্দাবাদ, কিসমৎ খড়গপুর, থানা জলেশ্বর সফি-পাটনা।

নিমক পরগণা--তমনুক, মহিষ।দল, তেরপাড়া, গমাই, কাসিমনগর, আগরঙ্গানগর, গুমগড়, সং্সা, মাঁজনামুঠা, সেরিফাবাদ, ছুতকোড়াই, কিসমৎ্ পটাশপুর, দৌবো, কসবা হিজলী, বালিজোড়া, আমিরাবাদ, নৈবাদ, নাড়ুয়।মুঠা, কিসম্খ শিবপুর, জলামুঠা, এড়িঞ্চি, বায়েন্দীবাজার, পাহানপুর, বিশাই, কালিন্দি বালিসাই, নগ্মাবাদ, ভোগরাই, খলিশা! ভোগরাই, গোমেশ, বাহিরিমুঠা, ভইঠগড়, ছুখিনমাল, স্থজামুঠা, কীকড়া, বীরকুল, ওড়িস্তা-বালিসাই মীরগোদা

হলে] মোট একশো বার পবরগণার মধ্যে একশো দশটার হিসেব বাদ বাকী আর ছুটি পরগণা হল মে সময়ের হুগলী জেলার এলাকা ধীন ুলঘ।ট ( বর্তমানে হাওড়া, জেল! ) জাহানাবাদ পরগণার বেশ কিছু অংশ, যা ছিল তখন মেদিনীপুরের জজ ম্যাজিষ্রেটে কোটের ক্ষেত্রাধিকারভুক্ত

গ্রাম বা মৌজা সম্টির এই পরগণার যথার্থ এলাক! খুঁজে পেতে অন্ুবিধে হলেও পরগণা বিভাগের তালিকাটি থেকে মেদিনীপুরের ভূপ্রক্কৃতি সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারণা করা৷ যাঁয় এবং তিন শ্রেণীর এই পরগণা বিভীগ থেকে জেলার স্কোলের অর্থ নৈতিক চিত্রটিও বেশ বোধগম্য হয়

ও. প্রস্তন্রমুগর মানব দঃদ্কাতি

মানুষের ইতিহাস আজ অনেক যুগ পেরিয়ে এসেছে সেকালের পাথুরে অস্ত্র নিয়ে মানুষের বেঁচে থাকার জীবনটা কেমন ছিল, সে সম্পর্কে ন্বতাব্বিকর! দীর্ঘদিনের গবেষণায় লব্ধ বহু চমকপ্রদ তথ্য উপস্থাপিত করেছেন প্রাইস্টোসিন কালের আদিম প্রস্তরযুগ থেকে নতুন প্রস্তরযুগের মানুষদের ব্যবহৃত নানাবিধ পাথরের অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গেছে মেদিনীপু বর উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে বাস্তবিকই সেখানকার ভূপ্রক্কতির চেহারাটার মধ্যেও যেন আদিমতার ছাপ লেগে আছে। প্রাচীন এই এলাকার আদিমতম মানুষদের পরিত্যক্ত এই সব পাথুরে অন্কুশস্ম একদ। খুঁজতে বেরিয়েছিলেন রাজ্য প্রত্বুতব বিভাগের কয়েকজন উৎসাহী কর্মী তাদের অনুসন্ধানের সময় অগ্রত্যাশিতভাবে তান খুঁজে পেলেন প্ররন্তরযুগের আদিমতম মাহষের বাসস্থান এক পাহাড়ী গুহা এই ছুঃসাহসিক অভিযান- কারীরা গোড়াতেই এমন ধারণা৷ করেছিলেন, যেখানে এত কাড়ি কাড়ি পাথুরে হাতিয়ার পাওয়া যায়, সেখানে নিশ্চয়ই তাদের বসতির কোন চিহ্ন থাঁকবেই। মনে অদম্য উৎসাহ নিয়ে তার। ঝাড়গ্রাম মহকুমার পাহাড়-জঙ্গলে খুঁজে বেড়াতে বেড়াতে অবশেষে বীনপুর থানার লালজলে গিয়ে পৌছোলেন। গ্রামটি পাহাড় দিয়ে ঘেরা এক উপত্যকার মধ্যে অবস্থিত। কাছের উঁচু পাহাড়টির নাম দেবপাহাড়, যার দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পুব গ। বেয়ে প্রবাহিত এক ক্ীণআ্রোতা৷ পাহাড়ী জলপ্রবাহ গিয়ে মিশেছে তারাফেণী নদিতে যা কিনা বিখ্যাত কাসাই-এর এক উপনদী। এখানের এই দেবপাহাড়েই পাওয়া গেল আদিম মাহষের আবাসম্থান একটি গুহ] সেই কবেকার গুহা_-এতদিনে অব্যবহাধ থাকার ফলে পাথর মাটিতে তা! ভবাট হয়ে গেছে। সেখানকার ধুলোবালি আর পাথর-টুকরোর আন্তরণ সরিয়ে পাওয়া! গেল নব্যপ্রস্তরযুগের বেশ কিছু মহুণ ধরনের হাতিয়ার ভেতরে আবার গুহাটির ছুটি কক্ষ, যার একটি প্রবেশপথে পাওয়া গেল মহাপ্রস্তর যুগের সমাধির নিদর্শন থেকে জান। গেল সেকালের মৃতদেহ সৎকারের আদিম প্রথা সেখানে চারটি পাথরের চাঁঙড় বসিয়ে চৌবাচ্চা তৈরী করে রাখ হয়েছিল মৃতদেহটিকে এবং সঙ্গে কিছু মৃ্পান্র একটি

সংস্কৃতি মানব সমাজ

লোহার বর্শা ফলক। চৌবাচ্চার উপরে অবশ্য পাথর বপিয়ে সেটিকে ঢাকা দেওয়া হয়েছিল সত্যিই চমতকুত হতে হয় ' কারণ এমন এক গ্রহ্াণার ভেতর মহা প্রস্তর- যুগের কবরখানা, যাঁর নিদর্শন ইত্তিপূধে ভারতবর্ষের আর কোথাও পাওয়া যায়শি, তা কিনা পাওয়া গেল এই লালজলে। শুধু তাই নয়, বিপদের ঝুকি মাথায় নিয়ে উৎসাহী অভিযানকারীর! ক্রমাগত অন্তসপ্ধানের ফলে আবিষ্কার করলেন--গুহামানবদের অস্কিত দেওয়াল চিত্র, য৭ প্রভুতত্বের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগা সংযোজন দেওয়ালে এটি তবে কিসের চিত্ত, তা নিয়ে এখানকার অন্তসন্ধানীদল য। বর্ণন। দিয়েছেন তা৷ হল, রেখা দিয়ে গু/কা এই চিত্রটি সম্ভবত: কোন হরিণ বা গরু জাতীয় প্রাণীর পার্খথচি্র যাতে লাল, সবুজ ক্রীম রঙ বাবহার কর! হয়েছে। তুতরাং আদিতে অর্থ।ৎ প্রাগৈতিহাসিক যুগে এই গুহায় যে মান্রষ বসবাস করেছিল তাতে যেমন কোন সন্দ্হে নেই, তেমনি গুহার ভেতর এই স্তর বিন্যাসের প্ররুতি এবং সেখানকার বিভিন্ন স্তর থেকে পাওয়া বস্ত থেকে মোটামটি এই সিদ্ধাপ্ত কর! যায় যে লৌহযুগের কুটির পূর্বে নব্যপ্রন্বযুগের মাফ এখানে বসবাস করেছিল |

প্রাগেতিহাসিক কালের মানব-সভাতার এসব অমূলা নিদর্শন যারা আবিষ্কার করলেন প্রতুতত্ব অধিকারের সেই অন্ঠসন্ক(নী গুত্ুবিজ্ঞানীদের প্রতি আস্তবিক কৃতজ্ঞতা জানাই।

৪. ত্বাঘ্রমুগসভাভার এতিহ্থা

মেদিনীপুর আদিম প্রস্তরকালের সভাতাঁর যে বিকাশ ঘটেছিল, তার ধারাবাহিকতা চলে এসেছে পরবর্তী ধাতুযুগ পর্ধস্ত। জেলার নানাস্থান থেকে পাওয়া গেছে তাত্রপ্রস্তর সভ্যতার বেশ কিছু নিদর্শন, যাঁর অধিকাংশই হল তামাব তৈরি কুঠীর ফলক। তামার এসব আযুধ প্রভৃতি প্রাপ্চিস্বানের মধো প্রথমেই নীম করতে হয় তাঁমজুড়ি গ্রীমের। মেদিনীপুর জেলার বীনপুর থানার এলাকাধীন এই গ্রাম থেকে প্রাগৈতিহাসিক যুগের যে তামার কুঠাবটি পাওয়া গেছে সেটি একটি স্বন্দযুক্ত কুঠার-_য! বর্তমাঁনে কলকাতার ইপ্বিয়ান মিউজিয়ামে

১০ মেদিনীপুর £ সংরক্ষিত হয়েছে এখানে তামাজুড়ি ন।মের সঙ্গে তামার উল্লেখটিও লক্ষণীয় | ঠিক এইভাবেই তাম সমুদ্ধর স্বৃতিবহ প্রাচীন সামুদ্রিক বন্দর তাত্রলিপ্ত নামটির প্রসঙ্গেও দৃ্টি আকর্ণণ করা যেতে পারে। কেননা আধুনিক তমলুক শহরের কাছ- কাছি প্রতুতাতিক অগ্সন্ধীন চালিয়ে তামার একটি ক্ষদায়তন কুঠার পাওয়া গেছে। সেদিক থেকে তাম।জুড়ি আর ত।অলিপু নম দু'টির মধো অর্থগ'ত পার্সকা তেমন কিছু নেই বলেই মনে হয়।

এই জেলার আরও যে যে স্থানে তামার আয়ুধ পা এয়া গেছে তার মণ্ধ একটি হল, গড়বেতা থানার অন্তর্গত আগুইবণি গ্রাম এখান থেকে একটি তামার কুঠার ছাড়৷ পাওয়া! গেছে আরও এগাবোটি তামার বাল। কয়েকটি তামপান্স। জেলার উত্তর-পশ্চিম সীম।প্ত ছাড়াও জেলার দক্ষিনপ্র।ন্তে এগবা থান।ব চাঁতন! গ্রাম থেকেও পাওয়! গেছে একটি স্বন্দযুক্ত তামার কুগার ফলক ( এই সব তাম্রায়ুধ নিদর্শনগুলি পশ্চিমবঙ্গ রাজা প্রত্বতাত্তিক সংগ্রহশালায় সংবক্ষিত )। প্রসঙ্গত: উল্লেখ করা যেতে পারে যে, আলাচা এই থানা এলাকা থেকে কর্ণস্থবর্ণের অধিপতি রীজা শশাঙ্গের মোট তিন/১ তামশাসন প্রাপ্তিতে এখানকার প্রতুত1ঙ্ক গুরুত্বের কথাই বেশী করে ম্মরণ করিয়ে দেয়। এছ।ড1ও জেলার বীনপুর থানার আকুলডোব!, সবং থানার পেক্য়া, জামবনী থাঁনান্ধ পরিহাটি প্রভৃতি স্থান থেকেও প্রাগৈতিহাসিক কালের তামার কুঠার পাওয়া গেছে, যা এঁ সভ্যতীকালের এক চমকপ্রদ সাক্ষা

স্রতরাং মেদিনীপুরের মাটিতে প্রাগৈতিহাসিক কালের এইসব তামাযুধ অন্থান্য তামার দ্রব্য আবিষ্কৃত হওয়ায় সেকালের আদিম অধিবাসীদের তামার ব্যবহার সম্পর্কে মোটামুটি একটি চিত্র পাওয়া যায় দেখ যাচ্ছে, এই সব তামার আয়ুধের বেশ একটা অংশ পাওয়া গেছে পশ্চিমবাংলার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমাস্ত অঞ্চলে, অর্থাৎ যেখানে তামার খনির অস্তিত্ব রয়েছে অর্থাৎ, সেই এলাকাটি হল, মেদিনীপুরের ঝাঁড়গ্রাম মহকুমার লাগোয়া ধলভূম, সিংভূম, পুকলিয়া ছোটনাগপুর প্রভৃতি ব্রিটিশ আমলে এই সব এলাকায় খনিজ তামসম্পদের প্রথম সন্ধান দেন কনে'ল হিউটন এবং তা ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দের এশিয়াটিক সোসাইটির জানণলে প্রকাশিত হয়। স্বভাবতই এর ফলে ইংরেজ বণিকের৷ প্রলুব্ধ হয়ে এঁসব এলাকায় তামার খনি খোঁড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও শেষ পর্যন্ত তা কার্কর হয়নি। পরে ভারতীয় ভূততত্ব সর্ধেক্ষণের পক্ষ থেকে এই সব অঞ্চলে সমীক্ষা করে তি. বল যে বিবরণ দেন, তাতে তিনি ধলভূম সিংভূমের বহুস্থানে এবং

ংস্কৃতি মানব সমাজ | ১১

মেদিনীপুরের সীমান্ত এলাকায় প্রাচীন সড়কগুলির আশেপাঁশে খনিজ তাস্রশিল্পীদের পরিত্যক্ত চুল্লি তার পাশে ল্ুপাকার ধাতুমল দেখতে পান বলে উল্লেখ করেন।

হতরাং বাংলার এই সীমান্ত অঞ্চলে তামা! প্রাপ্তিস্থানের হদিশ জানার পর একথা! পরিক্ষার বোঝ1 যাঁয়, এসব অঞ্চলের আদিম জনগোঠী একদা প্রাচীন পদ্ধতিতে খনি থেকে 'তীমা নিক্দাশন করে এইস্ব তামার হাতিয়ার নির্মাণে সমর্থ হ,য়ছিলেন__যাঁর ফলশ্রুতি হল এক 'তীয়ভিত্তিক সভ্যতার বিকাশন। বিষয়ে ভারতীয় প্রত্ুত।িক সবেক্ষণের ভূতপু্ব মহ।ধিকর্তা শ্রীবি.বি, লাল এইসব তা়াঘুধ সম্ভার আবিষ্কারের মাধামে প্রাপ্ তথাসমূহ পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, গাঙ্গের অববাহিকায় বিশেষতঃ দর্গিণপূর্ধ ভারতে প্রাঞ্চ 'ভামকুঠীরগ্ুলি সম্ভবতঃ এই অঞ্চলে বসবাসকারী “প্রেটো-অস্ট ণলয়েড' শ্রেণীর অন্তভূক্তি পাতাল, মুগ্চা প্রভৃতি আদিবাসীদের পূর্বপুরুষদের দ্বারাই নি্সিত হয়েছিল

সীগ'তাল, মুণ্ধা, লোধা প্রভৃতি আদিবাসী অন্নচ্চবর্ণের বিভিন্ন জনগোঠ্ীর বসবাঁসে মেদিনীপুর জেলা বিশিষ্ট। ত্তরাং এদের মধ্যে অতীতের সেই “প্রোটো অস্ট ণলয়েড' জনগোীর বংশধরদের যে অভাব নেই, তা তাদের জীবন- ধারণের বীতিনী'তি থেকেই বেশ বোঝা! বাঁয়।

2%52 তি ০০৩ / 4 ০০৯০ €, তট তটিনী গঃবাদ

সতাতার উত্থান-পতনে নদীর ভূমিকাই প্রধান। নদীর তীরেই মাহ্গষের বসতি, নদীর জল দিয়েই তাঁর শশ্য বৃদ্ধি এবং নদীর উপর দিয়েই তার বাণিজ্যের জয়যাত্র/। অন্যদিকে অনেক নদী তার স্বাভাবিক নিয়মে খাত পরিবর্তন করেছে, বা, কতক নদী গ্রাম-জনপদ ধ্বংস করেছে, কিন্তু তা সত্বেও মাম্তষের জীবনধারা কত যে পরিবর্তন এনে দিয়েছে তার সব হিসেব আমাদের হয়ত জানা নেই। বড়ে। নদীগুলির ভূমিক1 বা তাঁর ইতিহাস নিয়ে যাবৎ বহু আলোচনা হয়েছে, কিন্তু ছোট নদীগুলির ভূমিকা আমাদের অগোঁচরেই থেকে গেছে। শুধু তার প্রচলিত নামটুকুই বিস্বৃতির হাত থেকে কোনরকমে রক্ষা! পেয়েছে

১২ মেদিনীপুর £

সুতরাং দেশকে জানতে গেলে দেশের ছোট-বড় নদ-নদীগুলিকেও আমাদের চেনা দরকার এবং সেগুলি সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকাও দবকাঁর। আমাদের দেশে পাহাঁড়-পবত শৃঙ্গ জয় করার জন্য তরুণরা অভিযান করেন, কিন্ত দেশের ছে বড এই সব নদ-নদীর উৎপন্বিস্থল আরবিক্ষকারে তেমন আগ্রহ আজও স্যরি হয় শি। স্বতরাং মেদিনীপুর জেলার নদ-নদীগুলির উৎপত্তি তার ভূমিক। সম্পর্কে একট! নাতিদীর্ঘ বিবরণ পরিবেশিত হল, যা সাধারণের আগ্রহ সৃষ্টির একান্ত সহীয়ক হবে বলে মনে করি

কাসাই-_এ প্রবন্ধে প্রথমেই আসছি কাসাই তার উপনদীগুলি সম্পর্কে কাসাই এর উৎপন্তি পুরুলিয়া জেলার ঝালদা থানার “কপিল” পাহাড়ের বুক থেকে প্রবাহিত এক ঝরণা থেকে তারপর পুরুলিয়া! 'ও নাকুড়া জেলার বনু গ্রাম-গ্রামান্তরের পাথর আর মাটি ডিগ্গিয়ে একে বেঁকে বীনপুর থানার র!মগড়ের কাছে মেদিনীপুর জেলায় পপ্রবেশ করেছে। জেলায় পুবমুখী অর্ধেকটা আসার পর কাপাসটিকরি গ্রামের কাছে নার থিশালত্ব হারিয়ে ফেলে ঢুভাগ হয়ে গেছে একটি শাখা পুবমুখে রূপনারাণে গিয়ে মিশেছে এবং মুল শাখাটি জেলার ময়ন। থানার টেংরাখালির কাছে কেলেঘাই-এ যেখানে সঙ্গম হয়েছে সেখান থেকে কামাইয়ের নাম বদল হয়ে টাড়িয়েছে হলদী। অর্গাৎ কীঁসাই কেলেঘাই-এর জলরাশি শেষ অবধি গিয়ে মিশেছে হুগলী-ভাগীবথী নদীতে বীঁকড়া জেলায় কুমারী নদী যেখানে ক'সাইয়ের সঙ্গে মিলিত হথেছে সেই সঙ্গমস্থলেই নিষ্সিত হয়েছে কংসাবতী জলাধার এবং জলাধার থেকে খাল কেটে এনে বাঁকুড়া মেদিনীপুরের বহু ভূখণ্ডে সেচের বাবস্থা করা হয়েছে

মেদিনীপুর শহরের দক্ষিণে মোহনপুরের কাছে কীসাই-এর বুকে আড়াআড়ি নীচু বাঁধ দিয়ে সমস্ত জলধারা মেদিনীপুর খাল প্রবাহিত করে দেওয়া হয়েছে। তারপর মেদিনীপুর খালের জল মাদপুরের কাছে এক গভীর সেচ খালের মারফৎ ডেবরা, পিংলা, সবং খড্গাপুর থানার বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে

এক সময় পাঁশকুড়োর কাছে কাসাই পুবমুখী হয়ে রঘুনাথবাঁড়ির পাশ দিয়ে তমলুকে রূপনারায়ণে গিয়ে মিশেছিল। আজ সে পথ মজা, কিন্তু দলিল- দস্তাবেজে তা আজও “কামাই বেড? নামে পরিচিত হয়ে রয়েছে বিষয়ে অন্ত একটি মত হল, পঁ'শকুড়ে। থেকে হলদী পর্যন্ত বর্তমানে কাসাইয়ের এই অংশটির নাম নয়া কাটানে। অর্থাৎ এটি নতুন করে কাটানোর জন্যই এই নাম। জনশ্রুতি

সংস্কৃতি মানবসমাজ | ১৩

যে, এই অংশটি নাকি মহিষাঁদলের আদি ভূম্বামী কল্যাণ রায়ের আমলে খনিত-_ যেজন্য অংশটিকে অনেকে রায়খালি' বলেও উল্লেখ করে থাকেন।

'তাঁরাফেনি-__এটি কাসাইয়ের এক উপনদী। বীনপুর থানার হ্াধারগেড়ে- প1টাগড় গ্রামের কাছ থেকে এর উৎপন্তি। তারপর বাকুড়া জেলার রাইপুর থানার কিছু অংশে প্রবাহিত হয়ে পুনরায় বীনপুর থানার সিজুয়ার কাছে কসাই-এ এসে মিশেছে

কেলেঘাই--কাসাইয়ের উপনদী হিসাবে এ-নদ গ্রীন্মে শীর্ণকায় হলেও বর্ষায় ভীষণরপ ধারণ করে। এর উৎপন্তি ঝাঁড়গ্রাম থানার গোলবান্দির কাছে এক জঙ্গলময় টিলার উপরে নির্গত এক ঝর্ণীধারা থেকে পুবমুখে শাকরেল থানার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কেশিয়াঁড়ী থানার উন্তর সীমানা বরাবর দক্ষিণমুখী হয়ে নারায়ণগড থান! এলাকায় প্রবেশ করেছে। তারপর পুবমুখী হয়ে একে বেঁকে বেশ চ'গড়া আকার ধারণ কবে সবং, পটাশপুর, ভপবানপুর থানার সীমান। বরাবর ময়নার কাছে টেংবাখালিতে এস কা সাই-হলদীতে মিশেছে

কেলেঘাই-এর নিজন্ব জলধারা ছাড়াও, তাঁর ছোট বড় অসংখ্য উপনদীর জলপারাও এব সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে যুক্ত হয়েছে এখন সেগুলি শুঙ্ক এবং কতকগুলি বর্তমানে খালের আকার ধারণ করেছে কেলেঘাই-এর এসব উপনদীর মধ্যে একটি হল বাধুই--য! বর্তমানে খ।লে পরিণত হয়েছে াঁতন থানার কেদার গ্রামে যে পাবকেশ্বর শিবের মন্দির আছে তার লাগোয়া! পুক্ষরিণীর কোণ থেকে উ্িত এক প্রস্ত্রবণের জলধারা বাঘুই-এর সঙ্গে মিশে কেলেঘাইতে সঙ্গম হয়েছে

কেলেখাই পটাশপুর থানার বুলাকিপুরের কাছে ছু" অংশে ভাগ হয়ে এক বৃত্তের সুতি কবেছে। দক্ষিণমুখী গোলাকার অংশটি বর্তমানে মজে যাওয়া এক খাতে পরিণত হয়েছে বটে, কিন্তু এরই তীরে প্রাচীন জনপদের বেশ কিছু ধ্বংসাবশেষ লক্ষ করা যায়।

খিরাই--তেবরার কাছ থেকে প্রবাহিত হয়ে নদীটি পিংল। থানার লক্ষ্মী- পাড়ির কাছে মিশেছে পাঁচথুপিতে এবং পাঁচথুপি যৌগ হয়েছে কেলেঘাইতে বর্তমানে নদীটি খালে পরিণত হলেও, অতীতে সেটি ষে বেশ বৃহৎ ছিল, তার বিস্ত' তি আজও লক্ষ করা যায়।

পাঁচধুপি--এটিও ডেবর! থানার বাঁলিচকের কাছে উৎপত্তি হয়ে এখানকার

১৪ মেদিনীপুর £

কেদার-ভুড়ভুড়ির কপ থেকে উত্থিত প্রম্ববণের জল 'এবং খিবাই-এর জলধারা নিয়ে ময়না থানার ন।রকেলদহের কাছে কেলেখাইতে এসে মিশেছে

কপালেশ্বরী-_-এটিও এক প্রাীন নদী এই মজা নদীটির 'তীরে উল্লেখযোগ্য বহু প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ অন্যান্য প্রত্ববস্থর নিদর্শন সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে। মাদপু রর কাছে একদা কোন এক প্রশ্নবণ থেকে নির্গত হয়ে এটি পিংল' সবং থানার বিভিন্ন গ্রামের উপব দ্িঃয় প্রবাহিত হয়ে ভগবানপুরের কাছে কেলেঘাইতে সঙ্গম হয়েছে

পারাং__বীনপুর থানার ভাকঙ্গাডালি থেকে বেরিয়ে শালবনী থানা এলাকায় পুবমুখী হয়ে এসে কেশপুব থানার পাকুলিয়ার কাছে উত্তর-পুবমুখী হয়েছে তারপর এই থানার রায়পুবরের কাছে চুটি শাখা হয়ে একটি দক্ষিণে কাসাইয়ে অন্যটি পু-ব রূপনারায়ণে মিশেছে

শিলাই-_মেদিনীপুর জেলায় শিলাই বা শীলাবতী নদীর ভূমিকা খবই 'রুত্বপূর্ণ বিভিন্ন শাখা 9 "উপনদীর জলধাবায় পু৯ হয়ে নদী বর্ষায় ভীষণ এক রূপ ধারণ কবে মা-ভূম থেকে উৎপত্তি হয়ে নদী ছ্ণকাবাকা পথে জেলার গড়বেত। থানার উন্নবে লক্ষ্মীপাল গ্রামের কাছে প্রবেশ করেছে তারপর পুবমুখী হয়ে দক্ষিণে ঘাটাল মহকুমায় এসে নাডাচজোলের কাছে আবার উত্তরমুখী হয়ে ঘাটাল শহরের পাশ দিয়ে বন্দরের কাছে রূপনার।য়ণে মিশেছে এখান থেকেই উত্তরের অংশ দ্বারকেশ্বর এবং নিচের অংশ বূপনাবায়ণ নামে খাত হয়েছে বাঁকুড়া জেলার পুরন্দর, গোপা বেতাল প্রভৃতি নদ-নদীর জলধ।রা নিয়ে নদী পু হলেও এ-জেলার আরও অনেক ছেট-খাট উপনদ্ী তাদের জলধারা দিয়ে একে প্রাণবন্ত করে তুলেছে।

বেতাল--এটি শিলাইয়ের এক উপন্শী। গড়বেতা৷ থানার পাবাঁকানালি, জামদাহাড়1 কদমবাধি গ্রামের কাছ থেকে তিনটি জলধারা একত্রে মিলিত হয়ে উন্তরপুবে গড়বেতা। থানার বাগদেবপুর গ্রামের কাছে শিলাইয়ে সঙ্গম হয়েছে।

বিড়াই-_বাঁকুড়া থেকে উৎপন্ন হয়ে শালবনী থানার বীরভানপুবের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে থানার জগ্ুলাড়ার কাছে তমালে মিশেছে

তমাল-_বেতালেব উত্পত্তিস্বল পারাকানালির পাশের গ্রাম মেট্যাল (থান! গড়বেতা ) থেকে নদী উৎপত্তি হয়ে গোয়ালতোড়ের পাশ দিয়ে শীলবনীর উত্তর গ1 ঘেষে কেশপুর থানার মুগবসানের কাছে কুবাই নদে মিশেছে তামাল ছোট নদ হলেও আসলে তাকে পুষ্ট করেছে বিড়াই।

সংস্কৃতি মানবসমাজ ১৫

কুবাই__এ নিট শিলাইয়ের উপনদী হলেও বিডাই তমালের জলধারা পুষ্ট। এর উৎপত্তিস্থল গড়বেত1 থানার ছুলিয়া এবং সেখান থেকে বেরি. মুগবসানের কাছে তমালের জলল্সোত নিষে প্রবলগতিতে এসে মিশেছে দাসপুব থানার নাঁড়ীজোৌলের কাছে শিলাই নদীতে

বুড়ীগাং--এ নদীটি তমাল-এরই শ।খা, যাঁ অমুতপু রর কাছে উত্তর দিকে নাম নিয়েছে বুড়িগাং দাসপুর থানার কাটাদবজ। মৌজার কাছে এটি ছান্দুর নদে মিশেছে যদিও এখন এটি খালে পরিণত হয়েছে, তবু একসময় এটি যে নদী হিসাবে পরিচিত ছিল তার প্রমাণ রষেছে তার নামকরণের মধোই।

দোনাই-_বুড়ীগাং-এর মতই এটিও ছান্দুরে মিশেছে এর উৎপত্তিস্থল হল চন্ত্রকোণা থানার রঘুনাথপুর তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে কুঁয়াপুর হয়ে ফুলদহের কাছে ছান্দুরে মিশেছে

ছান্দুর_যদ্দিও এটি এখন খালে পরিণত হয়েছে, তাহলেও বুড়িগাং দে[নাই-এর জলধারা নিয়ে এটি শিলা ইয়ে যুক্ত হয়েছে

শ'করী-এ নদীর নাম শঙ্করী, চলতি কথায় শঁণকরী। হুগলী জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ঘাটাল থানার বালিডাঙ্গার কাছে নদীটি মেদিনীপুর জেলায় প্রবেশ করেছে তারপর সেখান থেকে দৌলতচকের কাছে আমোদর নদে (মিলিত হয়েছে |

আমে দর-_-এ নদটি সম্পর্কে বঙ্গিমচন্দ্রের “ছুেশিনন্দিনী” উপন্থাসে উল্লেখ রয়েছে এটিও বাকুড়া থেকে উৎপন্তি হয়ে হুগলী জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ঘাট।ল থানার উবে হলতানপুবের কাছে মেদিনীপুর জেলায় প্রবেশ করেছে। তারপর সেখান থেকে দৌলতচকের কাছে শাকরী নাধির জলধারা নিয়ে মনন্তখার কাছে শিলাই নদীতে সঙ্গম হয়েছে

কেটে--যদিও এটি বর্তমানে খালে পবিণত হয়েছে, কিন্তু বারমাস এটিতে জল থাকায় এটির ভূমিকাও কম নয়। 'বীকুড়ায় উৎপত্তি হয়ে জেলার গড়বেতা থানার উপর দিয়ে এর একটি শাখা চন্দ্রকোণ! থানার শিরসার কাছে এবং অন্ত আর একটি শাখা! ঘাটাল থানার কালিচকের কাছে শিলাইতে এসে মিশেছে

ডুনং-বাঁড়গ্রাম থানার মধুপুর থেকে উৎপত্তি হয়ে, ঘাট শীল! থেকে প্রবাহিত কোপান-এর জলধারা নিয়ে শকরাইল থানার রোহিণীর কাছে স্থবর্ণবেখায় এসে সঙ্গম হয়েছে। ১১১,

রহুলপুর-_এই জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক কে প্রবাহ ুদ্মামে

১৬ যা মেদিনীপুর 2

চিহ্নিত এক নদী কালীনগরের কাছে বোরোজ নদীর ( বর্তমানে সদর খাল নামে পরিচিত) সঙ্গে মিশে একত্র হয়ে রুহুলপুর নামে কাউখালীর কাছে হুগলী- ভাগীরঘীতে সঙ্গম হয়েছে।

এতক্ষণ মেদিনীপুরের কয়েকটি অখাত নদ-নদীর প্রসঙ্গ আলে।চিত হল। দেখা যাচ্ছে, প্রধান নদ-নদীগুলির সঙ্গে অসংখা উপনদী শাখানদী যুক্ত হওয়ায় বর্ধায় এইসব নদীগুলি একান্তই ম্কীত হয়। এছাড়া ক্ষুদ্র নদীগুলির উৎপত্তিস্থল বেশ কৌতুহলোদ্দীপক | এগুলির সঙ্গে বেশ কিছু প্রম্রবন ঝরণা যুক্ত হওয়ায়, সেগুলির ভূগর্ভস্থ জলের স্তর সহজে সেচের জন্য জল প্রাপ্তি সম্পর্কে নতুনভাবে পরীক্ষা-নিবীক্ষা গবেষণা হওয়ারও প্রয়োজন আছে বলে মনে করি। ইতিমধ্যেই এইসব মজা নদীগুলির তীরে বেশ কিছু প্রত্ুতাত্বিক নিদর্শন পাওয়ায়, আশা! কর! যাঁয় সঠিকভাবে এইসব নদী-খাতের ধারে অনুসন্ধান চালালে এমন বনু প্রাটীন জনপ্দের হদিশ মিলতে পাবে__যা প্রচলিত ইতিহাসের বহু তথাকে পুনমূল্যায়ন করার নির্দেশ দিতে সক্ষম হবে

284 ২5 ০০ 2 & ভিড €দোওিও ২২ এট শর

৬. অন্নক্ষান্র পাঁচালী

আমার নিবন্ধের বক্তবা হল, জেলার কষিসম্পদ নিয়ে তবে বিষয়ে আজকের কৃষিতান্বিকরাই জেলার রুধি-চিত্রটি যথার্থ ভুলে ধরতে পারবেন 'তাহলেও সাবেকী থেকে হাল আমলের কৃষিতে যে সব পরিবর্তন ঘটে চলেছে সে সম্পর্কে ভালোমন্দ যাই হোক, পাঠকদের কিছুটা ওয়াকিফহাল করাও আমার উদ্দেশ্ট কিন্তু সবচেয়ে মুশকিল হচ্ছে কৃষি সম্পকীয় কোন কিছু বলতে গেলে, যেসব একর আবু টনের হিসেব চাই, তা যথ।যথ দিতে না পারার অক্ষমতা অন্তত এক্ষেত্রে পাঠকদের সেই হিসেবনিকেশের গোলকধাধায় ফেলতে চাইনে।

জেলার চাষবাসের কথ! বলতে গেলে প্রথমেই তার ভৌগোলিক চরিত্রের প্রসঙ্গে আসতে হয়। কারণ জেলার ভূপ্রক্কৃতি বড়ে। বিচিত্র জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণে মাঝামাঝি একটা সীমারেখা যদি টান] যায়, তাহলে দেখা যাবে তার পুব অংশটি পলিমাঁটি দিয়ে ঢাকা যেখানে সবুজ সমতল ভূমির এক

সংন্কৃতি 'ও মানবসমাজ ১৭

মনোরম দৃশ্য আর পশ্চিম অংশট চুনিচু বম কক্ষ গৈরিক পাথুরে মাটির গ্রান্তর। অর্থাৎ হিসেব কষে দেখলে দেখ। যাঁবে, পশ্চিম প্রান্তের এক-তৃতী্ন।ংশ ছোটনাগপুরের প্রাকৃতিক গঠনের মত এবং বাকী ছুই-ভৃতীয়।ংশ চাষবাসে উন্নত পশ্চিম বাংলার অন্যান্ত জেলার তুলা সেঞ্জন্য জেলার ভূপ্রক্তির এই বৈচিত্রাময় চরিত্র আমাদের কাছে একাস্তই অভিনব |

সাহেবী আমলের পুরাতন চিঠিপত্র কাগজপত্রে জেলার কৃষিজ উৎপাদন সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ১৭৮৭-১৭৯২ সালে ইস্ট ইপ্িয়া কোম্পানির আমলে জেলায় তুলো, রেশমের 'গুটিপোৌক।র খা তু'ত পাতা, তামাক, আখ নীলগাছের চাষ-আবাদ যে পুরোদমে চল,ছ তার বিবরণ পাওয়া যায় জেলার কালেক্টরকে লেখ! বিভিন্ন চিঠিপত্রের শ্বত্রে। সময় কোম্পানির “বোর্ড অফ. ট্রেড, তুলে। চাষের জন্য ঢাকা থেকে উন্নত ধরনের বীজ এবং ভাল নীল বঙ পাবার জন্য কান্বে থেকে আমদানী করা উংকৃষ্ট জ]তের নীলগাছের বীজ বিনামূলো চাষীদের বিতরণ করার জন্য জেলার কাঁলেক্টরকে নির্দেশ দিচ্ছেন জেলার কালেক্টরেব তরফ থেকে বিপো্টও দেওয়া হচ্ছে, ১৭৮৪ সালে জেলায় বিভিন্ন জাতের তুলোর উৎপাদন হয়েছে মোট দশ হাজার ছাপান্ন মণ।

১৮৭১ সাল নাগাদ জেল'য় ধান কেমন হয়েছিল তা জানা না গেলেও, খড় বোধ হয় খুব বেশী পরধিমাণেই হয়েছিল বিষয়ে জেলার কালেক্টর সবং মোহাড় পরগণার বাড়তি খড় কিনে নেবার জন্য হিজলীর সল্ট এজেন্টকে যে নির্দেশ দিচ্ছেন ত1 তাদের চিঠি চালাচালিতে জানা যাচ্ছে। কারণ দেশী প্রথায় চন তৈরীতে যে জালানীর প্রয়েজন হয় ত। এসব পরণণায় ঘাটতি পড়ায়, বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে কাঠের বদলে খড় দিয়ে সমস্যা মেটাবার বাবস্থা হচ্ছে

কোম্পানির আমলে কৃষি সংক্রান্ত সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য হল, ১৭৪৮ সালে জেলায় সর্বপ্রথম আলুচাষের স্চনা!। চাঁধীদের উৎসাহিত করার জন্য এই সর্বপ্রথম বিনামূল্যে পনের মণ বীজ-আলু বিতরণের বাবস্থা করা হয়। কিন্ত সে আলুচাষের কিভাবে অগ্রগতি হয়েছিল সে বিষয়ে কোন সংবাদ পাওয়া যায় নি। মোটামুটি কোম্পানির আমলের এই কৃষিচিত্রের পর আমরা উনিশ শতকের গোড়ায় চলে আসি।

১৮০৩ সালে জেলার কালেক্টর সাহেবের এক চিঠিতে জানা যায়, শ্দিলার চাষযোগ্য জমির শতকরা পঁচাত্তর ভাগই হচ্ছে ধানী জমি এবং 'শতকরা তের ভাগ তুলোচাষের, পাঁচ ভাগ আখচাষের বাকী সাত ভাগ

১৮ মেদিনীপুর কড়াই, সরষে, তিল, তাঁমাক অল্গান্ত শকসক্জীর জমি আজকের দিনে চাষের ফসল মিলিয়ে নিতে গিয়ে দেখ! যাচ্ছে, আখ, কড়াই বা শীকসজজী না হয় যেমন তেমন, তুলোচাষের মে সব জমি কোথায়? একদিন হয়ত জেলার রমরমা ৰশ্বশিল্পের দৌলতে তুলোর চাষ বেড়ে ছিল, কিন্তু পরবর্তাঁ সময়ে সে চাষের প্রয়েেজন যে ফুরিয়েছে তা৷ জেলাবাসীমাত্রই স্বীকার করবেন। অবশ্ট ১৭৩৫ লালের সরকারী রিপোর্টে তুলে।চাষের অবলুষ্তির কথা স্বীকারও কর! হয়েছে ঠিক এইভাবে আখচাষের ক্ষেত্রেও একই ঘটন। ঘটেছে সরকারী তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, ১৮২২ সালে জেলা থেকে প্রচুর পরিমাণে আখ বাইরে বগ্ানী হয়েছে অথচ এব ঠিক একশো তের বছর পরে অর্থাৎ ১৯৩৫ সালে বিভাগীয় কমিশনারকে লেখা জেলার কালেক্টরের এক চিঠিতে দেখা যাচ্ছে, আখচাসের ফলন একেবারেই পড়তির দিকে, শুপুমাত্র স্থানীয় প্রয়োজন মেটাতেই য1 ফুরিয়ে যাঁয়।

১৮৬৮-৬৯ সালের বেভেনিউ সার্ভের রিপোর্টে জেলার উৎপন্ন ফসলের যে 'তালিক৷ দেওয়া হয়েছে, ত1 হল ধান অন্যান্য খাগ্যশন্ত, তৈলবীজ, আখ, তুলে", নীল, পাট, শন, তামাক এবং শাকসক্তী। এব!রের 'তলিকায় নীল প্রসঙ্গে?

ংযৌজন। বেশ বোঝা গেল জেলায় নীলকৃঠিগ্ুলি তখন পুবাদমেই তাদের উত্পাদন ব।ড়িয়ে চলেছে

এবপপর বিগত কুড়ি বছর ধরে জঙ্গল হ[সিল করে ধ।নী জমির শতকরা পঞ্চ ভাগ যে বাড়ানো হয়েছে, সে সম্পর্কে ১৮৭২ সালে জেলার কালেক্টর ওপরআল।4 কাছে সংবাদ পাঠাচ্ছেন। এসব জঙ্গলে কেটে আবাদযোগা জমি পায়ায় সেখানে ক্রমশঃ বসতি বিস্তারলাভ করছে “বনকাটি* নামের গ্রাম যে এইভাবে জন্মলাভ করছে তা বুঝতে তো৷ কোন অন্তবিধে হয় না।

কোম্পানির আমলে নীলচাঁষের কথ। আগেই উল্লেখ কর! হয়েছে সরকারী নথিপত্রে দেখা। যাচ্ছে, ১৮৭৭ সাল নাগ।দ জেলায় ব্যাপকভাবে নীলচাষ বেড়েছে সরকারী হিসেবে সে সময় প্র।য় কুডি হাজার একব জমিতে নীলচাঁষ হচ্ছে এবং সে চাষের এলাক। বিস্তত হয়েছে বিশেষ করে বগড়ী, বাহাদুরপুর জঙ্গল- মহল পরগণায়। নীলচাষের রমরমা বছর পঁচিশ পরে আর দেখা যাচ্ছে ন।। ১৯০৩ সালে সরকার রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন, উচু বা নগিতীরবর্তাঁ জমিতে যে নীলচাষ করা হত, তা একেবারেই উঠে গেছে ১৮৯৮ সাল থেকে নীলচাষের এইভাবেই ইতি। বুঝতে অক্থবিধে নেই যে, নীলচাষের জমিগুলি পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে

সংন্কৃতি মানবনমাজ ১৯

ধানী জমিতে পরিবত্তিত হয়েছে ফলে ধানচ।ষের জমির পরিমাণ বেড়েছে।

১৮৮১ সালের “ইম্পিবিয়াল গেক্ছেট'-এ জেলার উৎপন্ন ফসলের এক তালিকা দেওয়! হয়েছে তাতে বল! হয়েছে, ধানই হল জেলার প্রধান উৎপন্ন দ্রব্য, যা চাবযোগ্য এলাকার তিন-চতুর্থাংশ জুড়ে বিস্তুত। এছাড়া আছে, গম, ঘব, ছোলা, মটর, মুসনে, সরষে, তিল, পাট, শন, আখ, নীল, তুলো, তত, পান প্রতৃতি। তালিকায় দৃষ্টি আকর্ষক দুটি ফমল হল, তুত আব পান।

জেলায় একদা রেশম-শিল্পের দৌলতে গুটিপোকর খাদ্য হিসেবে তত পাতার প্রয়োজনে যে এটির ব্যাপকভাবে চাষবাদ হত তা৷ কোম্পানির আমলে অ।গেই আমরা দেখেছি। কিন্তু “ইম্পিরিয়ল গেজেট? প্রকাশের কুড়ি-বাইশ বছরের মধোই কৃষিজ উতপাদনটি যে অস্তিমদশায় পৌছেছে, তা ১৯০৩-৪ সালের 'এক সরকারী প্রতিবেদনে দেখ। যায়

তাহলে লক্ষ করার বিষয়, চাঁষযোগ্য জষ্ি কিন্তু পড়ে থাকছে নী নীলের ভমিতে ধান শুরু করা হয়েছে, তুতের জমিতে কি? বিষয়ে সরকারী প্রতিবেদন বা লিখিত কোন তথা নীরব তবে গ্রামে খুরতে খুবতে অন্সন্ধানে জনা যায়, জেলার উত্তর-পূর্বাংশে ভুতের জমিতে বা।পকভাবে পানচাষের বাবস্থা হয়েছে, যা অর্থকরী ফসল হিসেবে চাষীদের একমাত্র বাচার পথ হয়ে দড়ায়। জেলার দক্ষিণে ভগবানপুর, পটাশপুর, ছাতন মোহনপুর থানা এলাকায় তখন অবশ্য পানচাষ ভালভাবেই শুরু হয়ে গেছে।

এবার ১৯১১-১৭ লালের “সেটেলমেন্ট বিপোট? পর্যালোচনা করাল দেখ যায, জেলা-সীমানায় নদী বাদ দিয়ে জেলার আয়তন হল, ৫,*৫৫ বর্গমাইল ; তারমধো খাল, বিল, পুকর, ডোবার আয়তন ৩৪৪ বর্গমাইল এবং বাকী জমি হুল ৪৭১১ বর্গমাইল। এর মধ্যে চাষযোগ্য ভূমির পরিমাণ শতকরা! ভেষটটি ভাগ, চাষযোগ্য পতিত চব্বিশ তাগ এবং বাঁকী পতিত জমি দশভাগ | সময়ের উৎপন্ন ফসল ধান, গম, যব, ছোল। কড়াই, মুমনে, তিল, নরষে, আখ, তুলো, জোয়ার, পান প্রভৃতি

কিন্ত এসব রিপোর্টে চাষবামের উন্নতি সম্পর্কে যেসব ভীল কথাই লেখা হোক্‌ ন। কেন, সাআজাজ্যবাদী শাসকদের অধীনে দেশের কৃষি-অর্থনীতির হাল যে শোচনীয় হয়ে উঠেছিল সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তার কারণ, দেশজুড়ে প্রায়শই দুপ্তিক্ষ এবং ততুপরি মালেরিয়ার বিভীষিকা যোগেশচন্ছর রায় বিগ্যানিধির

১০ মেদিনীপুর £ কথায় সে তাণ্চবলীলার চিত্র হল £ “.. বর্ধমান হইতে এক মহামারী গ্রামে গ্রামে ছাউনি করিতে করিতে যেন তালে তালে দক্ষিণ দিকে আমিতেছে। এই মেলেবিয়া-রাক্ষপী অগ্য/পি তিল তিল করিয়া লোকের রজ শোষণ করিতেছে কিন্তু প্রথম আক্রমণের সময় এমন শিষ্ট মৃত্তি ছিল না আমার মনে পড়ে, ছয় যাসের মধ্যে আমাদের গ্রামের দশ আগা প্রাণী লে।কান্তরে চলিয়া গিয়|ছিল | কাদবার মান্য ছিল না, মুতের অবপ্তাষ্টিক্রিয়া হইত ন।, শশন ভূমিতে গৃধ, শৃগাল কুকুরের মাতামাতি চলিয়াহিল |. বিষয়ে বর্ধম।ন, হুগলী, মেদিনীপুংব প্রভেদ নাই -- 1”,

১৯৪২ সালে ভয়াবহ সাইক্লোন 'ও বন্যার বিভীষিকার পর দেশজুড়ে দুর্িক্ষ জেল।কে শ্াশানে পযিণত করে। জেলার কুধিব হালচাল নিয়ে ১৯৪৪-৪৫ ম।লে যে ইসাক সার্ভে বিপো” বের হয় তাতে দেখা যায়, জেলার অর্থকরী উৎপন্ন ফসলের মধো বান, গম, যব, ছোলা, মুগ, পাট, আখ এবং আলুর উল্লেখ বুয়েছে। কেম্পীনির আমলে আলুচ।ষ প্রবর্তনের কথ। আমরা আগেই জেনেছি অথচ এতদিন আলুচাধের কথ। জানা যায় শি, এবার এই ফসলটির উল্লেখ পাওয়া গেল।

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর জেলার পুমিকর্মের মোড় খুরেছে ৷. বর্তমানে সরকারী হিসেবমত জেলার শতকর পঁচান্তর ভাগ পরিবার কৃষির উপর নির্ভর. শীল এখন জেলার উৎপাদিত ফসলের মধো প্রধান হল, আউস, আমন বেবোর মরশুমে উন্নতলনশীল ধান। তারপর হল গম, যব, ছোলা, মটর, বিউলি, মুগ, মুস্তর, অড়হর আর খেসরী। জোগ্ার হয় বটে, কিন্তু তার উৎপাদন একেবারে নামমাত্র বললেই হয়। টৈলবীজের মধ্যে সরষে, তিল, সারগুজ] মুসনে তস্তজাতীয় উত্পাদনের মধ্যে পাট, শন ধঞ্চে। মাছুর কাঠির জন্যে থাঞ্চিঃ নামের ঘাঁসজাত্তীয় এক কাঠির উৎপাদন ছিল একসময়ে পঁশকুড়ো, সবং নারায়ণগড় খানা এলাকায় বর্তমানে সবং থান এলাকাতে কেন্ত্রীড্ভুত এই কুষিজ দবাটি জেলার অর্থশীতিকে কিছু পরিম|ণ চাঙ্গা করেছে এইসঙ্গে আছে পান, তামাক, হলুদ অন্যান্য শাকসন্জী অর্থকরী ্সলের মধ্যে আখের চাঁষ ঘাট।ল, চন্দ্রকৌণা আর সবং থানা এলাকায় সীমাবদ্ধ হলেও, এটির চাঁষ রুমশঃ কমতে শুরু করেছে কারণ সেচের নানাবিধ উন্নতির দরুণ আলুর চাঁষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায়, চাষীরা আখচাষের বদলে অর্থকরী ফসলটির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। তাই আখের ক্ষেত এখন এঁসব

সংস্কৃতি মানব সমাজ ২১

এল।কায় দেখা যায় কালেভছে। তুঁত চাষ উঠে গিয়ে পানচাষ এসেছিল, কিন্তু অন্যান্ত রাজ্যে পানচাষের বৃদ্ধি ঘটায় এখন বেচাকেনার সমস্যায় জেলার পাঁনচাধীরা এক গভীর সংকটের মুখোমৃখি হয়ে পড়েছেন : তদুপরি কোলাধাটের “থারমল পাওয়ার স্টেশনের তিন চিমনির ধোঁয়ায় ভেসে আসা রাশি বাশি ছাই যে ফমলটির ফলনে বাঁধ! হয়ে দাড়াতে চলেছে, সেই দুশ্চিন্তা আজ প্র্বাঞ্চলের সমগ্র পাঁনচাষীদের শুধু পাঁনচাধী কেন, পাশকুড়ো। এবং তমলুক থানা এলাকার ফুলচাধীরাও এই একই কারণে যে বিপদের ঘণ্টাধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন, তা কি অন্বীকার করা চলে?

প্রি 65৯ 4৬ ১৯৫: ০) ২৯

৭. (মঙ্ষিনীপৃতেত বিভীম্রিক। $ লুনা মোম

মেদিনীপুর জেলায় একদা যে নানাবিধ অত্যাচার মংঘটিত হয়েছে তার বহু [ষ্টান্ত আজও খুঁজে পাওয়া যায়। কখনও দেশী বা কখনও ভিনদেশী মানষ আব কখনও বা নানান জীবজন্ত মিলে জেলার অধিবাসীদের জীবন সময়ে সময়ে এমন অতিষ্ঠ কবে তুলেছে যে সেসব বিবরণ আজ ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। অত্যাচারী মানুষের কথা তে ইত্তিপুর্বে অনেক লেখ! হয়েছে বা আজও লেখা চ'লেছে, সে তুলনায় জীবজগতের কথা তেমন সাধারণের কাছে তুলে ধর! হয়নি। আঙ্গ থেকে প্রায় একশো।-দেড়শে! বছর আগে জলে কুমীর আর ডাঙ্গায় বাঘ দেশের মাহষের কাছে এক রীতিমত বিভীষিকায় পরিণত হয়েছিল-_ যা নিয়ে গ্রামে-গঞ্জে এমন বনু কিংবদস্তী গড়ে উঠেছে। সে সব লে!কশ্রুত্ির অধিকীংশের মধ্যেই আছে কিভাবে অত্যাচারী জস্তর হাত থেকে দেশের ভূস্বামীব! প্রজাদের রক্ষায় সচেষ্ট হয়ে মহান্থভব হয়ে উঠেছেন ফলে গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ মানুষদের কাছে আমল অতাচারীর স্বরূপ এইভাবেই একদিন ঢাকা পড়ে গেছে।

জেলায় এক লময়ে বুনো জন্তজানোয়ারের আক্রমণে ক্ষেতের ফসল রক্ষা কর! বেশ ছুরহ হয়ে পড়েছিল। আজও যেমন জেলার উত্তরপশ্চিম সীমান্তে বুনো হাতীর দল ফসল পাকার সময় এসে তাণ্চব ন্বত্য করে খেয়েখুয়ে সব

৬৪ মেদিনীপুর £

লঞ্ুতগু করে দিয়ে যায়, যা এক চরম সত্য ঘটনা! | এছাঁড়। দেশী হন্গমানের উপদ্রব তো আজও শেষ হয়নি। উচু উঁচু গাছপালা যে সব গ্রামে ঘন হয়ে আছে, সেখানে তো বহাল তবিয়তে আস্তানা! নেয় এইসর ঝামভক্তের দল। তারপর দল বেঁধে গৃহস্থের ফসলে নিরুপদ্রব হাঁমল! চালিয়ে তা শেষ করে দেওয়।ই হল তাদের কাজ। এক সময়ে ইংরেজ আমলে এদের অত্যাচারে বাতিবান্ধ হয়ে চাষী-প্রজারা দে সময়ে বিলেতী বাজার দরবাঁদব আবেদন জানায় যথা- বিহিত প্রতিবিধানের জন্য বামের অচচর ব'লে হন্ঠমান বধে ফসলের মাপিকদের বেশ কিছু অনীহা সেজন্য বিধর্মা ব্রিটিশ শাসক ফুষি বিভাগের নিজ নিজ এলাকায় একটি করে বন্দুকধারী হস্ঠমান-মাবা কর্মচাঁরী নিযুক্ত করে- ছিলেন। অবশ্থ বন্দুকের গুলিতে সে সব দ্বরচার হচ্ঠমান শায়েস্ত। হয়েছিল . কিনা জান। যাঁষ না। তবে ঝড়ে-বন্য।য় এবং কাঠবেদের কুঠাবে বড় বড় বৃক্ষ সমূলে বিধ্বংস হওয়!র দরুন সেপব প্র।ণীকুলের বংশরৃদ্ধিতে বোধ হয় ভাটা পল্ড়ছে। "তবুও স্থানে স্থানে পবননব্দুনর দল যে এখন সময়ে লময়ে তাদের অনাচার চালিয়ে চলেছে তিমন নজির যথেঈ আছে |

আগার-উনিশ শতকে ক্ষেতের ফল রক্ষা কর! বেশ দবক্ষর হযে পড়েছে কারণ কোথা থেক বুনো মোষের দল এসে হামলা চালাতে বন্ধ মেহনত ততবি ফলন্ত শস্যের উপর দে সময়ে জেলার চেহারাঁট। বেশ ভয়াল ভয়ঙ্কর | ইংরেজ শাসকের আমলার! প্রতিবিধান হেমে ধিপে।ট পানাচ্ছেন সদবে | 1715৩ 189108 91 স110 68668106$ এসে ফসল নই কাবে দিচ্ছে প্রজাদের বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কীথি মহকুমার কিসমৎ পট শপুব, তূধকোভাই পাহাড়পুব পরগণার অধিবসীরা। একে তিন পরগণ।য় বুনো মোদের উৎপীডন থামতে না থামতেই মহকুমার অন্য আর এক প্রান্তে পঙ্গপালের মত বুনো মোষ এপস ফসলের উপর যে আক্রমণ চালাচ্ছে, দে বিপয়ে ইংরেজ রাজপুরুষেবা উৎকঠত হয়ে উঠেছেন সেখানকার দোবো। ইডিঞ্চি ভুঁয়ামুঠা পরগণায় সংঘটিত এইসব ক্ষপ্ক্ষতির ঘটনা ভাবী নথিবদ্ধ রেখেছেন, ঘা এক অজান। ইতিহাসের কাহিনী |

উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে জেলার কালেক্টর বেইলী সাহেব মহিষাদলে এইপব বুনো মোষের কাণ্চকারখান। স্বচক্ষে দর্শন করেছিলেন। তার লেখা “16009181008 0? 14118080০15 বইটিতে তিনি সে দৃশ্যের বর্ণন। দিয়েছেন মহিষাদল রাজার দেওয়ান রামন।র'য়ণ গিবি মহোদয় এইসব অবাঞ্চিত মহিষ

মংস্কৃতি মানব সমাজ ১৩

নিধনে কিভাবে বাপৃত ছিলেন তাই শিয়ে লিখেছেন, বুক পর্যন্ত কাদাজলে দে5 ডুবিয়ে দেওয়ান বাঁহাছুর হাতে বন্দুক নিয়ে এইসব বুনো৷ মোষের পিছনে ধাওয়া করেছেন লিখিত বিবরণ থেকে বেশ বোঝাই যায় সে সময়ে দেশে বুনো মোষের অত্যাচারে ফসল রক্ষা করা কেমন কষ্টকর হয়ে উঠেছিল।

যইহোক, সাহেব শসকর। এসব বিবরণ লিপিবদ্ধ করে গিয়েছিলেন বলেই সে সময়ের ইতিহাসের চিত্রটি যেমন সহজবোধ্য. হয়, তেমনি মহিষাঁদল নাম- করণের পক্ষেও এক যুক্তি খাঁড়া! করা যায়। অতীতে বণজঙ্গলে অধ্যুষিত নদী- তীরবর্তী এই এলাকায় বুনো মে|যের সহজ বিচরণ ক্ষেত্রে ছিল, এই নিশানদিগি মতে পবরগণার নামই হয়ে পড়েছিল মহিষের দঙ্গলের জন্য মহিষদল থেকে বর্তমানে মহিষাদল। আদতে মহিষাদল পরগণার রাজবাড়ি যেখানে অবস্থিত সে মৌজার নাম কিন্তু গড়কমলপুর ; মহিষাদল ন।মে কোন গ্রাম নেই। অবপ্ঠ গুঢ তাত্বিকেরা যে এহেন ণ।মকরণের সিদ্ধান্তে নামিকাকুঞ্চনে বিরত হবেন না, তা আমার জানা আছে

সত বলতে কি, সে সময়ে বুনো মোষের অত্যাচারের জনা ব্রিটিশ সাহেববা বেশ ভাবিত হয়ে পড়েছিলেন কখন কিভাবে যে বুনো মোষের অত্যাচার শুরু হয় তা স্াহহেবরা ঠিক বুঝতে পারছিলেন না বটে, তবে প্রাতিকারের জন্য চেষ্টার অন্ত হিল পা। এই যেমন, উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, মের্দিনী- পুরর ণিমকমহল এলাকায় লীমানা ঠিষ্িত করার যে “পিলার" বা থাম বসাবার পরিকল্পন৷ করা হয়েছিল তার মধ্যেও দেখা যাচ্ছে এইসব বুনো। মোষের অত্যা- চাঁবে পিলার যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বনের বাবস্থা | তখন এই জেলায় দেশীপ্রথায় চন তৈরীর বড়ে। কেন্্র ছিল কাি, হিজলী, তমলুক মহিষাদল। বিদেশী শ।সকরা এইসব লবণ শিল্পগুলিকে অবশেষে নিন্দেদের আয়ত্তে এনে হিজলী তমলুকে নিজেদের “সন্ট এজেন্ট” বসিয়েছিলেন। হন তৈরীর জন্য জালানী কাঠ যেসব জঙ্গল থেকে সরবরাহ হত তার নাম ছিল জালপাই জঙ্গল। একসময়ে চাঁষষোগ্য জমির মালিকদের সঙ্গে লবণ এজেন্দীর অধিকৃত এইসব জাঁলপাই জমির সীমীন। নিয়ে বিরোধ বেধে গেল সরকার সেজন্য ইটের বাধ দিয়ে আধ মাইল অন্তর একটি করে ইটের পিলার বসানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। পরিকল্পনীমত ব্যয় সংকোচের জন্য “পিলার হবে তিন- কোনা যাঁর অর্ধেকটা উপরে আর অর্ধেকটা থাকবে মাটির ভেতর। কিন্তু জেলার কালেক্টর বাহীছুর বুনো! মোষের কেরামতির কথ। ভেবে পিলারের

২৪ মেদিনীপুর £ চেহারা বদল করার প্রস্তাব দিয়ে লিখলেন, এই ধরনের তিনকোনা৷ পিলার বসালে বুনো মোষ বা অন্যান্ত জন্ত জানোয়ার তাটু মেরে বাগ! ঘসে ঘসে সেগুলোকে কমজে।বি করে দিতে পারে, সেজন্য প্রয়োজন তিনকোনার বদলে চৌকে। পিলার। ্‌

অতএব দেখ। যাচ্ছে, জেলায় যে অংশটি সাধারণত পলি দিয়ে গঠিত সেখানে এইসব অবাঞ্ছিত বুনো৷ মোষের অত্যাচারে গ্রামবাসী:দর ফসল ক্রমাগত বিনষ্ট হয়ে চলেছে এছাড়া অন্ত অংশে, অর্থাৎ জঙ্গলমহল এলাকার কথা না বলাই ভাল। সেখানে যে বুনো মোষের উপযুক্ত বাসস্থান, তা নিয়ে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না। স্ততরাং সাধারণ গ্রামবাসী ছাড়াও বিদ্বেশী শীসক- দেরও যে সেসময় এই বুনো মোষের অতাঁচার বেশ চিন্তায় কেলেছিল তা উপরের দৃষ্টান্ত থেকে জান! যাচ্ছে। প্রায় দেড়শো বছর আগে, মেদিনীপুর জেলায় বা অত্যাচারের মতই এইসব বুনো মোষ গ্রামবাসীদের জীবন যে কিভাবে উত্তাক্ত করে তুলেছিল, তা আজ এই জেলায় ঘুরে বেড়াবাঁর সময় বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় না

রি তিভিস্উহরি টি তি িি

৮. পাক্ুজিয়ান্ বাণীপ্রা়।

গঙ্গা-ভাগীরথীর জলধারা বয়ে আসছে ভারতের উন্ভরপশ্চিম সীমান্ত থেকে বরফগল। জল নিয়ে কিন্তু পশ্চিমবাংলার আশপাশে মালভূমি থেকে উৎপন্ন এমন ছোটখাট নদনদীগুলির উৎপত্তিস্থলে তো কোন বরফগলা বারমীসের জল নেই। এ-রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমের এসব নদনদীর উৎসমুখে যাও বা দু-একটি প্রন্নবণ আছে তার জলধার। আবার তেমন প্রবল নয়।

তাহলে কীভাবে এসব নদনদীর জল সামান্য হলেও ওপর থেকে বারমস বয়ে আসছে, গৎন্ুক্য আমাদের বহুদিনের যদ্দিও এসব জলধারার উতৎ্ম সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু ঢেউ খেলান কাকুরে মাটির উপর দিয়ে যেখানে একে বেঁকে বয়ে এসেছে এসব নদদনদী, সেসব জায়গায় সরেজমিনে অনুসন্ধান চালালে এমন বনু অন্তঃসলিলের সন্ধান যে পাওয়া যেতে

সংস্কৃতি মানব সমাজ ২৫

পারে তা বল।ই বাহুল্য। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এইসব অগ্তঃসলিলের ধারা চুইয়ে এসে শেষ পরধন্ত নদনদীর জলধারা বৃদ্ধিতে যথেষ্ট সহায়ক হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও এই ভূগর্ভস্থ জলধারা বাইরে প্রকাশমান হয়ে শেষ পর্যন্ত ঝণ।র রূপ নিয়েছে এবং সেই বর্ণধারার জলরাশি পুনরায় মাটিতে মিশে পাতালে প্রবাহিত হয়ে অলক্ষে কাছাকাছি কোন নদনদীর জলপুি বিধান করেছে। সুতরাং এ-বাজোে চোখের মাখনে তেমন বেশ কিছু বর্ণাধাবার 'উদ্াহরণও যে নেই এমন নয়। তবে আগ্রহীদের এমন একট স্বাহুজলের প্রঅবণের সন্ধান দিতে পাবা যায়, যা প্রত্যক্ষ করতে হলে বহুদিন ধরে বু অর্থব্যয় করে দেখতে যেতে হবে না।

আমাদের আলোচিত ঝণ।ধারটি হল পাকূলিয়। গ্রামে, মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা থ।নার এল।কাধীন (জে এল নং ৩৮)। এখ[নে যেতে হলে, দক্ষিণ- পূর্ব রেলপথের পঁ।শবুড়া স্টেগন থেকে রামঞ্জীবনপুরের বামে খট'ল হয়ে শ্রনগরে ন।মতে হবে তারপর এখান থেকে উত্তর-পশ্চিমে ই।টাপথে প্রায় কিলোমিটার বস্তা পদযুগলে.ক সম্বল করা ছাড়া গরুর গ।ড়িও নেওয়া যেতে পবে। তবে একাঢট কথ।। গ্রাম থেকে যেসব গোযান নগরে মালপত্র নিয়ে আসে, সেগুণি। যখন কিএতিমুখো। হয় ঠিক মে সময়েই যদি ধবতে পার! যায় হলেই পাঁরম অনেক লাঘব হতে পারে অবশ্ঠ কুষে।গ লাত কর.ত ন। পারলেও কোন ক্ষতি নেই। শহরে দমবন্ধ পরিবেশের খাচা ছেড়ে মুক্ত আকাশের নিচে পা চালিয়ে পরম তণ্চিভরে নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে কখন যে সেখনে পৌছে যাবেন তা টের পাবেন না। চলার পথে দু-পাশে গ্রামগ্রাম।গুবের গ।ছগাছালি পুক্ুরডোব(র মধ্যে পলীর গিপ্ধ সৌন্দযের উপলব্িটুকও এক উপ্রি ল।ভ ঝলে গণ্য হতে পাবে।

জুতর|ং শ্রনগবের মোড়ে বাস থেকে নেমে খালের বাব ধরে মিনিট পাচেক হাটার প্রথম খালের পুল পার হয়ে বাংতি পিচের রাস্তা ধবে এগুতে হবে। অতঃপর গ্রামণ্ড যখন শেধ হবে, তখন প্রিচের বাস্তাও ফুবিয়ে শুক হবে ধুলোর রাস্তা-_য! উচুনিচু হয়ে দিগন্ত বিস্ত মার মধো মিশে গেছে।

বাস্তা ধরে হাটতে কিন্তু মন্দ লাগে না। এতক্ষণ যেন উপর থেকে ঢ।লু বাস্ত।য় নিচে চলে আসা হয়েছিল, এবার সেখানে উত্রাইয়ের পালা ডানদিকের গ্রামটির নাম লক্ষ্মীপুর সে গ্রামের গাছপালার ভেতর দিয়ে কাদের যেন একট। মনিরের চূড়া উকিবু*কি দিচ্ছে। খাঁনিকট? চলাব পর আবার রাস্তা যেন ঢালুতে

২৬ মেদিনীপুর £

নেমে গেছে। এবার জাকাবীকা রাস্তায় যে গ্রামটি পাওয়া গেল সেটির নাম ইন্দ্রী। মুললমানপ্রধান গ্রাম হলেও গ্রামে মৈত্রী সংহতির একটি নিদর্শন দেখে চমতকত হতে হয়। গ্ররমটির শুরুতেই একটি বেশ বড় আকারের ইদ্গ! আর তার লাগোয়া একটি পবিত্যক্ত মন্দির

ইন্জা। গ্রাম ছাড়িয়ে আবার সামান্য চড়াই-উতর।ই বাস্ত। পেরিয়ে যখন সমতল- ভূমির উপর দিয়ে ঠেঁটে চলবেন, তখনই বা-দিকে রাস্তার গায়ে নজরে পড়বে ইটের এক উচু চিমনি। একদা বিলেতী মেসার্স ওয়াটসন কোম্পানির পবি- চালনাধীন নীলকুঠির সেই স্বৃতিচিহ্ন হিসাবে এই স্তম্ভটি তারই পরিচয় বহন করে চলেছে। যদিও গ্রামবাসীদের ইটের প্রয়োজনে সে নীলকুঠির চৌবাচ্চার ৯ট আজ প্রায় অস্তহ্থিত, তবে চিমন্টির ইট খুলে নিয়ে যাওয়ার পাঁল। কবে যে পড়বে তারই প্রতীক্ষায় হয়ত দিন গুনছে এই নিধাক স্তস্তটি।

এবার সামনে ঢালুতে নেমে পড়লে একটি “কজ ওয়ে” সেটি পেরিয়েই কষ পুর গ্রাম। বেশ বড় একটি গ্রাম। এটি ছাড়িয়ে আরও এক কিলোমিটার দুরত্ে আবার এক বিরাট আকারের জলনালী এখন সেটি শুকনে। বটে, কিন্তু বর্ধায উচু জায়গার ঢলনীমা জল এখান দিয়েই যখন গ্রব1হিত হয়, তখন সেটি যে এক ভীষণ রূপ নেয়, তা সহজেই বোঝা যায়।

নাল।টি পেরিয়ে আবার ছু-পাশে সমতল ধানক্ষেত। ডানদিকে বেশ অনেকটা অংশ জুড়ে এক সুউচ্চ টিলা লালরঙের মাটি ঢাক সে টিপিটি এখন ধূ-ধু করছে। শোনা গেল, এক সময়ে এখানে নাকি এক বিরাট জঙ্গল ছিল জালানির প্রয়েজনে সে জঙ্গল ক্রমে ত্রমে লোপাট

ক্রমশঃ টিল! ছাড়িয়ে যখন আবার ঢালুতে নামতে শুরু করলেন, তখনই পৌছে গেলেন আমাদের ঝর্ণাধারার গ্রাম পাঞ্লিয়ায়। গ্রামের ভেতর এক গাছতলায় বেশ বড় আক।রের হাতিঘোড়া যেখানে ঝাখ। আছে সেটাই হল গ্রামের শীতলার থান। পাশেই ঝামাপাথর দিয়ে তৈরি এক ভগ্র শিবমন্দির এখান থেকে পুবে কয়েক প1 এগিয়ে গেলেই বাশবনের তেতর পাওয়। যাবে গ্রামের গ্রশ্রবণটি, যা একান্তই মুগ্ধ হয়ে দেখার মত।

প্রায় চার মিটার বর্গাকার এবং আন্দাজ এক মিটার গভীর এক ঝামা- পাথব্ের চৌবাচ্চার উত্তর গ। বেয়ে ঝলকে ঝলকে স্বচ্ছ জল বেরিয়ে আসছে। আর সে জল এতই নির্জল যে, বীশবনের ছায়। ঢাক সত্বেও সে জলে মাছুষের গ্রতিবিশ্ব স্পষ্ট হয়ে দেখা দেয়। চৌবাচ্চায় অবশ্থ জল জমে থাকছে না,

সংস্কৃতি মানবসমাজ ২৭

একট৷ সরু নালা দিয়ে সে জলধারা! একেবেঁকে দূরে কোথায় যেন অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। গ্রামের বধূরা জল আনতে এখানেই আসে জলের কলসী চৌবাচ্চার জলে ডুবতে না চাইলেও শ্বাচল| দিয়ে জল তরতে হয় অন্যদিকে এই সামান্য গভীর জলে অনেকে ক্সান করতেও আসেন নাই হক অবগাহন ন্বান, গামছা করে জল তুলে মাথায় দিয়ে এই স্নানের মুধাও যেন পরম পবিতৃপ্তি লাভ করা যায়। তাছাড়া গরমের সময় এই জল শীতল এবং শীতে উঞ্ণ, তাই জলে স্নানের আনন্দ ত' বুয়েছেই এরই মধো দেখ গেল টোকাট। বাসন নিয়ে এক বউড়ীও এসেছেন দেখলি ধুয়ে মাজবার জন্যে চৌবাচ্চাটির জল যেখান দিয়ে সরু নালায় চলে যাচ্ছে, সেখানে বলেই বধুটি থালাবাসন মেজে নিয়ে চলে গেলেন।

এদিকে কতক্ষণ আর ঝর্ণার দৃশ্য এইভাবে প্রতাক্ষ করা! যায়। আমরাও নেমে পড়লাম ঝর্ণ।র আধ হাটু চৌবাচ্চার জলে হাত পা ভালভাবে ধুয়ে নিয়ে গ্ৰ(চলাতরে জল খেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম তবে এজল যে বেশ হজমি জল, সেটি তখন বুঝতে ন! পারলে সামান্য পরে টের পেয়েছি, যখন খিদে লঙ্গে মক্ষে তাড়ন৷ দিতে শ্তরু করেছে।

পারুলিয়া গ্রামের ঝর্ণা দেখতে এসেছি দেখে দু-একজন আগ্রহী গ্রামবাসীর আবির্ভাব ঘটল স্থানীয় বয়স্ক গ্রামবাসী শ্রীঅন্তকুল ঘোষ জানালেন যে, তিনি ভার বালাকাল থেকেই এই ঝর্ণাটি দেখে আসছেন এবং সরকারি কতীব্যক্তিরা যে এই বঝর্ণাটি দেখেন নি এমন নয়। এক সময়ে স্থানীয় বি. ডি. ও. মহোদয় প্রশ্ববণটির দু-পাশ ইট দিয়ে বাধিয়ে দেবার পরামর্শ দিয়েছিলেন, কিন্তু ইট বাধানর লময় ঝর্ণার জল অবরুদ্ধ হয়ে যেতে পারে এই ধারায় তাঁর! তাদের প্রস্তাবে সান্ব দেননি। এখন গ্রামে ঝর্ণাটিই তাদের প্রাণপুরুষ

এখানের বাড়তি জল কোথায় গিয়ে মজুত হচ্ছে, সেট। জানতে আমর বেশ অন্সদ্ধিৎম্থ হয়ে উঠলাম। দেশের খরা মোকাবিলার জন্যে সরকারের চোখে ঘুম নেই, কিন্তু জলের এমন অপচয়ের দৃষ্টান্ত দেখে অবাক হতে হয়। ঝর্ণার জল জম! হচ্ছে সামনের এক ডোবায়। তারপব ত1 মাটির তলায় চুইয়ে চলেছে সামনের কেঠে নামের এক নদীতে, যাব জলধারা মিশেছে শিলাবত্তীতে ৯তরাং এসব শুকনে। নদীতে জল সামান্ত হলেও, সে জলের ঘোগান কীভাবে ছোটবড় ঝ্ুর্ণ। দিয়ে চলেছে, তা চাক্ষুষ অবহিত হওয়া গেল।

যাই হোক পাকুলিয়ার ঝর্ণাধারার জল নষ্ট ন! কার চাষের কাজে লাগালে

২৮ মেদিনীপুর

তে। বনু উদ্ত্ব ফসল পাওয়! যেতে পারে? আমার প্রশ্নে, এখানকার স্থানীয় জনসাধারণের বক্তবা £ “আজে, পারুলিয়ার মাটির তলায় অনেক জল জম রয়েছে দেখুন না, এখানে তো 'আটো।-ফ্লো'র জল সমানে ঝরণার্‌ মত ঝরে পড়ছে। স্থতরাং যে যেমন চাঁষ করবে, জল ইচ্ছে করলে সেইভাবে অনায়াসেই সংগ্রহ করে নিতে পারবে ।” সত্যিই তাই, পাকুলিয়ার কিছুদূরে দক্ষিণপাঁড়ায় মাটির ভেতর বম।নো। ইংবেজি “এল' আকারে এমনি এক লোহার পাইপ থেকে জল সমানেই পড়ে চলেছে ! দৃশ্য দেখে মহাভারতে তীম্মের জলপানের কথা মনে পড়লো! অর্জন তার গাদ্দীব দিয়ে মাটির বুকে তীরের ফলা বি'ধে দিতেই জল ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে এসে শরশধায় শাধিত তীন্মের মুখে পড়ে তার পিপাসা নিবারণ করেছিল। পারুলিয়ায় এসে মহাভারত কাহিনীর সেই ঘটনাটির সস্তাবাতা। সেদিন স্বচক্ষে দর্শন করে মুগ্ধ হয়েছিলাম |

৬৫ পুলি 2২ উহ?

৯. গর বর্ণাধাতাঘ মাহাত্মা মায় অঙ্কিত

পারুলিয়ার ঝর্ণাধারার মত জেলায় ছে।বন্ড আরও কত যে প্রশ্রবণ আছে তার ইয়ন্তা নেই। তবে সেগুলির খোজ৪ আমরা তেমন বাখিনা বলে তার কোন নির্দিষ্ট তালিকাও নেই। অন্তদিকে মাটির তলায় ভলের সন্ধান নিয়ে জেলায় অগ্/বধি তেমন কিছু উল্লেখযোগা অন্রন্ধান হয়নি বললেই হয় এবং হ'লেও তা৷ আম।দের গোচরে আসেনি অথচ “আ ধারগ্রাউঞ ওয়াটার রিসোর্স? নিয়ে এদেশে সরকারী ভূতাব্বিকদের “সেমিনার” অন্ষ্ঠানের পেপার” পাঠেরও কমতি নেই। কিন্তু ঘরের আনাচে-কানাচে তুগ্রকৃতির এই হৃষ্টিবহস্ত যে কিভাবে তাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায় তা৷ বোঝা মুশকিল 'এ বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতার কথাই বলা যাঁক। অতীদ্তি দেখা যাচ্ছে, এমন সব ভূগর্ভস্থ জলধারার সন্ধান পেয়ে স্থানীয় ধত্রিষ্ঠ বাক্তিগণ একদ। সেটিকে দেবমাহাত্য আরোপ করে সেখানে মন্দির-দেবালয় নির্মাণ করে দিয়েছেন। বাংলার বাইরে এই ধরনের এক বিখ্যাত শৈবতীর্ হল মধ্যপ্রদেশের বিখ্যাত অমবকণ্টকের পাতালেশ্বর মহাঁদেৰ মন্দির | এখানের এই মন্দিরটির অভ্যন্তরে বিগ্রহ শিবলিঙ্গ প্রতিষ্টিত রয়েছেন বেশ গভীর

সংস্কৃতি মানবসমাছ ২৯

চারকোণা এক কুর্টের মধো যা বখসরের অন্যান্য সময় শুষ্ক থাকলেও, শ্রাবণ মাসের কোন কোন দিনে তা জলপূর্ণ হয়ে বিগ্রহটিকে নিমজ্জিত করে দেয়। কাছাকাছি নর্ঘদার সঙ্গে মাটির তলায় জলপ্রবাহের সংযোগের দরুণ যে এই অবস্থার হট হয়েছে তা বৈজ্ঞানিক সতা হলেও, এখানকার অন্তঃসলিলের পিছনে ধর্মীয় মাহাস্থা আরো পিতহয়ে গোটা অমরকন্টককেই 'এক মরমিয়া পরিবেশে পরিণত করে তুলেছেন

পশ্চিমবাংলায় এই ধরনের প্রন্নবনকে কেন্ত্র করে স্থাপিত বেশ কিছু মঠ-মন্দির নিয়ে যে তীর্ঘস্থানটি বিখাত হয়ে উঠেছে, ত। হল বক্রেশ্বর। অবশ্য বক্রেশ্বরের খা'তি আকর্ষণ তার উপ প্রশ্নবণের জন্য, যার উদাহরণ একান্তই বিরল

অমরকটক বা বক্রেশ্ববের মত খাঁতিসম্পন্ন না হলেও, মেদিনীপুর জেলাতেও এমন সব প্রশ্রবণের মাহাত্মা সম্বল করে একসময়ে যে সব মন্দির-দেবালয় নিমিত হয়েছিল, তেমন নিদর্শনেরও অভাব নেই। বিষয়ে ভ্রমণর্সিকদের কাছে জেলার এমন দুই ঝর্ণামা হা স্মাযুক্ত মন্দিরের সন্ধান দিতে পারা যাঁয়।

প্রথমটি হল কেদ।র-পাঁবকেশ্বর দীঘা ষ।বাঁর পথে খঙ্জাপুর পেরিয়ে বেলদ। ; তারপরেই হ'ল খাকুড়দা স্টপেজ। এখানে নেমে দক্ষিণ-পশ্চিমে হাটাপথে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরত্বে মেদিনীপুর জেলার টাতন থানার এলাকাধীন কেদার গ্রাম। হাটার অন্থবিধে থাকলে, রিক্শ[ও পেতে পাবেন। স্বতরাং, গ্রমা মেঠে, পথ পেরিয়ে অবশেষে এসে পৌ ছোবেন গ্রামের কেদার-পাবকেশ্বর শিবের মন্দির প্রাঙ্গণে আগেই বলে নেওয়া ভাল যে, মন্দিরটি পশ্চিমমুখী ; অধলোকচিত্রীরা সকালের দিকে গেলে নিরাশ হতে পাবেন বলেই আগেভাগে বিষয়টি জানিয়ে রাখা ভাল অন্যদিকে, শিবালয়টি বেশ কৌতুকাবহ খাঁটি ওড়িশাশৈলীর রেখ-দেউলের অন্তকরণে নিত মূল মন্দিরটি, ওড়িশা মন্দিরের আদর্শ অশ্যা যী এক ক্ষুদ্র জগমোহন এমনিরেরসঙ্গে যুক্ত এবং সেইসঙ্গে প্রবেশপথের উপরে রয়েছে কালে! পাথরে খোদাই প্রায় সাড়ে চার ফুট দৈর্ঘাবিশিষ্ট এক সুন্দর নবগ্রহ ফলক ওড়িশা মন্দিরের মতই মূল মন্দিরের তিনদিকের দেওয়ালে রয়েছে পাথরের লম্মান সিংহের মৃত্তিভান্বর্য। মন্দিরটি ঝামাপাথরের এবং মন্দিরের ছাদ নির্মাণ করা হয়েছে ভারতের প্রাীন স্থাপত্য অনুসারী ধাপযুক্ত লহব৷ পদ্ধতিতে কোন প্রতিষ্ঠাফলক অবশ্য মন্দিরে নেই, তবে স্থাপতাবিচাৰে এটি খ্রীষ্টীয় সতের শতকে নির্মিত বলেই মনে হয়। মূল মন্দিরটি দৈর্ঘাপ্রস্থে সাড়ে তের ফুট, জগমোহনটি দৈথ্যপ্রস্থে সাড়ে ন* ফুট এবং উচ্চতায় মূল মন্দিরটি আচুমানিক চল্লিশ ফুট

৩০ মেদিনীপুর

মন্দিরের বহিরঙ্গষপজ্জার পর মন্দিরের গর্ভগৃহে যাওয়া যাক। গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহ হল শুধুমাত্র গৌরীপট্, যাঁতে কোন লিঙ্গ নেই। গৌরীপট্ের মধাস্থলে যে গর্তটি আছে সেখান দিয়ে আমাবস্যা পূর্ণিমায় জল বেরিয়ে আসতে থাকে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের ধারণ।, গৌরীপট্ের জল যখন শুকিয়ে যায় তখন শিব কৈলাসে চলে যান, তাই শক্তির পঞ্চামত থাকে না।

বিগ্রহ দর্শন করে বাইরে আসার পর মন্দিরের উত্তরে লাগোয়া এক পুফরিণীর মধাস্থলে দেখা যাঁবে ঝামাপাথরে তৈরি চারদিক খোল! একটি চাদনী মন্দির, অর্থাৎ জলকুণ্ধের উপরিস্থিত পাথরের এক ছ।উনী। সাধারণ লোকে এটিকে বলে থাকে 'জলঘরি”। এই “জলঘরি'টিই হল এখানকার এক প্রত্রবণ সেখান দিয়ে জল বুদবুদ হয়ে বেরিয়ে পুকুরের জলে মিশে যাচ্ছে এবং পুক্করের বাড়তি জল অবশেষে বেরিয়ে চলেছে পাশ দিয়ে প্রবাহিত বাঘুই খালে, য৷ নাকি কেলেঘাই নদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে

চড়ক শিবচতুদ্দণীতে জীীকজমক করে এখানে পূজোআচ্চা হয় এবং লেই উপলক্ষে মেলাও বসে থাকে তবে উল্লেখযোগা হল, পৌষ সংক্রস্তিতে মৃতবৎসা অপুত্রক নারীরা সন্তানলাভের আশায় এই কুণ্ডে স্নান করতে আমেন।

মন্দির নিয়ে স্থানীয় আর এক কিংবাপ্ী হল, শ্বরুইগড়ের বজ1 কালী- প্রসন্ন এক সময়ে গভীর জঙ্গলাবৃত এই স্থানে আলোচা প্রস্ববণটির সন্ধান পান এবং স্থানীয়ভাবে দেবতার মাহাত্মোর জন্য তিনি শুধু মন্দিরটিই নির্মাণ করে দেননি, মেই সঙ্গে দশনামী সপ্প্রদায়তুক্ত অমুতলাল গিরি মো হান্তে উপযুক্ত জমিজিরেসহ এর সেবাইতও নিযুক্ত করেন। স্থতরাং এই প্রশ্রবণকে কেন্দ্র করে কিভাবে এখানে মন্দির-দেবালয়ের পন্তন হল, তার জীবন্ত এক ইতিহাস হল এই কেদার গ্রাম

শুধুমাত্র এই কেদার গ্রামই নয়, আরও এক কেদার গ্রষম আছে জেলায়, ষেখানে এমনি এক তূগ্স্থ জলধারা'কে কেন্্র করে অগ্থরূপ আরও এক মন্দির- দেবালয় প্রতিষ্ঠত হয়েছে। গ্রামটি অবস্ত ডেবরা থানার এলাকাধীন। দক্ষিণপূর্ব রেলপথের বালীচক স্টেশন থেকে ময়না, দেহাটি ব৷ সবংয়ের বাসে চেপে প্রায় পাচ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত গ্রামে আদা যায়। এখানের ঝর্ণাধারা তাঁর সংলগ্ন মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে যে কিংবদন্তী প্রচলিত আছে তাও বেশ চিত্তাকর্ক। জনশ্রুতি যে, মুসলমান অত্যাচারে স্বদেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে

সংস্কৃতি মানব সমাজ ৩১

বীরসিংহ নামে এক রাজপুতগ্রধান যখন এখান দিয়ে পথ অতিক্রম করে চলে- ছিলেন তখন তিনি এখানকার এই প্রশ্নবণটির সন্ধান পেয়ে সেখানে কেদারেশ্বর মতান্তরে, চপলেশ্বর শিবের মন্দিরটি নির্দাণ করে দেন এবং সেই সঙ্গে গ্রত্রবণটির উপরে পাটা দ্বেউলের ধরনে পাথর দিয়ে এক আচ্ছাদনও করে দেন।

কিংবাস্তী যাই হোক্‌, কেদারেশ্বরের বর্তমান মন্দির প্রাঙ্গণে পেইছাবার আগে পশ্চিমমুখী এক বিরাট তোরণদ্বার নওবতখান। অতিক্রম করতে হয়। যদ্দিও সংস্কীরের অভাবে সে তোবণদ্বারটি বর্তমানে ভগ্ম।বস্থ য় পতিত, তাহলেও পরবতা সময়ে যে তে।রণদ্বারের ছুপ।শে ছ্বাঝপাল হিসাবে ছুটি পোড়ামাটির সাহেবমুততি নিবন্ধ হয়েছিল, তার অবশেষ এখনও লক্ষ করা যাঁয়। মন্দিরের তোরণদ্বাবে সাহেব ছারীমূতি অভিনব মনে হলেও, জেলার বহুস্থানে এই ভাক্বর্ধরীতিটরি যে অন্ুন্ত হয়েছে, তাঁর এক উজ্জল দৃষ্টান্ত হল ঘাট।লের সিংহবাহিনী মন্দির চত্ববের গ্রবেশ-কটক।

এখানকার এই তোরণ পেরিয়েই মন্দির। মন্দিবটিও পশ্চিমমুখী, ঝামা- পাথর দিয়ে নিশ্রিত এবং ওড়িশা মন্দির শৈলীর মতই এখানে মূল মন্দির শিখর, তর সংলগ্ন গীঢ়ারীতির জগমোহন নাটমনদির এখানের এই মন্দিরগুলির ছাদ্দ প্রচীন স্থাপত্যবুঠতির লহবাযুক্ত ধাপ পদ্ধতি করে নিমিত। মন্দিরেও কোন প্রতিষ্ঠালিপি নেই ত:ব আকারপ্রকারে এটি যে গ্রীষ্টীয় ফোল শতকের মাঝামাঝি সময়ে নিমিত সে বিষয়ে কোন সন্দেহ সেই।

প্রাটীন এই মন্দিরটির পুবগা সংলগ্ন এক জলাশয়ের পশ্চিমপাড় থেকে গ্রশ্রবণের জল 'ভুড়ডুড়' শবে বের হয় বলে, লোকে এটীকে বলে থাকে 'ভুড়ভুড়ি কেদীব" বা 'কের্দার ভুড়ভুড়ি”। পৌষ সংক্রাপ্তিতে এই প্রশ্বণের বীধানো কুণ্ে মুতবৎস। বন্ধ্যানারীর। স্নান করলে পুত্রবতী হন। পুরানে। দিনের চিন্তাভাবন! ধর্মবিশ্বাস আজও টিকে বয়েছে বলেই, পৌধষসংক্রান্তিতে এখানে এখনও বহু নরনারীর সমাগম হয় এবং মাসাধিক কান ধরে বিরাট এক মেলাও এই সময়ে বসে থাকে।

ন্থতরাং আলোচ্য “কেদীর পাবকেস্বর” “কেদার ভুড়ভুড়ি? -এই ছুই মন্দিরই যে এমন এক তৃগর্ভস্থ প্রন্বণকে কেন্দ্র করে গ্রতিষ্টিত হয়েছিল লে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। প্রসঙ্গত; দুইটি উদাহরণ ছাড়া, সমগোত্রীয় আরও একট্রি ঝরণীধারাযুক্ত মন্দিরের কথ) উল্লেখ করতে পারা যায়। মন্দিরটি পিঙ্গলা! থানার গোবর্ধনপুর গ্রামে অবস্থিত। রস্বেশ্বর শিবের পঞ্চরত্ব রীতির দেব!লয়ের

৩২ মেদিনীপুর £ গর্ভগৃহে শিবের কুগ্ডের সঙ্গে কোন অন্তঃসলিলের যে।গ ছিল, যার ফলে কোন কোন উল্লেখযোগ্য তিথিতে শিবের গভীর কু গুটি জলপূর্ণ হয়ে উঠতো। | কিন্তু দুঃখের কথা, বেশ কয়েক বৎসর আগে ভূগর্ভে পেট্রোলের খোঁজে , সরকারীভাবে যেদিন কাছাকাছি এলাকায় মাটীর তলায় “ডিনামাইট” ফাটানো হয়. সেদিন থেকেই ভূগর্ভের জলধারা হয় শুষ্ক হয়েছে, না হয় তার পথ হারিয়ে বসেছে ফলে স্থানীয় নলকুপও যেমন শুকিয়ে গেছে, তেমনি এখানের কুণ্তও আর জলসিক্ত হয় না। তাই আজ এখানের মন্দিঝটির সঙ্গে ভূগর্ভে গোপন গুআবণের যোগা- যোগের কাহিনী এক স্মৃতি মান্তর।

এখন ঝর্ণাধার মাহাত্ম্য নিয়ে যেসব মন্দ্রির দেবালয় একদা গড়ে উঠেছিল তার উদাহরণ দেওয়া হল। ধমীয় ব্যাপার জড়িত বলে এখানের জলের গুণাগুণ কেউ কিন্তু অগ্তাবধি বিচার করে দেখেননি মাটির তলায় জলের হদিশ পেতে যারা আগ্রহী, হাবা যদি এসব স্থানগুলিতে যথাযথ অস্গুসন্ধান চালিয়ে একটা বিজ্ঞানসম্মত প্রতিবেদন প্রক।শ করেন, তাংলে দেশবাসী যে একা স্তই কৃতজ্ঞ থাকবেন, 'তা বলাই বাহুল্য আর তুচ্ছ ব্যাপ।ৰ বলে যারা ন।মিকাকুঞ্চণ কণে বিষয়টিতে আমল দিতে চাইবেন না তাদের ছাড়া, অন্যান্য পঁ।চজন সাধারণ মানষ যে এই প্রশ্রবণের মাহাত্মজড়িত জেলার প্রাচীন স্থাপত্য দেখে একান্তই মুগ্ধ হবেন, একথাও জোরের সঙ্গে বলা যায়।

৬5 43৩১৯ 44৬৬২) ৯)

৯০ পার পর

একদ। মান্ষ তাঁর জখবনধারণের গয়োজনে, বন কেটে, পাহাড় ভেঙ্গে, নদী- নাল। ডিঙ্গিয়ে ষেসব পথের সৃষ্টি করেছিল, সেসব পথ বেয়েই এসেছে কত পান্ত- মিত্র, শ্রেঠঠী আর শক্রর দল। এসব পথ ধবেই কেউ করেছে নগরযাক্র, কেউ তীর্যযা ত্র], কেউ বাণিজ্যযাত্রা আর কেউ বা এসেছে ক্ষমতা দখলের জন্য কিন্তু সব পথই শেষ অবধি তার অস্তিত্ব ঠিক বজায় বাখতে পারেনি কিন্তু তা হলেও সেসব বিলুগ্ধ পরিবন্তিত প্রাচীন পথ মান্ঠষের স্বৃতির সংস্বারের মধ্যে আজও যে বেচে থাকে তার দৃষ্টান্ত জেলায় কিন্তু ছুলভ নয়।

মংস্কৃতি মানব সমাজ | ৩৩

জেলার প্রাচীন পথঘাটের কোন প্রসঙ্গ উঠলেই সেকালের তান লিপ্ত বন্দরের প্রসঙ্গ এসে যাঁয়। অতীতের তাশ্লিপ্ত যে একদ। সামুদ্রিক বন্দর হিসাবে গুরুত- পূর্ণ হয়ে উঠেছিল সে সম্পর্কে বিভিন্ন ধম গ্রন্থ ভ্রমণকারীর বিবরণে উল্লিখিত হয়েছে। বিষয়ে অধিকাংশ প্রত্বতত্বিকদের দৃঢ় অগমান যে, সেকালের তাত্র- লিপ্তের অবস্থান ছিল এই হাল আমলের তমলুকের আশপাশে প্রখ্যাত গ্রত্ব- তাত্বিক পরেশচন্দ্র দাশগুপ্ত বেশ জোরের সঙ্গেই লিখেছেন যে, প্রত্বতন্বীয় অপরাপর তথ্যাদির উপর নির্ভর করে স্বভীবতই নিংসন্দেহ হওয়! যাঁয় তাত্রলিগ্ত বা তাঅলিঞ্চি নগরীর শেষ চিহ্ন সমাধিস্থ আছে মেদিনীপুর জেলায় অবস্থিত তমলুকে যার পারে প্রবাহিত রূপনারায়ণের নয়ানাভিরাম শ্রোতধারা

ুতরাং অন্মান যদি যথার্থ হয়, তাহলে বুঝতে হবে বেশ প্রাচীনকাল থেকেই বাংলার বাইরের অন্যান্ত জনপদের সঙ্গে জলপথ ছাড়া স্থলপথে তমলুকের যোগাযোগ ছিল। এবিষয়ে আলে।কপাত করেছে সিংহলের সুপ্রাচীন ধঃগ্রস্থ 'মহাবংস”, যা থেকে আমরা জানতে পাবি শ্রীষ্টপুধ তিন শতকে মৌধসম্রাট অশোক স্বয়ং তাম্লিঞ্চ বন্দরে উপস্থিত থেকে মহেল্্র সংঘমিত্রাকে বোধিবৃক্ষের চার নিয়ে সিংহল যাত্রায় বিদায় সম্বর্ধনা জানিয়েহিলেন স্বতরাং ক্ষেত্রে সেকালের পাটলিপুত্রের সঙ্গে তাত্রলিঞধচ বন্দরের স্থলপথে যোগাযোগের এক সুত্র পাওয়া যাচ্ছে। উত্তর ভারতের সঙ্গে তাত্রলিঞ্চের যোগাযেগ-পথের অস্তিত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন বৌদ্ধ সাহিতো যেসব প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে তা৷ থেকে জান যায়, তাম্রলিপ্ত থেকে বাবাণষী এবং কজঙ্গলের (বাজ মহল) মধ্য দিয়ে চম্প৷ পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ ছিল। পরবর্তাঁ চতুর্থ শতকে গুণ্ঠ রাঙ্গাদের আমলে চীনা পরিব্রাজক ফা-হিয়েন তীর ভ্রমণবৃত্বান্তে হাটাপথে পাটলিপুত্র থেকে তা্লিগ্ত পৌছেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন। পরে সপ্তম শতকে আর এক চীনা ভ্রমণকারী হিউয়েন সাড় পদব্রজে সমতট (চট্টগ্রাম অঞ্চল ) থেকে তাত্রলিগ্ত এবং সেখান থেকে কর্ণনথবর্ণে (মুশ্রিদাবাদ জেল! ) গিয়েছিলেন। সমকালীন এক চীনা পর্যটক ইৎসিঙ তাত্রলিপ্ত থেকে বুদ্ধগয়া' অবধি এক রাস্তার ইঙ্গিত দিয়েছেন এইসব বিবরণ থেকে বেশ কোঝ। যাচ্ছে সেকালের তাম্রলিপ্ত থেকে বুদ্ধগয়। বা পাটলিপুতে যাবার এই .পথটি বেশ বহুল ব্যবহৃত ছিল। কিন্তু বহিক্ষের সঙ্গে তাম্রলিগ্ের যোগন্ছত্রকারী সে পথটির হদিস কোথায়?

অগ্নমাননির্ভর সন্ধান অবশ্য দিয়েছেন তৎকালীন ভারতীয় পুরাতত্ব সর্বেক্ষণের জে. ডি. বেগলার মহোদয়। তার ম্নতে, পুবাতত্বের দিক থেকে

৩৪ | মেদিনীপুর £ উল্লেখযোগ্য কোন পথের খোঁজখবর করতে হলে এলাকার প্রত্বতঘসমুদ্ধ স্থানের মধ্যেই খুঁজে পেতে হবে তাই তিনি তাম্রলিপ্ত-পাটলিপুত্রগামী পথের নির্দেশ দিতে গিয়ে তামলিপ্ত থেকে সোঙ্জা চলে গিয়েছেন প্রাচীন এতিহৃবাহী বিষুপুর, তারপর বহুলাড়া, একতেশ্বর, ছা তনা, রঘুনাথপুর তেলকুপি প্রভৃতি স্থানে আফশোসের কথ! তামলিপ্ত থেকে বিষুণপুরের মধ্যবর্তী বর্তমান মেদিনীপুর জেলার কোন স্থানের কথা তিনি উল্লেখ করেননি যদি করতেন, তাহলে জেলার মধ্যস্থিত সে প্রাচীন সড়কটির অস্তিত্ব সম্পর্কে আমরা অবহিত হতে পারতাম অতএব জেলার প্রাচীনকালের পথঘাট সম্পর্কে পঁথিপত্রের বিবরণ থেকে তথ্যই কেবলমাত্র পাওয়া যায়, বাস্তবে কিন্তু সেসব পথের কোন অস্তিত্ব আজ আর খুজে পাওয়া যায় না। সুতরাং এখন ন1 পাওয়া গেলে ক্ষতি নেই, ভবিষ্যতের গবেষকরা হয়ত খুঁজে বের করবেন এই আশা করা যায়। তবে চোখের দেখা পরিতাক্ত পথঘাটের নিদর্শন জেলায় যেসব ছড়িয়ে আছে, বরং সেদিকেই দৃষ্টি ফেরানো! যাক জেলায় পুরাতন যেসব বৃহৎ সড়কের অস্তিত স্থানে স্থানে দেখা যায়, তেমন একটি পথ হল 'নন্দকাপাসিয়ার জাঙ্গাল।” বুঝতে অসুবিধে নেই যে এই 'জাঙ্গাল” কথাটি সে সময়ে উচ্চ পথ হিসেবেই ব্যবহৃত হত। জেলার মধ্যভাগে উত্তর-দক্ষিণে বিস্ত এই সড়কটি সম্পর্কে অ'জ থেকে প্রায় একশো বছর আগে মেদিনীপুরের ইতিহাস” প্রণেতা ভ্লক্নাথ পাল আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখেছিলেন যে, “মেদিনীপুর নিবাসী নন্দ নামক কার্পাস ব্যবসায়ী এক ব্যক্তি গয়! হইতে শ্রীক্ষেত্র পর্যপ্ত গমনের এক উচ্চ প্রশস্ত পথ প্রস্তুত করেন। এই পথ নন্দুকাপাসিয়ার বাধ নামে বিখ্যাত। পূর্বতন যশস্বী লোকেরা আপনাদের নাম চিরস্মরণীয় করিবার জন্য কেহ বৃহৎ দেউল নির্মাণ করিয়াছেন, কেহ ব৷ প্রশস্ত জাঙ্গাল প্রস্তুত করিয়াছেন। নন্দু কাপাসিয়াক্ুএই কীব্তির ছারা তাহার নাম পর্যস্ত লোকের ম্মরণীয় হইয়া রহিয়াছে নন্দুকাপা- সিয়ার বাধ এক্ষণে স্থানে স্থানে ক্ষয়প্রাঞ্চ বিলুপ্ধ হইয়াছে কয়েক বৎসর হইল পথকরের টাকার ছারা এই জাঙ্কালের উপর আরও কিঞ্চিৎ মৃত্তিকা দিয়া ডেবর! থাঁনা হইতে সবঙ্গ থান। পর্ধস্ত এক প্রশস্ত পথ প্রস্তুত হইয়াছে ক্রমশঃ আরও দক্ষিণের পথ এরূপে সংস্কারগ্রাপ্ত হইতে পারে। পূর্বে একজন তুলা বাবসায়ী ব্যক্তির ক্ষমতায় গয়া হইতে শ্রীক্ষেত্র পর্যন্ত বিস্তু'ত এই পথ প্রস্তত হইয়াছিল-_ ইহা সহজ কথ! নহে!" নন্দকীপীসিয্ার জাঙ্গালের- অস্তিত্ব সম্পর্কে ভ্রৈলক্যবাবু কিছু বাড়িয়ে বলেন

সংস্কৃতি মানব সমাজ ৩৫

নি। একশো! বছর কি তারও আগে তিনি বীধের যে অবস্থা সংস্কার দেখেছিলেন বর্তমানে তার বহু অংশেই বিন, যা ভবিষ্যতে সংস্কার হবারও কোন আশা নেই কয়েক বৎসর পূর্বে পুরাকীব্তির সন্ধ।নে এজেলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গ্রাম- গ্রামান্তরে ঘুরে বেড়াবার সময় স্থানে স্থানে এমন চওড়া উচু এক বাঁধ আমাদের নজরে পড়ে ধেশ কৌতুহলী করে তোলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় এটিই হল সেই নন্দকাপািয়ার বীধ। “মেদিনীপুরের ইতিহাঁল” প্রণেতা যোৌগেশচন্দ্র বস্থু নন্দকাপাসিয়ার পবিচয় প্রসঙ্গে লিখেছেন, নন্দকাপাসিয়া৷ কোন্‌ স্থানের অধিবাসী ভিলেন, তাহা সঠিক জাঁন। যায় নাই কেহ কেহ বলেন তিনি জাতিতে তন্তবায় ছিলেন এবং তীহাঁর নিব।স চন্দ্রকোণায় ছিল ।” নন্দকাপ।সিয়া আজ কিংবান্তী হলেও উর নামে চিহ্নিত এই বীধটির অবশেষ আমরা প্রতাক্ষ করেছি ডেবর! থানার এলাকাধীন দক্ষিণপশ্চিম প্রান্তবর্তী জালিমান্দা, মামুদচক, অশ্বার্দিঘি গ্রামে, পিংলী থানার" বেলাড, ছুজিপুর এবং নারায়ণগড় থানার মণিনাথপুর প্রভৃতি গ্রামে জমির ক্ষধাবৃদ্ধির ফলে বিরাট আয়তনের উচু বীধটি ক্রমশঃ মান্ষের জবরদখলে চলে যেয়ে তার বিলুপ্থিকে ত্বরান্বিত করে তোলা হচ্ছে।

নন্দকাপাসিয়।র জাঙ্গালের অবশেষ দেখে আমরা জেলার উত্তর অংশে খোঁজ সন্ধান সরু করি। চন্দ্রকোণার ইতিহাম বচযবিতা। যশস্বী মুগ।হ্কন।থ রায় মহাশয় রাস্তাটির অস্তিত্ব সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখেছিলেন, নিন্দকাপাসিয়ার বাঁধ গড়ম্নান্দীরণ হইতে দ1ককেশ্বর নদের কুলে কুলে চিতুয়! হইয়। দক্ষিণ পশ্চিম- ভিমুখে পাঁশকুড়া অবধি গিয়াছিল।” তাছাড়া তিনি নিজেও লক্ষ করেছিলেন ঘটাল থানার তগ্পে বরদার মধোও এই বাধটির অস্তিত্ব রয়েছে তাই তিনি অন্রমান করেছিলেন, সম্ভবতঃ এঁ পথটি উত্তরে স্বলতানপুর গ্রামে ধর্মমঙ্গল কাবো উর্লিখিত জালন্দার গড়ের উপর দিয়েই প্রসারিত ছিল।

মুগন্কবাবুব সিদ্ধান্তকে ভিত্তি করে ঘাঁটাল থানার এলাকারীন বব্দা এলাকায় আমরা খোঁজ সন্ধান করে কাছাকাছি পুরাতত্বসমৃদ্ধ প্রাচীন গ্রাম পান্না থেকে বরদাঁর চৌক।ন পর্যন্ত যে পুরাতন এক পথের সন্ধান পাই তার নাম "ম্বারির জাঙ্গাল' হলেও কেউ কেউ সেটিকে নন্দকা পাসিয়ার রাস্তা বলেও মত পৌঁষণ করে থাকেন। হতে পারে রাস্তাটি বরদা থেকে খড়ার হয়ে সুলতানপুরের উপর দিয়ে গড়- মান্দীরণ পর্যস্ত বিস্ত' ছিল।

অতীতের স্বৃন্তিবাহগী পথটি সম্পর্কে আর একটি লিখিত বিবরণের সন্ধান পাঁওয়! গেছে দীঁতন থানার এল।কাধীন সাউরি-দামোদবপুর গ্রামের চৌধুবী

৩৬ মেদিনীপুর £ দল মহাপাজ পরিবারে রক্ষিত তাদের পরিবারিক ইতিহাসের পাও্লিপি থেকে জান! যায় ষে, চৈতন্য মহাপ্রভু ছত্রভৌগ থেকে হাট্রাপ্রথে প্রসিদ্ধ বাজপথ নন্দ- কাপাসিয়ার কাধ ধরে সাউরি গ্রামের মধ্য দিয়ে দাঁতনে উপস্থিত হয়েছিলেন এক্ষেত্রে পারিবারিক বিবরণটি অবশ্য কতট। যুক্তিগ্রাহা হবে সে সম্পর্কে সন্দেহ থাকলেও, নন্দকাপাসিয়ার এই জাঙ্গালটি যে ফটাতন পর্যন্ত বিস্তু'ত ছিল বক্তবা মোটেই অমূলক নয়। কারণ দণতন থানার মধ্যবর্তী নন্দকাপাসিয়া নামে যে জনবসতিহীন মৌজাটি দেখা যায়, সেটি অতীতে একটি বিরাটাকার বাধরাস্তা ছিল, যা পরে মৌজার ন[মকরণে ভূষিত হয়

নন্দকাপাসিয়ার সেই পুরাতন পথটিব অস্তিত্ব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কোন গবেষণা আজও হয়নি। এইভাবেই যে কত এঁতিহাসিক সম্পদ চিরতবে হারিয়ে যাচ্ছে তারই এক দৃষ্টান্ত এই প্রাচীন পথটি সেজন্য জেলার বিভিন্ন স্থান পবিভ্রমণ করে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তারই ভিন্তিতে রাস্তাটি সম্পর্কে মোটামুটি একট] ধারণা গড়ে তুলতে পারা যায়। অশ্রমাঁন যে, গড়মান্দাবণ থেকে পথটি স্লতনপুর, খড়্ার, ববদ। পান্না হয়ে শিলাবতী পেরিয়ে দাসপুর থানার ঝুমঝুমি ; তারপর সেখান থেকে কাসাই পেরিয়ে ডেববা, পিক্গল! সবং থানার পাথরঘাটা ; সেখান থেকে নৈপুর, হাঁজিপুর, সাউরি, একারুকি সাবড় গ্রামের মধ্য দিয়ে নন্দকাপাঁসিয়৷ হয়ে দাতন পর্যন্তই ছিল পথটির প্রসার সম্ভবতঃ 'তমলুক থেকেও কোন পথ এটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল, একান্তই অন্ুসন্ধীনযোগ্য।

নন্দকাপাসিয়ার জাঙ্গাল ছাড়া জেলায় নারায়ণগড় থানায় আরও একটি পরিত্যক্ত উচু জাঙ্াল লক্ষ করা যায়, যার অস্তিত্ব আজও অনেকাংশে সগর্বে বিগ্কমান। সেটি ছিল সম্ভবতঃ ওড়িশার মমুর্ভঞ্চের সঙ্গে সংযোগকারী কোন পথ, যা কেশিয়।ড়ী হয়ে পুবদিকে বিস্ত নারায়ণগড়ের উকুনমারীর উপর দিয়ে লবং থানায় নন্দকাপাসিয়।র জাঙ্গালের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই বাঁধের আশপাশে অনেক পুরাকীত্তির ধ্বংসাবশেষ থেকে সিদ্ধান্ত কর! যায় যে, এটিও একদা প্রসারিত ছিন সমুদ্ধ সব জনপদের মধা দিয়ে

মোগল আমলের বাদশাহী সড়ক৪ জেলার মধ্য দিয়ে প্রসারিত হয়েছে। বলতে গেলে সামান্য পরিবর্তন ছাড়া সড়কটি তার পূর্ববন্থা মোটা- মুটি বজায় রাখতে পেরেছে সে পথটি বর্ধমান থেকে হুগলী জেলার গোঁঘাট থানার উপর দিয়ে গড়মান্দারণ হয়ে এই জেলার চন্দ্রকোণ! থানার পাইকমাজিটা গ্রামে প্রবেশ করেছে তারপর লক্ষ কর! যায় বামজীবনপুর হয়ে ঝাকর! পর্যস্থ

সংস্কৃতি মানব সমাজ ৩৭

সাবেক দে সড়কটি বহু স্থানে পরিত্যক্ত হয়েছে ঝাকরার প্রাক পাঁচ কি.মি, দক্ষিণপশ্চিমে এই পথে দনাই নর্দীর উপর পাথরের যে সেতুটি ছিল তা আজ বিনষ্ট হলেও এখনও সাধারণ লোকের কাছে তা৷ পিঙলাদের নীঁকো৷ নামে আখ্যাত হয়ে আছে। এখান থেকে পথটি কেশপুর থানার তলকুঁয়াই বা! নেড়া- দেউলের কাছ থেকে দক্ষিণপশ্চিমে কেশপুরের উপর দিয়ে মেদিনীপুর শহবে প্রবেশ করেছে যৌল শতকে গ্রীমঙ্গলের কবি মুকুন্দ্বাম ডিহিদাবর মান্দ সরিফের অত্যাচারে দেশত্যাগ করে দামুন্তা থেকে এই পথ দিয়ে নেড়াদেউল হয়ে ব্রাঙ্মণভূম পরগণার আড়ঢার গড়ে পৌছেছিলেন।

জেলার আর একটি পুরাতন রাস্তা হল বাণীগঞ্জ রোড , যা! উত্তরে বাকুড়ার বিষুরপুবের উপর দিয়ে গড়বেতা শালবনী হয়ে মেদিনীপুর শহরে পৌঁছেছে রাস্তায় একদ। পুরীর তীর্যযাত্রীরা গমনীগমন করতেন বলে সরকারী নথিতে এর নাম হয়েছে “পিলগ্রিম রোড? বা তীর্ঘযাত্রীর নড়ক। প্রসিদ্ধ শুপন্তাসিক রমেশচন্্র দত্ত তীর “মাধবীকঙ্কণ” উপন্যাসটিতে এই সড়কটির এক মনোজ চিত্র তুলে ধরেছেন। সম্ভবত: এই পথ দিয়েই নারায়ণগড়ের ব্রহ্ধাণী দেবীর “যমদুয়ার” ব। “ত্রক্ষাণী দরজ।” পাঁর হবার সময় জগন্ন'থষা ত্রীকে প্রণামীর টাক দিয়ে ব্রক্ষাণী- দেবীর ছাপ বা ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হত। পরবর্তীকালে উড়্িস্বা ট্রাঙ্ক রোড. নিিত হলে রাস্তাটির বহুলাংশ পরিত্যক্ত হয়। কিন্তু ব্রক্মাণী দেবীর মন্দিরের সন্গিকটে দে যমদুয়ারের স্ম্বতিচিহ্ন হিসাবে দুপাশে ঝামাঁপাথরের দেওয়ালযুক্ত এক প্রবেশপথ আজও দেখা! যায়।

মেদিনীপুর থেকে পশ্চিমে নাগপুর পর্যন্ত প্রসারিত আর একটি প্রাচীন সড়কের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। এই প্রাচীন বাস্তাটি সম্পর্কে “মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রণেতা যৌগেশচন্দ্র বস্থু লিখেছেন, “'-"এই জেলার পশ্চিমাঞ্চলে জঙ্গলমহালের মধা দিয়া ভারতের মধ্যপ্রদেশে যাইবার একটি প্রাচীন পথ বহুদিন হুইতে প্রতিষ্ঠিত আছে। মহারাষ্ঠীয় বাহিনী এই পথেই এতদ্দেশে গমনাগমন করিত '"সউত্তরকালে সেই রাস্তাটির আবশ্টরকমত পরিবর্তন পরিরর্ধন করিয়া উহাকে “বৌধাই বাস্তা” নামে অভিহিত ঝরা হইয়াছে। উহ মেদিনীপুর শৃহর হইতে আবন্ত হুইয়! পশ্চিমে ঝাড়গ্রাম মহকুমার মধা দিয়! ধারাশোল গ্রাম পর্যস্ত বিস্তু ত) ততপরে সিংভূম জেলা 1” অন্যদিকে ১৮২২ খ্রীষ্টাব্ধের ৪ঠ1 মে তারিখে প্রকাশিত সংবাদপত্রের এক বিবরণে উল্লিখিত হয়েছে, “নৃতন বাস্থা _মেদিনীপুর হইতে নাগপুর তথ হইতে কানপুর পর্যন্ত এক রাস্থা হঈতেছে। .. এই সকল রাস্থা

৩৮ মেদিনীপুর: হইলে লেকেরদিগের অনেক উপকার হইবে ।” প্রকাশিত সংবাদটি থেকে মনে হয় যেন উনিশ শতকে বিদেশী শাসকরা এই প্রথম নাগপুব পর্যস্ত রাস্ত। নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছেন। আসলে ব্রিটিশ শ(সনকর্তীর সে সময়ে তাদের শাসনের জাল বিস্তারে সহায়ক বিবেচনা করে এই পথটির সংস্কারসাধনে কেবলমাত্র উদ্চে।গী হয়েছিলেন, নতুনভাবে এই পথটি নির্মাণ করেননি

ইংরেজ রাজত্বে পোস্তার রাজ। খময় রায় বাহাদুরের সাহায্যে নির্মিত জেলার আর একটি পথ হল “ওড়িস্ঠা ্রাঙ্ক রোড» যা কটক রোড. নামেও পরিচিত। এটি ১৮১২ স্রীষ্টাব্ব থেকে শুরু হয়ে ১৮২ন খ্রীষ্টাব্দে শেষ হয়। এছাড়া ১৮৩১ স্রীষ্টা্ধে ব্রিটিশ শাসকরা আরও একটি সড়ক যে নির্মান করছেন তা! ২৬শে ফ্রেক্রয়ারী, ১৮৩১ তারিখের “সমাচার দর্পন” পত্রিকায় প্রকাশিত এক সংবাদে জান। যায়। মে সংবাদটিতে বলা হয়েছে, “মেদিনীপুর ।_-এই মহারাজোবর নান! প্রদেশ দিয়া নূতন রাস্তা প্রস্ততকরণে সংপ্রতি শ্রীযুত গবর্নর্‌ জেনরল অধিক মনোযোগ করিতেছেন। এক্ষণে মেদিনীপুরের জেলার মধো এক নূতন রাস্ত। প্রস্থত হইতেছে তাহা। সম্মল রাজার অপ্লিকারের মধা দিয়! যাইবেক। কিন্ত তিনি আপনার নূতন রাস্তা যাঁওুনে যথাসাধা প্রৃতিবন্ধকতাচরণ করিতেছেন প্রযুক্ত তাহাকে বুঝাইবার নিমিত্তে পাঁচদল পদাতিক সৈন্য তাহার নিকটে প্রেরণ করা গিয়াছে ।” সড়কটি যে আমলে কোন্‌ সড়ক সম্মল রাজ। কে, তা জানা যায় না

পরবর্তী ১৮৬৪ খ্রীষ্টাবে মেসার্স ওয়াটসন কোম্পানীর মানেজার মিঃ টার্নবুল ঘাটাল থেকে চন্দ্রকোণ। হয়ে রামগড় পর্যস্ত রাস্তাটি যে নির্সাণ করে দেন তা নথিপত্র থেকে জানা যাচ্ছে

এইভাবে জেলায় পথের সন্ধানে এসে দেখ! গেল, কন্ত গ্রাচীনপথ নানা- কারণে ধ্বংস হয়েছে, কতবা নতুন পথ সেগুলিকে গ্রাস করে স্ফীত হয়েছে__যার ইতিহাস কালে কালে হারিয়ে গেছে

৮45 4৩১১২ এহ)স্৬২৫

১১ জগল্লাপ্র ল্লাস্তান্ত পণ্রিন্ুৎ মহারাজ! সুখময় অবশেষে শ্রীক্গেত্র দর্শনে'অভিলাষী হলেন ; তাই সাজ লাজ রব পড়ে গেল শাক্ধীয় বচনে আছে তীর্ধদর্শনের আগে দানধান ন! করদল যথাযঘ

সংস্কৃতি মানব সমাজ ৩৯

পৃণ্যার্জন ঘটে না। তাই সে মময়ে পঁচিশ হাজার টাকা শুধু এই. তীর্ঘযান্রা উপলক্ষেই দান করলেন মহারাজা সেকালে জগন্নাথ দর্শনে যেতে হলে হাঁটাপথ ছাড়া অন্ত উপায় ছিল না। বিস্তবানদেয় কথ! অবশ্য আলাদ। তারা পান্ধী ব। গরুর গাড়িতে যাতায়ত করতে পারতেন। কিন্তু সাধারণ মাজুষের পদসম্বল ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না, যার ফলে তাদের কপালে জুটতো দৈহিক পরিশ্রমের অবণনীয় দুঃখ, যন্থণা লাঞ্থনা।

কিন্তু হুবণথণিক পরিবারের মহারাজ! সুখময় বায় বাহাদুরের কথা৷ আলাদা তিনি কলকাতার পোস্ত! রাজবাড়ির বিখাত ধনী। অপুত্রক মাতামহ লক্ষ্মীকান্ত ধর ওরফে নকু ধরের একমাত্র দৌহিত্র হিসাবে বিপুল ধনসম্পত্তির তিনি উত্তরা- ধিকারী হয়েছেন। অতীতে পলাশীর যুদ্ধে ক্লাইতকে প্রভূত অর্থসাহাষ্য ছাড়াও মারাঠা যুদ্ধের খরচখরচা বহনের জন্তা ওয়ারেন হেট্টিংসকে ন" লক্ষ টাক! দিয়ে সাহায্য দান করে ধনকুবের মাতামহ লক্ষীকাস্ত যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তারই পদ্দান্ক অন্গসরণ করে তিনি চলেছেন। স্ততরাং বদান্ততা রাজভভ্তির জন্য ১৭৫৭ গ্রীষ্টাবে দিলীর তর্দানীস্তন সআাট খররম বক্ত মুয়াজ্জম-শ-বাহাছুর তাঁকে 'মহারাজা” উপাধিতে ভূষিত করেছেন এবং ইংরেজ প্রীতির জন্য ইষ্ট ইপ্তিয়া কোম্পানিও একই খেতাব বহাল রেখেছেন এহেন মহারাজ৷ বাহাদুর তাই তীর্থযাত্রায় ইংরেজ সরকারের .সাহায্যপ্রার্থী হলেন। কারণ পথে চোর-ডাকাঁতের উপদ্রব যে ছিল না এমন নয়। সে সময়ে দাতনের কাছাকাছি বেশ কিছু এলাক। ছিল চোর-ডাকাতদের স্বর্গরাজা পথিকের সর্বস্ব অপহরণ করে তারা৷ পালিয়ে যেত পাশাপাশি মযুরভঞ্ বা নীলগিরি রাজাদের এলাকায়। এছাড়া যেখানে সেখানে জোরজুনুম করে তীর্বকর আদায় করার নামে তীর্ঘযাত্রী- দের যথেষ্ট হায়রাণও করা হ'ত। তাই এসব অস্থবিধের কথ। বিবেচনা করে সরকারের কাছে তিনি আবেদন জানালেন যেন তার লোকজন লাজসরগ্জাম নিয়ে জগন্নাথ দর্শনে যেতে কোন বাঁধা না হয়।

সে সময়ে বড়লাট ওয়েলেসলি ২০শে ফেব্রুয়ারী, ১৮০৫ তারিখে মহারাজাকে এক ছাড়পত্র মঞ্জুর করলেন। তাতে কর্মনিরত কালেক্টার, প্রহরী, চৌকিদার রাস্তার রক্ষকদের জানিয়ে দেওয়| হল যে, মহারাজার যাত্রাপথে যেন কোন শুক বা তীর্কর আদীয় বা কৌনভাবে বাঁধ প্রদান না করা হয়। রাজ! এই তীর্ঘমাত্রায় যেসব দ্রব্য, লোকজন পরিবহনের জন্তজানোয়ার নিয়ে ঘাবেন তার এক তাপিকাও ছাড়পত্রে উল্লেখ করে দেওয়া হশ। সে তালিকাটি

৪৩ মেদিনীপুর 5

হল £ -বূপোর বাসন প্রস্থ, কাপড়চোপড় পিতল কাসার বাসন ৪* বাঝস, খড়খড়িযুক্ত বালর দেওয়া পান্ধী ১৫টি, উট ১টি, ঘোড়া ( সংখ্যাটি অস্পষ্টতার জন্য জানা যায়নি ), অলঙ্কার অন্যান্য ভ্রব্যাি বাক্স, খাট খানা, মশল। ইত্যাদির বাঝ্স ৪টি, জমাদারসহ বরকন্দাজ ১৫ জন, বর্শাধারী জন, ভৃত্য জন, মশালচী জন, মুন্দী জন, কেরাণী জন, ক্ষৌরকার জণ, হরকর! জন, ঝাড়ুর্দার জন, মিপ|হী জন এবং জমাদার (সংখ্য।টি অস্পষ্ট) প্রভৃতি লেকালে বাজা-মহারাজার পথ-পর্যটনে জকজমকের নিরাপত্তা বিধানের এক নিখু চিত্র

মেদিনীপুর হয়ে পুরীর জগন্নাথতীর্থে যাবার ব্রান্তা সম্পর্কে আগের নিবন্ধ “পথের সন্ধানে" কিছু ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে তবে সে রান্তাটির অবস্থা এমনই শেচনীয় ছিল যে, সে পথের চেহারা দেখে পথিকদের একান্তই নিকুৎসাহ হতে হত এবং ছোটখাটো! খালনালা পারাপারের কোন উপযুক্ত সেতুও ছিল ন। তাছাড়। বিদেশী শ(সকদের প্রধান দপ্তর কলকাতার সঙ্গে সরাসরি সোজাপথে সে বাস্তার কোন যোগস্ুত্রও ছিল না। মেলময় কলক।তা৷ থেক হাওড়ার উপর দিয়ে গড়মান্দারণ হয়ে খুব পথে মেদিনীপুর পৌছতে হত এবং সেখান থেকে একটি বাস্তা দাতন হয়ে পুরী পর্যন্ত ছিল বিস্তত। মহারাজ! সুখময় সম্ভবতঃ এই পথ দিয়ে মেদিনীপুর হয়ে দাতনের উপর দিয়ে শ্রীক্ষিত্রে পৌছেছিলেন। তীর্থ শেষে ২*শে মার্চ, ১৮০৫ তাবিখে তিনি কলকাতা! অভিমুখে যাত্রা সর করেছেন বলে নথিপত্রে জানা যাচ্ছে। প্রত্য।গমনের পর হুর্গম পথ পরিক্রমার অন্থবিধেগুলি তিনি যথাসময়ে হয়ত ইংরেজ সরকাববাহাদুরে নিব্দেনও করেছিলেন জগন্নাথ দর্শনের সে পথে যাত্রীনিবান নেই, নদীনালা পার হবার কোন সেতুও নেই, পথের মাঝে তেষ্টার জল পাবার কোন উপায়ই নেই, তদুপরি মড়ায উপর খাঁড়ার ঘ! তীর্থকরের বোঝা পঞ্ব্রজে যাত্রীদের অবণনীয় কষ্ট-দুর্দশা তাই বোধ হয় মহারাজাকে ব্যধিত করে তুলেছিল

বিলেতী শাঁসকরাঁও এই ন্থুধোগের অপেক্ষায় ছিলেন কারণ উনিশ শতকের গ্রথম দিকে ওডিশার বিভিন্ন করদ রাজারা ইংর়েজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠ ছিলেন। ভাল সড়ক যোগাযোগ না থাকায় সেসব বিজ্রোহ দমনে ফৌজ পাঠাতে বেশ অন্ুবিধে হচ্ছিল তাই ওড়িশার সঙ্গে কলকাতীর যোগাষোঁগের জন্য একটি: সুগম পথ নির্যাণের কথা ব্রিটিশ সরকার চিন্তাও করেছিলেন, কিন্ত সে রাস্তা নির্মাণে প্রয়োজনীয় অর্থ রাঁজকোষে ছিল ন! বলেই সে চিন্তা

সংস্কৃতি মানব সমাজ ৪১

আপাততঃ ধামাচাপা পড়ে যায়। মহারাজা তীথ যাত্রার অভিজ্ঞতায় নতুন করে কোলকাতা থেকে সোজাপথে মেদিনীপুর হয়ে পুরীর সঙ্গে যোগাযোগের একটি ভাল সড়ক নির্মাণের কথা উঠলো কুযোগ বুঝে শাসকরা পরামর্শ দিল, ্রীক্ষেত্রগামী যাত্রীদের ক্লেশমোচনে মহারাজ। যদি একটি নতুন সড়ক নির্মাণের ব্যয়ভার বহন করেন, তাহলে তা! পুণ্যাত্মাব কাজ হিসাবে অক্ষয়-অমর হয়ে থাকতে পারে। ধর্মপ্রীণ মহারাজ! তীর্ঘযাত্রীদের হাটীপথে "এবিধ অস্ুবিধের কথা৷ ভেবে ইংরেজদের প্রস্তাবে রাজী হলেন এবং পথ নির্মাণ বাবত দেড় লক্ষ টাঁক। দান করতেও প্রতিশ্রুত হলেন তবে শর্ত রইল যে, তার এই বদান্যতার পরিচয় লিপিবদ্ধ থাকবে সেতুর গাঁয়ে পাথরের ফলকে বাংলা, সংস্কৃত ফার্সী ভাষায়। এছাঁড়। পথের দুপাশে গাছ রোপণ এবং যাত্রীদের জন্য বিশেষ করে বেগোনিয়া অন্য আর এক স্থানে ছুটি জলাশয় অবশ্তই খনন করে দিতে হবে। সম্ভবতঃ মহারাজ! শ্রীক্ষেত্রের পথে পবিভ্রমণকালে স্বচক্ষে বেগোনিয়ায় যে জলকষ্ট দেখে ছিলেন তা মোচনের জন্য এই প্রস্তাব বেখেছিলেন। ত্দানীস্তন গভনর- জেনারেল লর্ড মিন্টো ২০শে সেপ্টেম্বর, ১৮১০ তাঁরিখে সুখময়ের প্রস্তাবিত সব শর্ত মেনে নিয়ে সন্তোষপ্রকাশ করে পত্র দিলেন। পরবর্তাঁ ইংরেজ সরকারের পক্ষে তদানীন্তন সচিব ডাউডেসওয়েল ওরা ডিসেম্বর, ১৮১০ তাঁরিখে একপত্রে মহারাজার উপস্থাপিত সব শর্ত অশ্নযায়ী প্রস্তাবিত সড়কের কাজ শুর করা হবে বলে অবগত করায়, মহারাজ! প্রতিভ্রতিমত সমুদয় অর্থ জমা দিলেন। কিন্তু তার কীন্তি অবশেষে দেখে যেতে পারলেন না; ৪ই জানুয়ারী, ১৮১১ তারিখে তিনি দেহরক্ষা। করলেন

যতই হোক তীর্ঘযাত্রীদের যাতায়াতের প্রয়োজনে যে রাস্ত৷ নির্মাণ নয়, তা বেশ বোঝা গেল বিলেতে কোর্ট অফ ভাইবেক্টরকে ১২ই ফেব্রুয়ারী, ১৮১১ তারিখে লেখা এক চিঠি থেকে তদানীস্তন ইংরেজ সরকার চিঠিতে তীথণযাত্রীদের গমনাগমনের পথ নির্মাণের কথা! লিখতে গিয়ে স্পইই জানালো, 1618 1509৮559৬67 86111 00915 16009181606 10) 2 001110819 09101 91 1৩৮৮ | ধুরদ্ধর ইংরেজ শাসকদের অভিপ্রেত কার্ধ অবশেষে এইভাবেই হাঁিল হল।

পরিকল্পনামত নতুনভাবে সড়কটি নির্মাণের কাজ শ্তরু হল ১৮১২ খ্রীষ্টাবে। সরকার থেকে রাস্তা নির্মাণে তাদারকির ভার দেওয়। হয়েছিল জনৈক ব্রিটিশ ইন্জিনিয়ার ক্যাপট্রেন শ্বাকভিলিকে। তিমি এমনই করিতকর্ম! ছিলেন যে,

৪২ মেদিনীপুর £

রাস্তার কাছাকাছি যত পাথরের ভাঙ্গ। মন্দির ছিল সেগুলির সবই ভেঙ্গে এনে বাস্তায় বিছিয়ে দিয়েছিলেন ১৮২১ খ্রীষ্টাব্দে স্যাকতিলি সাহেবের স্থলাভিষিক্ত হলেন কাপ্টেন বাউটন। তিনিও রা'জঘাটের কাছাকাছি এমন অনেক পুরাতন ভগ্ন দুর্গ মন্দিরের পাথর এনে যে বাস্তায় বিছিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা! করেছিলেন সে বিষয়ে ডিগ্রি গেজেটিয়।রে উল্লেখ করা৷ হয়েছে এইভাবে তের বছর ধরে মেদিনীপুর থেকে ওড়িশা! অংশের রাস্ত।র কাজ শেষ হল ১৮২৫ গ্রীষ্টাবে। এবার ১৮২৫ সালে শুরু হল মেদিনীপুর থেকে উলুবেড়িয়া পর্যস্ত রাস্তা তৈরীর কাজ, যা শেষ হল ১৮২৯ খ্রীষ্টাবকে। সেসময় রাস্তার মাঝে মধ্যে ক্যালভাট নির্মাণের ঠিকেদারী দেওয়া হল তখনকার বিখ্য/ত সেতুনিম্মাণকারী এক বিলেতী ফাম্কে। আজও ভগবানবসান গ্রামে পুর/তন সেই পরিত্যক্ত কটক কোডের এক ক্যালভাটের গায়ে যে পাথরের ফলকটি দেখ। যায় তার বয়ান হল £ ০. 21140191026, 5. 3. 1./0, & 24,/ 1824১ | মেদিনীপুর প্যস্ত নতুন করে রান্তাটি নিমণণ হবার পর উলুবেড়ে থেকে কোলা ঘাটের দুরত্ব দাড়ালো ১৬ মাইল, কোলাঘাট থেকে পঁ।শকুড়োঘাট ১০ মাইল, সেখান থেকে ডেবরা ১০ মাইল, ডেবরা থেকে মনিবগড় মাইল, মনিবগড় থেকে রামনগর মাইল এবং সেখান থেকে মেদিনীপুর মাইল, একুনে উলুবেড়ে থেকে মেদিনীপুর মোট ৩৬ মাইল। এইভাবে মোট সতের বছর ধরে এই বাস্তা নিমণাণের কাজ ১৮২৯ ্রীষ্টান্দে শেষ হ"ল এবং সরকারীভাবে এর পবিচয় হল উড়িস্তা ট্রাক রোড, যা সাধারণ লোকের কাছে কটক রোড নামেই সমধিক পরিচিত হল।

দাতার সঙ্গে শর্ত ছিল, সেতুর গায়ে মহারাজার দানশীলতার কথা পাথরের ফলকে খোদাই থাকবে হাওড়া বা মেদিনীপুর জেলায় নদীর উপর কোন সেতু নিশ্জসিত না হওয়ার কারণে আমর! কোন উৎসর্গ-ফলক দেখতে পাইনি, তবে ১৯৫৮ সালে এই পথে একবার আমাদের পদব্রজে পুরী যাবার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেসময় ওঁড়িশার বালেশ্বর জেলায় তেঁতুলিয়া ফুলাবে এমন ভগ্ন ছুটি সেতুর গায়ে ফার্সী, বাংলা সংস্কৃতি লেখ! লিপিফলক দেখা গেছে এবং দুই ফলকে খোদাই বিবরণও এক। তিন ফুট দৈর্ঘ্য ছুঃ ফুট প্রস্থ পরিমিত কালে! পাথরের ফলকে উৎকীর্ণ বাংল! লিপিভাস্টির মধ্যে এই পথনিরমণের ইতিহাস বেশ ভালভাবেই অন্ুধাবন কর! যায়। সেটির পাঠ £ “কলিকাতা নিবাসী বৈকুগ্বাসি মহারাজ স্খময় রায় বাহাদুর এই রাস্তা এবং তন্মধ্যে সমস্ত সীকো নির্দধাণ করেন পূর্বে দেড়লক্ষ টাক! প্রদানপূর্বক তৎকন্মে আপন সাহায্য

সংস্কৃতি মানব মমাজ ৪৩

প্রকাশ করিয়াছিলেন তৎপ্রযুক্ত শ্রীল শ্রীযূত নবাব গবর্ণর জেনারেল বাহাছুর সুজুব কৌনসলের আজ্ঞাপ্রমাণ মহারাজার দানশীলতার এবং কীপ্তির প্রকা শার্থে দুতাঁনি দর্শনন্বরূপ এই প্রস্তবে তদ্বিবরণের কল্প বিল্লাম হইল_-ইতি। তাবিখ মহামারশ্চ সন ১৮২৬ সাল। খোদাইকারী মিশ্বী শ্রীদাীমোদর চৌধুরী কর্ত্বকাঁর, সাং কটক।”

বাস্তা তৈরীর পর দাঁতা-মহারাজার শর্ত অনুযায়ী পথিকদের বিশ্রীমের জন্য বাস্তার দুধারে বহু গাছপাল। রোপণ করা হল। যেসব জমিদারদের এলাক' দিয়ে এই রাস্তা বিস্তু'ত হয়েছিল, তাদের আদেশ দিয়ে বলা হল পথের ধারে উপযুক্ত বৃক্ষ রোপণের জন্যে। সেসময় কটকরোডের ভৃপাদশে যে বেশ কিছু গাছপাল। লাগানো হয়েছিল, তার স্বৃতিচিহ্ন কয়েক বৎসর পর্বেও অবশিষ্ট ছিল। ১৯৫৮ সালেও লক্ষ করা গেছে, মেচগ্রাম থেফে পঁঁশকূডা পর্যস্ত সারিবন্দি কয়েতবেল গাছের সাবি, তারপর পাঁশকুড়াঘাট থেকে আধাড়িয়া বাধ পর্যস্ত দক্ষিণ পাশে ক্ষীরিশ এবং উত্তর পাশে আম সেগুন গাছের সারি দুঃখের কথা, বাস্তাটিকে জাতীয় সড়কে রূপীন্তবের সময় সে সব গাছপালার অধি- কাংশই বিনষ্ট করে দেওয়া হয়।

রাস্তা নিমর্ণণের সঙ্গে সঙ্গে পথিমথো বেশ কয়েকটি যাত্রী নিবাসও নিমাণ করে দেওয়। হয়েছিল। সম্পর্কে পুরাতন কাগজপত্রের দৃষ্টান্তে জান! যায়, এই ধরনের যাত্রীশাল! নিম্িত হয়েছিল, হাওড়ার চগ্দীপুরে, মেদিনীপুরের কোলাঘাট, ডেববা, শ্রীরামপুর দীতনে স্থানীয়ভাবে জান! গেছে তন সে সময় ছিল পদযাত্্রীদের এক বড়ো! আশ্রয়স্থল এখানে জগন্নাথ রাস্তার ধারে প্রতিষ্ঠত জগন্নাথ মন্দিরের নাটমণ্পটি নিমাণ করে দিয়েছিলেন কলকাতার মে সময়ের ধনী ন্ত্বর্ণবণিক পরিবারের নীলমনি মল্লিক তিন থেকে পাঁচ একর জায়গা! জুড়ে প্রায় পঁঁচশো যাত্রী থাকার উপযুক্ত করে এই সব যাত্রীনিবাম পাক।পোক্তভাবেই নিমণাণ করা হয়েছিল। এই সব যাত্রী- নিবামে একটি প্রশস্ত উঠানের সঙ্গে লাগোয়া বড় একটি হলঘর ছাড়া আরও থাকতো৷ কতকগুলি ছোট ছোট ঘর, যাঁতে একই পরিবারের লোকজনের থাকতে কোন অস্থবিধা না হয়। তাঁছাড়! জলের প্রয়োজন মেটাতে এর সঙ্গে পুকুর অথব। হইর্টারাও খনন করে দেওয়া- হয়েছিল। দুঃখের কথা, পরবর্তীকালে হাওড় বা মেদিনীপুর জেলায় পথচারীদের জন্য নিমিত এসব যাত্রীশালার কোন নিদর্শন আব খুঁজে পাওয়। যাঁয়নি।

টু

৪৪ মেদিনীপুর;

সেকালের উড়িস্তাস্ান্ক রোডের উলুবেড়ে থেকে মেদিনীপুর পর্যন্ত রাস্তাটির বেশ কিছুটা! অংশের পরিবর্তন ঘটিয়ে নং জাতীয় সড়ক নির্মাণ করা হলেও, স্থানে স্থানে এখনও সে পুরাতন পথটির অবশেষ লক্ষ কর! যাঁয়। মেদিনীপুর জেলার খজ্জাপুর থানার এলাকাধীন বসন্তপুর থেকে ওকড়া হয়ে সাবেকী সেই তীর্থপথটি চলে গেছে চৌবীবেড়ে, মাঁলজুড়ী, মনিবগড়, বেড়জনার্দনপুর চঞ্চল- পুরের উপর দিয়ে চঞ্চলপুরের কাছে কাসাই পেরিয়ে হাতিহোলকা, রামনগব, পাইকারাপুর, গোবিন্দপুর, জোয়।রহাটি, হবিশপুব কেশবপুর হয়ে পথটি এসে মিশেছে বাণীগঞ্জ-মেদিনীপুর “পিলগ্রিম সড়কে, তারপর পুনরায় কীসাই পেরিয়ে দক্ষিণে প্রসারিত হয়েছে

মোটামুটি এই হল শ্রীক্ষেত্রগামী তীর্ঘযাত্রীদদের গমনপথের ইতিবৃত্ত। জলপথ ব! রেলপথ প্রবর্তনের আগে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী গিয়েছেন ধর্মের টানে এই পথ ধরে। সাম্াজাজাল বিস্তারের জন্যে ইংরেজ রাজার ফৌজও সময়ে অসময়ে করেছে কুট মার্চ। শাসকদের হুকুমে এসব সেনানীদের খাগ্য আশ্রয় জোগানের দায়িত্ব হিল স্থানীয় জমিদারদের ওপর। এইভাবে ধর্মের জিগির তুলে বিদেশী শাসকদের রাঁজাশাসনের কার্যসিদ্ধির এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ পথের ক্রি

অন্যদ্দিকে গরীব তীর্ঘযাত্রীদের সেবার জন্য ধর্মপ্রাণ বিস্তবানরাও এগিয়ে এসে পথিমধ্যে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সদাব্রতের আখড়া, যেখানে নিত্যনিয়মে পথিকদের অন্জলদানের বাবস্থা থাকতো তবে সময়ে তীর্থযাত্রীদের পাত্রজে ভ্রমণের এক নিখত চিত্র পাওয়া যায় ৮ই মে, ১৮৬৮ তারিখের “সো মপ্রকাশ+ পত্রিকায় মে সময় তীর্ঘযাত্রীশিকারী পাণ্চাদের প্রতিনিধিরা গ্রামে আসতেন, ন্যাড়া মাথায়, কান ঢাকা টুপি পরা, তালপাতা'র ছাতা মাথায় চৈত্র থেকে 'জান্ঠ মাসের মধ্যে উপযুক্ত যাঁত্রীসংগ্রহ হলেই এইসব পাণ্ার! পথে নেমে পড়তেন যাত্রীদের অধিকাংশই ছিল বিধবা মহিল| | খুব ভোরে যাত্রীনিবাস থেকে যাত্রীদের রওনা করিয়ে দেওয়া হত এবং দৈনিক মাইল পনের-যোল যে ক্ষীণজীবীদের হাটার ক্ষমতা তাদের জোর করে জলা-জঙ্গলের বাস্তায় চষ্টিশ মাইল পর্যন্ত হাটিয়ে নিয়ে যাওয়া হত। পথে জন্তজানোয়রের ভয় থাকলেও সেদিকে তোয়াক্কা না৷ করে এইভাবে হাটিয়ে আনার পর দুপুর গড়িয়ে গেলে তবে পাস্থশালায় বিশ্রামের জন্য ছেড়ে দেওয়। হত।

ফলাফল সম্পর্কে মন্তব্য নিশ্রয়োজন। কেনন। এই অমানুষিক পরিশ্রমে

সংস্কৃতি মানব সমাজ ৪৫

অনেকেই মাঝপথে দেহরক্ষা করতেন য1 হান্টার সাহেবের ভাষায়, 99128 191160 00 010611 1880 8166 09 1115 1921 01 056 66188] ০০৪৪ | কেউ বা পথিমধো প্রতিষিত এমন কোন জগন্।থ মন্দিরে প্রীক্ষেত্র ধানজ্ঞনে পূজে। দিয়ে শেক পর্যন্ত ফিরে আসতেন আর ধারা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতেন, তার! ধুলো আর রক্তে বোঝাই পটি বাধ! ক্ষতবিক্ষত প! নিয়ে পৌছোতেন জগন্নাথ-

শ্রীচরণে। সেকালের তীথ যাত্রার পথ তাঁই আজ নান কারণে, নান! স্তিতে নাঁন। ঘটনায় স্বরণীয় হয়ে আছে।

৫. তি ঠা তি নিউ

১২. শতবার এক অধহেবিত জলপপ্র

অবশেষে রাঁজ। সথখময়ের আধিক আমুকুলো ওড়িশ। ট্রাঙ্ক বোড নিখ্সিত হয়েছে, কিন্ত সে রাস্তায় গাড়িঘোড়া চলাচল নিয়ে বিগত শতকের মাঁঝাম।ঝি সময়ে জেলার কালেক্টর বাহাদুর এইচ, ভি. বেইলী সাহেব তেমন সন্তুষ্ট ছিলেন না। তার মতে, ব্যবসাবাঁণিজোোর মাল চলাচলে সহজে পথ বেয়ে গাঁড়িঘোড়া যদি না চলতেই পাঁরলো৷ তাহলে চাষীদের ফসলের দাম উঠবে কিভাবে? রাস্তা যদিও বা আছে, এত নদীন।ল। পেরিয়ে গাড়িঘোড়া চলাচল করেই বা কি করে? এক তো! জেলার উৎপন্ন ফমলের তেমন দাম পাওয়া যায় না, যদিও বা! দুরের কোন বাজারে নিয়ে গেলে ভাল দাম মেলে, কিন্তু তাতে মালপত্র নিয়ে যাবার খরচ-খরচ! এত বেশি লেগে যায় যে আসল দামই উঠতে চায় না। এদিকে তো ১৮৪৯ সালে তদানীন্তন জেলার কালেক্টরবাহাঁছুর টোরেন সাহেবও জানিয়েছিলেন, জেলার উৎপন্ন ফঘলের দাম সে সময় এমন কমতির দিকে ছিল যে, কেদার তার প]শাপাশি পরগণার প্রজার! উৎপন্ন ফসল বেচে খাজন৷ দেওয়াতেই হিমসিম খেয়ে যাচ্ছিল। সালে হিজলীতে তখন ধানের দামই ছিল টাকায় মণ ২৪ সের। সুতরাং মালপত্র একস্থান থেকে অন্তস্থানে নিয়ে যাওয়ার উপায় যদি সহজ হয়, তাহলে এই সমন্তার অনেক সমাধান হতে পারে। ১৮৫২ সাল নাগাদ সেজন্য বেইলীসাহেৰ এই সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব দিলেন বোর্ড অফ রেভেনিউ- এর কাছে উলুবেড়ে থেকে পীশকুড়ো পর্যন্ত খাল কেটে. একটি জলপথ নির্মাণ কর!

৪৩৬ মেদিনীপুর £ হোক এবং পাঁশকড়ে। থেকে তমলুক মেদিনীপুর পর্যন্ত চলাচলের ভালভাবে রাস্তা করে দিলেই জ্েল।র উৎপন্ন ফসল বড় বড় আড়তে পৌছোবার সঙ্গে ভাল দাম মিলতে পারে। বোর্ড অফ রেতেনিউ-এর যেখানে আপত্তি ছিল নদীর জলের পলি পড়ে খাঁল সহজেই মজে যাবার সম্ভ/বনা, সেখানে বেইলী সাহেবের যুক্তি ছিল, নদীর ধারে খালের মুখে ইশ গেট বসালেই তো ল্যাঠা চুকে যেতে পাবে।

বেইলী সাহেব উলুবেড়ে থেকে পাশকুড়ো। পর্যন্ত খাল খননের প্রস্তব দিয়েছেন, কিন্তু তার আগেই উনুবেড়ে থেকে কোলাথাট পর্যন্ত ওডিশ! ট্রাঙ্গ বো'ডের পাশাপাশি একটি খল .বর্তম।ণ হিল। ঝাস্ত।টি তৈরীর সময় পাশাপাশি মাটি, কাটার ফলে সেটাই সে সময় এক খালে পরিণত হয়েছিল ৪%1 জুলাই, ১৮২৯ তারিখের বংলা সমাচারপত্রে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে যে জল- পথটির প্রসঙ্গ আছে, মনে হয় সেটি ট্রাঙ্করোডেব ধাবেই হুস্ট খাল। তাতে লেখ! হয়েছিল,” ..শ্রীল শ্রীযুত কোম্পানি বাহাদুর উলুবেডে হইতে মহেশডাঙ্গ! পর্যন্ত এক খাল খনন করিয়াছেন প্রায় ব্সরাবপ্ি নৌকাদি তাহাতে গমনাগমন করিতেছে সংগ্রতি বাক্গকন্খ সম্পাদক কতক এই নিয়ম স্থাপন হইয়াছে যে সেই খাল হইয়া নৌক।দি গমনাগমন করিলে নৌকা তে ফ্রড় থ।কিবেক প্রাতোক দণ্ে দুই আনা পরিমাণে কর লইবেন এই কররনিরাহ জন্য তথায় কএকজন আমলা নিযুক্ত.হইয়াছে এবং পুধোক্ত শিয়মে করগ্রহণ করিতেছে ।”

যাই হোক, বেইলী সাহেব সম্ভবত: এই খালের উদাহরণ থেকেই জলপথ নির্ম(ণের যৌক্তিকতা সম্পর্কে চিন্তা করেছিলেন কিন্তু তিনি ১৮৫২ মালে জেল! থেকে অন্ুত্র বদলী হয়ে যাওয়ায় জলপথ পরিকল্পনার রূপায়ণ সম্পর্কে তেমন উচ্চবাচ্য হয়নি কিন্তু শতকের ষাট স।ল নাগাদ দেখা যাচ্ছে, সরকার উলুবেড়ে থেকে মেদিনীপুর পর্বন্ত একটি জলপথ নির্মাণের সেই সঙ্গে পরিচালনার ইজার! দিয়ে বসেছেন “ইস্ট ইশ্ডিয়। ইরিগেশন আও ক্যানাল কোম্পানি” ন।মে এক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে সরকারে যখোপযুক্ত র।জন্ব আদায় মোতাবেক জলপথে নৌকে। চলাচল বাবত টোল আর জলসেচের জন্য জলকর আদীয় মারফত ব্যবসা চালানোই এই কোম্পানির উদ্দেশ্ঠ। জলপথের নাম দেওয়া হল, মেদিনীপুর টাইডাল ক্যানেল, য৷ চলতি কথায় রূপাগ্তবিত হল মেদিনীপুর ক্যানেল বা খাল নামে। ১৯৬০-৬২ সালে পরিকল্পনামাফিক উলুবেড়িয়ার হুগলী-ভাগীরথীর সঙ্গে যোগ করে খাল কাটার কাজ হুক হল, যা এসে শেষ হল দামোদরের তীরে

সংস্কৃতি মানব সমাজ ৪৭

প্রসাদপুরে। তারপর আবার কুলতেপাঁড়ার কাছে দামোদর পেরিয়ে প্রসারিত হল রূপনারায়ণের তীরে কীটাপুকুরে। রূপনারায়ণ নদের ওপ।রে মেদিনীপুরের দেনশ থেকে সুক্ষ হয়ে খ।লের যোগ হল পাশকুড়ায় কাসাই নদীতে সেখান থেকে মোজা পশ্চিমে মেদিনীপুর শহরের কাছে মোহনপুরে কাসাইয়ে পড়ে শেষ হল। ১৬ষ্ মাইল বিস্ত ছোটখাটে। শাখা প্রশ।খা নিয়ে খালের অবশেষে দে্য দাড়ালো মোট ৬৪৪ মাইল। তার মধ্যে দেনাঁন থেকে পঁশকুড়োর 'ৈর্ঘ ১২ মাইল এবং পাশকুড়ো। থেকে মেদিনীপুরের দৈর্ধা দাড়ালে। ২৫ মাইল। প্রতিটি নদীর সংযোগস্থলে বদানো হল উপযুক্ত শ্রইস গেট পাঁশকুড়ো। মোহনপুরের কাছে কীসাইয়ের সংযোগস্থলে বসানো হল আড়াআড়ি বাধ দিয়ে এািকেট যার উদাহরণ আজও দেখা যায়। খাল খননের কাজে শুধু বিলেত থেকে আমদানী লোহার জিনিষপত্র বা সাজসরঞ্জামই নয়, সেখান থেকে বিষয়ের দক্ষ ইপ্জিনিয়ারদেরও আনা! হল। লোককবিদের গানে এমন ছুজন ইঞ্জিনিয়ারের নাম যে অক্ষয় হয়ে উঠেছিল তার প্রমাণ এই গানে £ 'কীসাই নদী বাধলে। ইংরেজ বাহাছুরে। পার কিমার দুজন এসে রাখল খ্যাতি সংসারে ।।:

এমন সব বড় কাজে অনেক বাধ! বিপত্তি দাড়ায়। বে সে সময় খাল কাটানোর কাজে কোন অন্ুবিধে বা বিভ্ত ঘটেছিল ফিনা তা জানা না গেলেও, এই ক্যান্তান কোম্পানির কার্ধরত এক তরুণ ইঞ্জিনিয়ার যে শেষপর্যগ্ত তার দেশে ফিরতে পারেননি, এদেশেই তার দেহ রেখেছিলেন, তেমন সাক্ষ্য রয়ে গেছে এক সমাধি ফলকে আজও হাওড়া জেলার কাটাপুকুরের ল্ ইম গেটের কাছে কোম্পানির প্রতিষ্ঠা করা এক সমাধির উপর পাথরের ফলকে উতৎকীর্ণ বয়েছে এই কটি কথ £

**| 864 94১0 ঢুও ০0 নও [06100609019 ০1 %11.11288 2৯0905$1703 ঘা 11691080168] [258817661 ৪, 11881047101 & 0৭81, ০০, ৮0০ ৫160 015 71899

৪৮ মেদিনীপুর : 60 1400, 09০০61, 1804 ৯86৫ $3 98819. ভিউ, ঘা 005 1,910 001 0০90 ০৪1008 07610168 8100 01816158988 (15000 1908116 8581581 10119, 7৩6016৫ ০9 1018 50151%1208 818061829৫0 01:9110618.1

কিন্তু পরিকল্পনা শেষ করতে কোম্পানির আর্ধিক সাধ্যে কুলোলে৷ না শেষ পর্যন্ত কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে পড়ল বাধ্য হয়ে সবকার এই জলপথ নিমিত্তি- কোম্পানির কাছ থেকে কিনেই নিলেন এবং আরও প্রায় এককোটি টাকা বিনিয়োগ করলেন এটির পূর্ণাঙ্গ রূপায়ণে।

যাই হোক্‌, জলপথ নির্মার্ণের কাজ অবশেষে শেষ হল ১৮৭১ স্রীষ্টাব্দে এবং নান। পরীক্ষার পর তা চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হল ১৮৭৩ ্রিষ্টাব্বে। অতঃপর কোম্পানি-তথা-সরকারের ব্যবসা শুরু হল নৌকো পিছু টোল আদীয়ের মাধ্যমে আপ-ডাউন টিকিট করা হল যথাক্রমে সাদা আর লাল রঙের টিকিট দিয়ে। বোঝাই নৌকে। আর খালি নৌকোর ভ|ড়া আলাদা করা হল। নৌকোর মাঝি মললীরা কিন্ত টোল দিয়েই নিশ্চিন্ত ছিলেন না, তাদের কাছ থেকে টো৷ল-কালেক্টর বাবুরা জোর করে “তহুরী” আদায় করতে কম্থর করলে! না। তাছাড়া “তন্থরী' নামের “ঘুস” আদায় ন৷ দিয়ে কোন উপায়ও ছিল না। জলপথে কোলকাতা৷ থেকে গেঁওখালি ঘুরে বহুদময় অর্থব্যয় করে এখন আর কোলাঘাট আসতে হয় না, অতি সহজেই এখানে পৌছে ঘাটাল ব৷ মেদিনীপুর যাওয়। যায়। তাছাড়। মালপত্রও সহজে আনা ব1 পাঠানোরও খুব সহজ উপায়। তাই “টোলঃ করের উপর তহুরির বিষর্ফোড়। প্রায় মকলেবই গ! সয়! হয়ে গেল। কোম্পানির নতুন খনিত এই দীর্ঘ জলপথে চলতে লাগলে! নানান নৌকো আর তার সঙ্গে বহুরকমের লটবহর লোকলক্কর; ফলে টোল আদায়ের বাবসা! জমজমাট অন্যদিকে চলাচলের সুবিধে হওয়ায়, বিশেষ করে কলকাতার সঙ্গে জলপথে যোগাযোগের জন্যে বহু বিষণ পরিবার উঠে এসে বসতি করলেন খালের ধারের কাছাকাহি বাস্কতে। জায়গায় জায়গায় খাল পারাপারের জন্তে কোম্পানি ছুদিকে দড়ি

সংস্কৃতি মানব সমাজ ্‌ ৪৯

বীধা এক ধরনের সমতল চৌকো মাপের “বোট?ও বসিয়ে দিল।

তবে মেদিনীপুর ক্যানেলটিকে চলাচলের যোগ্য বাঁখার জন্যে সরকারের চেষ্টার কর্মতি ছিল না মাঝে মাঝে নৌকো! চলাচল বন্ধ রাখতে হয়েছে পলি সরানোর জন্যে ফেোট উইলিয়।ম থেকে জারী করা ১৪ই ফেব্রুয়রী, ১৮৭৯ তারিখের এক নোটিশে বেঙ্গল ইরিগেশন বোর্ডের আযাসিস্টান্ট চীফ ইঞ্জিনিয়ার, ডি, বি. হর্ন জানাচ্ছেন, খালের পলি সরানোর জন্য ১৫ই মার্চ থেকে ৩১শে এপ্রিল পর্যন্ত এই দেড় মাস দেনান থেকে মেদিনীপুর পর্যস্ত খ।লে নৌকে। চলাচল বন্ধ থাকবে

কিন্তু এত করেও বাধ সাধলো প্রক্কৃতি হাওড়ার দিকে কাটাপুকুবের কাছে বূপনারায়ণে ত্রমশঃ চড়া পড়তে শুরু করেছে কোলকাতা বা উলুবেড়ে থেকে আগত জলযানের পক্ষে এই খাল দিয়ে রূপনারায়ণে আসা৷ ভ্রমশঃ কষ্টকর হয়ে পড়ছে কোলকাতার দিক থেকে নৌকো আসা সেই কারণে কমতে শুরু করেছে, ফলে টোল আদায়ে ঘাটতি হয়ে লোকসানের দিকে চলেছে। সরকার তবু শেষ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে জলপথটিকে সব রকমের নাব্য রাখার জন্তে ; কিন্তু অন্তদিকে ১৯০ সাল নাগাদ আবার বাদ সেধেছে বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে কোম্পানি তাদের রেলপথ বসিয়ে সহজেই যখন এবার রেলগাঁড়িতে যাওয়া যেতে পারে, তখন আর জলপথে যাওয়ার আগ্রহ কেন? ফলে রেলপথে গাড়ি চলা- চলের দরুণ জলপথ ব্যবসায়ে ধীরে ধীরে এইভাবে ইতি হয়ে গেল। শুধু পড়ে রইলো! দীর্ঘ খালটির এক কঙ্কাল, যা বর্ষায় ক্ফীত হয়, অন্থসময় প্রায় শুকিয়ে থাকে।

কিন্ত সরকার তাতেও দমে গেলেন না উনিশশো সালের প্রথম দিকে বেলগাড়ি চলতে শুরু হয়েছে, তাই জলমেচের কাঁজে লাগালেন খালটিকে। মাদপুরের কাছ থেকে অসংখ্য খাল-নাল! যোগ করে সেচের জল দেবার বন্দে বস্তু করলেন। ১৯০৩ সাল নাগাদ খঙ্জাপুর ডেবরা থানায় এইভাবে জলকর আদায়ের পাকাপোক্ত অফিসও বসেছিল! শেষ পর্যস্ত মেদিনীপুঝ ক্যানেল থেকে সেচের জল সরবরাহ হয়ে ক্যানেলের নামটি মুছে যেতে যেতেও রয়ে গেল। এরপর বহু অংশ বেহাত হয়ে গেল, যেমন দেনান থেকে মেছেদ। পর্বস্ত অংশটি চলে গেছে কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার ষ্রেশনের জলাধারের প্রয়োজনে এই হোল খালটির শতবর্ষের বিষন্ন ইতিহাস।

৫৩ মেদিনীপুর

১৩. বি. এব. ভান প্রা এপ. ই. আত

১৮৫৪ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর, পশ্চিমবঙ্গের সভ্যতার ইতিহাসে এক ন্মরণীয় দিন। কারণ এই তারিখেই ইষ্ট ইঞ্টিয়ান রেলওয়ে কোম্পানি তাদের বাপ্পীয় শকট চালু করলে। হুগলী-ভাগীরথীর ধারে একটা অখ্যাত গ্রাম হাড়িয়াড়া থেকে। কে জানতো এই হাড়িয়াড় গ্রাম একদিন ভবিষ্যতের খাতায় হাওড়, নামে বিখ্যাত হবে? হাড়িয়াড়। গ্রামে বেল কোম্পানি যদি ষ্টেশন না বসাতে তাহলে আজকের "হাওড়া" নাম বাংলার অজানা-অখ্যাত আর পাঁচটা গ্রামের সঙ্গেই একাত্ম হয়ে বেচে থাকতো৷ সেই অবহেলিতের খাতায়

ইষ্ট ইন্টিয়া রেলওয়ে কোম্পানির ব্যবসা যখন অর্ধশতাব্দী পার হয়ে গেছে, তখন দৃশ্তপটে এলেন আর এক সমগোত্রীয় রেল কোম্পানি। ইংবেজ বণিকের বাবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির এবং সেইসঙ্গে তীর্ঘযাত্রীদের স্তবিধের জন্য রেল পরিবহন ব্যবসায়ে লাভের ভবিষ্তুৎ ভাল ভেবেই বিলেতের ১৩২নং ও্ড ব্রড ইটের গ্রেশাম হাউসে জন্ম হোল বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে কোম্পানির। কোম্পানি- রেজিট্রেশন মতে এই বি, এন, আর. কোম্পানির জন্ম তারিখ ১৮৮৭ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারী প্রথম চেয়ারম্যান ম্যানেজিং ডিরেক্টর হলেন কে. সি. এস, আই এবং কে, সি. আই. ই. খেতাবধারী স্যার টিৎ আর, ওয়াইনি। ইতি- মধ্যেই প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল ছত্রিসগড় টেট রেলওয়ের দেশীয় রাজারাজড়ার মালি- কানার সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন করে পত্তন হোল এই খাস বিলেতী কোম্পানির নাগপুর থেকে বাংলার সঙ্গে একদিন দুঃসহ যন্ত্রণার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল মারাঠা বরগদের দৌলতে; আজ আবার সাহেবদের দৌলতে সেই সম্পর্ককে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেওয়৷ হল। ইষ্ট ইপ্ডিয়। রেলওয়ের লাইন পাতার কাজ যেমন শুক হয়েছিল ছাড়িয়াড়। ওরফে হাওড়া গ্রাম থেকে, বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ের কাজ তাই শুরু হোল নাগপুবের দিক থেকে

নিস্তরঙ্গ গ্রামজীবনের বুকে একদিন চাঞ্চল্য উঠলে! তিনে রেলের লাইন নাগপুর থেকে পাতা হতে হতে এসে বাংলার সীমানায় ছুঁই ছু'ই করছে।

সংস্কৃতি মানব সমাজ &১

১৮৯৬ সাল নাগাদ নোটিশ পড়লে। হাঁওড়া-মেদিনীপুরের বায়ত, চাষী আর জোত্দারদের উপরে। জমি দখলের নোটিশ ; ঘর-দৌর থাকলে তা! ছেড়ে পথে বসবার হুকুম বেঙ্গল নাগপুর রেল বিস্তারের জন্যে ইংরেজ সরকারের জমি দখলের নোটিশ কিনা? কারুর কোন আপত্তি থাকলে এলাকার কালেক্টর মাহেবের কাছারীতে হাজির হয়ে “তোমাদের বক্তবা জানাতে হবে,। খাস সাহেবের রাজত্বে তখন নোটিশ-পরোয়ানায় 'আপনি' বলার রেওয়াজ নেই-_ পর্দানত নেটিতদের কাছে তাহলে যে জাত যাবে। তাই তুমি যদি বাগনান থান এলাকার বাসিন্দা হও, তাহলে চঈদপুর সাঁকিনের কোন এক বাগানবাড়ীতে বসবে সাহেবের কাছারী--মেখনে এসে বলতে হবে তোমার দাবী দাওয়!।

এইসব নোটিশের কপি এখনও আছে জমি হারানো মানুষদের কাছে, তাদের দৃবুকারী কাগজের ছেঁড়া পু্ট লীতে।

তারপর একদিন শুরু হোল হাজার হাজার কুলি-কামিন্‌ আর লালমুখে! ওভীরশীয়ার সাহেবদের আনাগোনা যেন পঙ্গপাল পড়ার মত। কেউ কেউ বলতে লাঁগলো-_পশ্চিমের নাগপুর অঞ্চল থেকে বর্গার। এসেছিলো-_ এবাঁও কি সেই বর্গা নাকি? ইংরেজী ১৯০০ সাল নাগাদ মাটি পড়তে শুরু হোল পশ্চিম থেকে পুব বরাবর ব্রিটিশ সাহেবদের রাজত্ব বলেই ন্যায় অন্যায়ের কৌন বাদ বিচার রইলো না। বিঘে ভূই জমির মাত্র পাঁচ টাক! ক্ষতিপূরণ আদায় দেওয়ার আগেই আরস্ত হোল কোম্পানির রেলের বাধ তৈরীব কাজ। যে জমি কোম্পানি দখল নেয়নি এমন জমির উপরও রেলের মাঠি- কাট শ্রমিকর! জোর জবরদস্তি করে মাটি কাটতে শুক করলে! ক্ষতিপূরণ দেবার অজুহাতে চাষীদের সন্চ বোনা ধান নষ্ট করে দিতে কুষ্ঠিত হ'ল না। একট] অসহায় চাপা হাহাকার খুবে ফিরতে লাগলো। জমিহারা, গৃহহীরা! এবং সম্বলহীরাদের মধো। গরীব প্রজাদের কেউ কেউ আপত্তি করতে যেয়ে সাহেব ওভারশীয়ারদের কাছ থেকে চপেটাঘাত আর গলাধাক্কার পুরস্কার পেলে! মহারাণীর বাজত্বের আইন পরথ করার জন্যে প্রজার তখন অসহায় হয়ে দরবার করলে! কোট- কাছারীতে আর জজ-ম্যাজিষ্রেটেদের আদালতে আনন্দ নিকেতন কীততিশালায় ( নবাসন, বাগনান, হাওড়া ) বক্ষিত এমন ধরনের আবেদন-নিবেদনের বহু কাগজপত্র আজকের সাক্ষী হয়ে রয়েছে সেই রেললাইন পত্বনের জোর জুলুম কাছিনীর-_-সেই চৌখের জল ফেলার ইততিহালের।

৫২

মেদিনীপুর £

শুধু একটিমাত্র রেললাইন পাঁতা শেষ হোল) ব্যবসাঁয়িক প্রয়োজন বুঝে এবং স্থানীয় জমিদারবাবুদের পরামর্শমত জায়গায় জায়গায় ট্েশনও তৈরী হোল। তারপর একদিন সত্যি সত্যি রেলগাড়ীও এসে হাজির হলো সভাতা বিস্তারের বিজয়পর্বে কত লোকের মাথার ঘাম বুকের রক্ত ঝরে পড়লো তার হিসেব কে আর রেখেছে ১৯০১ সালের গোড়ার দিকে হ' ইশেল বাঁজিয়ে যেদিন প্রথম রেলগাড়ী চললো, গ্রাম-গ্রামান্তরের লোকেরা এসে জড়ো হোল সভ্যতা আমদানীর বুথ রেলগাড়ী ন।মক যস্ত্ররনবকে দেখতে এমন অত্যাশ্্য জিনিষ দেখানোর নুযৌগ হাতছাড়া করতে চাইলে! না! বেল কোম্পানির দিশী কর্মচারীরা খুব কাছে থেকে রেলগাড়ী দেখতে চাইলে ছু*পয়স। দিতে হবে, আর যদি ইঞ্জিনের গায়ে হাত দিয়ে দেখতে চাও তাহলে দিতে হবে এক আনা; আর তার উপরে চাও যদি কি রেলে চাপক্তি--তাও পাবে ছু* আনা নগদ ফেললে আজও বৃদ্ধের সেই পুরানো! পর্বের ইতিহাস সরল মনে স্মরণ করে নিঃশ্বাস ফেলেন।

তারপর পুরোপুরি রেলগাড়ী চালু হোল। সকলেই এবার চাপতে পারবে বেলগাড়ীতে পাগড়ী মাথায় ট্রিকিট-মাষ্টারবাবু গাড়ীতে বছেই টিকিট দেবে__ ঠিক আজকের বাসের ্বাক্টরের মতো এই ভাবেই ১৯০৭ সাল থেকে বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ে কোম্পানির রেলগাড়ী চালু হোল নাগপুর থেকে হাওড়া পর্যন্ত |

কিন্তু এক বাবসাদদার আর এক বাবসাদারকে সহ করবে কেন? হাওগড়ায় বি, এ, আর-এর নিজস্ব কোন প্লাটফরম নেই। সেজন্য হাঁওড়ার ষ্টেশনে বি. এন, আর কোম্পানিকে ভাড়া দেওয়া হোল মাত্র ছুটে? প্লাটফর্ম ভাঁড়! নেওয়ার আগে উপযুক্ত সেলামীও কিন্তু দিতে হোল বি. এন. আর কোম্পানিকে ইট ইপ্িয়। রেলওয়ের নৈহাটি-ব্যাগ্চেলের জুবিলী ব্রীজ তৈরীর খরচ-খরচা যোগাবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বি. এন, আর কোম্পানি হাওড় ষ্টেশনে কোনমতে ঠাই পেলো; কিন্তু অধিকার পেলো৷ না তাই সেসময় রামরাঁজাতলায় বি. এন, আর-এর টিকিট-চেকিং ষ্টেশন হোল; যা চেক করার বা আদায়-উত্তল করার সব এখানেই শেষ করতে হবে। অবশেষে রামরাজাতল। হয়ে উঠলো টিকিট চেকার আব টিকিট কালেক্টরদের রাঁজ্য। আর রামরাজাতলায় বি, এন, আরের রামরাজ্য এইভাবেই একদিন গড়ে উঠলো

তারপর একদিন দেশ স্বাধীন হয়ে গেল। যে বেল লাইনের অক্টোপাশের

লংস্কৃতি মানব সমাজ ৫৩

বন্ধনে সারা ভারতকে বেঁধে রাখার চেষ্টা করেছিল ইংরেজ কোম্পানি--তা শিথিল হয়ে চনে এল গণতাস্থিক দেশীয় সরকারের হাতে। বড় বুর্জোয়া, ছোট বুর্জোয়া, পেতি বুর্জোয়। আর গরীবী জনসাধারণের তফাৎ বোশ্বাবার জন্যে যে ১ম শ্রেণী, ২য় শ্রেণী, মধাম শ্রেণী আর ওয় শ্রেণীর বিধান করেছিল ইংবেজ-_ তার অদলবদল হয়ে গেল স্বাধীন রাজত্বে। আর সেইসঙ্ষে বল হোল তা আমল নামের। বেঙ্গল নাঁগপুর রেলওয়ের নাম তুলে দিয়ে হোল সাউথ ইট্টার্ রেলওয়ে প্রশাসনিক কারণে, পরে দ্িনকতকের জন্য হল ইষ্টার্ণ রেলওয়ে এবং পরিশেষে সেই পুরাতন নামই বহাল রয়ে গেল, আজও চলেছে এই হোল তাঙ্গাগড়ায় বি. এন. আর থেকে এস. ই, আর।

কিন্ত নাম পরিবর্তন হলে কি হবে? লোককবির দুঃখের গান যে থামে না তার সেই পুরাতন বি. এন, অ।র-কে নিয়ে কৌশলা। গ্রামের লক্ষ্রণচন্জ নাটুয়া একদা রেললাইন আর সেইসঙ্গে খঙ্জাপুর শহর নিয়ে যে গান বেঁধেছিলেন, তা আজও অমর হয়ে রয়েছে শহর পত্তনের স্মৃতি চিত্রণে £

"প্রভু খঙ্গোশ্বর, খঙ্জাপুর সহর, করলেন মনোহব, থেকে খড়াপুরে। বাবার মহিমা! অপার, করছে খঙ্জাপুর প্রচার, দিলেন কার্য্যের ভার বি. এন. আরে ধবে ॥। যেই স্থানে পূর্বের ছিল শালবন, সেখানে করুলেন পুষ্পের কানন, জাতি যুর্থী, আদি পুষ্প অগণন, গন্ধে প্রাণ মন আনন্দিত করে ॥। পর্ণের কুটির ছিলনা যেখানে, দৌতল। তেতল। করালেন সেখানে, তথা দিব! রাঁতি অলছে বিজলি বাতি, ইলেকটি.ক ফ্যান ঘুরছে প্রতি ঘরে বাঘ ভালুক থা ডাকিত সুস্পষ্ট, তথায় করালেন তার অফিস পোষ্ট, শুভাস্তভ কষ্ট, অথবা অনিষ্ট, হুয় সর্বব নষ্ট, খবর করে তারে |

৫৪

হিংস্থক জন্ত যথা নাঁশিত জীব নানা, তথায় পুলিশ থানা, আর নানা কারখান', সদাই দিব৷ রাঁতি খাটছে বনু জনা,

করছে বাবুয়ান। খাচ্ছে অন্ন করে ।।

দয়াময় প্রভুর অসীম করুণা,

করিলেন সেখানে তিনটি ভাক্তারখান! বাধি গ্রস্ত লোক এসে বহু জনা, জীবন পায় তারা৷ ছুর্ব্যাধির করে পালসড় আদি আটটি পুকুরে, তুলে নিয়ে জল মাটি দিল ভরে, জলের জন্য কূপ করলেন গোকুলপুরে, . নল বেয়ে জল ঘুরিছে শহরে || সদা যথ! ছিল দশ্থাগণের বেলা, শন করে সেথা করলেন নবের মেলা, ম্যাজিক, বায়ক্কোপ, সার্কাস, আদি খেলা, হচ্ছে নিত্য নিত্য নামান্ছ প্রকারে এমন দয়াল প্রভু কে হবে জগতে, পাপী তাপী জনে উদ্ধার করিতে, এনে দিলেন ট্রেণ তীর্ঘস্থানে যেতে, তেই নরনারী তীর্৫ধে যেতে পাবে ॥। কালকাটি গ্রামে বাস ছিল মজার, তুলে নিয়ে তথা করলেন গোলবাঁজাব, এক্টে নদ স্কুল তাহে করে দেন মজার, হাজার হাজার ছেলে বিদ্ভালাভ করে || লক্ষণ চন্দ্র তনে, ষ্টেশন আদি যথা, পয়ত্রিশ শত বিঘ| মালিক ছিলেন পিতা, বি. এন, আর গ্রহীতা, পিতা হয়ে দাতা, বিশ হাজার টাকায় দিলেন বিক্রি করে”

সংস্কৃতি মানব সমাজ ৫৫

তবে কি লোককবি বি. এন, আবের প্রশস্তির বদলে তার জমি হারাবার দুঃখের গান গেয়েছেন? বিঘেভ আন্দাজ তিন টাকা হিসেবে প্রায় নব্বই বছর আগে রেল কোম্পানি তার পিতাঁব কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন খড়গপুরে ; আজ আর আপনারা কেউ কি তা বিশ্বাস 'করবেন-_ ?

১৪. পীশক্যুড়া-গওপ্রাধি ততজাইভ হন্দত

আজকের হলদিয়া .বন্দর স্থাপিত হয়েছে হুগলী-ভীগীরথী হলদী নদীর সংযোগস্থলে। এই শতকের গোড়ার দিকে একনময়ে এমন ধরনের একটি ছোটখাটে। বন্দবের পৰিকল্পনা কর! হয়েছিল বূপনারায়ণ হুগলী-ভাগণরধীর সক্ষমস্থল গেঁওখালিতে কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসকরা সে পরিকল্পনাটি গ্রহণযোগা বলে বিবেচনা করেননি যদি সে পরিকল্পনা কার্যকরী হত তাহলে আজকে হলদিয়ার বদলে গেঁওখালিই হয়ে উঠতো সেই বন্দর নগরী

উনিশশে! সালের প্রথমদিকে বেঙ্গল নাগণপুর রেলওয়ে কোম্পানির লাইন পাতা শুরু হয় ।খড্গপুরের দিক থেকে লাইন পাতা শুরু হয়ে কোলকাতার দিকে এগোতে থাকে। ঠিক এই সময় কোলকাতার একদি বাবসামী গ্রতিষ্ঠান বায় সন্কে!চের উদ্দেষ্টে জাহাজে করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কয়ল। চালান দেওয়ার জন্তে গেঁও- খালিতে একটি বন্দর প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব আনে। রাণীগঞ্জ-ঝরিয়া অঞ্চল থেকে রেলযোগে কয়লা কোলকাতার বন্দরে না পৌঁছিয়ে গেঁওখালির প্রস্তাবিত বন্দুর দিয়ে পাঠানোতে পরিবহন ব্যয় অনেক কমে যায় তাই পীশকুড়ে! থেকে একটি রেলের লাইন তমলুক হয়ে হুগলী-ভাগীবর্থীর লাফ পয়েন্ট অর্থাৎ গেওখালি পর্যস্ত বসাবার জন্তে ঝেল কোম্পানির কাছে আবেদন কর! হয়।

সমস্ত পরিকল্পনা হাতে পেয়ে তদানীন্তন বেঙ্গল নাগপুর রেলওয়ের এজেন্ট সন্কল্পিত বিষয়টিতে বেশ গুরুত্ব আরোপ করেন। বেল কোম্পানির উদ্দেশ খন রেলপথ ব্যবসা থেকে লাউ করা এবং পরিকয্ননাঁটিও যখন লাতজনক হবার সম্ভাবন। তখন পাঁশকুড়ো। থেকে “লাফ” পয়ে্ট-.এই' পঁচিশ মাইলব্যাপণী বেল-

৫৩ মেদিনীপুর 2 পথ বসানোয় তীদ্দের অসম্মতির কোন কারণ থাকতে পারে না। এরপর সমস্ত পরিকল্পনাটি বিশেষ করে তদানীন্তন ভারত গভর্ণমেন্টের নিযুক্ত এক কমিশনেরু কাছে সমীক্ষার জন্ত গেল। কমিশনের সভ্যরা এই পরিকল্লায় গুরুত্ব তো দিলেনই না, উপরস্ত তাদের ব্রিপোর্টে এই পরিকল্পনাকে অবাস্তব বলে উড়িয়ে দিয়ে শেষে মন্তব্য করা হল, এই পরিকল্পনা যদি হাতে গিতেও হয় তবে ভবিস্ততে প্রতিষ্ঠিত সে বন্দরটির যাবতীয় কর্তৃত্ব কিন্তু ছেড়ে দিতে হবে পোর্ট কমিশনারের হাতে

কয়লা চালানি কোম্পানি অবশেষে “সর্বস্ব তোমার চাবিকঠিটি আমার+_ প্রস্তাবে সায় দিতে পারলো! না! তাই বিষয়টির এইখানেই ইতি হয়ে গেল। বন্দুর তৈরীর যুক্তি নিয়ে কয়লাচালানী কোম্পানি ব1! বি, এন, আর কোম্পানি ভবিষ্ততে আর তদ্বির করেননি বা সংবাদপত্রের স্তন্তে সরকারী নীতির কোন সমালোচনাও করা৷ হয়নি অবশ্য তখন যদি এই পরিকল্পনা সফল হত তাহলে আজকের এই হুলদিয়াব বদলে গেঁওখালিই হয়ে উঠতো সেই বন্দরনগরী অবশ্য হলদিয়৷ পরিকল্পনার আগে গেঁওখালিতেও সেই সম্ভাব্যতা আছে কিনা, তা। নিয়ে যথাষথ পৰীক্ষা-নিরীক্ষ। যে হয়নি--এমন নয়

১৬ সি ইং ২০4 টে

৯. জীঘা-তিজদা ঘ্রততাইল

কয়েক বৎসর পূর্বে আনন্দবাজার পত্রিকায় (১০,৩,১৯৭৫) যে সংবাদটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল তা হল, দীঘ। পর্বস্ত রেলপথ সম্প্রসারণের এক ্রস্তাব। পত্রিকার নিজন্ব প্রতিনিধি সেজন্য যে বক্তব্য রেখেছিলেন, তার সারাংশ হল, কণ্টাই রোড ষ্টেশন থেকে দীঘা পর্যস্ত রেললাইন বসানো হ'লে, শুধু সমুত্রসেবীরাই ননৃ, কথীগামী বছ বাসযাত্রীদেরও উপকার হবে।

কিন্ত গ্রস্তাবটি আকর্ষণীয় হলেও নতুন কোন প্রস্তাব নয় আজ থেকে প্রায় আশী বছর আগে কাথির জনসাধারণের পক্ষ থেকে এমন ধরনের এক প্রস্তাব উঠেছিলো যার মর্শীর্ঘ, দীঘা। পর্যন্ত রেললাইন চাই। ইতিহাসের ছিরন- পত্র থেকে আহরিত সেই অবিশ্বান্ত কাহিনীর বিবরণ নিম্নরূপ ?

সংস্কৃতি মানব মমাজ ৫৭

ইতিহাস শুক্র আগে আমাদের ফিরে যেতে হবে এই দশকের গোড়ার দিকে সেই বেঙ্গল নাগণুর রেলওয়ের পুরী-মাদ্রজ শাখার রেলল।ইন পাতার সময়ে। তখনই রেল কতৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, কন্টাই বোড ষ্টেশন (বেলদা। ) থেকে আর একট শাখা লাইন কাি শহর পর্যন্ত বসানো হবে মেইমত ১৯১০ সাল নাগাদ কোম্পানীর পক্ষ থেকে কাথি পর্যন্ত রেললাইন বসাবার জরীপ কাজ শুক হয়ে যায়। অধীর আগ্রহে জনসাধারণ পরবর্তী অধ্যায়ের জন্তে অপেক্ষী করতে থাঁকেন। কিন্তু তারপরেই প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় এই পরিকল্পনা একেবারে বাঁতিল না হলেও সাময়িকভাবে ধামা- চাঁপা পড়ে যায়। তারপর বিশ সাল নাগাদ এই পরিকল্পনার কাজ আবার নতুন করে স্বর করা হয়। ১৯২২-২৩ সালে আবার যখন নতুন করে এই সম্পর্কে জবীপের কাজ শুরু হয় তখন কীঁখিবাশীর! দাবী তোলেন যে, এই রেলপথ দীঘ। পর্যন্ত সম্প্রসারিত কর! হোঁক। ১৯২৩ সালের ২০শে নভেম্বর তারিখে কাখির স্থানীয় সাপ্তাহিক 'নীহার পত্রিকায় এই সম্পর্কে বুক্তি দিয়ে লেখ। হয় যে, বঙ্গীয় গভর্ণমেন্টের প্রীন্মাবাস দীঘা এবং কলিকাতা৷ প্রবাসী শ্বেতাঙ্গগণ একসময় হিজলী- খেজুরীতে তাদের স্বাস্থ্যনিঝাস গড়ে তুলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে পুরীতে সমৃদ্রবায় সেবনের জন্য অন্থবিধে হওয়াতে তারা কাথির পাঁচ মাইল দূরে জুন- পুটে অমুদ্রবিহার়ের জন্য জল্পনা করে। ক্ৃতরাং কাথি পর্যন্ত যখন বি, এন, আর কোম্পানি রেললাইন বসানোর জন্যে জরীপ সুরু করেছেন তখন এইটি বর্ধিত করে দরীঘা পর্যন্ত বেললাইন বাড়িয়ে দেওয়৷ হোক এবং তাহলে শ্বেতাঙ্গ সমুদ্রসেবীদের এবং বিশেষ করে স্থানীয় জনসাধারণের খুবই উপকার হয়।

হয়ত সে সময় দীঘা পর্যন্ত রেললাইন বসে যেত এবং জরীপ মতো কোলকাতা থেকে দীঘা ১২৬ মাইল দূরত্বের সুবিধের জন্যে দীঘায় শ্বেতাঙ্গদের স্বাস্থানিবাসও গড়ে উঠতো যথারীত্ি। কিন্তু কি কারণে ষে এই প্রস্তাবিত রেলপথটির পরি- কল্পনা বাতিল হয়ে যায় তা জান। যাঁয়নি। তবে মনে হয় সে সময় বিখ্যাত জননেতা বীরেন শাসমলের নেতৃত্বে একুশ-বাইশ সালে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে তীব্র সত্যাগ্রহ আন্দৌলন স্থরু হয় তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইংরেজ শাসকর। নেটিভ- দের জব্ঘ কনীর জন্তে রেল কোম্পানিকে শেষ পর্যস্ত এই পরিকল্পনায় রূপ দেবার অনুমতি দেননি। আর ত| হলে, পরবর্তাকালে বিধানবাবুর মানসপুত্র দীঘা হুষ্টির ফুঁতিত্ব কি আমরা আজ উপলব্ধি করতে পারতাম, না পরবর্তী স্ব।ধীন রাজত্বে “মেছেদা-দীঘা” রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য এত টালবাহানার নাটক দেখতে পেতাম ?

মেদ্দিনীপুর £ পির

৯৬, দীঘ। পনিক্রললনার গাশ্রক্ ক?

পশ্চিমবাংলার ভূতপূর্ব মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের একটি ছবি দেখে- ছিলাম সরকারী প্রচার দপ্তরের এক পুস্তিকায়। সে ছবিতে আছে দীঘ|র সমুদ্র 'তটে দিগন্ত বিস্তূত জলরাশির দিকে তাকিয়ে আছেন আমাদের মখামন্ত্রী, চোখে মখে তার স্থট্টর আনন্দের ছাপ ; পবিতৃপ্থির আবহাওষীয় দাড়িয়ে কর মানস পুত্রকে তিনি অবলোকন করছেন দেশের লোকের কাছে আক্গ তিনি “দীঘ। সক্টিৰ অবতার সমুদ্র ধারের নোনা হাওয়ায় 'দীঘা টুরিষ্ট পাটি? এই স্থাষ্টবৈচিত্র্ে মুগ্ধ হয়ে যে প্রতিষ্ঠাতার প্রতি “যুগ যুগ জিও” ধ্বনি মনে মনে দিয়ে থাকেন একথা স্বীকার করতে কোন বাঁধা নেই।

কিন্তু একট। পুরোনে৷ সংবাদের দিকে দৃষ্টি ফেরানো যাক আজ থেকে চুয়াল্লিশ ৰছর আগের সে সংবাদটি যেমন ছিল তেমনটি তুলে দেওয়া হল। “বাংলাদেশে এক হাজার মাইলের অধিক সমুদ্রতট আছে, কিন্তু তথাপি বাংলাদেশের লোকদের জন্য সমূদ্রতীরে কোন স্থাস্থানিবাস নাই। পুরীতে লোকসংখ্যা অত্যন্ত বেশী হইয়াছে দার্জিলিং থাকা বায়সাপেক্ষ উচ্চস্থান যাহাদের স্থাস্থোর জন্য উপযোগী নয়, তাহাদের পক্ষে স্থানের আবহাওয়া সহ হয় না। এই বিষয় বিবেচন৷ করিয়া বাংলাদেশে সমুদ্রতীরবর্তা একটি স্বাস্থ্যনিবাসের নিতান্ত প্রয়োজন বহিয়াছে।

মেদিনীপুর ভূত্তপূর্ব কালেক্টর বাংল৷ সরকারের বর্তমান রাজস্ব সেক্রেটারী মিঃ বি, আর, সেন, আই-সি-এস মহোদয়ের উদ্যোগে বাংলা গভর্ণমেন্ট বাংলার লোকের জন্ সমৃদ্রতীরে একটি স্বাস্থ্যনিবাস তৈয়ারী করিবার উদ্দেস্টে মেদিনীপুর জেলার কাধি মহুকুমায় সমুদ্র তীরবর্তী দীঘা নামক গ্রামের উন্নয়ন বিষয় বিবেচনা করিতেছেন। স্থানে বিস্তীর্ণ দমুদ্রতট থাকায় স্থানটির দৃশ্ঠ অতি মনোরম এবং সমুদ্র তীরবর্তী স্বাস্থযনিবাসের উপযোগী নান। প্রকারের স্বিধা আছে। বর্ত- মানে মাত কাথি-দ্রীঘা নামক একটি রাস্তা দিয়! স্থানে যাতায়াত করা যায়। কাঘি বোড. ষ্টেশন হইতে দীঘার দুরত্ব ৫৭ মাইল। মেদিনীপুর জেলা বোর্ড

সংস্কৃতি মানব সমাজ ৫8

এই বাস্তাটি পাক! করিয়াছেন। কিন্তু দীঘ। পর্যপ্ত যাইতে আরো! ১০ মাইল বাস্তা পাকা কবিতে হইবে। এই অবশিষ্ট ১০ মাঁইল রাস্তার মাইল জেলা বে নিজ বায়ে পাক! করিতে প্রস্তুত আছেন। যদি গভর্ণমেন্ট অবশিষ্ট মাইল বাস্ত। পাক! করিবার ব্যয় বহন করেন।

যে পরিকল্পন! প্রস্তুত হইয়াছে, তাহাতে গভমেক্ট দীঘ। গ্রামে ৫২৬,২১৬ একব জমি খান করিবেন এবং তৎপর প্রয়োজনীয় রাস্তাদি প্রস্তুত করিয়। সুবিধামত প্লট করিয়া ৩২০,৮৩ একর বন্দোবস্ত দিবেন।

এই উন্নয়ন-পরিকল্পনা কার্ষে পরিণত করিতে হইলে সর্বপ্রথমে কাথি-দীঘ। বাস্তার ক।চা অংশ পাকা করিতে হইবে, জলমরবরাহ, পয়ঃপ্রণালী স্বাস্থাসম্মত বাবস্থাও করিতে হইবে ইহার সহিত ম্যালেরিয়া নিবারণী পরিকল্পনাও থ]কিবে। সেজন তদস্ত কার্য চলিতেছে

এখন ম।নসপুত্র দীধার জনক আসলে কে, এবার পাঠক তার বিচার করবেন; উদ্ধতিটি ১৯৪২ সালের ২৬শে মার্চ তারিখের “হিজলী হিতৈষী১ থেকে সংগুহীত।

১৭. বাংস্তান্ন প্রাচীন তু কি ঘদিতীপুদ্ে

সম্প্রতি ক'লকাঁতায় অনুষ্ঠিত “ইপ্িয়ান রোড কংগ্রেস'-এর ৩৮তম অধিবেশন উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ লবুকারের পূর্ত পৃত্ত (মড়ক) বিভাগ যুগ্ধভাবে একখানি স্মীরকগ্রস্থ প্রকাশ করেছেন। গ্রন্থটির নাম “হাইওয়ে ব্রিজস্‌ ইন ওয়েষ্ট বেঙ্গল?) অর্থাৎ বাংলায় “পশ্চিম বাংলায় রাজপথ-সেতুসমূহ” ভূমিকায় পূর্ত বিভাগের মুখ্য বাস্তকার সচিব শ্রাএস. কে. সমাদ্দার লিখেছেন যে, বাংলায় কবে প্রথম সেতু নিগ্রিত হয়েছিল সে সম্পর্কে যদিও কোন নির্ভরযোগ্য তথা নেই, তবু বলা যেতে পারে গ্রীঃ সপ্তদশ শতক থেকেই সেতু নির্মাণের গোড়াপত্তন হয় কারণ হিসেবে তিনি লিখেছেন, ইমারতী বাস্তবিষ্া় সীমিত জ্ঞানের দরুণ, ইট বা পাথর-_দক্ষিণ বাংলায় যেটি মহজপ্রাপ্য তার উপর নির্ভরশীল হয়েই খিলান দিয়ে সেতু নির্মাণ কাজের অগ্রগতি হয় এবং গ্ঃ উনিশ থেকে বিশ শতকে নিমিত এমন ভাল খিলেন-সেতুর নিদর্শন এখনও দেখ! যেতে পারে নং (গ্র্যা ট্রান্ক. রৌড.) নং (ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোড) রাজপথে

রঃ মেদিনীপুর £

শ্রীসমাদ্দারের সঙ্গে আমরা একমত যে, প্রাচীন সেতু সম্পর্কে কাগজপত্র আগ্/বধি থাকার বা পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু বিষয়ে প্রাটীন সেতুর নিদর্শন ধ্বংসাবশেষ সম্পর্কে যদ্দি পূর্ত (লড়ক) বিভাগ যথার্য অন্ঠসঙ্ধান চালাতেন, তাহলে এত সহজেই বাংলায় সেতু নির্মাণ সতের শতক থেকে নুরু হয়েছে__এই অভিমত প্রকাশ করতেন না।

আর সেজন্ই পূর্ত (সড়ক) বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানাতে চাই, পম্চিম- বঙ্গে য্দি কোন প্রাচীন সেতু থেকে থাকে তবে তা হল, মেদিনীপুর জেলার ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোডে ( যা! ৬নং রাজপথ নয় ), নারা়ণগড় থানার পোক্তাপোলে কেলেঘাই নদের উপর অধিষ্ঠিত এবং যে সেতুটির গায়ে খোদাই একটি মৃত্তিকে মল্লিক" নামে অভিহিত কৰে ১ল! ব্!শেখ বিরাট মেলা বসে থাকে। প্রাচীন বলতে চাই এই জন্যে যে, খঞ্জাপুর থেকে বেলদা যাবার মুখে কেলেঘ।ই-এর উপর পাশাপাশি বিভিন্ন রীতিতে নিমিত ছুটি সেতুর মধ্যে প্রথমেই যে সেতুটি পড়ে সেটি সাবেকী হিন্দু স্থাপতারীতি অন্তযায়ী ঝামাঁপাথব দিয়ে লহড়া৷ করে ধাপ পদ্ধতিতে গঠিত। এই ধরনের সেতুর বড়ো উদাহরণ রয়েছে বর্তমানের ওড়িশা ্াঙ্ক রোড. বরাবর ওড়িশীর যাঁজপু'র ঝামপাথবে তৈরী এশ|র নাল সেত, সেইসঙ্তে একই বাস্তায় পুরীর কাছাকাছি মধুপুর নদীর উপর আঠার নালা সেতু বল! বাহুলা, এ+ছুটি সেত, ওড়িশ! ট্রাঙ্ক রোড. তৈদীর বহু পূর্বেই ওড়িশার কেশরী বংশের রাজাদের ছারা যে খ্রীষ্টীয় এগারো শতকে নি্সিত হয়েছিল এমন এঁতিহাসিক প্রমাণ রয়েছে গতরাং কথিত কেলেঘাই-এর উপর পাশাপাশি ছুটি সেতুর মধ্যে পরবর্তী সেত,টি হল গীথনিযুক্ত থিলেন সেত,_- যার উদাহরণ আলোচ্য পুস্তকের ভূমিকায় শ্রীসমাদ্দার উপস্থাপিত করেছেন।

পশ্চিমবাংলায় আলোচা সেত,টি কতদিনের পুরাতন তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে প্রথমতঃ হিন্দু স্থাপত্যের লহড়া পদ্ধতিতে নিষিত মেত,টি ওড়িশ! ট্রাঙ্ক রোডের উপর নিমিত হওয়ায় এর প্রাচীনত্ব সম্পর্কে গশন উঠতে পাঁরে। কিন্ত এ" ট্রাঙ্করোডটি তৈরী হয়েছে ইংরেজ আমলে ১৮২৬ খরীষ্টাব্, ক'লকাতা-পোস্তার অধিবামী মহারাজ! স্থখময় রায় যহাঁশয়ের বদান্যতায়, ঘাঁর ইতিহাস পূর্বেই বর্ণনা কর! হয়েছে কিন্ত বাস্তা তৈরীর বহু পূর্ব থেকেই ওড়িশার সঙ্গে যোগসাধনকারী হিসেবে এটি ছিল এক প্রাচীন পথ। ইতিহাসের গতীরে প্রবেশ করলে জানা যায়, বাংলার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে ওড়িশার গঙ্গবংশীয় রাজারা বারো-তের শতকে দক্ষিণ মেদিনীপুরের বেশ কিছুটা অংশ

সংস্কতি মানব সমাজ ৬১

'নিয়ে, মায় হুগলীর গড়মান্দাবন পর্যন্ত গ্রবল পরাক্রমে রাজ্য চালিয়ে গেছেন। ইতিহাসের উখাঁন-পতনে এই সব বাজাদের প্রতুত্বের অনেক নিদর্শন তাই ছড়িয়ে আছে__এই সব অঞ্চলে স্তর'ং অনুমান কবে নিতে কষ্ট হয় না যে, নারায়ণগড়ের পোক্তাপোলের ধাপ পদ্ধতিতে নিশ্মিত এই সেতু সে সময়ে ওড়িশার কোন ন্ৃপতি কতক নিমিত হয়েছিল এবং ওড়িশার বাজাদের নিগ্সিত এই ধরনের স্থাপতারীতির উদাহুরণযুত্ত সেতুও ওড়িশুর আরও যে দু'জায়গা় বর্তমান-__ত। পূর্বেই উল্লেখ কব! হয়েছে

এছাড়া অঞ্চলে ওড়িশা নৃপতিদের শ।সনকালের পাথরে প্রমাণও পা ওয়া যেতে পারে, আলোচ্য নারায়ণগড়ের পোক্তাপোলের প্রায় দশ-বাঁর কিলোমিটার দুণবর্তী কুরমবেড়ায় গগনেশ্বর গ্রামের 'কুকুমবেড়া” নামে কথিত প্রাচীন এক ছুর্গের গায়ে উৎকীর্ণ শিলালিপি উদ্ধার করে “মেদিনীপুরের ইতিহাস? প্রণেতা যোগেশচন্দ্র বস্থ লিখেছেন যে, পঞ্চদশ শতকে ওড়িস্তার রাজা কপিলেন্দ্রদেৰ এখানে “গগগনেশ্বর শিবের এক পাথরের মন্দির নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। ন্বতরাং ওড়িশ! নৃপতিদেব কৃত এই প্রত্বতাত্বিক নিদর্শন থেকে আমর। এতদঞ্চলে তাদের আধিপত্য বিস্তাবের কথ! জানতে পারি। তাই এই সেতু বার শতক থেকে পনের শতকের মধো ওড়িশা রাজাদের আমলে কোন এক সময়ে হয়ত নি্রিত হয়েছিল বলেই অঙ্গমান ক্রা যেতে পাবে।

অন্যদিকে কাছাকাছি এই নারায়ণগড়ের রাজাদের গৌরব ছিল রাস্তা! নির্মাণে কৃতিত্বের জন্য ব্রেলোক্যনাথ পাঁল রচিত “মেদিনীপুরের ইতিহাম'-এ তাই, লেখ! হয়েছে যে, খ্রীষ্টায় তের শতকে এই র|জবংশের প্রতিষ্ঠাতা রাজ গন্ধব্ শ্রীন্দন পাল ছিলেন “ম।ড়িস্থলতান' উপাধিতে ভূষিত, অর্থাৎ তিনি ছিলেন পথের বাদশীহ--খিনি প্রাটীন বাজপথ তথা জনপথের রক্ষক। এই বংশের গ্রতিষতত কুলদেবী ব্রক্মাণী দেবীর মন্দিবের পাশ দিয়েই ছিল ওড়িশা যাতায়াতের পুরানে। রাস্তা এবং যাত্রাপথে পথিকদের এই ব্রঙ্গাণী দেবীর ছাড়পত্র নিয়ে যেতে হত। সুতরাং অন্্মান করা যেতে পারে যে, ব্রদ্ষাণী দেবীর মন্দিরের পাশ দিয়ে আচমামিক তের-চোদ্দ শতকে ওড়িশ। যাবার ষে পথ ছিল সেই পর্থে কেলেঘাই-এর উপর সেতুটি নারাণগড় রাজাদের দ্বারাই নির্সিত হয়ে থাকতে পাবে।

কিন্তু লিখিতভাবে এই সেতটির নির্মানকর্তাদের কোন পরিচয় পাওয়া! ন। গেলেও স্থাপত্য বিচারে এটি যে, শ্রীষ্টীয় তের থেকে পনের শতকের মধ্যে নিম্সিত

৬২

মেদিনপুর £ হয়েছিল-_একথা বেশ জোরের সঙ্গেই বলা যায়। অনশ্ঠ পুর্ত (সড়ক) বিভাগ ঘদি তাদের পুরাতন কাগজপত্র ঘেঁটে ব! সরেজমিন তদন্ত করে এই সেত)টি

সম্পর্কে নতুনভাবে আলোকপাত করেন, তাহলে তীর! যে দেশবাসীর একান্ত ধন্যবাদাহ হুবেন-__এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই

শে টব শখ শ্ ১০) / 4 2৩ উঠি পতি তি ঠা

১৮, অত্ন্ধাট গ্রকে নশ্রাট

প্রীয়ই খবরের কাগজে দেখা যায়, মেয়ে চাল।নী বাসার নানাবিধ চাঞ্চলা- কর খবরাখবর এক্ষেত্রে লুকিয়ে-চুরিয়ে আর ভুলিয়ে-ভালিয়ে মেয়ে চালান করার জন্য ওস্ত[দ্দের বহু কাঠখড় পুংড়াতে হয়! কেনন। জানাজানি হলে বা ধরা পড়ে গেলে নির্ঘ।ৎ “পৌব্লিক'-এর হাতে জান নিকলোন হবার ভয় আছে। কিন্ত এমন য্ধি হত, মেংয়ধা নদীর ঘ।টে আ।ন করছে বা গ্রামের পুরুষবী মাঠে গেছে, দেই তালে নৌকায় চেপে দন্তারা এসে গ্রামের ছেলেবুড়ো ব। ঘউঝিদের জোর করে ধনে শিয়ে যাচ্ছে চালান দেবার জন্যে, অথচ তাদের বন্দুক বা ছোরার বিরুদ্ধে ঈড়াব!র কেউ নেই, তাহলে এমন অবস্থাকে আমরা কি বলতাম? নিশ্চয়ই বল তম, মগের মুলুক। অথচ এদেশে সত্যিই ছিল এমন ধরনের জঙ্গলের রাজত্ব, যা আজও লোকমুখে “মগের মুলুক” নামে সে বিভীষিকার স্থৃতি থেকে গেছে।

আন্দ থেকে প্রায় তিন-চারশো বছর আগে আরাকানের মগ দণ্চার। পতু গীজ জলদন্থাদের সঙ্গে অংশীদার হয়ে গোট? ব|ংল। জুড়ে যে হিংস্্, নিছুর আর নির্মম অত্যাচার চাঁলিয়েছিল, ইতিহাসে তাঁর বোধ হয় তুলনা নেই। এদের ভয়ে সন্দুরবনের মেদিনীপুর জেলার হুগলী নদীর ধারে অবস্থিত হিজলী- থেজুরীর কাঁছ।কাছি বহু গ্রাম একদা পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছিল বাংলার মন্দির-সচ্্ায় সামাজিক জীবন সংক্রান্ত যেসব ত্াস্কর্-ফলক দেখে থাকি, তার মধ্যেও এইসব জলদসদের প্রস্চিক্তিও যে রূপায়িত হয়েছে তেমন দৃষ্টান্তের অভাব নেই। কোন কোন পোড়ামাটির ফলকে এমন বন্দী মাস বোঝাই জনযাঁনের চিজ্রও উৎকীর্ণ করতে কার্পণ্য করেননি মন্দির-শিল্পীরা মাঘ শিকারের এমন ভয়াবহু কাহিনী বিস্বৃতির অন্ধকারে হারিয়ে যাবার আগে

লংন্কৃতি মানব ময়।জ ৬৩

মন্দ্রির-কারিগররা তার যখাষথ চিত্র হয়ত 'এইভ|বেই ধরে রাখতে চেয়েছিলেন পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন স্থানের মন্দির গাত্রে বা বিভিন্ন মিউজিয়মের গ্রদশনীতে এই ধরনের মৃ্ভাঙ্কর্ষের এমন ভুরিভুরি উদাহরণ আজও দেখতে পাওয়া যায়। সোজ। কথায়, এইসব মগ-ডক1তদ্দের কাজ ছিল জোঁরজবরাদস্তি কবে মান্ষ ধরে নিয়ে যাওয়া সেজন্াা মাঘাটে €ৎ পেতে থাকতো এইসব লুঠেরারা নদীর ঘটে ফাকা জ।য়গ।য় জল আনতে এসেছে কুলবধুরা, সেই ফাকে তাদের ধধেবেধে নৌকায় তোলা হস্ত। ছেলেরা পথেঘাটে চলাচল করছে তাদেরও যেমন জোর করে ধরে আনা হ'ত, তেমনি জে|য়।ন মার্দের লাঠির বাঁড়ি মেরে অজ্ঞ।ন করে ধরে আনা হত মাঠ থেকে দাস-ব্যবস! যখন দেশে চালু রয়েছে তখন রাজোর শ।সনকর্তারা অন]চারে বাধা দিতে তেমন উৎসাহ দেখতেন না, আর বাধা দিতে গেলে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে ব1 গুলির ঘায়ে জখম করে তাদের কাজ হিলি কোন অন্তবিধে ঘটত না। এরপর দড়ি বেধে শিকার এনে নৌকেয় তোলা হত। পাছে নৌকো থেকে পালিয়ে যায় সেজন্য তাদের হাতির তালু ফুটো করে তার ভেতর বেতর ছল তোল দড়ি ঢুকিয়ে পরপর বেঁধে বাখা হত পাখীদের খাচায় যেমন খাবার ছড়িয়ে দেওয়া হয় তেমনি এই শিক।র করা প্রাণীদের সামনে খাছ হিসাবে ছড়িয়ে দেওয়। হত শুকনো! মুড়ি বা চাল। তারপর এইসব বন্দীদের স্থানীয় হ!টবাজারে আনা হত বিক্রীর জন্যে ; সেখানে যা কাটতি হত বাঁকীট। চালান দেওয়া হত পর্ত- গীজদের খাস মুলুক গোয়। কিংবা সিংহলের কোন বাঁজা.র। সেখানে ক্রীতা।স হিসাবে কেনা হয়ে সারাজীবন কাটাতে হত মালিক-ক্রেতীর গোলামখানায় মেয়েদের ভাগ্য সম্পর্কে আর বিশেষ কিছু না বললেই চলে। ক্রীতদাসী বা যৌনদাসী অর্থাৎ ভোগের সামগ্রী হিসেবে তাঁদের চাহিদাই ছিল সবার আগে। শুধু বেচাকেনাই নয়, তাদের খ্রীষটধর্মে জোর করে দীক্ষা দেওয়া হ'ত, যাতে আর কোনদিন তারা নিজেদের সমাজে ফিরে যেতে না পাবে বিদেশী ভ্রমণকারীবা এইসব মামুষ কেনাবেচায় তাদের অভিজ্ঞত1 প্রসঙ্গে লিখেছেন যে, গোয়ার বাজাবে যেসব সুন্দরী মেয়ে আমদানী হস্ত, ত1 সবই বাংল। থেকে চালান আসা অবশ্ঠ দাস ক্রেতারা খুব বেশী পছন্দু করতো ভারতীয় ক্রীতদীসদের, কেননা তাদের হ্থভীব নাকি শান্ত গ্রভুতক্ত স্বৃতরাং এই চাহিদীকে কেন্দ্র

করে এদেশে মগফিরিঙ্গীদের দৌবাধ্যয যে জাজািলারা বৃদ্ধি পেয়েছিল তাতে আর সন্দেহ কি?

৬৪ মেদিনীপুর £

অন্যদিকে, দেশে যখন ক্রীতদাস প্রথা চালু রয়েছে তখন বাংলার হাটে- বাজারে মেয়ে-পুরুষ কিনতে পাঁওয়ার তো। কোন অন্রবধে নেই। ১৩২৫ বঙ্গাব্ধের চৈত্র সংখ্যার প্রবাসী পত্রিকায় কাশীচন্দ্র ঘোষাল বিষয়ে এক কৌতুককর তথ্য দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ক্রীতদাসে হাটে বিক্রীর জন্য নৌকোয় চালান আসা যেসব মেয়েদের আনা হ'ত তাদের বল! হস্ত 'ভারের মেয়ে? | এখানে “ভার” কথাটির অর্থ হল নৌকো, সুতরাং ভারের মেয়ের মানেই হল নৌকোয় চালান আসা মেয়ে। ভাবের মেয়েদের নৌকো। যখন ভিড়তে। এসব হাটেবন্দরে তখন একজন ব্রাহ্মণ তত্বাবধানকাব্ী সেজে ক্রেতাদের কাছে বন্দিনী মেয়েদের বূপগুণ নিয়ে খদ্দেরদের কাছে বর্ণনা করতো যার যেমন পছন্দ তেমন মেয়ে কিনে তারা চলে যেত | দেখ। যেত প্রলোভনে পড়ে কোন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্গণ শেষ বয়সে স্ত্রী বিয়োগের পর এখান থেকে স্থজাতি বলেই কোন কন্যা সংগ্রহ করে বিবাহাঁদ্দ সেরে নিয়েছেন ; কিন্তু কিছুদিন পরে সগ্চ বিবাহিত। ব্রাহ্ধণীর আচাব-ব্যবহানে সন্দেহ হতে জান! গেল যে, তিনি কোন এক অস্পৃশ্ত নিয়জাঁতির কন্া। |

গ্রামের হাটেবাজারে যেগুলি বিকোতো না সেগুলি আবার চলে যেত ওড়িশ' ব৷ দ্বাক্ষিণাত্যের অন্যান্য হাটে। কাছাকাছি বেশ চড় দরে মানুষ বিকোবার হাট ছিল, পশ্চিমবাংলার মেদিনীপুর জেলার তমলুক এবং ওড়িশার বালেশবর জেলার পিপলী আর দিয়।ঙ্গার হাট ১৯০৭ লালের এশিয়াটিক সোসাইটির পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রবন্ধে সাহাবুদ্দিন তালিশ সম্পর্কে যে তথ্যপূর্ণ বিবরণ দিয়েছেন তা পড়লে শিউরে উঠতে হয়। তিনি লিখেছেন, তমলুকের রাজারা সে সময় তাদের জমিদারী এলাকায় এমন একটি ক্রীতদাস কেনাবেচার হাট বসাবার অন্থমতি দিয়েছিলেন, তবে সেটি যে উৎপীড়নের তয় দেখিয়েই বাধ্য করা হয়েছিল, তেমন মনে হয়। তখন মোগল রাজত্বের শেষ সময়, তছুপরি মগের মুন্নুক চলছে গ্রামে গঞ্জে ; ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে অসহায় গ্রজাদের রাত্রিতে আগুন জালানে। বন্ধ ; কেনন৷ তাই দেখে লুঠেরারা বসতি আছে ঠাহর করতে পারে। স,তরাং সন্ধ্যেবেলায় মেয়েদের তুলসীতলায় প্রদীপ দেওয়া বা নদীর ঘাটে নান করতে যাওয়া একেবারেই বন্ধ হয়ে গেল

বার বার মগদের আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত দেশের মানুষকে ঝাচাবার জন্ে মোগল শাসনকর্তারা যে তেমন চেষ্টা করেননি তা নয়। কিন্ত সব চেষ্টাই বিফলে গিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে মগদের আসতে হলে সমুদ্রপথ 'দিয়ে সাগর

লংস্কৃতি মানব সমাজ ৬৫

ঘীপের কাছে হুগন্ী-ভাগীরথীর মোহণ1 অতিক্রম করে আসতে হত। কিন্ত মে সময় সুন্দরবন এল।কায় দাদখ|লি, জাহ(জঘাটা চকরশিতে দিল বঙ্গবীর প্রতাপাদিত্যের শক্তিশালী নৌঘ|টি। সুতরাং অদ্বশন্ষে সঙ্জিত প্রতাপাদিত্যের নৌবাহিনীর প্রবল প্রতাপে মগদন্তারা পথে পা বাড়াতে সাহসী হ'ত না। কিন্ত মোগলদের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রত।পাদিংতার পতনের পর স্রন্দরবনের সাগর দ্বীপ ক্রমেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। মোগলদের এক শক্র নিধনের ফলে আর এক শব্রর আগমন এমন ত্বরান্বিত হয় যে, সুন্দরবন এল|কায় ক্রমে মগদের দৌরাত্য পর- বর্তাকালে বেশ ব্যাপকভাবেই বৃদ্ধি পায়। ক্রমশঃ স্ন্্ুববন এলাকার বনু গ্রাম বস(তবিহীন হয়ে পড়ে মগদের ভয়ে অন্ছ্াাচারে ১৭৭১ সালে তৈরী বেন্লে সাহেবের মানচিত্রে সুন্দরবনকে তাই জনশূন্য দেখানো হয়েছে জলে কুমির ডাঙ|য় বাঘের ভয়ে নয়, কেবলমাত্র 1804 06০7১০1৪০৫0) (106 11185. |

পরবতীকলে মগদের অত্যাচার নিবারণের জন্ মোগলবা হুগলী-ভ।গীরখী তীরবর্তী হাওড়া জেলার মাগুয়। ছুর্গে পাহারী বসীয়। খ্রীষ্টীয় পনের শতকে প্রস্তুত ভ্যানভেনক্রকের ম্যাপে হুর্গাটকে থানা কিল্লা? বলে চিহ্নিত কর! হয়েছে আর এটিই পর্বতীসময়ে বিভিন্ন নথিপ্ডে হয়েছে “ফোট মাকুয়” বা থান! মাকুয়া?, আবার কোন কোন সময় “ফে।ট থানা” বা “তান ফোটা? দুর্গটির অবস্থান ছিল বর্তমান হাওড়ার বোটনিক্যাল গা'ঙনের স,পারিনটেনডেন্ট-এর বাসগৃহের কাছে। বিভিন্ন কাগজপত্রে দেখা যয, আদতে এটির নির্মাতা ছিলেন পাগান সম্রাট হোসেন শাহ। পরে এটি মোগলদের দখলে আসায় তারা দুর্গটি ছাড়াও মেটিয়াবুকজেও আর একটি ছুর্গ নিণ করে। উদ, মগ দস্যুদের প্রতিহত করার জন্যে এই দুই দুর্গ থেকে আড়াআড়িভাবে শেকল ঝুলিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা, যাতে শত্রপক্ষ মহজেই ন। ভিতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়

মাগুয়৷ দুর্গ ছাড়াও মগ দৌবাত্ম নিবারণের জন্য মোগল সেনাপতি শায়েস্তা খা চক্রবেড়ের গড় নামে রূপনাবায়ণ নদের মোহনায় আর একটি দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন বলে পুবাতন কাগজপত্রে উল্লেখ পাওয়। গেছে। কিন্তু স্থানটি যে কৌথাঁয়, তা কোন এঁতিহ।সিকই নির্ধারণ করেতে পারেননি কিন্তু স্থানটি কোনদিন রূপনারায়ন নদের মোহনায় হিল না, সেটি ছিল হুগলী-ভাগীরথী হলদী নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। বিষয়ে নন্দীগ্রাম ইতিবৃত্ত" প্রণেতা অধব- চন্দ্র ঘটক হাতে লেখ। এক পখির বিবরণ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বেশ কিছু আলোকপাত করেছেন। তিনি লিখেছেন, নন্দীগ্রাম থান।র গুমগড়ের চৌধুবী

৬৬ মেদিনীপুর বংশের জমিদারী যখন গড়চক্রবেড়িম্বা পর্যন্ত বিস্তুত হয় তখন জমিদার ছিলেন নন্্রীগোপাল চৌধুরী, যার নাম থেকে নন্দীগ্রাম” গ্রামনামের উৎপত্তি হয়েছে ঘটক মশাঁয়ের কথায়, «. তৎকালে মগ পতুগীজ দন্ধ্যরা সাগরদ্বীপে আড্ডা স্থাপন করিয়। হিজলী প্রদেশের সমৃদ্ধিসম্পন্ন স্থানগুলি লুন করিত। গুমগড়ে চৌধুরী জমিদীরী প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঞ্গে উহার অরণা অধুষিত পূর্বাঞ্চলটি জনপদে পরিণত সমুদ্ধশ।লী হইতে সথচিত হওয়ায় ইহার দিকেও দুর্ধর্ষ দস্থ্যদলের লোলুপ দৃষ্টি পতিত হয়। ফলে সেইসকল দস্থ্যকবল হইতে জমিদীরী রক্ষার জন্য নন্দা- গোপাল চক্রবেড়িয়াগড়ের সম্ুখস্থ সোনানিবাঁসটিকে দৃঢ়তর মুগ্ময় ছুর্গে পরিণত করেন ণর্দীতীর সংরক্ষণের জন্ত পাঁচখ।নি রণতরী নির্মীণ করিয়াছিলেন ।, অধরবাবু এই সঙ্গে চৌধুরীবংশের গড়িয়া ভাষায় হাতে লেখা পঁথির অংশ বিশেষ থেকে যে উদ্ধৃতি দিয়েছেন তা৷ এই প্রসঙ্গে প্রণিধানযোগ্য £ “মযুব পঙ্ঘী জলয।ন, গড়ন কৈলে পঞ্চখান। ভামায়ে তাকু গঙ্গাজলে, দমন কলে মগ দলে ।।*

মগদগ্য দমনের জন্তে যার দ্বারাই হে!ক্‌ যেসব ব্যবস্থা অবলদ্িত হয়েছিল, তার থেকে একট। স্পষ্ট ধারনা কর! যায় যে, মগ দন্যর। দামোদর খা বূপনারায়ণ নদে আসতে সাহস পেত না। কারণ হিসেবে বল! যেতে পারে, বিষুপুবের মল্লবাজাদের প্রবল পরাক্রান্ত সেনাবাহিনী এবং মেদিনীপুর, বাড়া বর্ধমান জেলার ছোটখাটো ভূম্বামীদেরও নিজন্ব পাইক-বরকন্দাজ প্রভৃতি থ|কায় মগ দস্যব! নদীপথ বেয়ে ভেতরে তেমন প্রবেশ করতো ন! তাছ।ড়। ইংবেজদেব এদেশে আসা পূর্বে মেধিনীপুর জেলার হরিহরপুর গ্রামে ১৬৩৭ সাল নাগাদ গুড়িশার শাসনকর্ত।র অধীনে যে শক্তিশালী এক ফৌজদার মোতায়েনছিল, তাঁর আক্রমণের ভয়ে মগদস্যার! নদীর ধার ছাড়। ভেতরে প্রবেশ করতে সাহস পেত না। তবে এই হরিহরপুর গ্রামটির প্ররুত অবস্থান সম্পর্কে কেউ সঠিকভাবে কোন নির্দেশ দিতে পারছেন না।

সে যাই হোক্‌, সমসাময়িক ইতিহাসের পাতীয় মানুষ কেনাবেচার হাট নিয়ে সাহাবুদ্দিন তালিস যেখানে জানিয়েছিলেন, 90066011068 01059 010)171 (05 ০8001%68 19 8611 ৪: 13181) 011০৩ (07719100151 80৫ 0105 [0০011 01 0818591৩+, সেখানে প্রশ্ন হ'ল তমলুকের সে হাটটির অবস্থান কোথায় ছিল ? এদিকে “তমলুক" নিয়ে তো! গবেষণার অন্ত নেই। ইতিহাসপ্রসিদ্ধ প্রাচীন নগরী তা্রলিপ্ত নিয়ে খোঁড়াখু'ড়িও চলেছে মাটির তলায়, কিস্তু এখনও প্রত্বতব-

সংস্কৃতি মানব সমাজ শ৬থ

বিদ্দের খনিত্র স্পর্শ করতে পারেনি সেই আসল বন্দর-নগরীর ধ্বংসাঁব- শেষ। তবুও কত যুগ, কত কালের, কত হাজার বছরের প্রাচীন, সে বিষয়ে পাওয়া বহু প্রত্ববস্থর হিসেব দিয়ে বারবারই আমাদের মগজ গুলিয়ে দ্দিতে চাইছে এইসব প্রত্ন্ধনীর। | ভ্ুতরাং এই আসরে সাকুল্যে প্রায় তিনশে। বছর আগের এমন এক নর-হ!টের কথ। নিয়ে কেই ব৷ ম|থা ঘামাবে? তবে যখন এমন এক হাটের বন্দোবস্ত ঠিক কোথায় দেওয়া! হয়েছিল বা কোন্‌ জায়গাতেই বা ছিল সেই হাটের অবস্থান --এ প্রশ্ন তুলতে গেলেই আমাদের খুঁজে দেখতে হয়, এমন তুলানামীয় কোন গ্রাম আশেপাঁশে কোথাও আছে কিনা? আর তা যদি থেকে থাকে তাহলে এই কাছাকাছি “নরঘাট'কেই তো প্রাধান্য দিতে হয়। এমনিতেই তো তমসুকে মগেরা আমতো বলে পাহেবদের তৈরী পুরাণো মানচিত্রে তমলুকের পাশ দিয়ে প্রবাহিত রূপনাবায়ণ নদকে তাই বল! হয়েছে "ডাকাতে নদী” (7২০9896+5 [1৩1 )( তাই কে জানে, হগলী-ভাগীবথীর্‌ গায়ে হলদী নদীর মোহন! বরাবর লুট করা মান্য বোঝাই নৌকো চলে অ।সতো৷ ঠিক এই জায়গাতে-_সেজন্যে স্বভীবতই লোকমুখে এখানকার নাম হয়ে যায় 'নরের হাট”, অ।র কালক্রমে "হাট" অস্ত্যপদটি অপভ্রংশে হয়ে দাড়ায় “ঘাট?! কেনন। এখানের এই ঘট পার হলেই ওপারে পাওয়া যেত রাস্তা, য! সাবেকী বিলেতী সাহেবদের উপনিবেশ হিজলীর দিকে যাবার পথ

তাই সেকালের আসল 'নবহাট” থেকেই কি আজকের এই নৌকোডুবির লরঘাট

১৯, ম্রানুম হ্েএা-ধঢাল কাহার

্গ-ফিরিঙ্গিদের মানুষ লুঠের ব্যবসা ন। হয় প্রত্তিহত হল ইংরেজ আমলে, কিন্তু সেইসঙ্গে কি ক্রীতদাস প্রথাও লোপ পেয়ে গেল এদেশ থেকে? তাই ঘদি হবে, তাহলে ইস্ট ইপ্থিয়! কোম্পানির গভর্ণর জেনরূল-ইন-কাউন্সিল ২২শে এপ্রিল, ১৭৮৯ তারিখে কেন ঘোষণাপত্র জারী করে জানাচ্ছেন যে, এতদিনে “নেটিভ'দের ক্রীতদ|স হিসেবে ভারতের অন্যান্য স্থানে চালান দেওয়ার ষে প্রথ। ছিল তা রহিত করে দেওয়া হল। এইমক্ষে কোম্পানির মেদিনীপুর জেলার নিমকি

৬৮ মেদিনীপুর তু

মহলের হিজলী তমনুকের “সন্ট এজেন্ট মহাঁশয়গণকে যথারীতি অবগত করানে। হল, ক্রীতদাস চালাঁনির বাবস! বন্ধে কোম্পানির এই ঘোষণাপত্র যাতে তাদের স্ব স্ব এলাকায় ইংরেজি স্থানীয় ভাষতে প্রচারিত হয় তাঁর যথাযোগ্য ব্যবস্থা যেন করা হয়।

ঘোষণীপত্রটি জারী করে সমশ্া সমাধান করার চেষ্টার মধোও যে ধাক থেকে গেল, তা ইংরেজ কতৃপিক্ষ যে জানতেন না এমন নয়। দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আস! মা্চষ কেনাবেচার এমন লোভনীয় ব্যবসা হঠাৎ চলানীদাবর! পরিত্যাগ করেন কি করে, যা কিনা শ্বেতমহা প্রভুদের অভোসে দাঁড়িয়ে গেছে তাই আইন হলেও চোরাগোপ্তা পথে যথারীতি বাবসা চলতে থাকলো কিন্ত শেষ পর্যন্ত ক্রীতদাস চালানোর দায়ে ধরা পড়লো! ফরাসীরা, আর অন্যান্য ইউরেপীয়ানরা সকলেই তখন সাধু সেজে বললো কিন্তু ত৷ হলেও চোরাপথে বাবসার এক নমুনা পাওয়া গেল ১৭৭১ সালে সে সময়ের খেজুরী বন্দরে

তখনকার থেজুবী বন্দর (য' সাহেবদের লেখায় 46৫৪০71৩৩+ বলে উল্লেখ থাকার দরুণ অনেক গবেষক এটিকে “খেদগিবি" বলেও উল্লেখ করেছেন ) দারুণ জমজমাট কলকাতায় যখন বন্দর হয়নি, খেজুরীতে তখন বন্দর হয়েছে। প্রতিষঠত হয়েছে জেন্টস. হাউস” এবং “পোর্ট অকিস?। সাহেবদের বহু বাড়িঘর, হোটেল-ট্যাভর্ণ, ডাক-অফিস সব মিলিয়ে আঠার শতকের থেজুরী এক উল্লেখযোগা টাউন। সময় ফরাসীদের ভাড়া করা এক জাহাজে পাওয়া গেল এমন চব্বিশটি ছেলেমেয়ে, যাঁদের বিভিন্ন স্থান থেকে বেআইনীভাবে সংগ্রহ করে কলকাতা থেকে পণ্থিচেরীতে এক মালবাহী জাহাজে গোপনে পাচার কর! হচ্ছিল।

১৯৭১ সালে সেন্সস বিভাগ থেকে প্রক।শিত “ওয়েট বেঙ্গল ডিপ্রিকট রেকর্ড' সিরিজের “মিভনাপোর করসপণ্েক্সে অফ দি সন্ট ডিট্রিক্টস-হিজলী সন্ট ডিভিশন'-পুস্ত'ক উল্লিখিত ঘটনাটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে ষেসব চিঠিপত্র লেখ।লেখি হয়েছিল, সেপ্চুলির সারাংশ করলে যা দীড়ায় তা হল ১৯৭১ স॥লের মার্চ মাসে চাল, সুতো, কাপড় আর হলুদ বঙের গু ড়ো৷ কলকাতা থেকে পণ্থিচেবীতে চালান দেবার জন্যে জনৈক ফরাসী ব্যবসাদার এদেশী বেস্কটরামদেও-এর কাছ থেকে খ্নে! শ্রীরামরাঁও নামে এক জাহাজ ভাড়া করেন। যথাসময়ে কলকাত। থেকে মালপত্র নিয়ে আসার সময় ২৮শে মার্চ তারিখে ফরাসী ক্যাপ্টেন জাহাজের সারেঙ্গকে কুলপীতে জাহাজ নোঙ্গর করার

সংস্কৃতি মানব সম'জ ৬৯

আদেশ দেন। জাহাজ থামার কারণ'হিসেবে বল! হয়, কাপ্টেনের কিছু মাল- পত্র কলকাতায় রয়ে গেছে, তা পিহনে নৌকোর করে এসে পৌছুলে জাহাজ ছাড়া হবে। কিন্তু শেষ পর্যপ্ত ক্যাপ্টেনের ছেড়ে আসা মালের বদলে এসে 'পীছুলো ছুটি পাঁনসী বোঝাই ছেলেমেয়ে, যাদের ভ্রীতদাস হিসাবে চালান দেওয়া হবে বলেই মনে হম্ব। দেশী সারেঙ্গ তো এমব ব্যাপারট। জ্বাচ করে গ্রবল আপন্তি জানালো, মালপত্র ছাড়া এসব মানুষজন ভে। নিয়ে যাবার কথ হিল না। ফর।সী ক্যাপ্টেন তৎক্ষণাৎ জাহাজের নেটিভ সারেক্গকে ল।খি ঘুপি মেরে উপযুক্ত জবাব দিল। কিন্তু জানাজানি হবার ভয়ে পানসীর জ্ীত- দাসদের আর জাহান্জে তোলা হল না। কিন্তু জাহাজটি বারাটুলির কাছে পৌছোবার পর, ক্যাপ্টেন & সব ভ্রীতদ।সদের পানসী থেকে জাহাজে তুলে শিল। তারপর জাহাজ খেজুরী বন্দরে এসে পৌছানো মাত্রই সারেক্গ কোন- তে পালিয়ে এসে এই. কুকীতি ফ্লাস কবে দিল খেজুরী রোডের জনৈক ইংরেজ জর্জ হুইটলে-কে। তিনি আবার সঙ্গে সঙ্ষেই ক্রীতদ|স পাচারের এই ঘটনাটি জানিয়ে চিঠি পাঠালেন হিজলীর সণ্ট এজেন্ট মিঃ হিউয়েট-কে ; হিউয়েট সেই মোতাবেক জানালেন কলক।তার গভর্ণর জেনরল-ইন-কাউন্সিলকে। সেখান থেকে যথযখ আদেশ আপকুতই জাহ।জ আটক করে খেজুরী বন্দরের সেসব ব্রীত্দাসদের উদ্ধাব্ধ কর! হল।

'এবার অন্থুসন্ধ।নে জানা গেল, উদ্ধার করা চার থেকে কুড়ি বছৰ পর্ধপ্ত বিভিন্ন বধ়সের ১৭টি মেয়ে আর *টি ছেলেকে আনা হয়েছে বাখরগঞ্জ, মাধাখালি, আবাদনগর, মুখাখাল, মাদারীপুর, শাস্তিপুর, বন্দীকুল, ঘাটাল, হাসানাবাদ থেকে। যে পদ্ধতিতে সংগ্রহ হয়েছে তার বিবরণ হল, আড়কাঠি- দাররা এসব স্থান থেকে চুবি করে, ভুলিয়ে ভালিয়ে বা লোভ দেখিয়ে, কখনে। বা দুর্ভিক্ষের কারণে বাঁপমায়ের কাছ থেকে কিনে এনে, তারপর তাদের চু'চুড়ার জনৈক মশিয়ে জর্ডন কলকাতার জনৈক ফৌসিলিকে বিক্রী করে দেয়, যারা এই ক্রীতদাস গোপনে বাইরে চড়া দামে চালান দেবার ব্যবম। রীতিমত চালিয়ে থাকেন। কোম্পানির আইন ভঙ্গের দীয়ে শেষ পর্যস্ত এইসব অপরাধীদের ধরা হয়েছিল কিনা এবং আদালতে মামলাটির বিচারে শাস্তিবিধান কর! হয়েছিল কিনা, সে সম্পর্কে কোন কাগজপত্র পাওয়া যায়নি তবে ফরাসীদের পক্ষ থেকে এই অপরাধ সংঘটনের জন্য ব্রিটিশর। ষে বেশ জল ঘোল! করে তুলেছিল তা এই সংক্রাস্ত বিভিন্ন চিঠি চালাচালি থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়।

৭০ মেদিনীপুর :

স্বতরীং বেশ বোঝা যাচ্ছে, কোম্পনি ১৭৮৭ গ্রীান্দে ক্রীতদাস চালানী প্রথা রদ করে দিলেও, গে।পনে যে এই ব্যবদাটি চালু ছিল, এইলব নথিপত্রই তার সাক্ষ্য হয়ে রয়েছে। এদেশ থেকে না হয় কোম্পানি ঘোষণাপত্র জারী করে অন্ধত্র ক্রীতদাস চালান বদ কঝে দেবার হুকুম দিয়েছিল, তবে অন্তস্থান থেকে ক্রীতদাস আনতে তো! কোন বাধা! ছিল না কোম্পানির কর্মচারিবর্গের | বিভিন্ন ইংরেজ লেখকদের লেখাতেও পাওয়। যাচ্ছে, ক্রীতদাস প্রথা দীর্ঘদিন ধরে এদেশে বর্তমান থেকে গিয়েছিল বিলেত থেকে আসা বা এদেশী ইঙ্গ- বঙ্গীয় সাহেবদের যেসব দাসদীমী নিযুক্ত করা হত, তাদের অধিকাংশই ছিল ক্রীতদাস বাইরে থেকে ক্রীত্দাম হিসেবে কাফিদের এদেশে আনা হত বলে ইংরেজরা যতই সপ্রমাণ করার চেষ্টা করুক না কেন, আদতে এদেশ থেকেই ক্রীতদাস সংগৃহীত হত বেশ বহুল পবিমাণেই। অভাব দারিজ্রোর সংসারে ভরণপোষনে অক্ষম গরীব পিতামাতার তাদের শিশুদের অনেকসময় বিক্রী করে দিতে বাধা হতেন। ফলে দাস ব্যবস।য়ের আড়কাঁঠিদ|রর! তাদের খাইয়ে পরিয়ে সেবাশুশষা করে শেষ পর্যন্ত বেচে দিতো। অ।গ্রহী ক্রেতাদের কাছে, যার! সারাজীবনের জন্য তাদের ক্রীতদাস করে রাখতে! পছন্দ না হলে সে ক্রীত্দাসকে অন্য আগ্রহী ক্রেতাদের উপযুক্ত, মূলো বেচেও দেওয়া হত। তখনকার সে উপযুক্ত মূল্য ছিল চ।র থেকে পাঁচশো! ট।কা মাত্র, যার বিবরণ খংজে পাওয়া যেতে পারে মে সময়ের সংবাদপত্রের পাতায় কেননা আগ্রহী ক্রেত। অস্ঠ- সন্ধানের জন্য খবরের কাগজে যে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হত, তাতেই উল্লিখিত হত ক্রীতদাস কেনা-বেচার দর্দস্তর |

সেজন্য মানুষ কেনা-বেচার সেইসঙ্গে ক্রীতদান তৈরীর এই জঘন্য প্রথার বিরুদ্ধে যখন প্রতিবাদ উঠতে থাকলো, তখন সুসভ্য ইংরেজ সাহেবদের টনক নড়লো। শেস পর্ধন্ত বড়লাট উইলবারকে।সের আমলে ১৮৪৪ সাল নাগাদ এই ক্রীতদ[ঘ কেনাবেচ।র প্রথা উঠে গেল। কিন্তু দীর্ঘদিনের চালু প্রথা স্থবিধে- বাদীদের হাড়ে মজ্জায় এমনই মিশে গিযেহিল যে, আইন হলেও সে প্রথার শিকড় গেড়ে বসেছিল এদেশী গ্রথমজীবনের অনেক গভীরে এক্ষেত্রে আর সরাসরি কেনাবেচা নয়, ধণী ভূথ্ধামীদের কাছে অর্ধ বিনিময়ে আত্মবিক্রীত হত হত; র্যাৎ যাকে বলে মন্ষ নিয়ে বন্ধকী কারবার মহাজনের কাছ থেকে জরুরী প্রয়োজনে টাকা ধার কর! হয়েছে, সেজন্য সে হুজুর-মালিকের কাছে চিরদিনের মত আজ্ঞাবহ দাস হয়ে থাকার দাসখত লিখে দেবে অঙ্গসম্ধান-

সংস্কৃতি মানব সমাজ ৭১

কালে এমন ধরনের গোলামিখাটার বহু নজির জেলার নানাস্থানে খুঁজে পাওয়া যায়। একশো বছবের পুরাতন এমন একটি দাশখতের লিখিত দলিল অবশ্ঠ পাওয়া গেছে (বর্তমান লেখকের কাছে সংরক্ষিত) যাঁর বয়ানটি থেকে সে সময়ের এই জঘন্য প্রথাটি সম্পর্কে যথেইঈ অবহিত হওয়া যাঁয়। সেটি হল £ “কণ্ঠ দাঁষখৎ পত্র মিদ্ং কার্যানধ্াগে আমি আমার জমিদার সেবেস্তা হইতে জমী- জমা খাঁষ দখল করিয়া লণয়।য জমীদার সেরেন্তা হইতে পুনরায় বন্দবস্ত করিয়া লইবার জন্য আপনার নিকট ৪৯. উনপঞ্চাঘ টাকা গ্রহণ কৰতঃ অত্র দ|ষখত পত্র লিখিয়া দ্িতেছী অঙ্গীকার কৰিতেছী যে আমি আপনার নিকট ইন্তক বত্তামান সনের জ্যোষ্ট নাগাইদ আগামী আশাঢ় মাহা পর্যস্ত গণিতা ২৬ মাহার জন্য মোট চুক্তী উনপঞ্চা টাক! বেতন মায় খোরপশাকে অবধাখিতে আমি অগ্য হইতে নিযুক্ত হইলাম। যদ্দি সময়মত কার্য না করি ব৷ চুক্তীভঙ্গ করিয়া ছাড়িয়া যাই, তাহা হইলে আপনার ক্ষতীপূরণ বাবদ ফজদা রবিতে প্ুণিয় হৈব এবং আমার নিজদেহ হইতে আদায় দিব। ইতি...) দেহ বন্ধকের এমন উদাহরণ আর কোথায় খজে পাওয়া যাবে?

সেকালের ধনী ভূন্বামী ব৷ অর্থবানদের কাছে উনপঞ্চাশ টাকায় আত্ম- বিক্রয়ের এই সমাঁজচিত্র বাংলার অত্য।চারিত মানুষেরই এক দর্পণ আর এই সঙ্গেই জানা গেল, এরই নাম দেহ-বন্ধকী কারবার ) টাকা পয়সা, ভূসম্পত্তির মতো! গোলাম পোষাও ব্যক্তিগত সম্পত্তির একটা অংশ ছিল সে সময়ে। স্থতরাং যদি পুরুষের জীবন সংগ্রথমের এই কাহিনী হয়, তাহলে আমাদের জননীকুলের অবস্থাটা কি ছিল তা সহজেই অন্গমেয়। তাই বোধ হয় গ্রাম- দেশে মেয়ে জন্মালে আতু ঘরে তাদের পদাঘাত করে স্বাগত জানানো হয়।

22 টি ভিঠিতিঅিউিহঠ 22 ২০. ক্রধিক্রন্তণের বাঙগভূঘিতে

অজ থেকে প্রায় চারশো বছর আগে যে কবি তার কাব্যের প্রতিটি লাইনে ল(ইনে সেকালের গ্রাম্য সবহারাদের জীবন যন্ত্রণার এক নিখ,ত চিত্র একে- ছিলেন, তিনি আজ আমাদের কাছে সম্পূর্ণ আপাডক্তেয়। নেহাতই স্কুল কলেজের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার তগিদে বঙ্গভাঁষাচ্পায় তীর নামটি বঙ্গ-

ণ২ মেদিনীপুর £ সন্তানদের কাছে কেবল উচ্চারিত হয় মাত্র। তা না হলে, আজ গ্বীমঙ্গল কাব্যের বিখ্যাত রচয়িতা কবিকঙ্কন মুকুন্দামের কোন স্থতিচিহ্ন এদেশে নেই কেন? এদেশের কবি-সাহিত্যিক বুদ্ধিলীবীদের যদি তার প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা- ভক্তি থাকতো, তাহলে এদেশের মাটিতে বিদেশী কবিদের স্বৃতিরক্ষা, আয়ে।জনের মতই এই মহান কবির নামটাও সে-সব উদ্যোগের তালিকায় ঠাই পেতো।। বাঙালী যে আত্মবিস্বত জাতি--এ অপবাদ যে একেবারেই মিথ্যে নয়, তা মুকুন্দুবামের আলোচনায় এলে বোবা যাবে।

মৌগল আমলে [িহিদার মামুদ শরিফের অত্যাচ1রে কবি দেশত্য।গণ হতে বাধ্য হয়েছিলেন। সহায়সন্বলহীন অবস্থায় সেই বর্ধমানের দমিন্ত। গ্রাম থেকে হুগলী জেলার ভেতর দিয়ে বহু দুস্তর পথ হেঁটে এবং নদনদী খ।লবিল পেবিয়ে অবশেষে তিনি এসে পৌছেছিলেন মেদিনীপুর জেলার ব্রাঙ্ষণভূম পরগণার আরড়্যাগড়ের ভূত্বামী বীকুড়া রায়ের আশ্রয়ে। অবশ্ত সে সময় ব্রাহ্ষণভূম ছিল বর্ধমন জেলার মধ্যে--পরে তা মেদিনীপুরের অধীন হয়। বলতে গেলে এখানেই কবির কাব্য রচনার স্ুত্রপাত। তাই তিনি আশ্রয়দাত! ভূম্বামীর প্রসঙ্গে লিখেছিলেন,

“নুধন্থ বাঁকুড়া রায়, ভাঙ্গিল সকল দয়, শিশু পাছে কৈল নিয়োজিত। তার সত বখুনাথ, রাজগুণে অবদ1ত, গুরু করি করিল! পুঁজিত

মোটামুটি মূকুন্দরামের লেখায়; তার আত্মপরিচয় প্রসঙ্গে যা বিবৃত হয়েছে তব এইটুকুই হল সারমর্-য|! আজ আমরা সকলেই পাঠ্য বইয়ের দৌলতে কিছু না কিছু জানি। কিন্তু জানিনা, যেখ।নে বসে কবি মানুষের গুথছুঃখের কাহিনী স্তর কাব্যে প্রতিধ্বনিত করেছিলেন সেই আরড়্যাগড়ই বা কোথায় এবং কোন্খানে বা কোন্পথে ?

সুতরাং একদিন এই আশ্বিনের এক দিনক্ষণে বেরিয়ে পড়া গেল আবড়া- গড়ের উদ্দেশ্ঠ। সরকারী প্রকাশনায় মৌজার তালিকায় 'আরড়াগড়'-এর উল্লেখ নেই, আছে গড় আরড়া *বাজার আরড়ী_যা মেদিনীপুর জেলার কেশপুর থানার অন্তর্গত জিজ্ঞাসাবাদে সোজ। পথও একটা মিলে গেল। দক্ষিপপূর্ব রেলপথের খঙ়্াপুর স্টেশনে নেমে খঙ্গাপুর-বাকুড়া বাসে চেপে শালবণি, তারপর আরড়ার উদ্দেশ্তে মেঠো পথ ধরে পাড়ি।

সংস্কৃতি মানব সমাজ ্হ

শীলবনিতে অনেকেই বললেন, সোজা রাস্তায় নদী পেরিয়ে না গেলে একটু ঘুর পথ হবে বটে, তবে পথে কাউকে জিজ্জেস না করলেও চলবে এবং সে কাচ! রাস্তাটি এখান থেকে মাইল খানেক গিয়ে মণ্ুলক্ুপির কাছ থেকে বেঁকে যেতে হবে এবং দুরত্ব হবে মাইল সাঁতেক। আরবাস্তা সংক্ষেপ করতে চাইলে মাঠের মধ্য দিয়ে গিয়ে নদী পেরিয়ে জঙ্গলের পাস্থায় প্রায় মাইল পাঁচেক দৃবত্ব। আমরা পরবর্তী পথটাই বেছে নিলাম

এরপর মাঠের আল বীধের উপর দিয়ে মোজা পুবমুখী মাইলখানেক হাট। দিলাম সামনেই এক নদী বালির উপর নিয়ে একে বেঁকে বয়ে যাওয়! তাঁর জলপ্রবাহ ক্ষীণ মনে হলেও শ্রোতের তেজ দেখাতে ছাড়লে! না কৌোন- রকমে কৌমর ডুবিয়ে গুটি গুটি করে পাঁর হয়ে এপারে এলাম। রাখাল ছেলেরা তখন মোষ চরাচ্ছিল। নদীর নাম জিজ্ঞেম করাতে তারা বললো £ 'লদী আছেক গো বাবু--লামটাম তো৷ জানিনা, পথ চলতি আর এক পথিকেরও জবাঁব। পরে জেনেছি এটির নাম তমাল। জেলাতেই এর উৎপন্তি। গড়বেতা। থানার মেট্যাল গ্রামের জঙ্গল থেকে প্রবাহিত হয়ে গোয়ালতোড়ের পাশ ঘেসে আর এক উপনদী “বুড়াই-এর জলধারায় পুষ্ট হয়ে সোজা পুবে এসে মিশেছে কেশপুর থানার জগন্নাথপুরের কাছে “কুবাই'এ। তারপর সেখান থেকে দুই নদী একত্রে শিলাই সঙ্গমে

নদী পেরিয়ে মাইলখানেক আবার ধ।নের মাঠ। মাঠ পেরিয়ে এক শ্রীহীন পল্লী--চলতি কথায় নাম কেঞ্াপাড়া, পোষাকী নাম জোড় কেউদি (বোধ হয় জোড়া কেদদ বা কেন্দু পাঁতীর গাছের জন্তে স্থানের এই নামকরণ)। তারপর সেখান থেকে ঝামাপাথরের মুড়ি বিছানো এক বিস্তীর্ণ প্রান্তর ক্রমশঃ যেন চড়াই হয়ে আকাশের দিকে উঠে গেছে। এটারও দুরত্ব প্রায় মাইল খাঁনেক। চড়াই পাব হতেই সাঁমসে এক শালের জঙ্গল জঙ্গলের ডালপাল। কেটে কেটে তাদের বাড়বাঁড়গ্তকে যেন দমিয়ে রাখা হয়েছে এর মধ্য দিয়েই সরু এক পায়ে চলা পথ। প্রায় মাইল দেড়েক হাটার পর বন শেষ হল, তারপর আবার ধানের ক্ষেত। এবার উত্রাই হয়ে নেমে এসে ধরলাম বেশ চওড়া একট মাঁটির রাস্তা। মনে হল কাচ৷ বাস্তায় ঘুরে এলে এই রাস্তাই ধরতে হত।

দুপুর তখন সাড়ে এগারোটা রাস্তায় কোন জনপ্রাণীর দেখা নেই। কাছেই এক বটগাছের তলায় পাঁচনবাড়ি হাতে আর এক রাখাল শিশু সেই আমাদের মাইল খানেক দূরের এক গঁ। দেখিয়ে আমাদের পথনির্দেশ করে দিল।

৭8 | মেদিনীপুর £

তারপর আবার হাটাঁ। বেশ খানিকট! চড়াই রাস্তায় এসে পথে বাঁক ঘুবাতেই নিশানা মত গ্রামে পৌছে গেলাম।

পুবদিকে এক জঙ্গলের ধার ঘেঁসে গ্রাম। আর এই গ্রামই হল বাজার আরড়া। নামেই বাজার আরড়া, কিন্তু বাজারের কোন চিহ্ছমাত্রই নেই। হয়ত রাজ[দের আমলে তাদের পাইক-পেয়াদী, অ.মলা-গে মস্ত আর ক্নচারীদের প্রয়োজনে একদা এখানে যে বাজারটি গড়ে উঠেছিল, তই আজ বাজার থেকে গ্রামে পরিণত হয়েছে। গ্রামে রয়েছে পঁচিশ-ত্রিশ ঘর লোকের বাস। এন মধ্যে দশ ঘর কুম্তকার, চার খর গন্ধবণিক, এক খর কামর এবং অবশিঃ মাহাতো আর আদিবাসী প্রভৃতি সম্প্রদায় নিয়েই বনবাস। অধিকাংশই খড়ে। মাটির বাড়ি--তবে তার মধ্যে আটচাল! গড়নের ব।ড়িগুলির স্থাপতা সহজেই মন ভুলিয়ে দেয়। গ্রামের কণ্বর গদ্ধবণিকরাই মনে হঘ একটু বিভ্তবান-_ কারণ তাদের টিনের ছাউনি এবং পাকাবাড়িই তাদের স্থাচ্ছুন্দটের কথ। জানান দেয়।

তবে সব মিলিয়ে গ্রামের চেহ|র। একেবারে হীন সেই চারশো বছর আগে মুকুন্দর।মের বর্ণনায় যে নিম্নবর্ণের গবীব শ্রমঙ্গীবীর চিএ আঙ্ঈত হয়েছিল আজও তাই যেন এখানে রয়েছে। গ্রামের কুম্তকারব। এখন তদের জাতি- বৃ্তি শিয়েই রয়েছেন বাদ বাকী স।মান্য জমিজমার অধিক[দী ক্ষেতমজুর সম্প্রদায় জীবন জীবিকার তাগিদে যে ক্ষতবিক্ষত তা গ্রামের পরিবেশ দেখলেই মালুম হয় গ্রামের মাঁচিতে আষ্টেপুষ্ে ঝামাপাথর। তাই তেমণ পুকর-ডোবা নেই। মুকুন্দর|মের বর্ণনামত দু'এক জায়গায় চৌকো! করে পাথর খড়ে প্রতি বাড়ী কুপের সঞ্চয়? দেখা গেল নিথর নিস্পন্দ এক গ্রাম দেখলেই মনে হয় উন্নয়নের অভাবে ধু কতে ধু কতে যেন শেষ সীমায় এসে দীড়িয়েছে।

গ্রাম থেকে দক্ষিণে প্রায় কোয়।টণর মাইল দুরত্ধে রাজাদের গড়--যা গড়আবড়া নামে পরিচিত মাঠের মধ্যে জমির সরু আল ধরে অবশেনে চলে এলাম গড়আরড়ায়। প্রায় চারশো-লাড়ে চারশো বছর আগের গড়বাড়ির চতুর্দিকে প্রাচীন সে গড়খ|ই-এর চিহ্ন বর্তমান গড়ের মধ্যে উত্তর গ। লেগে আয়তাকার এক পুক্ষবিণী। বঝামাপাথর সরিয়ে পুকুর থেড়। বিত্তবান ভূম্বামীর পক্ষেই সম্ভব ছিল। তাই দীর্ঘ এত বছর পার করেও পুক্ষরিণীটি তার জলধারা বক্ষে ধরে আজও টিকে রষেছে। তবে ত। ঝাঁঝি শেওল! আর ঘাসের জঙ্গলে বোঝাই। মাছের বদলে বড়ে। আকারের জৌক-_যা মানুষের সঙ্গ

লংস্কৃতি মানব মমাঁজ ৭৫

পেলে কিছুতেই ছাড়তে চায় না। ঝামাপাখরে বাঁধানো ঘাটের চিহ্ও রয়েছে দক্ষিণপাঁড়ে। পশ্চিমপাড়ে পুকুরের জল নিফাশনের জন্য সেই জল-প্রণালীর অস্থিত্ আজও রয়েছে

বাস্তর চতুর্দিকে পাথরের স্তুপ। পাতলা ভাঙ্গা ইট আর খোলামকুচির রাজত্ব। তাই রাজবাড়ির এলাকায় কোনট1 যে কি বাড়িঘর ছিল তা৷ আজ বোঝা দুক্ষর। যদিও বাঁ কিছুর্টা বোঝা যেত তাঁর চিহ্ৃও শেষ করে দিয়েছে ামটাদপুর গ্রামের সীতারামজী'উ অস্থলের মহন্ত মহারাজারাঁ। তারা তাদের জমিদারীর দখলিম্বত্ব বজায় রাখতে বাজবাঁড়ির পোড়ো৷ আবর্জন। ঝামাপাঁথব- গুলিকে খুলে নিয়ে বেচে দিয়েছেন ফলে জায়গা শ্মশ।ন হয়ে গেল কিনা বা কবির শেষ স্থতিচিহ্ন কোনকিছু নষ্ট হয়ে গেল কিন? তা তাদের দেখার তে। কথা নয়-_-সবই ঠাকুরের ইচ্ছা! কিনা। দেশ-পাড়াগায়ে জমির দখল বা বেদখল নিয়ে যদিও বা কখে ফাঁড়।নো যায়, কিন্তু মহৎ ব্যক্তিদের স্কুতি সংরক্ষণে গরজটাই বা কি? তাতে ভোট আসবে, না জমির দখল পাওয়া যাবে? সুতরাং যা হবার তাই হয়েছে। কবিকঙ্কনের সাহিত্য সাঁধনাঁর পটভূমি এখন ধুলিস্তাৎ। তার উপর এদেশের পণ্ডিত বুদ্ধিজীবী, কবি সাহিত্যিকদের এই গ্রাম্য সেকেলে কবি সম্পর্কে অনীহাঁর কারণে সেই কবিতীর্ঘথ অজ নরকভূমিতে পরিণত

এসব দুঃখ আক্ষেপ করতে করতে আরড়াগড় থেকে ভর ছুপুবের রোদ মাথায় করে চললাম, মুকুন্দঝামের আশ্রয়দাতা বাকুড়া রায়ের পুত্র বঘুনাথ রায়ের প্রতিঠত জয়চ গ্রীর মন্দির দেখতে পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে রধুনাথ রায়ের গৃহ শিক্ষক ছিলেন মুকন্দরাম় সে গ্রামও এখাঁন থেকে মাইল খানেক দুরত্ে শাল জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পুবমৃখী এলেই ল।গোয়! গ্রাম জয়পুর গ্রামের উত্তর প্রান্তে এক প্রকাণ্ড বটগাছের নীচে দক্ষিণমুখী জয়চ গ্বীর মন্দির এবং তার পিহনেই একটি মজ! পুফ্করিণী_যার জল গ্রামের জনসাধারণ আজও পানীয় হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন।

কিন্ত দেবীর মন্দির শুধু নামেই। যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে সে মন্দির বর্তমানে ভন্রশুপে পরিণত হয়েছে। মন্দিরের ঝামাপাথরের দেওয়াল ভেঙ্গে পড়ায় নানান ধরনের পাথর ইতস্তত: ছড়ানো সাবেক আমলে গাথনিতে মশলার বদলে পাথর ধবে রাখার জন্য লোহার হুকের যে প্রচলন ছিল তারই নজির রয়েছে এসব পাথরের গায়ে বর্তমানে চারদ্দিকে সামান্ত দেওয়াল তুলে

৭৬ মেদিনীপুর খড়ের ছাউনি করে দেওয়া হয়েছে মন্দিরটিতে কিন্তু সে খড়ের ছাউনির কাঠামো সেই কবেই ভেঙ্গে পড়েছে--কেউ মেরামত করার নেই। জয়চদ্দীর আসল বিগ্রহটিও বর্তমানে অন্তহিত। পূজারী ব্রাঙ্গণের কথায় জানা গেল, মন্দির ভেঙ্গে পড়ায় বিগ্রহও তার সঙ্গে ভেঙ্গে গুড়িয়ে যায়। াঁই বর্তমানে উত্তর দেওয়ালে পঙ্খপলেস্তারায় সিংহবাহিনীর এক মৃত্তি নির্মাণ করে দেওয়া! হয়েছে কোনক্রমে এঁতিহ বজায় বাখার জন্যে

কবিকঙ্কন মৃকুন্দরামের স্থৃতি বিজড়িত এসব পুবাকীন্তি দেখতে দেখতে কখন যে দুপুর গড়িয়ে এসেছে খেয়ল নেই। এবার ফেরার পালা তবে ফেরার সময় আর ওপথে নয় বরং মুকুন্দবাম যে পথ ধরে এসেছিলেন সেই পথ অনুসন্ধান করে ফিরলে মন্দ হয় না। তাই জয়পুর থেকে বেরিয়ে প্রাচীন সেই পথ অন্থমান কঝে এগিয়ে চললাম সামনে রে।লাপাট গাম, বাঁদিকে রয়ে গেল শাামচাদপুর, তারপর সলিডিহাঁ। বর্তমান পথ এড়িয়ে পুরাতন পথ ধরে এলাম তুষখালি, তারপর ধারাশোল গ্রাম পেরিয়ে এলাম কুব।ই নদের তীরে সেটির ক্ষীণ জেত পেরিয়ে সেই পুর।তন পথ ধরেই এল।ম আগমুড়া থেকে শিরসা শিরসা একসময় যে বরধিষু। গ্রাম ছিল তা ১৭৭১ গ্রীষ্টাব্দের রেনেল সাহেবের ম্যাপে এবং আঠার শতকের শেষ দ্রিকে ইংবেজ শাসনকর্ত[দের চিঠি- পত্রেও এর উল্লেখ পাওয়া যায়। এবার শিরসা থেকে মোহবণি, শশ[বনি গ্রাম পেরিয়ে চলে এল।ম তলকুঁয়াইয়ের কাছে নেড়া দেউল শিবমন্দির প্রাঙ্গণে, অর্থাৎ পুরাতন বাদশহী সড়কের সংযোগস্থলে | মুকুন্দুরামের লেখায় যদিও পথের কোন উদ্লেখ নেই তবুও অন্তমান করা যায়, কৰি তীর লেখায় যে গোচড্যা গ্রামের উল্লেখ করেছেন বর্তমানের সেই গুচুড়ে গ্রাম থেকে সম্ভবতঃ মেঠো পথ ধরে তলকুঁয়াই হয়ে গড় আবড়ায় পৌছেছিলেন উন্নিখিত পথ ধরে। অবশ্ট সবহ অন্রমান, কারণ এছাড়। গড়আবড়ায় যাবার আর কোন পথই ছিলনা সেসময়।

যাই হোক, এখানের এই কবিতীর্ঘে এস গভীর দুঃখবোধ হচ্ছিল এই ভেবে যে, এক অখ্যাত গ্রামে বসে যিনি সমকালীন সমাজজীবনের এক মূল্যবান এঁতিহাঁপিক উপাদান আমাদের হতে তুলে দিয়েছিলেন, তার সামান্য কোন স্বৃতিচিহ্নের নিদর্শন নেই কেন? অথবা পৌছোনোর জন্যে একটু ভালো! বাস্তা? একদা বিগ্ামাগরের জন্মভিটারও তো৷ এই হাল ছিল) কিন্ত তদানীন্তন রাজকর্মচারী বিনয়রঞ্জন সেনের মত এক আমলার প্রচেষ্টায় বীরসিংহ

সংস্কৃতি মানব সমাজ গ্রামে বিষ্াসাগর স্থৃতি রক্ষণে বাঙালীর সেদিন মুখরক্ষা। হয়েছিল। সেদিনের বাজপুরুষের কাল নেই, পরিবর্তে অনেক জন-প্রতিনিধি আজকের যুগে এসেছেন

সমাজতন্ব সাম্যতন্ত্বের সিড়ি বেয়ে এখন তাঁদের কি বিষয়ে কোন কর্তব্য নেই ?

১১. জিলঙ্গনর, ল। জিরসর, ভা হাবিভাটি

কোলকাতা থেকে মেদিনীপুর শহরে ঢুকতে গেলেই পড়বে কাসাই নদী এখন তাঁর ওপর যে নতুন সেতুটি নিষ্সিত হয়েছে, তাঁর নাম “বীরেন্দ্র সেতু” স্বাধীনত। আন্দোলনের নিষ্ঠাবান টৈনিক বীরেন্দ্রনাথ শাসমল জনগণের আপন নেতা হিসাবে একদী। ছিলেন মেদিনীপুরের মুকুটহীন সমট সেতু তীরই স্থৃতির উদ্দেশ্টে নিবেদন করে যথার্থ কাজই করেছেন পূর্ত (সড়ক) বিভাগ কিন্তু সেতু নিযে আ্গকের প্রসঙ্গ নয়__একটি গ্রামে যাবার দ্িগদর্শন হিসেবেই এই সেতুটি উপলক্ষা মাত্র

অবশ্য আমর গন্তব্যস্থল হচ্ছে বালিহাটি গ্রাম স্থতরাং এই সেতুর দক্ষিণ পাড় দিয়েই ইটা দিতে হবে সোঁজী পূব দিকে পাশ দিয়েই সোনালী চিকচিকে বলির গুপর দিযে এঁকে বেঁকে বয়ে চলেছে কাসাই, একান্ত আপন মনে মুগ্ধ হয়ে দেখার মতন এই নিসর্গশোঁভ।। বেশ খানিকটা হাটার পর পৌছে যাওয়া যাব জিনসহর গ্রামের সীমানায়। এদিকে সরকারী পূর্ত (সড়ক) বিভাগের দৌলতে বড় বাস্তার ওপর এক জায়গায় বোডে” গ্রাম-পরিচিতি হিসবে লেখ।ও আছে “জিনশহর্?। এখন আপনার মন বলবে “জনশহর, তাহলে কি ঞ্জিনদেবতা বা জৈনদের শহর? পথ চলতে চলতে গ্রামের ছু" একজন লেকের সঙ্গে দেখাও হয়ে যেতে পারে। গ্রামের নাম £জিনশহব' কেন হল বলতে না পারলেও এটুকু হয়ত বলতে পাঁরবে যে, জেল! মেদিনীপুর আর থানা খঙ্গপুরের অধীন মৌজাটির নম “জিনসর-__জে. এল. নং ২১৫১। “জিনসহর” যখন সরকারী বেকডে “জিনসর' তখন গ্রামের নামকরণ সম্পর্কে যে চিন্তা উকিব,কি দিচ্ছিল, সে চিন্তায় যেন ভ'ট] পড়ে যাবে ঠিক তখনই মন বলতে চাইবে, জিন বা জৈনদের শহর থেকে গ্রামের নাম তাহলে কি হয়নি !

৭৮ মেদিনীপুর :

তবু কিন্তু হাটার শেষ নেই-_কারণ বালিহাটি গ্রাম কতদূরে কে জানে? ১৯৭২ সালে প্রকাশিত “লেট মিডিভ্য।ল টেম্পলস অফ বেঙ্গল" গ্রন্থে (পৃষ্ঠা ১৬) স্বর্গত ডেভিড ম্যাককাস্চন লিখেছিলেন, চতুর্দিকে ঘের! প্রদৃক্ষিণপথযুক্ত এমন একটি সুপ্রাচীন মাকড়া পাথরের মন্দির সম্প্রতি মেদিনীপুর জেল।র বালিহাটিতে আবিষ্কৃত হয়েছে সুতরাং মেই দুল মন্দিরটি দেখার আশায় আজ গ্রে যেতে হচ্ছে বেশ কয়েক মাইল রাস্তা পেরিয়ে |

পথের মাঝেই রাস্তা থেকে ডানদিকে নজরে পড়বে অযত্রে লালিত একট শিবের মন্দির কিন্তু 'তাঁর সমনের দেওয়লে সঁ(টানে। আছে পাথর খোদাই একটি জৈন মৃত্তির মস্তক সত্যই চমকে ওঠার মত এবং ইউরেকা” বলে "[কিয়ে উঠে মন বলতে চাইবে, তবে তে। “জিনশহর” ঠিকই ; সাধন-ভজনের ক্ষেত্র ছিল বলেই পরবর্তী সময়ে এই জৈন সংস্কৃতির ধ্বংসম্পপৈর ওপর নতুন করে গ্রাম পত্তনের সময় নামকরণ কর! হয় জিনশহর 'এবং তা ইংবেজ রাজত্বে সাহেবদের জরিপ-ক।গজে হয়ে য।য় ভিনশর”

ততক্ষণে “বালিহাটি? গ্রামের সীমানায় পা পড়ে গেছে। এবার পুর।ণো মন্দিরের কথ! [জজ্জঞেন করলেই গ্রামের লে।কের! দেখিয়ে দেবে সেই প্ছাধার- নয়ন,-এর দিকে না, অন্ধকার চোখের দিকে নয়, পুরাণে মন্দিবটা যেখানে আছে সেইখানটাকেই এরা বলে খ|কেন "আধার নয়ন একট। বিরাট ঝামা পাথরের মন্দির__-গাছপাল। গজিয়ে এমন চেহারা নিয়েছে যে, আদতে এটি যে সত্যিকারের কোন্‌ রীতির মন্দির ছিল, তা বুঝে %5| ছুক্ষর মন্দিরের চতৃর্দিকে ছড়ানে। এয়েছে স।পের খোলম; পাশে একটা নীলকুষ্ি আর তারই লাগোয়। একট। বড়ে। দীঘি

আপনি যখন মন্দির দেখতে ব্যস্ত, তখন দেখবেন ছু” একজন স্থানীয় লোকও এসে হাজির হয়েছেন এদের মধ্যে একজন মুরুব্বি গোছের লোকের হাতে রয়েছে ১৯৭৭ সালের ২রা ফেব্রুয়রীর একখানা খবরের কাগজ সেই কাগজের একদিকে ক।লো লাইনের বাক্। আকারে যে সংবাদটি পরিবেশিত হয়েছে তার দিকে সহজেই আপনার দৃষ্টি যাবে ১৯৭২ সালের ছাপা বইয়েতে ডেভিড, ম্যাককাচ্চন সাহেব এই মন্দির আবিষ্কার সম্পর্কে যাঁদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছেন, তা৷ সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খোদ প্রত্রত বিভাগ

মন্দিরটি নিজেদের আবিষ্কার বলে দাবী করেছেন। শুধু তাই নয়--এই প্রত্তৃত্ব বিভাগের চিন্তাভাবনা যে কীভাবে উদ্বোর পি্ডি বুদে।র ঘাড়ে চাপাতে

সংস্কৃতি মানব সমাজ .

৭৯

পারে তাঁর এক প্রমাণ হল, বালিহাটি গ্রামের মন্দিরটিকে জিনশহর গ্রামের মন্দির বলে চালিয়ে দেওয়।র চেষ্টা মোট কথা, এইভাবেই চলছে আমাদের দেশের প্রত্বতত্ব সম্পদ বক্ষার প্রচেষ্টা!

তাঁ যাঁকগে, মন্দিরটি প্রাচীনত্ব গঠন-পরিকল্পনার অভিনবত্ব একান্তই বিশ্মিত হয়ে দেখার মত। তাছাড়া মেদিনীপুর জেলায় মুসলমান-পূর্ব যুগের এমন কোন প্রাচীন মন্দির পরধন্ত যখন পায়! যায়নি তখন মন্দিরটি এক গুরুত্বপূর্ণ আবির বলেই ধরে নিতে হবে। গ্রামে জৈন মৃত্তিন নিদর্শন থাকায় বা পাশের গ্রামের নাম জিনশহর হওয়ায় বেশ বোঝ যায়, মন্দিরটি ছিল কোন জৈন তীর্যস্করের উদ্দেশ্তে নিবেদিত মবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, মধাভারতের বিশেষ করে খাজুরাহের কতকগুলি মন্দিরের মত মূল মন্দিরের চতুর্দিকে পাথর ঘেরা প্রদক্ষিণ পথ-_য! পুর্ধ ভারতের মন্দিবগুলে।তে ঝড় একট। দেখ। যায় না।

বনজঙ্গল সরিয়ে মন্দিরের ভেতরে ঢুকতে গেলে একটু ভয় হতে পারে। কতদিন ধরে যে অব্যবহ্ণ্য হয়ে রয়েছে কে জানণে। প্রবেশপথটি হল শড়ঙ্গের মত এবং ভেতবে আট ফুট গেলে তবেই পাওয়। যাবে মূল মন্দির_ যেখানে বিগ্রহ আঁধষিত ছিল। এই প্রবেশপথের স্ুড়ঙ্গগথেই আবার ওপরে গঠার শিঁড়ি আছে বাঁদিকের দেওয়ালে তদুপরি মূল মন্দিরের লাগোয়! ছুদিকে দুটি ছোট ছোট কুঠুরীও দেখা যাবে_-যা হয়ত একসময়ে ভাড়ার ঘর বা ভোগ ঠতরীর ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হত।

কিন্তু সবচেয়ে দুঃখের কথা হল, প্রায় হাজীর বছরের এমন এক গুরুত্বপুর্ণ মন্দিরের আজও কোন সংরক্ষণের ব্যবস্থা ব। সংস্কার হয়নি এবং আদৌ হবে কিনা কে জানে? অথচ মন্দিরের খবর জানাজানি হওয়ার পর “বড় বিদ্ধ করেছি জাহির,আল। গবেষকরা! ছুটোছুটি ফেলে দিয়েছেন-__-কীভাবে মন্দির সম্পর্কে জটিল তত্বের ব্যাখ্যা হাজির কবে সংস্কৃতি জগতে নিজের পাণ্ঠিত্য প্রকাশ করে আখের গুছিয়ে তুলতে পারা যায় !

৮৩ দিন রঃ

নে ২১১৪৬ দু বিহিত

২২, স্মৃতি ক্ষান্ত প্রাটীন এক্ত প্রথা : সন্ধান গগংতক্ষণ

বঙ্গ-সংস্কৃতি ভাগ্ারের বহুবিধ এশ্বর্ধ নিয়ে অগ্যাবধি বিচিত্র মব আলে চন গবেষণা হয়েছে কিন্তু গ্রামীণ সমাজজীবনের এমন অনেক অনালোচিত আচাঁর-আচরণ প্রথাকে কেন্দ্র করে একদা যেসব লৌকিক ধ্যান-ধারণা গড়ে উঠেছিল ত'র সবকিছু বিবরণ আজও সংস্কৃতি-অভিমানীদের দৃষ্টির নাগালে পৌছোয় নি। এর কারণ কিন্তু খুবই স্পষ্ট হয় সেসব তুচ্ছ বিষয়গুলি নিয়ে ইংরেজ সাহেবরা ইতিপূর্বে তেমন কিছু বিবরণ রেখে যাঁননি, নয়তো বা দেশের ছোট-বড় কোন সংগ্রহশালাতে এইসব লৌকিক ধ্যানধারণা-প্রস্থত সাংস্কতিক উপকরণ জংগৃহীত হ'য়ে গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণের সহায়ক হ'য়ে উঠতে পারে নি বলেই এত অনীহা এই অবস্থায় আঞ্চলিক গ্র।মীণ সংগ্রহশালাগুলির শুধুমাত্র মূল্যবান সাংস্কতিক নিদর্শন সংগ্রহের উপর দৃি দেয়া ছাড়াও, আমাদের লৌকিক ধাঁন-ধারণাসঞ্জত এইসব অবহেলিত উপকরণগগুলির সন্ধান সংগ্রহের উপর জকরীভাবে দৃষ্টি দেওয়া! একান্তই আব্ঠক হরে পড়েছে। “জরুরী” বলার কারণ এজন্যই যে, গ্রামাঞ্চলের দ্রুত রূপ।গুবের জন্য আমাদের গ্রাম্য-সমাজের যেভাবে আধুনিকীকরণ পর্ব চলেছে, তাঁর ফলে ভবিষ্যতে সেই গ্রামীণ লমাজের বিভিন্ন সাংস্কতিক উপকরণের সন্ধান পাম ছুক্ষর হয়ে উঠবে

বঙ্গ-সংস্ক'তির যে অবহেলিত উপকরণটি নিয়ে এই প্রসঙ্ষের অবতারণ৷ সেটির মূল বিষয় হল, মৃতের প্রতি নিবেদিত শ্মারকস্তস্ভের এক প্রাচীন প্রথা এখন উদ্দা- হবুণ দিয়েই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করা যেতে পাবে। সম্প্রতি মেদিনীপুর জেলার পুরা- কীব্তি সম্পফকিত এক গ্রন্থ রচনার কাজে জেলার বিভিন্ন গ্রীম-গ্রামাস্তরে ঘুরে বেড়া- নোর সময় অনেকগুলি ঝামা-পাথরের মৃত্তি অর্ধপ্রোথিত অবস্থায় নজনে আসে। মেদিনীপুর সদর থানার এলাকাঁধীন জোঁয়ারহ।টি গ্রামে পুরাতন কটক রোডের ধাবে এমন একটি মৃত্তি দেখে থমকে দড়াতে হয়। মুন্তিটি আয়তীকার ঝামা-পাথরের এবং সেটির গায়ে এবড়োখেবড়ৌভাবে খোদিত হয়েছে তলোয়ার হাতে এক

সংস্কৃতি মানব সমাজ ৮১

যোদ্ধার অশ্বারূঢ মৃত্তি। এছাঁড়া এখানে আরও কতকগুলি এই ধরনের মৃত্তি ইতন্ততঃ ছড়িয়ে রয়েছে দেখা! যায়। স্থানীয় অধিব।সীরা এগুলিকে জোয়ারবুড়ী ঠাকুর বলে পূজো করে থাকেন এবং এই ঠাকুরের নামান্থসারে নাকি সে গ্রামের নামকরণও হয়েছে জোয়।রহাটি। কাছাকাছি হবরিশপুর গ্রামের কাছেও এই ধরনের বেশ কিছু মৃত্তি দেখা যায় যা স্থানীয়ভাবে গইবুড়ি ঠাকুর নামে পরিচিত। খগ্গপুর থানার বেনাঁপুরের নিকটবর্তী কাশীজেোড়া শ্যামলপুর গ্রামের কাছে রাস্তার ধারে এই থাঁনা এলাকার কলতানপুর গ্রামের কুমবেশ্বর শিবমন্দ্িরের প্রাঙ্গণে এবং নাবায়ণগড় থানার ১৯কমকরামপুব, হিরাপাড়ী পাকড়সেনী গ্রামেও এইবকম ঢাল-তলোয়ারধারী অশ্ব যে।দ্ধার পাথর খোদ।ই মূত্তিও বেশ কিছু দেখা যাঁয়।

কিন্তু এই মূত্তিগুলি যে কিসের মৃতি সে সম্পর্কে কেউই কোন আলোকপাত করতে পাবেন নি। মৃত্তিগুলি ঝামাপাথরে তৈশী; সুতরাং সেগুলির উপর খোদাই ভাঙ্বর্ষ যে কোনক্রমেই মনোরম হাতে পারে না সেকথা অনস্বীকার্য তাই এই এলোমেলো তক্ষণের কাজ দেখে আমাদের দেশের নান্দনিক শিশ্প- সংগ্রাহকরা এগুলিতে তেমন গুরুত্ব আরোপ করার প্রয়োজন মনে কেন নি। অথচ মানব-সংস্কৃতির ইতিহাসে এই পাথর-খোদাই যোদ্ধাদের মৃত্তি কেন যে পথে-প্রান্তরে অর্ধপ্রোথিত করে বাঁখা হয়েছিল তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা উপ- স্থাপিত কর! হয়েছে বলে জানা নেই। অন্যদিকে, যদদিও-বা এই ধরনের কোন যু্তি সম্পফ্িত বিবরণ পাওয়া যায় সেগুলি এতই বিভ্রান্তিকর যে তা কোন- মতেই গ্রহণ করা যায় না। বিলেতী সাহেবদের লেখা ইতিহাস গেজেটিয়ারে এই জেলার নয়াগ্রাম থানার খেলাড়গড়ে রক্ষিত এমন একটি ক্লোরাইট পাথরে নিগিত পুরুষ নাবীর অশ্ব।রূট মৃত্তি সম্পর্কে এক বিবরণ প্রকাশিত হওয়ায়, এ-মৃত্তি প্রতিষ্ঠার সমাজতত্ব নিয়ে গতীরে প্রবেশ করার বদলে স্থানীয় ইতিহাঁস-রচয়িতারা (দ্রঃ যোগেশচদ্র বন্থ £ মেদিনীপুরের ইতিহাম) এটিকে পারসীক শক প্রতিমৃত্তির অথবা ভারতীয় দেবতা কামদেব রূতিমুৃত্তির সঙ্গে সাদৃশ্যযুক্ত বলে মত প্রকাঁশ করেছেন, যা একাস্তই অবাস্তব চিন্তা- ভাবনা

যাই হোক, পূর্ববণিত ক'টি মু্তিই নয়, এই জেলার নানাস্থানে অঙ্গরূপ আকৃতির ভিন্ন ভিন্ন আরও অনেক মৃত নজরে পড়েছে মেদিনীপুর শহরের আবাসগড়ে যাঁবার পথে প্রায় ছ'ফুট উচ্চতাবি শিষ্ট এন একটি ঝাঁমাপাথরে

৮২ মেদিনীপুর £

খোদাই নারীমৃত্তি অর্ধপ্রোথিত অবস্থায় দেখা যায়। এই বিশ|লাকার মু্তিটি সম্পর্কে স্থানীয়ভাবে কেউ কোন আলোকপ।ত না করলেও কাছাকাছি বাড়ুয়া গ্রামে খোজ পাওয়া গেল যেখানে নাকি এমন বহু মৃত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে

আবাঁসগড় থেকে প্রায় দু" কিলোমিটার উত্তরে বাড়ুয়! গরমের সাতনারাণী- তল! লামে কথিত এক গাহতলার দক্ষিণমুখী করে বসানো এমন নটি মৃতি নজরে পড়ে স্থানীয়ভাবে মুততিগ্ুণিকে বল! হয় সাতনারী বা সাতভগিনী বা সাতবোনী। আবার কেউ কেউ বলেন সাতরাণী, যা থেকে বেশ বে।ঝা যায়, আধুনিক ধর্মকর্মের প্রলেপ নিয়ে এবুই সাতরাণীতে রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু এখা?ন নারী বা বোন অথব) বুণী যাই হোক না কেন, সেগুলি সংখ্যায় সাতের বদলে ন'টি। এমনও হতে পারে, প্রথমে সাতটি মৃতি স্বপনের পরই নামকরণ হয়ে গেছে সাতবোনী বা সাতধাণী। কিন্তু পরে আরও ছুণটি যুক্ত হলেও নামের হ্রেকের ঘটে শি। এখানকার ঝামাপাখরেব উপর খোদাই মৃত্তিগুলিতে দেখা যায়, তীরন্দাজ, ছত্রধারী, ঢা তলো।য়ারধারী প্রভৃতির প্রতিক্ৃতি। আয়তাকার পাথরের উপর উৎকীর্ণ মৃত্তিগুলির উচ্চত। কোনটি ছু"ফুট বা চরফুট, আখ|র কোন কোনটি পাঁচ থেকে সাঁড়ে পঁচফুট। প্রতি বছর ম।ঘ মাসের চার তারিখে গ্রামবাসীরা এখানেই উন্নন খুলে মাটির হাড়িতে দুধ, চাল আর গুড় দিয়ে পরম।ন্ন $তরি করে এইসব মৃত্তির উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন। এই উপলক্ষে এখানে একটি মেলাও বসে থাকে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের বক্তব্য যে তারা বন্তদিন ধরেই এইসব মৃত্তির উদ্দেশ্টে ভোগ নিবেদশ করে আসছেন, কিন্তু এপি যে কোন্‌ দেবতা ব1 কি উদ্দেশ্টে এখানে এগুলিকে বসানো হয়েছে ত। তাদের জনা নেই

তবে, মৃন্তিগুলির সনাক্তকরণ সম্ভব না! হলেও মেদিনীপুর জেলার পশ্চিম- প্রান্ত জুড়েই এই মৃত্তি প্রতিষ্ঠার এলাকা চিহ্নিত করা যায় এবং এই সীমানা! ছড়িয়ে ঝাকুড়া, পুকলিয়া 'ও বিহারের সিংভূম জেল। পর্যস্ত এই এলাকাকে যে বিস্তু'ত করা যায় তার প্রমাণ হ'ল, এসব জেলার নানাস্থানে প্রস্থিষ্টিত এই প্রকারের মুত্তির সমাবেশ দেখা যায়, এহেন মৃত্তিস্থাপনের প্রথা শুধু পশ্চিমবঙ্গ বা বিহারেই সীমাবদ্ধ নয়, এর প্রভাব মধ্যপ্রদেশ থেকে সৌরা্ট পর্যস্তও বিস্তত হায়েছে।

.ঈংস্কৃতি মনৰ সমাজ ৮৩

সম্প্রতি জানা যায়, মধাপ্রদেশের 'ছুরগ জেলার নারীটোলা গ্রামেও এই প্রকুতির প্রায় শ'দেড়েক মূর্তি এক জঙ্গলের মধো উচু টিবিতে অর্ধপ্রোথিত অবস্থায় রয়েছে এবং মৃত্তিগুলির বর্ণনার সঙ্গে পূর্বোক্ত বাড়,য়া গ্রামের মৃত্তিগুলির যথেষ্ট সাদৃশ্তও আছে এখানকার অধিকাংশ মৃত্তিগুলিও ঢল- তলোয়ারধারী অশ্থারূট সৈনিক এবং কততকগ লি নারীম ন্তিও রয়েছে যাঁদের দু'টি হাত উপরের দিকে প্রসারিত নারীটোল৷ গ্রামটির আশেপাশে গো হলবা প্রভৃতি উপজাতীয় সম্প্রদায়ের বসবাস, থর! বিশেষভাবে এই মৃতি- গুলিকে দেবতুলা জ্ঞান করেন এবং তাদের ধারণায় কোন এক অতীতকালে একদল যোদ্ধা স্থানীয় কোন এক বাজার রাজা আক্রমণে এসে অতিপ্রারকত শক্তিবলে পাথবে রূপ।'্তরিত হয়ে যান। সেজন্য বরের এক নি্দিষ্টদিনে বাৎমরিক উত্মবে এইনব মুত্র কাছে জনলাধারণ ন।রকেল মুরগী মাংল নিবেদন করে থাকেন। (দ্রঃ ৬০০1)19 80115611091 1005 /518010 99০9160% £ 56109161061, 1971.)

অতিপ্রাকৃত শক্তির প্রভাবে মাঙ্গষ বা যোদ্ধা যে পাথরের স্তস্তে পরিণত হয় নারীটোলার উদাহরণের মত আমাদের পশ্চিমবাংলাব বাঁকুড়। জেলার ছাতনাতেও তেমন দৃষ্টান্ত রয়েছে ছ।'তনার চাঁব-পাঁচফুট উচ্চতাবিশিষ্ট অঙ্গরূপ ধরনের শিলান্তন্ত সম্পর্কে বিনয় ঘোষ আমার দৃ্ঠি আকর্ষণ করেছেন। সেখানেও এইসব মূত্তি নিয়ে যে কিংবদন্তী প্রচলিত আছে তার সারমর্ম হল, কোন এক সময়ে শক্রপক্ষ সামগ্তভুমের রাজধানী ছাতনা আক্রমণ করায় রাজার কুলদেবী বাস্থলী যে মায়াসেন। স্টি করে শক্রপক্ষকে পরাজিত করেছিলেন তারাই প্রভাতের আলোকে পাথরে বূপাস্তবিত হয়ে যায় (দ্রঃ বিনয় ঘোষ : পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি)। সুতরাং শিলাস্তম্তগুলি যেখানেই প্রতিষ্ঠিত হোক না কেন, এগুলিকে ঘিরে বহু কাহিনী কিংবদপ্তী রচিত হয়েছে, যা তথা-নির্ভরতার অভাবে যথেষ্ট কল্পনা- পক্ষ বিস্তার করেছে।

মধ্যপ্রদেশের মত সৌরাষ্ট্ের জুনাগড় জেলার বটাডি গ্রামেও এই ধরনের মূর্তিণস্থাপনের বেশ কিছু উদাহরণ পাওয়া] গেছে। এখানে শুধু মূর্তির সমাবেশই নয়, এখনও পর্যন্ত এই প্রর্কৃতির মূর্তি” নিবেদন করার প্রথ1ও সেখানে প্রচলিত রয়েছে, যাঁর আলোকে আমর! পশ্চিমবাংলার এইসব পাথরের ফলক প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে কিছুটা অগ্থুমান করতে পারি। সৌরাষ্ট্রের এই রটাডি গ্রামেও দেখা যায়, অপঘাত মৃত্যুজনিত কারণে মৃতের আত্মার শাপ্তি কামনায় পাথরের মুতি”

৮৪ মেদিনপুর

নিবেদন করা হয়। সেজন্য যুদ্ধে মারা যাওয়ার কারণে, মতের উদ্দেস্তে অশ্ব(বোহী যোদ্ধার মৃত্তি বসানো হয়েছে। এছাড়া কোন দুর্ঘটনায়, সাপের কামড়ে, অগ্নিদগ্ধ হয়ে, মতীরূপে সহমরণে বা আত্মহত্যা করে মারা গেলেই নারী-পুরুষ নির্ধিশেষে পাথর খোদাই খাম্ব' বসানোর রীতি আজও সেখানে প্রচলিত রয়েছে খখাম্থ' বা বাংলায় £খান্বা' কথাটির অর্থ হল স্তস্ত যা এখানে ম্মারক- স্তস্ত হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। এইসব মৃত্তির উদ্দেশ্টে গ্ররতি বৎসর দেওয়ালীর সময় নারকেল এবং ভাতের ভোগও নিবেদন করেন গ্রামবাসীরা তবে এখানকার দবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, সতীরূপে সহমরণে মৃত্যুবরণ করায় যে ম্মারকন্তস্ত প্রস্তুত করা হয়েছে সেটিতে রয়েছে খোদাই করা হাতের চিহ্ন। (দ্রঃ 59610810 01501061 6 28100 91081) 2 [২0181 02810800617 4১001780611 91, 00. 39-45 )।

সুতরাং এসব স্ম্তিস্তস্ত প্রেখিত করার উদাহরণ দেখে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, স্মারকস্তস্ত নিবেদন করার প্রথা যথেষ্ট ্বপ্রাচীন। সিংভূম জেলায় কোলদের সমাধিতেও এমন সাদামাঠ! পাথর পরতে দেওয়ার রীতি আজও প্রচলিত রয়েছে। এছাড়া ভারতের অন্যান্তি জাঁতি- উপজাতির মধোও) বিশেষ করে নীলগিরি পাহাড়ের আদিবাসীরা এইসব স্বৃতিস্তস্তকে বলে থাকেন “বীরকল্প, অর্থাৎ কণ্ু, কথার অর্থ পাথর হলে, তা হয় বীবের পাথর বা কীরস্তপ্ত। পশ্চিমবাংলার হুগলী জেলার আরামবাগ অঞ্চলে এইসব ন্তৃতি্তস্তকে বল] হয় “বীরকাড়* (দ্রঃ বিনয় ঘোষ £ পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি)।

স্বৃতিস্তস্ত বা বীরস্তন্ত প্রত্তিষ্ঠার পিছনে যে সমাজতত্ব আত্মগোপন করে আছে, সে সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত কর! গেলেও, পশ্চিমবাংলার ক্ষেত্রে এখনও বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট অনুসন্ধান আবশ্তক। তবে সৌরাষ্ট্রে ঘতীর সহ- মরণে মৃত্যুর কারণে সেখানে পাথরফলকে হাত খোদাই করে দেওয়ার বীতি আবহমানকাল ধরে প্রচলিত এবং সেই প্রথাঁটির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে মতীর সহমরণের উদ্দেস্টে নিবেদিত স্মারকন্তত্তেরও যেন মিল খজে পাওয়া যায়! অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গেও সহমবণে মৃতাদের স্থৃতিরক্ষায় একদা! যে ফলক ব্যবহারের রীতি ছিল তাতেও পাঁচ আঙ্গুলের ছাপ পাওয়া গেছে। কয়েক বৎসর আগে হাওড়া জেলার বালী থানার এলাকাধীন বালীর ঘোষপাঁড়ায় একটি বেশ বড়ো৷ আকারের

সংগ্কতি মানব সমাজ ৮৫

.পোড়'মাটির ফলক মাটির ভেতর থেকে 'আবিষ্কৃত হয়। সেটির একপিঠে লেখা আছে £ “ব্রজনাথ বিমল সতীদাহ ১২০৬১১ | এবং অন্য পিঠে ছু”টি হাতের ছাপের নক্সার সঙ্গে “শ্রী মজু ঘে” “সন ১২৮৫১ এই কথাগুলি উৎকীর্ণ দেখা যায়। বেশ বোঝা যায়, আঠার-শতকের শেষদিকে একসময় সহমরণ অনুষ্ঠানের স্থানে এহেন মতীদাহের ম্মীরকফলক প্রতিষ্ঠা করার বীতি প্রচলিত ছিল। স্থতরাং স্বৃতিরক্ষার এই প্রাচীন প্রথাটি কিন্তু একস্থানেই বা একসময়েই থেমে থাকেনি এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তারই এক রকমফের দেখা যাচ্ছে। এছাড়া ভৌগে।লিক বিছ্ছিন্নতাঁর ফলে এবং অভ্যতার আধুনিকীকরণের পালায় পড়ে অনেকক্ষেত্রে এমনই পরিবর্তন হয়েছে যে এর আসল রূপটি চেনা বড় দুষ্কর হয়ে পড়েছে সেজন্যই দেখা যায় একদ1 যেখানে সতীর মহমরণের মত অপঘাত মৃত্যুতে হাঁতের ছাপ খোদাই পাথরের স্তত্ক ব। ফলক নিবেদনের প্রথ প্রচলিত ছিল, সেখ।নে পরবতীকালে বিশেষ করে আমাদের গ্রাম-বাংলায়, মুতের স্থৃতিরক্ষায় ছোটখাট মন্দির নির্মাণের রীতি অন্গুস্থত হয়েছে এরই স্থক্র ধরে দেখ! যায়, মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানায় হবিনাবায়ণপুর গ্রামে আগুনখাগীর মাড়ো নামে সতীর সহমরণের স্থৃতির উদ্দেশ্যে এমন একটি মন্দির নির্মাণ করে তাতে লিপিফলকণ্ড ণিবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যা থেকে আমর! শ্ৃতিরক্ষার সেই প্রাচীন প্রথার ধারাটিকে অন্ঠসবণ করতে পারি। সুতরাং কেবল পাথরের স্তপ্তের বদলে এই স্থৃতিমন্দির নির্মাণটি যদিও উপরতলার দান, কিন্তু স্থৃতিরক্ষ(র এই প্রথ|টি বহুকালের এক প্রথা, যা মানব- সংস্কৃতির অনেক নীচুতলার দান। তাই মৃতের উদ্দেশ্টে পাথরখোদাই স্তস্ত নিবেদন করার যে আবহমানকালের প্রথা তা ভারতের প্রায় সবত্রই এক খাতে বয়ে এসেছে এবং মে হিসেবে মেদিনীপুর জেলার নানাস্থানে রক্ষিত এইসব পাথরের মৃত্তিগুলিও সেই প্রাচীন প্রথারই এক দৃষ্টান্ত তবে এই পাথরে স্মারকন্তস্ত সংস্কৃতির ধারা যে আবার অন্য খাতেও প্রবাহিত হয়েছে তার উদাহরণ প্রসঙ্গত তুলে ধরা'না হলে বিষয়টি অস্পষ্ট থেকে

৮৬ মেদিনীপুর £ যেতে পারে। জেলার কেশিয়ড়ী থনার কিস্াবাদ ন।মক এক প্রান্তরে এমন বহু পাথরের স্তম্ত দেখা যায় এবং একসময়ে নাকি এমন পাচ-ছশো। পাথবের স্তম্ভ ছিল। ফলে এগুলি সম্পর্কেও কল্পনানিঞর বহু কিংবদঘ্তী গজিয়ে উঠেছে। যোগেশচন্দ্র বস্থ তার লেখা “মেদিনীপুরের ইতিহাস” গ্রন্থে সম্পর্কে ছু*টি অন্ুমাননির্ভর ব্যাখ্যা উপস্থিত কবেছেন। তার মতে, হয়ত বা গ্রাগেতিহানিক যুগের আদিম নিবামীদের মৃত আত্মীয়-স্বজনের সমাধিস্তস্ত, অথবা আঠার- শতকের জহর সিংহ নামে কোন স্থানীয় ভূষ্বামী কতৃক এই ধরনের হাজারখানেক স্তম্ভ বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহপূর্ক শক্রপক্ষের বিভ্রম সৃষ্টির উদ্দেশ্তে এখনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

আসলে এখানকার স্তন্তগুলি কিন্তু পূর্বে উল্লিখিত স্তস্তগুলির মত আয়তাকার নয় বা এর গায়ে তেমন কোন মৃত্তিও খোদই করা নেই। মূলতঃ এটি দেখতে ওড়িশ! রীতি প্রভাবিত শিখর-দেউলের আকৃতিসদৃশ এক ক্ষুদ্র স্করণ এবং বিশেষভ।বে সেগুলিতে দেউল-মন্দিরের আমলক অংশটির ভাম্বর্ পরিসষ্ফটিত। একসময়ে কোন মনস্কামনা পূরণের জন্ত সেই দেবতার মন্দির- চত্বরে এই প্রকৃতির ক্ষুদ্রাকার মন্দির নিখেদন করার রীতি প্রচলিত ছিল, যে প্রথা আজও ওড়িশার বিভিন্ন স্থানে দেখ] যাঁয়। জৈনধর্মবলম্বীদের মধ্যেও একদা এইরকমের ন্ুদৃশ্য খোদাই করা আমলকযুক্ত ক্ষুদ্রকার শিখরমন্দির নিবেদন করার প্রথা যে চলিত ছিল তার এক দৃষ্টান্ত দেখা যায়-_ওড়িশার ভুবনেশ্বরের কাছে খগ্ুগিরির জৈনমন্দিরের চত্বরে এমন অজ ক্ষুদ্রাকার নিবেদন- মন্দিরের অবস্থাপন। সুদূর পূর্বভারতের নাগাল্যাণ্তের ডিমাপুরে একদ] কাছারী রাজদের রাজত্বক।লেও ( ১৩-১৬ শতক ) এমন অনেক পাথর খোদাই নিবেদন- মন্দিরের অস্তিত্ব দেখ! যায়, যা আফ্কৃতিতে দাবার ঘুটির মত। উদ্দেশ্য যে একই ধরনের মানত নিবেদনের প্রথা, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। এছাড়া পুরুলিয়া জেলার মানবাজার থানা এলাকার টুইসাম! গ্রামের এক মন্দিরচত্বরে এইগ্রকার বহু ছেটি ছোঁট দেউলাকৃতি স্ততও যে এই মানত উদ্দেশ্টে সংস্থাপিত হয়েছিল তাতে কোন সংশয় নেই। কিন্তু আলোচ্য কিয়ারটাদের কাছে বর্তমানে কোন মন্দিরের অস্তিত্ব ন৷ থাকলেও একসময়ে যে এখানে এক বিরাট মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল সেটির পাথরের আমলকসহ ভগ্নাবশেষ এখানে লক্ষ্য করা যায়।

মানত হিসাবে ক্ষুদ্রকার দেউল-মন্দির নিবেদন করার প্রথা কিয্বারঠাদ

পংস্কৃতি মানব সমাজ | ৮৭

হাড়।ও জেলার অন্যত্র যে প্র্লিত ছিল তার কিছু নিদর্শন পাওয়া! গেছে। সম্প্রতি অন্রসন্ধানক।লে ডেবব! থানার ডিঙ্গল গ্রামের নরসিংহ শিবমন্দির, পিঙ্গলা খানার নয়া গ্রামের শীতল! মন্দির এবং নারায়ণগড় থানার গোবিন্দপুরের শিবমন্দিরে অনুরূপ ক্ষত্ররকর ঝামাপাথবরের নিবেদন মন্দিরও দেখ! গেছে, যা কোনসময় হয়ত মানত হিসেবেই প্রদত্ত হয়েছিল। এছাড়া পূর্বোক্ত বাড়য়া গ্রামের নিকটবর্তী কলাইচ নবীর মাঠেও এই প্রকারের বেশকিছু স্তনের অনস্থিতি এই মানত প্রথার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। পরবর্তীকালে এই প্রথারই আর একট মাজিত সংস্করণ আমাদদর এই পশ্চিমধাংলাতেই দেখ যায়, যার প্রকুষ্ট উদাহরন হল বীরভূম জেলার বক্রেবর, যেখানে এই ধরনের অসংখা ছোট-বড় মন্দির নির্মাণ করে দেওয়।র বীতি একদা প্রচলিত ছিল

স্থতরাঁং আলোচিত এইসব তথ্য থেকে আমাদের কাছে যে তিনটি প্রাচীন প্রথাগত রীতির পরিচয় উদ্য1টিত হয়, তাঁর মধো প্রথমটি হল, আদিবাসীদের মৃতদেহ সমাধিস্থ করার পর পাথরের সাধারণ স্তল্ত প্রে(খিত করা, ষ। প্রত্বততের কথায় বলা যেতে পারে “মেনহির'। দ্বিতীয়টি হল, প্রিয়জনের মৃত্যুতে বা অপঘাত মৃত্তাতে আত্মার শাপ্তিলতের জন্য মৃত্তিখো দিত ম্মীরক্তস্ক দেবার এক প্রাচীন প্রথা এবং সব শেষেরটি হল, মানত হিসাবে ক্ষুদ্রাকার দেবালয়সদৃশ স্তঙ উৎসর্গ করার প্রথা! তবে বিভিন্ন জাতিগোষঠী সম্প্রদ।য়ের মধ্যে নান।বিধ আঞ্চলিক সংস্কৃতি সংঘ।তের দরুন আচার-অন্ষ্ঠানের এতই পরিবর্তন ঘটেছে যে, আমল রূপটিকে চিনে বের কর! খবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। স্থুতবাং পরিবর্তনের সেই তারতমোর মধো মেদিনীপুর জেলার এই স্থবৃতিস্তন্ত নিবেদনের প্রথাটি অংশীভৃত হলেও সেগুলি আজও অতীতের সাক্ষ্যস্থবীপ টিকে রয়েছে।

সেজন্যই আজ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে এগুলি সম্পর্কে জেলাভিত্তিক যথাধথ বিবরণ সংগ্রহ করে সেগুলির সমাজতব ইতিহাস সম্পর্কে আরও গভীর তত্বানসন্ধান করা। পরিশেষে, বিষয়টি নিয়ে ঘর্দি আঞ্চলিক গ্রামীণ সংগ্রহশালার কতৃপক্ষ, বিভিন্ন ধরনের ন্মারক ব৷ স্থতিস্তস্ত নিবেদন-মন্দির সম্পর্কে যথাযথ অনুসন্ধানপূর্বক এলাকাগত ব্যাপ্তি দেখিয়ে একটি মানচিত্র প্রপয়ন করেন তাহলে এবিষয়ে নৃতব প্রত্বতত্বের ভবিষ্যৎ গবেষকরা যে ঘথে? উপকৃত হবেন, তা! বলাই বাল্য

৮৮

মেদিনীপুর £

০০০ ২৩. ঢঘ্রক্রায় প্রজা বিক্ষোভ |

“..-চমকায় ত্রা্গধর্ম লইয়৷ এক মহা গোলমাল উপস্থিত হইয়াছে তথাকার সামান্য কর্মাপজীবি এক বাক্তির একটি সগ্তান ব্রাহ্মধর্মের আলোকপ্রাঞ্চ হইয়! পৌত্তলিকতার প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করে। তজ্জন্য তাহার প্রতিবেশী কুটুম্ববান্ধব তাহার প্রতি অত্যন্ত বিরক্তি প্রকাশ করিয়াছিল। একদিবস তাহারা সকলে চক্রাপ্ত করিয়া কোন কার্ষেপলক্ষে তাহাকে সঙ্গে লইয়৷ আহার করিবে না এই প্রতিজ্ঞা করিয়া বসিল। তাহা শ্রবণ করিয়৷ আমদের শ্রদ্ধা- স্পদ ব্রান্ষবন্ধু শ্রীযুক্ত বাবু নবীনচন্ত্র নাগ মহাশয় সেই ব্রাক্ষধর্মীরাগীর সাহারধ্যার্থ আপনি অগ্রর হইলেন। তিনি ভিন্ন গ্রম হইতে সেই জাতীয় প্রাম় শতাধিক লোককে আনয়ন করিয়া! তাহার সঙ্গে আহার করাইলেন। আহাবান্তে তাহারা সকলে 'ব্রাঙ্মধর্মের জয় 'ব্রাঙ্মধর্মের জয় বলিয়া উঠিল। ইহা ঘটিবার পরেই অন্য গ্রামস্থ তজ্জ।তীয় সকল লেক সেই কতকগুলি ব্যক্তির সহিত আহারাদ্দি বন্ধ করিয়াছে স্তরাং তাহারা একঘরে হইয়! পড়িয়াছে'..” এক বাতিল চিঠির অংশবিশেষ ; আজ থেকে ১১৭ বছর আগে লেখা!। যার উদ্দেশ্তে এই চিঠি লেখা হয়েছিল তিনি হলেন মেদিনীপুর ব্রাঙ্মদমাজের তদানীন্তন সম্পাদক শ্রযহনথ শীল এবং চিঠির লেখক হলেন পিঙল।র শ্রাঈশান- চন্দ্র বনু ধিনি মেদিনীপুরের খধি বাজন।রারণের সংগঠিত ব্রাক্ষধর্মের প্রলাবে একজন উল্লেখযোগা সহযোগী ছিলেন এবং ব্রাঙ্গধর্ম প্রচারে তার তৎপরতা সম্পর্কে ভিনি প্রায়ই ব্রাঙ্গলমীজে যেসব প্রতিবেদন পাঠাতেন এটি তারই এক | অংশবিশেষ চিঠি থেকে বেশ বোঝা যাচ্ছে সে সময়ে মেদিনীপুর জেলায় ভ্রাঙ্গধর্ম গ্রসারে কিভাবে প্রচারক অশঝ।গীদের দুস্তর বাধার সম্মুখীন হতে হয়ে- ছিল। বলতে গেলে এটি সে সময়ে ব্রাঙ্ষধর্ম প্রচার সংক্রান্ত এক মূল্যবান দলিল

এছাড়া চিঠিতে চমক গ্রামের ত্রীহ্গবন্ধু শ্রীনবীনচন্দ্র নাগের যে উল্লেখ পাওয়া গেল, তিনিও যে খষি রজনারায়ণের একঞ্জন পরিচিত সুহর্দ ছিলেন তাও আমর! তার লেখা “আত্মচরিত' থেকে জানতে পারি জেলা স্কুলের গ্রধান শিক্ষক হয়ে রাঁজনারায়ণ ১৮৫১ খ্রীষ্টাব্দে মেদদিনীপুরে আসেন এবং সেখানে তিনি যেসব কাজ করেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মেদিনীপুরে ব্রাঙ্মদমাজ

সংস্কৃতি মানব সমাজ ৮৯

গৃহ প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে “আত্মচরি্-এ তিনি লিখেছেন £ ..কয়েকবত্সর পরে চাদ! ছারা এক সমাঁজগৃহ নি্মীণ কর! যায় | ইহার নির্মাণে ২,০০০ টাকার কিছু অধিক পড়ে, তন্মধ্যে দেবেন্ত্রবাবু ( দেবেন্দ্রনাথ ঠাঁকুর ) ৮০* টাকা দেন। ব্রাহ্মদিগের মধ্যে জমিদার নবীনচন্দ্র নাগ, অখিলচন্দ্র দত্ত এবং নীলকমল দে ছিলেন.

রাজনারায়ণ বন্তর আত্মজীবনী থেকে জান! যাচ্ছে আলোচ্য নবীনবাধু ছিলেন পেশায় জমিদার আর কাধদক্ষতা সম্পর্কে পূর্বোক্ত ঈশানবাবু আরও লিখেছেন যে, হিন্দুমতে ইন্দ্র ছাদশীতে স্থানীয় বণিজ্য-ব্যবসায়ী ভূম্যধিকারী- গণ যে ইন্দ্রপূজার অনুষ্ঠান করে থাকেন তাতে সেবার নবীনবাবু “তাহা উঠাইয়া দিয়! ব্রন্গোপাসন] করিয়া পুণ্যাহের কার্য সমাধ। করিয়াছেন। এই উপলক্ষে দেশবিদেশ হইতে নবীনবাবুর বহু সংখ্যক প্রজা চমকার সান্নিধ্য গ্রামবাসী অনেক ভন্রলোক নিমন্ত্রিত হইয়।ছিলেন। ব্রান্ধণ পণ্ডিত কতকগুলিও সমাগত হইয়/ছিলেন। সেদিন অ।মরা উপাসনার পরে ব্রহ্মসঙ্গীত স্ধাপানে সমস্তদিন অর্ধরাত্রি পর্যন্ত অতিবাহিত করি। নিমন্ত্রিত সকলে নবীনবাবুর এই উৎসাহ দেখিয়া চমত্কৃত হইয়হিলেন। চমকায় আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই সেদিন আনন্দ প্রকাশ করিয়।ছিল".",

চমক! গ্রামের নবীনবাবু জমিদার, তাই বহুসংখ্যক প্রজা যে জমিদীরের পৃষ্ঠপোষকতায় পৌত্তলিকতার বিরদ্ধে ব্রাঙ্গ-ধর্মমভায় যোগদান করেন এটাই তো স্বাভাবিক ঘটনা কিন্তু ব্রান্ষ-ধর্মসভার এই উপাসনায় ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের সমাগম দেখে একান্তই চমক লাগে! কি জানি, এক শতাব্বী আগে চমকা গ্রামে জমিদারী সহায়তায় ব্রাক্গধর্ম প্রচার কিভাবে সংগঠিত হয়েছিল এবং গ্রামের মানুষরাই বা! কিভাবে এই নবধম'কে তাদের হৃদয়ে স্ান দিয়েছিলেন-_ প্রশ্ন থেকে যায়। অন্ততঃ জিজ্ঞামার কিছুটা! জবাব মিললে একট। মূল্যায়ন হয়ত তখন করা সন্তব হস্ত। তবে চমকা-কাহিনীর এখানেই ইতি টেনে দেওয়া যেতে পারতো, কিন্তু এর সঙ্গে জড়িত পরবর্তাঁ ঘটনা যে এমনভাবে আবিষ্কৃত হয়ে চমক লাগাবে তা কে জানতো?

খা সা রঃ

সেবারে চলেছিলাম, নিশ্চিন্তা গ্রামের পথে। দক্ষিণপূর্ব রেলপথের মাদপুর স্টেশনে নেমে দক্ষিণে এক লাল মোরামের রাস্তা ধরলাম। ব্রিটিশ আমলের তৈরী এক সেচখালের ধার বরাবর সেই রাস্তা হাটাপথেই জেনেছি মাইল

৯৪ মেদিনীপুর £ তিনেক দুরে নিশ্িন্তা গ্রাম ; যেখানে রয়েছে খালের উপর ক্সংইশ গেট-_যা! চিনে নেবার পক্ষে স্ববিধে। 'ঈতরাং সেখানট1 সনাক্ত করতে কোন অনুবিধাই হল না। বেশ জমজমাট জায়গ!, ছোটখাটে। দে।কানপাট এবং আশপাশের চায়ের দোকানে ছেলে-ছোকরাদের অলস জটল।। পুব দিকে মাঠ পেরিয়ে প্রায় আধমাইল তফাতে গ্রামের গাছপালার মাথার উপর দিয়ে এক মন্দিরের চূড়া যেন উকি মারছে গ্রামটার নাম শুনে কিন্তু চমকে উঠলাম কেননা ওই গ্রামটাই হল চমক! আর মন্দিরটাই হল নাগ-'ফ্য।মিলি'দের মন্দির

স্থতরাং চমকায় এখন না গেলে কি চলে! ঈশানবাবুর সেই প্রতিবেদন যেন কানের কাছে প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠলো চমকায় হাল আমলের নাগ পরিবারের আভিজাত্য এরশ্বর্ধ চমকে দেবার মত না হলেও সে-পরিবারের ইটের নবরত্ব মন্দিরটি দেখে সত্যিই চমক লাগে যদিও অবহেলা-অনাদরে মন্দিরের চারপাশ জঙ্গলে ঢেকে গেছে, তাহলেও মন্দির দেওয়ালে পোড়ামাটির সজ্জা একান্তই মুগ্ধ হয়ে দেখার মত। নাগেদের গৃহদেবত। শ্রীধরজীউর জন্য মন্দিরটি নিখ্িত হয়েছিল আজ থেকে ১২৫ বছর আগে মন্দিরের গায়ে উতৎকীর্ণ প্রতিষ্ঠালিপি থেকে জান! যায় এ-পরিবারের অধেধ্যারাম নাগের অর্থানুকুল্যে মন্দিরের প্রতিষ্ঠা এবং মন্দির-স্থপতির কাজে নিযুক্ত হয়েছিলেন চেতুয়-দাসপুর থেকে আগত ছু জন মিস্ত্রী। এদের একজন হলেন ঠ|কুরদ।স শীল এবং অন্যজন গোপাল চন্দ্র। তাদের দুজনের হাতে তৈরি পোড়ামাটির ফলকে যেসব ভাক্বর্য রূপাঁষিত হয়েছে তাতে রয়েছে কৃষ্চলীলার নানান কাহিনী মায় অক্র,রলীলা, নৌকাবিলাস, বন্থৃহরণ, কালীয়দমন, পুতনা-বকান্থর বধ গ্রভৃতি | তারপর রামরাবণের যুদ্ধ, সেই সঙ্গে তাড়কা রাক্ষপী বধ থেকে রাম বিবাহ, অভিষেক, বনবাস, সূর্পনখার নাসিকাচ্ছেদন, মায় রাবণের সীতা- হরণ থেকে জটায়ুবধ। এছাড়া আছে শিববিবাহ, হুর্গা, কমলে-কামিনী মহস্ত সমাজের জীবনধারার চালচিত্র চোখ-ধাধানো এই “টেরাকোটা” সজ্জা খ,টিয়ে দেখতে গেলে বেশ সময় লাগে

এইসঙ্গে মন্দিরে কাঠের দরজাটিও মনোহর কাকুকাজে পরিপূর্ণ। কপাটেরও খোপে খোপে রয়েছে টেরাকোটাসদৃশ অলঙ্করণ, যার বিষয়বস্তু হল দশ অবতারের মৃত্তি-ভাস্বর্ধ। চমকার মন্দির দেখতে দেখতে চমকিত হলেও হঠাৎ চমকে উঠতে হয় যখন শোন! যায় মন্দির প্রতিষ্ঠাতীর বংশধরই হলেন ব্রাঙ্গধমের পৃষ্ঠপোষক আমাদের পূর্কথিত বাবু নবীনচন্ত্র নাগ।

সংস্কৃতি মানব সমাজ ৯১

পৌত্লিকতার বিরুদ্ধে তার অদম্য লড়াই করার বিবরণ আমরা যে লিখিত কাগজপত্র থেকেই জেনেছি, আগেই বাক্ত হয়েছে কিন্তু ভেবে কুল- কিনারা৷ পাইনি, সম্পত্তির মালিক হওয়া! সত্বেও পোড়ামাটির পুতুলসজ্জা নিয়ে. বিজ্ঞপিত মন্দিরটিকে কিভাবে পৌন্তলিকতার বিকৃদ্ধে সংগ্রাম করার হাত থেকে তিনি রেহাই দিলেন? মন্দির ভেঙ্গে দিলে কাঁর কি বলার ছিল? এট তার সুমতি না৷ পরাজয়ের পরিচয় ?

তবে শেষদিকে নবীনবাবুর জীবনে বেশ বিপদ নিয়ে আসছিল বিদেশী শীনকদের মদতে দোর্দঞ্গ্রতাপ জমিদার নাগ মহাশয় খাজনা আদীয়ে যেমন এক ত্রাসের সমষ্টি করেছিলেন, তেমনি জমিদারী তেজ দিয়ে প্রজাদের অন্তরে ব্রাহ্ম উপাসনার বীজ পু'ততে যেয়ে অলক্ষে যে তিনি অপ্রিয্ন হয়ে পড়ছিলেন, তা তিনি মোটেই বুঝতে পারেন নি। অতি দর্পের ঘোরে থাকলে হয়ত এমনই হয়। একেই তো.তার জমিদারীর নিয়ম ছিল, ঢে'ড়। পেটানোর সঙ্ে সঙ্গেই খাজনা আদায় দ্দিতে হবে প্রজাদের, অন্যথায় পরিজাণ নেই। জমিদার ব্রঙ্ম ধর্মাবলম্বী হলে কি হবে, জমিদারী চালাবার যে সব নিয়মকান্থন চালু আছে তা থেকে তো আর তিনি পেছিয়ে আসতে পারেন না। তাই খাজনা অনাদায়ে শসন-পীড়ন, তছপরি ভিটে-মাটি উচ্ছেদের থিধান তো৷ ছিলই। লোকে এই জন্যেই ছড়া বানিয়েছিল £ 'ডূমূর ডুমূর বাঁজনা, নবীন নাগের খাজনা ।” খাজনার উপরেও ছিল নতুন ধর্ম প্রচাবের বাজনা শুধু নিরীহ প্রজাই নয়, ব্রাহ্মণ-পশ্রিতদেরও যে ব্রাক্মউপাঁসনায় ধরে আন! হত, তার কাগুজে গ্রমণও তে! দেখতে পাই।

স্থতরাং পরিনতি যা হবার তাই হল। জমিদার দরদী ব্রিটিশ সরকারের বুক্তচক্ষু শাদনকে উপেক্ষা করেই প্রজার কোমর বেঁধে দাঁড়ালেন শেষ অবধি ধুমায়িত প্রজাবিক্ষোভ এক চরম পর্যায়ে পৌছে গেল। ফলস্বরূপ বিরাশীটি মৌজার অধিকারী ব্রক্ষজ্ঞানী জমিদার একদিন পথে সম্মিলিত গ্রজাদের লাঠি- বল্পম-সড়কির আঘাতে প্রাণ দিলেন। নিগৃহীত প্রজাদের এই রুখে দীড়ানোর কাহিনী আজ একান্ত অজানিত হলেও সে ইতিহাস এখনও এখানকার মাহ ভুলতে পারেনি। সময়ে-অসময়েও তাই স্মরণ করে। যেন মাহষের চোখে আঙ্গল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চায় মাগবাঁ হওয়ার কি করুণ পরিণতি ! চমক! গ্রামের মাটিতে দাড়িয়ে ইতিহাসের সেই অমোঘ বিধানের কথ। ন্মর্ণ করে একাস্তই যেন চমকে উঠতে হয় !

নি মেদিনীপুর £ রি িজিউজ র্‌

২৪, গ্মুণ্ডঘানীত্ ইতি ক্রপ্র।

বালিচক থেকে পিঙ্গলা। যাব।র পথে বাম এমন এক স্টপেজে দাড়ালো, যেখানে কনডাক্টর হাক পাড়লে! “মুও্মাবী, মুণ্মারী” ব'লে। চমকে উঠলাম নাম শুনে; খেজুরী থানায় এই নামে এক গ্রাম আছে বলে শুনেছি, এখানেও তাহলে নামে আর এক গ্রাম পাওয়া গেল। কিন্তু গ্রামের নাম মুণ্ডমারী হওয়ার পিছনে কি কারণ থাকছে পারে, তা নিয়ে ভেবে চিন্তে তখন কোন কুলকিনারা পেলাম না। কিন্তু পরে জান! গেল, মুণূম!রীর ইতিহাস; ১৯০৭ খ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত ব্রজনাথ চন্দ্রের লেখা “মেদিনীপুর প্রদেশ নিবামী শোলাস্ছি ব! শুর্লিজাতির আদি বৃত্রান্ত' নামের এক পুস্তিকা থেকে

ব্রজনাথবাবু তার এই পুস্তকটি রচনার মালমসলা সংগ্রহ করেন প্রচলিত কিংবদন্তী ছাড়াও “িন-চ।রশো। বছরের প্রাচীন” এক পথির অন্থুলিপি থেকে যা ছিল উৎকলাক্ষরে তালপ।তায় উতৎকীর্ণ। তিনি লিখেছেন, **পশ্চিম- গ্রদেশবানী কতকগুলি শে।লাঙ্কি রাজপুত যবনদিগের ভয়ঙ্কর অত্যা চাঁরে স্বদেশ হইতে বিতাড়িত হইয়া তীর্বপর্ধটন করিতে করিতে শ্রীত্রীঞজগন্নাথদেবের দর্শন করিয়া জাহাজপু'রের ( জাজপুর ?) পথে বঙ্গদেশে আগমন করিয়াছিলেন অনেকে অনুমান করেন যে, তাহার! মেদিনীপুর জেল।র সুপ্রসিদ্ধ নন্দকাপাসিয়াঁর বান্দ নামক স্থপ্রসিদ্ধ বর্ অবলম্বনই এতদ্দেশে সমাগত হইয়াছিল। এই প্রাচীন রাজবর্মের ভগ্রযবশেষ এখনও স্থানে স্থানে দৃষ্টিগোচর হয় ( পথটি সম্পর্কে ইতিপূর্বে পিথের সন্ধানে? শীর্ষক অধ্যায়ে আলোচন৷ করেছি-_লেখক)। কথিত আছে তাহার এই জেলায় আগমন করিয়াই মহামায়ার প্রসাদে বনমধ্যে ভুড়ভুড়ী কেদার নামক বর্তমান উষ্ণ প্রত্রবণটি (এ প্রন্্বণটি সম্পর্কে “যে সব ঝর্ণাধারার মাহাত্ নিয়ে মন্দির” শীর্ঘক অধ্যায়টি দ্রষ্টব্য ) দেখিতে পান এবং তথায় চাপলেশ্বর বা কেদারেশ্বর নাবক অনাদিলিঙ্গের পুজ। প্রকাশ করেন পরে তাহারা নিকটবর্তী কোন স্থানে গড় নির্মাণ করিয়া বাঁস করিতে থাকেন এবং উক্ত স্থান তীহ'দিগের দলপতি বীরসিংহের নামানুসারে বীরসিংহপুর নামে

সংস্কৃতি মানব সমাজ | ৯৩

অভিহিত হয়। ...বীরসিংহ নিম্সিত গড়ের ভগ্নাবশেষ এখনও দেখিতে পাওয়া যায়। ইহার ছুই পার্থে মুণ্তমরাই গদ্দীনমরাই নামক দুইটি ম্বৃত্তিকান্তুপ অবস্থিত। কথিত আছে বীরমসিংহ লুঠনোপজীবী-..জাতির উচ্ছেদসাধন জন্য তাহাদিগকে যুন্ধে পরাজিত করিয়া ধৃত দস্থাদিগকে চ্টিকাদেবীর নিকট বলি প্রদান করিয়াছিলেন; এইরূপ সাতশত দন্থ্য নিহত হইয়াছিল। বীরসিংহ হত দন্থাদিগকে মৃণ্চ গদ্দীন যে ছুই বিভিন্নস্থানে" প্রেখিত করিয়াছিলেন তাহা অগ্ভপি মুগ্চমবাই গর্দানমরাই নামে অভিহিত হইতেছে ।...তদবধি এই দেবী মুখ্ধেশ্বরী তাহার অধিষ্ত গ্রাম মৃণ্তমারী নামে অভিহিত হইয়। আসিতেছে কথিত আছে মহারাজ বীরসিংহ সগৌরবে কিছু দিবস রাজ্যশাসনান্তর স্বয়ং কোন মহাসমরে পরাজিত নিহত হইয়াছিলেন। '-তাহার মৃত্যুর পর শোলাঙ্কিগণ নিরাশ্রয় হইয়া প্রাণরক্ষার্থে বজ-নুত্র পরিত্যাগ করিয়৷ আত্মসংগোপন করিতে বাধা হইয়াছিলেন। তাহার! যে স্থলে সুত্রত্যাগ করিয়।ছিলেন তাহা স্যব্রছাড়া নামে অভিহিত হইয়া এখনও বিদ্যমান আছে ।'

খোঁজখবর করে জান! গেল, জেলার পিঙ্গল| থান।র এলাকাধীন বীরসিংহ- পুর গ্রামের লাগোয়া "মুণ্ুমারী” এবং তারই কাছাকাছি “ম্বতছাড়া” নামে ছুটি গ্রাম বর্তমান কিন্ত গর্দানমারী'র তো কোন হদিশ পাওয়া যায় না। হতে পারে, গর্দানমারী” নামে কোন এলাকা একসময় চিহিত ছিল, পরে সেটেলমেন্ট জরীপ হওয়ার পর সেটি মুণ্রমারী মৌজার অস্তভূকক্ত হয়ে থাকে। ফলে পরবর্তী সময়ে গ্রাম নামটি অপ্রচলিত হয়ে যায়। সেযাই হোক্‌, গ্রামের নামকরণ কিভাবে মম্পন্ন হয়েছে সে বিষয়ে আলোচ্য পুস্তিকাটি থেকে মোটামুটি একট! ধারণা পাওয়া গেল। এবার দেখা যাক্‌, সংগৃহীত পু'খির ভাষ্তে ইতিহাসের যথার্থতা কতখানি ?

আলোচ্য পুস্তিকাঁটিতে উল্লিখিত হয়েছে, গুজরাট থেকে আঁগত বীরসিংহ নামে কোন এক শোলাস্কি রাঁজপুরুষ জগন্নাথ দর্শশ করে ফেরার পথে তার একশো! একজন সামস্তসহ যখন বালিকপুরে ( বালীচক 1) বিশ্রাম করছিলেন তখন সেখানে দেবী মঙ্গল! ব্রাহ্মণীর বেশে দেখা দিয়ে বলেন £ “তিহ কহেন শিদ্ধকুণ দেখ ওই | এখানে করিলে সান সিদ্বমন্্র পাই।॥ সে মন্ত্র সাধিলে দেব আপি দেন দেখা ইহা বলি দেখাইন বটবৃক্ষ শিখা |” বীরসিংহ

৯৪ মেদিনীপুর অতঃপর কেদার গরমে এসে যে কুণ্চটির সন্ধান পান সেটি আজও গ্রামে দেখা যায়|

অন্যদিকে দলবলসহ বীরমিংহের এখানে অবস্থিতির সময় দেশে চুয়াড় দন্যদের দৌরাত্মে স্থানীয় ভূম্বামীরা খুবই বাতিব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। সেজন্য এদেশে এমন একজন বীরপুরুষের আগমনে কাছাকাছি জাঁমন গ্রামের ক্ষত্রিয় জাতিভুক্ত ভূম্বামী প্রমানন্দ বেলুন গ্রামের কায়স্থ ভূম্বামী রাম।নন্দ বীরসিংহের কাছে ছুষ্ট দমনের প্রার্থনা জানিয়ে নিজেদের এই বলে পরিচয় দিলেন £ “ক্ষত্রিবংশে গ্রমানন্ন জামনায় ছিল। দেবের উদয় দেখি আনন্দ হইল ॥| রামানন্দ কায়স্থ বেলুনেতে আছে। দুইজন একত্রেতে আইল তার কাছে।। রামানন্দ বলে ভাই বড় ভাগাবান। কেদারে আসিয়। কল দেবের সন্ধান।| প্রমানন্দ বলে ঝয় আমি ক্ষত্রিজন। প্রজা নাই দেশে তার শুন বিবরণ কেদার রাগ বলি এক জমীদার ছিল। পশ্চিম চুয়াড় তারে ছলে ধর্যা নিল।” পঁগিব বিবরন থেকে জানা যায়, অতীতে এই এলাকায় কেদার রায় নামে এক ভূতম্বামী হিলেন। যিনি স্থানীঘ্ দন্াদেব হাতে নিহত হন।

সে সময় দেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে স্থানীয় ছুই ভূম্বামী বী4সিংহকে দেশের শাসনভ।র গ্রহণের আচ্গান জ!শায় £ “এইখানে আছে সে খটের চরগণ, নিত্যলুটে রবিতে না পাবি দুইজন || ঝামানন্দ বলে ভাই রাজ ভার লহ। পাছাই তসেল! দিব দেববল দেহ ।”

বীরসিংহ স্থানীয় ভূম্বামীদের নাম-ধাম জিজ্ঞাসা করাতে যে উত্তর মেলে তা থেকে সে সময়ের স্থানীয় জমিদার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া যায়। পুখিতে আহে; “রাজা কতগুলি আছে কি নাম সবার। পরিচয় দেহ ত্বরা কোন গ্রামে ঘর || বামানন্দ ঘোঁষ বেলুনে করে বাস আমি আছি জামনায় বর্ধন দাস।॥ বলিল দুজন আগে পরিচয় জায়ালচকে যাদব পল সদগোপ আশ্রয় ।। ক।লিদীপাঁ কামার যে দুইজন থাকে। রমিক রাউৎ বলি এই শ্রীরামপুর চকে লইয়া সে সঙ্গিগণ সীমা আড়ি থাকে। আর যত় বনতি দেখ অভব্য লোকে ইত্শেল! পায়্যা ছুহে হইল আনন্দ পাছই তশেলা লয়্যা আইল প্রম|নন্দ ॥” পু'থির এই বক্তব্য অন্যায় বেলুন, জামন! শ্রীরামপুর গ্রামের হদ্দিশ প।ওয়া গেলেও, জামালচক ( জলচক ?) কাঁলিদীপ] গ্রামের খোজ পাওয়৷ যায় না।

লংস্কৃতি মানব সম।জ ৯৫

উপযুক্ত শসনকর্তার অভাবে চুয়াড় দন্থাদের একত্রিশ বছর ধরে অত্যাচারের ফলে স্থানীয় এলাকা একেবারে উজাড় হায় যায়। পু'থির কথায় “উজাড় গিয়ছে কেদার একত্রিশ বং্সর। এই পরিস্থিতিতে শেষ অবধি বীরসিংহকে ব্রাণকর্তা হিসাবে এলাকার শসনভার গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয় এবং গড়িশ। বাজোর এলাকার শাপনকর্তাদের তশলন! অর্ধাৎ ছাড়পত্র সংগ্রহ করে দেয় জামন। গ্রামের প্রমানন্দ। তিসেলা” বা ছাড়পত্র সংগ্রহ সম্পর্কে পুঁথির বিবরণমত ব্রজনাথবাবু লিখেছেন,-".“বীরমিংহপুরের যুদ্ধের পর আর একভন সামন্ত সংঙ্গে পড়িছ!দিগের আশয়ে বাস করেন। ( পড়িছ1দিগকে সাধারণে পাঙ্া বলিয়া থকে ।) এই পড়িছ।গণ উদ্ডস্ক।র হিন্দুনরপতিগণের অধীনস্থ কর্মচারী হিলেন। বাজে উপদ্রব নিবারণার্থ শোলাঙ্কিপতিকে রাজ- শক্তি প্রদান বিষয়ে রামানন্দ ঘোষ প্রমানন্দ রামের স্তায় পড়িছাদিগেরও অভিমত ছিল এবং তাহারাই উড়ি্যারাজের নিকট হইতে “তসেলা” অর্থাৎ আবাদী সনন্দু আনাইয়। দিয়।ঠিলেন |”

পুঁথির বিবরণ মন্যায়ী পাছই তশেলা"র অর্থ অনুধাবন করা যায়। পরবর্তী পর্যায়ে বীরমিংহ এলাক।র শাষনভব পেয়ে যেভাবে পুরস্কৃত করলেন তার বিবরণ £ “তসেল৷ পাইয়া! চিন্তে আনন্দিত বাড়া তসেল। পাইয়। প্রমানন্দে দিল ঘেড়া।। বামীনন্দে ছিলেন জমিন বারবাটী। দেওয়ান মুচ্ছুদী আমীর হও তোমরা! জুটি”

বেশ বোঝা যাচ্ছে, স্থানীয় ভূম্বামীদের “ঘোড়া” উপহার দেওয়ার মধ্যে ভিন্নদেশী যোদ্ধার বাঁহুবলের সঙ্গে অশ্ববলও ছিল প্রধান এবং সম্ভবতঃ এর ফলেই তিনি যথেষ্ট ক্ষমতাসম্পন্ন বলে স্থানীয় মানুষজনের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়েছিলেন। অন্যদিকে “ফিউড্যাল লর্ড'-দের বিরুদ্ধে সাধারণ প্রজার অভ্যুখানই হয়ত সে সময় স্থানীয় জমিদারদের চোখে চুয়াড় বা! ডাকাতের শামিল বলে গণ্য হয়েছিল কিনা তা কে বলতে পারে? ইতিহাঁমের পাতীয় আমরা! দেখি, একদা এদেশে বিদেশী শাসনকর্তা ইংরেজরা জঙ্গলমহলের স্থানীয় অধিবাসীদের অসভ্য চুয়াড় আখ্যা দিয়ে তাঁদের কৃত গণবিদ্রোহকে হেয় করার জন্য কিভাবে চুয়াড় বিদ্রোহ বলে নামকরণ করেছিলেন

কিন্ত সে যাই হোক, ব্রজনাথবাবুর কথায় জান। যাঁয়, অত্যাচারীর! ছিলেন 'িচ জাতীয়” “বাগতি ঘোড়ই” জাতিভুক্ত এবং তাদের সর্দার হলেন ডালি ভূঞ্যা। ন্ৃতরাং ভিনদেশী অন্যের হাতে শাসনতার তুলে দেওয়াকে সহজ-

টি মেদিনীপুর £

ভাবে এরা গ্রহণ করবেন কেন? পু'ঘিতে তাই লেখ হয়েছে 'পরগণা করিতে লুট ডালি ভূঞা এল', যার কিনা “দশশ ধনুক আৰ তিনশ স্ুয়।র (সওয়ারী)| হস্তীতে চড়িয়া আইল করি মার মার।” বীরদিংহের পাণ্টা শত্রনিধন পর্বের বিস্তুত বিবরণ পু'খিতে দেওয়। হয়েছে £ “ঘোড়া চড়ে যছুনন্দন রণে পঙ্ঠ। যায়যা। দীড়াইল রণমধ্যে মহাক্রোধ হয়া! ।। ভূঞ্গর প্চাতে আইল সোয়ার ছয় জোড়া কাটিতে লাগিল সেনা উঠাইয়! খাঁড়া কালীদীপাঁয় লুকাইয়া ছিল যত সেন! সন্ধান পাইয়া মন্ত্র তারে দিল হানা ভূঞ্যার বেট! বাগ- ভূঞা কালীদীপায় ছিল। মঙ্গলার থানে লৈয়া তারে বলি দিল ॥* এইভাবে বীরসিংহ ভালিভূঞ্যার সৈন্যসামন্তকে যুদ্ধে পরাস্ত করে ডালিভূঞ্াকে বন্দী করতে সমর্য হয় এবং ডালিভূঞ্া তার বন্দীশলায় যেলব জমিদারদের বন্দী করে রেখেছে তাদের ছেড়ে দেবার আদেশ দেয়। ফলে বন্দীরা মুক্ত পেয়ে উক্তি করে, 'বন্দিগণ বলে রায় প্রাণ দিলে তুমি। কেদার রায় মার! গেল শুনিয়াছি আমি | ছুষ্টের কশন (অর্থ: তাড়না, শাসানি) যে কহি বিবরণ। কেবল কর্যাছে দুষ্ট যমের কশন ||” অবশেষে ডালিমার স্ত্রী গল- বস্ত্র হয়ে বীরসিংহের পাঁয়ে পড়ে এবং লক্ষ টাকা নজরাণা দিয়ে স্বামীকে সে যাত্রায় মুক্ত করে আনে। |

কিন্তু ডানিভূঞ্যা এই পরাজয়ের প্রতিশোধ নেবার জন্য গোপনে গোপ- কাথির তূম্বামী নরেন্দ্রের কাছ থেকে সাতশত ধাহুকী পাইক সংগ্রহ করে পুনরায় বীরসিংহের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রী করে। (পরবর্তাঁ সময়ে এই গোপন সাহাযোর পরিণামে গোপকাধির রাজ! নরেন্দ্রকে বীরসিংহ পরাস্ত করে পাল- পলমল পরিবারকে সেখাকে সেখানে অধিষ্ঠিত করেন। ) পু'িতে সে যুদ্ধের বিবরণ দেওয়। হয়েছে £ “কেদোর ঘেরিল দুষ্ট যেন বীর ঝড়। কাড়গুলি মারে যেন ভূতে উড়ায় খড় ॥” কিন্তু তীরধস্থকের সে যুদ্ধে ডালি ভূঞা পরাজিত হন। তাকে শেষ পর্যস্ত যুদ্ধরত হাঁতীর পিঠ থেকে নামিয়ে বুকে ঘোড়ার প৷ তুলে পিযে মেরে ফেলা হয়। এইন| দেখে ডালি ভূঞ্চার পত্তী অনেক অন্নুনয় বিনয় করায়, তাদের অল্পবয়স্ক পুত্রকে ছেড়ে দেওয়া হয় এই শর্তে যে, ভবিষ্যতে কুণ্ডের কাছে শিবমন্দির নির্মাণকল্পে তাকে পাথর সরবরাহ করতে হবে। পুখির কথায় অকুমীর শিশু এই অবল! যেনারী। ছিল ুষ্ট গেল মারা এহ! নাহি মারি।| নমহ দেব বলি বলে যজ্ঞ মন্প। পাথর আনিয়| তবে তুল্যা দিব দেউল॥ দেবের সাক্ষাতে তবে কৈল অঙ্গীকার।

সংস্কৃতি মানব সমাজ ৯৭

পুত্র কোলে কবি গেল দেশ আপনার পাথর কাট্যায়। সেই দেশে পাঠাইল। দেবনাথ দেবের দেউল তুল্য দিল ॥+

যুদ্ধে জয়লাভের পর বীরসিংহ কেদার গ্রামস্থ কুগ্-প্রশ্রবণের কাছে পূর্ধ- প্রতিজ্ঞা অন্থুযায়ী শিবমন্দিরটি নির্মাণের প্রতি মনোযোগী হলেন ; ডালিভু গ্যার পত্বী প্রতিশ্রতিমতু যে পাথর সরবরাহ করেছিলেন তা দিয়ে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হল। বীরলিংহের সংগৃহীত পাথর ছাড়? মন্দির প্রতিষ্ঠায় নারায়ণগড়ের গেপরাজ। পাথর সরবরাহ করায় সে মন্দিরের নির্ম।ণকার্য কীভাবে সম্পন্ন হয়েছিল তা পুখিতে বণিত হয়েছে: “খরমল্প আপনি পাথর লয়্য। এল নারায়ণগড়ের গোপের বাজ! পাথর কিছু দিল।। ( ব্রলক্যনাথ পাল রচিত 'নারায়ণগড় রাজবংশ, পুস্তকে উল্লেখ কর! হয়েছে, সে সময়ে চাপলেশ্বর বা কেদারেশ্বর শিবমন্দির নির্মণে পথব দিয়ে সাহায্য করেছিলেন নাবায়ণগড়ের ভূম্বামী ব।জ। হ্াদয়বল্লত পাল।) নীচ হইতে পাঁচ বেত পাথর বসিল। পঞ্চাশ বেত উপরেতে সর্দল করিল ।। বটবৃক্ষ উপরে যেন দিনে শ্বেত উড়ে আশি বেত স্থন যে করিল দীর্ঘ আড়ে।॥ চারি বেত ভিত্তি কৈল স্ব'নের সোসর। কারিগর বসায় পাথর করি অন্ুত্তর॥| দেবনাথ আসিয়া আপনি দিলেন মন। নিজে গিয়। বহাইল করিয়! তাড়ন।॥। ভিন রাজা পাথর যোগায় 'তবু নাহি ছুটে ভয় পায়্যা দেবনাথ ভয়ে প্রাণ ফাটে ||”

পুথিটিতে মন্দির নির্মাণের যে কারিগরি দিকটির কথা তুলে ধরা হয়েছে, তা একান্তই গ্ররুত্বপূর্ণ। নির্মাণকার্ধে মাপজোকের ক্ষেত্রে বেত? কথাটি তখন যে চালু ছিল তা বেশ বোঝা যায়। যদ্দিও সেটির তুল্য পবিমাঁপেধ মাত্রা সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানা যায় নি।

আজকের কেদার গ্রামে নাটমগ্ুপ জগমেহনসহ পাথরের ষে শিখর- মন্দিরটি দেখা যাঁয়, সেটিই কি পুথির বিবরণ অন্থুযায়ী মন্দির? তা যদি হয়, তাহলে পুঁথির ভান্ত অন্থুযায়ী সেটি খ্রীষ্টায় চোদ্দ শতকে নিশ্সিত হয়ে থাকবে। কিন্ত আকারগ্রকার দেখে অত প্রাচীন বলে ধারণ কর] যায় না।

অতঃপর শোলাঙ্কিযোদ্ধা বীরসিংহ পাকাপাকিভাবে বীরসিংহপুরে গড় স্থাপন করে বসবাস করলেও তার অন্বীনস্ব সেনাপতি প্রভৃতিরা বিভিন্ন স্থানে গড় নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে বস করতে থাকেন। বঙ্গীয় শেলাহ্কিদের জাতিগত থাক-বিভাগও এই পির মধ্যে আলোচিত হয়েছে দেখা যায়। বর্ণিত সে থাক-বিভাগগুলি হুল, বারভাই, বাহাত্তরঘরী, দশাস্বী মণ্করী। এই চারটি

৯৮ মেদিনীপুর £ থাক সম্পর্কে বাখা। দিয়ে ব্রজনাথবাবু লিখেছেন, রাজার অধীনে ছিলেন “ভাই, উপাধিধারী বারজন সামন্ত এবং ভাইদের অধীনে যে ছ*জন করে সামন্ত থাঁকতেন তারা পরিচিত হতেন 'বাহাত্তরঘরী” নীমে। এই বারজন প্রথম শ্রেণীর সামন্ত কেদারকুপ্চ পরগণার আস্তি, শিঙ্গারপুর, আদমবাড়, সাহারা, সইতল, মাদপুর, ঘোষথিরা, রামপুর, শ্রীধরপুর, পসঙ্গ, দুর্গাপুর, মল্লপুর নামের গ্রামগুলিতে গড় স্থাপন করে বসবাস করেছিলেন

নিয়শ্রেণীর দশান্বী নামে দশজন সামস্ত গ্রত্যেকে দশ দশ অশ্বের অধিনায়ক হওয়ায় সর্বদাই রাজদরবারে উপস্থিত থাকতেন বলে তীদের পৃথক কোন গড় ছিল না। সর্বশেষ মণ্করী উপাধিধারী চারজন সামন্ত রাজার অঙ্গরক্ষক ভিলেন। ভট্ট কবিরা এই বিষয়ে হিনৃস্থানীতে যে কবিতা রচনা করেছিলেন তা এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য : ণ্যন্‌ পৎ ইন্দু গিহেলাট তিন। ছত্রী বটিঞা কোহি নো হীন ॥॥ পুত পাবককে পুতন বারা যৌনে সনাতন ধরম উধারা | পহিলে শ্রেণী সামন্ত হৈ। দ্বাদশ ভাইয়। ইনকে কৈ।। দ্বিসপ্ততি ছুসরে হৈ। আংবক্ষীকো শাখা কৈ। আংরক্ষী নেহি চারো হৈ। মণকরী নাম ইনকা হৈ।| তিসরা শ্রেণী দশমে হৈ। ইনকা নাম হৈ দশাশ্বৈ || শ্তর্লি রাজকে সামন্ত সংখ্য। | চারণ কৰি কুলপত্তর লিখখা ||

হস্তলিখিত পঘির বিবরণে দেখা! যায়, বীরসিংহ প্রথমে কেদার গ্রামের কাছাকাছি যেস্থানে গড় নির্মাণ করেন সেখানকার নাম হয় বীরসিংহপুর মেদিনীপুরের ইতিহাস* প্রণেতা যোগেশচন্দ্র বর মতে, শোলাঙ্কি ক্ষত্রিয় বীর বীরসিংহ প্রথমে তার সঙ্গীসামস্তসহ খড়গপুর থানার বলরামপুরে প্রথম অধিষ্ঠান করেন। এবিষয়ে শ্রীবস্থ লিখেছেন “মেদিনীপুর সহরের দক্ষিণে কিসমৎ পরগণার মধ্যে চাহ্গুয়াল গ্রামে বীরসিংহের রাজধানী ছিল। বীরসিংহের প্রস্তর নিষ্সিত প্রাসাদের ভগ্নাবশেষ সিংহদ্ার, সেনানিবাস পরিখার চিহ্ন এখনও ৃষ্ট হয়। ".'বীরসিংহ পরবর্তাকালে 'কেদার বীরসিংহপুরে' দ্বিতীয় গড় স্থাপন করিয়াছিলেন এবং কেদারে ৬চাঁপলেশ্বর মন্দির নির্মাণ করাইয়! দিয়াছিলেন এবং নিজের নামাঙ্সারে “বীরসিংহগড়? স্থাপনে নিজে গড়ে অবস্থান করিয়া ছিলেন ।৯

কিন্তু দেশীয় ভাট কবিগণ বীরসিংহের নামে যে প্প্রশস্তিটি গাইতেন সেটি সংগৃহীত হওয়ায়, বীরসিংহই যে কেদাবে গড়গড়িয়া-পাঁটন। তথা বীরসিংহগড়

সংস্কৃতি মানব সমাজ ৯৯

প্রথম পত্তন করেন তেমনই আভাম পীওয়! যায়। কেনন! মে যশোগীতিটিতে যথার্থ বর্ন! করা হয়েছে

পশ্চিম মূলুকমে আয়! বীরসিংহ মহারাজা কাশীকা সন্গ্যাসী ইন্‌কো কেদার কুগ্ুমে ভেজা সামন্ত রাজা শও এক আয়! সবফুচ ইন্‌কো৷ সাথে সবকে গুঁরৎ জহরৎ লায় বহুত যাঁনে মাথে মহারাজ বীরসিংহনে যব আয়! বনায়া হৈ। আদিগড় বীরসিংহপুর যিস্কে সাথে গড়িয়া হে॥ গড় গুর গড়িয়! পত্তন সে নাম গড়গড়িয়া পাটন! হে বিবাদ ছোড়। ভ্রতিদর্শনকে দেখিয়ে পরব মীমাংসা হৈ মুণ্ধমরাই গর্দানমরাই যিসসে নাম হয়া হৈ। বহুত ভূমি জিত লিয়৷ অউর বহুত দান দিয়া হৈ॥ বহুত দেওকো মন্দির দিয়! শুর বহুত সব বনায়। হৈ বেদ পড়ায় জ্ঞান বড়ায়৷ মান বাড়ায় ছ্বিজনকো সাধুজনকে ভয় তোড়। ওঁর ভয় গড় অসাধুনকো৷ শরণাগতকে শরণ দিলায়! ধন দিলা য়! ছুখিনকো | আরৎ জনকে অভাব পুরায়া নীরোগ কিয়া রোগিন কো দান দিয়! বহুত মান লিয়া ওর প্রাণ লিয়। আততায়িন কৌ ভেটিয়া ভূমি ভটকো দিয়া সমরসঙ্গীত গানে কো সুতমাগধ কো বন্ধন ঘুচায়া স্তুতি পাঠন্‌ করনে কো। মবরোজ হাঁজারে। ভোজন করায়! বেদ পারগা দ্বীজন কো মুবখ জনকে তফাৎ করকে সভাসদ কিয়া পণ্ডিত কো ॥;

সুতরাং রাজ! কীরসিংহ প্রথমে বলরামপুর বা চাঙ্গুয়ালে যে তীর রাজধানী স্থাপন করেননি এই হিন্দস্থানী গীতিকাব্যটিই তাঁর একমাত্র প্রমাণ তবে বীরসিংহ যে জেলার পাঁচটি বৃহৎ চোদ্দটি ক্ষুদ্র দুর্গ গড় নির্মাণ করে পরিবার পরিজন অন্যান্ত সামন্তবর্গকে সেখানে প্রতিষিত করেছিলেন, “মেদিনীপুরের ইতিহাস” প্রণেতা যৌগেশচন্দ্র বন্থ তেমন মত পোষণ করেন। তার মতে, শীলবনীর সাতপাটিতে রাজ। অভয়াসিংহ, গোদীপিয়াশাল গ্রামেরকাছে কুমারগড়ে রাজা কুমার সিংহ,জামদারগড়ে রাজ] জামদার 'লিংহ এবং কর্ণগড়, আড়াসিনি, অযৌধ্যাগড় বলরামপুরগড়ে সুরথ সিংহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। হতে পারে, তাই পরবর্তীকালে বীরসিংহ চাঙ্গুালগড়ে রাজধানী স্থানান্তরিত করে যে গড়নির্ম'ণ করেন পরে হয়ত সেটি স্বানীয়তাবে বীরসিংহগড় নামে আখ্যাত হয়।

তালগাতার পথিতে উদ্ভিখিত বীরসিংহের অন্ঠান্ স্থানে যুদ্ধযাত্রার বিবরণ- গুলির উদ্ধৃতি ব্রজনাথবাবু দেননি, তবে তিনি সেগুলির সারাংশ করে লিখেছেন যে, “কিন্ূপে কলাৎ সিংহ নামক দূর্দান্ত গ্রজপীড়ক রাজাকে বিতাড়িত করিয়। চেতচন্দ্রকে চেতুয়ার বাঁজা করিয়াছিলেন কিরণ কলাৎ নিংহ পুনরায়

১০৩ মেদিনীপুর £

চাপলেশ্বরের পদানত হইলে তাঁহাকে বরদার গড়ে স্থাপন করিয়াছিলেন, কিরূপে ডালিমার ভ.ঞার সাহায্যকারী গোপকাথীর রাজাকে যুদ্ধে পরাস্ত করিয়। সেখানে পালপলমলদের প্রাধান্য স্থাপন করিয়াছিলেন এই সমস্ত শে।লাক্কিদিগের প্রাচীন ক।হিনী তালপত্রের পুস্তকে বিশদরূপে বণিত আছে ।” হুতরাং প.থিতে চেতুয়া বরদার ভূম্বামীদের প্রসঙ্গ উল্লিখিও হওয়ায় আমাদের অন্মান, ছুটি স্থানের কাছাক।ছি যে বীরসিংহ গ্রামটি দেখা যায় সেটি সম্ভবতঃ বীর- পুরুষের স্থৃতিই বহন করে চলেছে

এমন এক আঞ্চলিক পরাক্রাস্ত নরপতির পরবর্ভী জীবন সম্পর্কে পু'ির বিবরণ তেমন স্পষ্ট নয়। কিন্তু তা হলেও ব্রজনাথবাবু লিখেছেন যে, তিনি কোন এক মহাসমরে পরাঁজিত হয়ে নিহত হয়েছিলেন। বিষয়ে আরও পপষ্ট- ভাবে উল্লেখ করেছেন বীরসিংহের বংশধর নিরগ্ন দেবসিংহ রায়মল্ল তাঁর রচিত 'বঙ্গোঘকলে আগত চৌলুক্য বা! শোলাঙ্কী রাজপুত ক্ষত্রিয় নামক পুস্তকে তিনি লিখেছেন, তৎকালীন গড়ের সুলতান ইলিয়াস শাহের সঙ্গে যুদ্ধের ফলে বীরসিংহ নিহত হন (১৩৫৫ খ্রী্টাব্ব) এবং মুসলমান সৈন্যের বীরমিংহের গড় ধুলস্ত/ৎ করে দেন। বীরসিংহের অবশিষ্ট সৈন্গণ তখন গ্রামবাসীদের গৃছে আত্মগোপন করে এবং নিজেদের যজ্জোপবীত এক অগ্নিকৃণ্ণে আহুতি দেয়। যেখানে এই স্ত্রত্যাগ ঘটনাটি ঘটেছিল তা পরবর্তীসময়ে স্ৃতছাঁড়া নামে ব্যাখাত হয় এবং আদিপুরুয শুক্লের নামাম্সারে নিজেদের শশুর? বা শোলাঙ্কি জাতি নামে পরিচয় প্রদান করে। লক্ষ্য করার বিষয় যে, বিধর্মীদের হাতে বীরসিংহের গড় ধ্বংদ হলেও তার প্রতিষ্ঠিত কেদার গ্রামের পাথবের মন্দিরটি কিন্তু আশ্চ্যভাবে বক্ষা পেয়ে যায়, যা প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষ্যন্বরূপ আজও কোনমতে টিকে আছে। অন্যদিকে যুদ্ধে পরাস্ত হয়ে বীরসিংছের ভ্রাতা তথ। সেনাপতি ঘনশ্যামানন্দ নন্দকাপাসিয়ার বাধ ধরে সতবেড়া ব! বর্তমান সাবড়ায় গড় নির্মাণ করে সেখানকার ভূম্বামী হন। নিরঞজনবাবু তার গ্রন্থে ঘনস্তামানন্দের পুত্র-পৌজ্রাদির বংশস্ক্রামক যে কুলপগ্ধী দিয়েছেন তা থেকে বংশলতা এবপ £ (১) ঘনশ্তামানন্দ--. (২) অচাতানন্দ-_ (৩) দীনবন্ধু (৪) পুরুযোত্তম--(৫) হরগোবিন্দ- (৬) অনিরুদ্ধ (৭) ব্রজাননা-. (৮) কষণানন্--(৯) মুকুন্-- (১০) বাসুদেব (১১) রামচন্দ্র | বাষচন্দের আমলে অর্থাৎ ্রীষ্টায় ষেলশতকের মাঝামাঝি সময়ে বাংলার শাসনকর্তা হুলেমান কারণানীর সেনাপতি কালাপাহাড়ের সঙ্গে যুদ্ধে তিনি নিহত হুন এবং তার

সংস্কৃতি মানব সমাজ | ১৬১

মৃতার পর পুত্র জ্ঞানানন্দ সাবড়া ত্যাগ করে প্রথমে মধুপুর পরে নৈপুর গ্রামে পাকাপাকিভাবে গড় স্থাপন করে বাস করতে থাকেন। কিংবাস্তী যে, কাছা- কাছি রামচন্ত্রপুর গ্রামটি এই বামচন্দ্রের নামেই কথিত হয়েছে

জ্ঞানাণন্দের পুত্র চতুভুন্গদেব বৈষ্ণবধর্মে দীক্ষিত হয়ে নৈপুর গ্রামে থোনা £ পটাশপুর) মদনমোহনের মন্দির নির্মাণ স্থরু করেন, কিন্তু মেটি শেষ করে যেতে পারেননি পুত্র শিবরাম সেটির নির্মাণকার্য সমাধা করেন। সেকালের শিখররীতির মদনমোহনের মন্দিরটি বর্তমানে জীর্ণবস্থা প্রার্থ হলেও এখনো সেটি নৈপুর গ্রামের এক উল্লেখযোগ্য পুরাকীব্তি। (এ মন্দিরটি সম্পর্কে আমার রচিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার কতৃক প্রকাশিত “মেদিনীপুর জেলার পুবাঁকীন্তি পুস্তক দরষ্টবা)।

শিবগামের মৃত্যুর পর তার দ্বিতীয় পুত্র নীলাম্বর শাঁসনভার গ্রহণ করেন, কিন্তু সেসময় পটাশপুর পরগণীয় মারাঠা অত্যাচার সুরু হওয়ায় তিনি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ হুন। পরে অবসশ্ মারাঠাদের দলপতি “বেরার নাগপুরুরাজ+ বধুজী ভৌসলার প্রদত্ত সনন্দবলে আন্রমানিক তিন-চারশে বিঘে জমি দেবোত্তর হিসাবে প্রা্থ হন এবং এঁসক্ষে পটনায়ক পদবীতেও ভূষিত হন। নীলাম্বরের পুত্র চৈতন্তচরণের সময়েও মারাঠারা পটাশপুর পরগণায় কর আদায় লুঠন করতে থাকে এবং তাকেও মারাগাদের হাতে নির্যাতিত হতে হয়। অবশেষে টচতন্যচরণ মবাঠাদের বশ্ততা শ্বীকার করলে তার যাবতীয় সম্পত্তি ফিরিয়ে দিয়ে তাকে “বিলায়তি কাছনগে।: পর্দে বহাল করা হয়।

কথায় বলে “ধান ভানতে শিবের গীত” কোথায় মু গ্রমারীর রহমত উদঘাটনে তার ইতিহাস সক হয়েছিল বীরসিংহপুর গ্রামে আর তার শেষ হুল কিনা নৈপুরে। প্রচলিত ছড়া, গীতিকাব্য, কিংবাস্তী স্থানীয় পুরাকীন্তির মধ্যে সে সময্নের বাঁজারাজড়া আর ভূক্বামীর্দের উত্থানপতন কাহিনীর যে ছিটে- ফোটা এঁতিহাসিক বিবরণ লুকিয়ে ছিল তারই এক নির্ধাস হল মুগ্নমারীর ইতিকথা) যাঁর শেষ কথা হল লিখিত উপাদান থাকুক বা না থাকুক, হারিয়ে যাবার আগে এসব বিবরণ লিপিবদ্ধ করে রাখার প্রয়োজনীয়তাই ভবিস্কৃতে মুগ্ডমারীর ষথার্থ ইতিহাস উদ্ধারে সহায়ক হবে।

১০২ মেদিনীপুর £

রর রে ১৪৮? ২২%এ৯

২৫, আগুনথাগীন্ন গ্রাড়।

মহাত্মা বাজ! বামমে|হন বয়ের জীবন চক্দিত? প্রণেতা নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় রামমোহনের পরিবারে সহমরণের ঘটনা সম্পর্কে তার গ্রন্থের একস্থানে উল্লেখ করেছিলেন, “তিনি (রামমোহন) তাহার জোষ্ঠ ভ্রাতা জগমোহনের শ্রীর সহমরণ ব্যাপার স্বচক্ষে দেখিয়া প্রতিজ্ঞা করিলেন যে, যতকাল বাচিবেন, এই ভয়ঙ্কয় প্রথা সমূলোৎ্পাটিত করিবেন” নগেনবাবুর এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে পরবর্তী- কালে অবশ্য বু সাহিত্য-গবেষকেরা বাকবিতণ্চা করেছেন। তাদের অধিকাংশের মতে রামমোহন তার বৌঠাকুরানের সতীদীহের সময় নিজে তো উপস্থিত ছিলেনই না; উপরস্ত জোষ্ঠ ভ্রাতা জগমোহনের স্্রীরও নাকি সহমত হননি বামমোহনের জীবনী-রচয্িতাদের সংগৃহীত এসব তথ্যের বিকুদ্ধে পরবর্তী গবেষকরা রামমোহনের বৌদির সহমৃতা ন! হওয়া! বা তার পরিবারে সতীপ্রথার প্রচলন এবং রামমোহনের বৌদির সহমরণের সময় স্বয়ং উপস্থিত না থাকা ইত্যাদি নিয়ে যেসব যুক্তি তথ্যেরই অবতারণা করুন ন1 কেন, সে সময়ের বাস্তব পরিস্থিতি কিন্তু অন্য কথ। বলে

বিশেষ করে হুগলী জেলার খানাকুল তৎ্সন্গিহিত আশপাশের এলাকায় যে বাপকভাবে সতীদাহ প্রথ। প্রচলিত ছিল, তার বেশ কিছু তথ্যগত প্রমাণও প(ওয় গেছে। এক তে। সরকারী রিপোর্টে বল! হয়েছে কেবলমাত্র ১৮২৫ ্ীষ্টাব্ে হুগলী জেলায় সতী হয়েছে ১০৪ জন এবং পাঁশের জেল] মেদিনীপুরে সতী হয়েছে ২২ জন। সুতরাং রিপোর্ট থেকেই বোঝা যায়, যে জেলায় একরছরে শতাধিক নারী সতীর আদর্শে জীবন বিসর্জন দিতে বাধ্য হন, সেখানকার একজন সম্ত্রান্ত বিবেকরান সংস্কারক নিজের পরিবারের ব। গ্রামের অন্য কোন নারী সমাজের এই মর্মান্তিক যন্ত্রণায় তিনি বিচলিত ন! হয়ে কি থাকতে পারেন। এক্ষেত্রে রামমোহন তাঁর বৌদির সতীদাহের সময় স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন কিনা, এসব তথ্য নিয়ে কচ্চায়নের অপেক্ষা, বরং সেকালের বিশেষ করে রামমোহনের পৈত্রিক ভিটের আশেপাশের তৎকালীন সতী প্রথার চিত্রটি তুলে ধরা যাক।

সংস্কৃতি মানব সমাজ ১৩৩

আজকের মেদিনীপুর জেলার ঘাঁটাল মহকুমার প্রায় গোটা এলাকাটি একসময়ে ছিল হুগলী জেলার এলাকাধীন। শাসনকাজের স্ববিধার জন্য ১৮২৬ ষ্টাবব নাগাদ এই মহকুমার ঘাটাল চন্দ্রকোণা থানা এলাকা! মেদিনীপুরের অন্ততুক্ত করে দেওয়া হয়। শ্ুতরাং যে সময়ের কথা আলোচনা করা হচ্ছে, মেই সময় হুগলী জেল!র এলীকাভুক্ত খানাকুল, গোঘাট, চন্দ্রকোণ। ঘাটাল থানার বিভিন্ন স্থানে যে ব্যাপক সতীদাহ অঙ্থঠিত হয়েছে তাঁর বেশ কিছু স্মৃতি- চিহ্ন আজও ইতস্ততঃ ছড়িয়ে রয়েছে তাই সে সময়ে সতী-সহমরণের মত এক বীভৎস প্রথা যে কী পরিমাণে গ্রাম্য-সমাজে ব্যাপকভাবে সচল ছিল, এইসব স্থৃতিচিহৃগুলো৷ থেকে সে সম্পর্কে বেশ একট! অন্টমান করা যাঁয়। শুধু তাই নয়, তৎকালে গ্রামের দরিদ্রদের অপেক্ষা উচ্চবিস্বদের মধ্যেই এই প্রথা বিশেষভাবে সীমাবদ্ধ ছিল বললেও অতুযুক্তি হয় ন!।

মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন ইতিহাস সংস্কৃতি বিষয়ে অন্থুন্ধ/নের উদ্দেস্টে, জেলার উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ( একদ। যে এলাকাটি হুগলী জেলার মধ্যে ছিল) পরিভ্রমণের সময় এই সব সতীদাহ সংক্রান্ত বেশ কিছু স্মারকচিহন নজরে পড়ে। সেগুলির মধ্যে এমন একট হল, ঘাটাল থানার উদয়গঞ্জ মৌজাভুক্ত কৃষ্ণপুর পল্লীতে প্রতিষ্ঠিত এক সতী মন্দির। স্থানীয় রায় পরিবারের সাঁত সপ্তানের মাত এমন এক পুণ্যবতী, আজ থেকে আনুমানিক শতাধিক বৎসর পূর্বে, স্বামীর জলপ্ত চিতায় সতী হিস|বে নিজেকে আত্ম-বিসর্তন দেন। পরে তার স্থৃতি বক্ষার্থে একটি ক্ষুদ্রাকার ্বৃতিমন্নিবও নির্মাণ করে দেওয়! হয়। বটগ|ছের নীচে সতী মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হওয়ায় এখনও স্থানটিকে লে।কে সতী বটতলা বলে থাকেন এবং সেখানের এই মন্দিরে স্থানীয় এয়ে।তীরা পুণ্য লাভার্থে পিছুর লেপে যান। অন্ুসন্ধানে জান! যায়, সে সময় আলোচ্য এই রায় পরিবার বেশ বিস্তশালী ছিলেন এবং এই পরিবারের প্রতিষ্ঠিত একটি নববত্ব শিখর-মন্দির আজও সে পরিবারের অর্থ-কৌলিন্যের সাক্ষ্য হয়ে রয়েছে।

পরবর্তী আর একটি সহমরণ স্থৃতিমন্দির হল, আলোচ্য উদয়গঞ্জ পল্লীর প্রায় কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত স্থলতানপুর গ্রামের বকী পরিবারের জনৈকা গৃহবধূর সতী মন্দির একদা এই বকসী পরিবারও যে অর্থবান ছিলেন, তার প্রমাণ হিসাবে বিষ্যমান রয়েছে সে পরিবারের প্রতিষিত তিনটি ভিন্নরীতির দেবালয়। যদিও এসব সতী মন্দিরগুলিতে তেমন কোন প্রতিষ্ঠা-

১৩৪ ৰা | মেদিনীপুর লিপিযুস্ত ফলক নিবদ্ধ নেই, তবুও এগুলিতে আজও পরম শ্রদ্ধাভরে স্থানীয় এয়োতীর! সিঁদুর লেপেন এবং সেইসঙ্গে সন্ধ্যাবাঁতিও দিয়ে থাকেন।

ঘাটাল থানার পাশাপাশি চন্দ্রকোণ! শহরে সতীর কিংবাস্তী জড়িত একটি স্থানের নামই হুল সতী বাজার। এছাড়া কাছাকাছি বৈদ্যনাথপুর গ্রামের সন্নিকটে কর পুফ্করিণীর পশ্চিমপাড়ে সতীকু % নামক স্থানটা কোন এক সতীর সহমরণের ক্ষেত্র হিসাবে স্থানীয় জনসাধারণ চিহ্নিত করে থাকেন। কিংবাস্তী যে, শুভ বিবাহের রাত্রে কোন এক বরের পথিমধ্য মৃত্যু হওয়ায়, বিরহকাতুরা ভাবী স্ত্রী ভাবী স্বামীর চিতায় নিজের দেহ বিসর্জন দিয়ে সতী হন। আজও সতীকু নামক স্থানটিতে সধবার! পি'দুর দান করে কুতার্থ হয়ে থাকেন

তবে এই ধরনের সতীদাহের ন্মারকচিহ্ু হিসাবে প্রতিঠিত শ্বৃতি মন্দিরে নিবন্ধ প্রতিষ্ঠালিপিতে সতীদাহের উল্লেখ একান্তই অভিনব ঠিক এই বিষয়েরই এক দৃষ্টান্ত বয়েছে- মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার এলাকাধীন হরিনারায়ণপুর গ্রামে এখানের অকালপৌয গ্রাম থেকে মলিঘাটি গ্রামে যাবার পথে বাস্তার ধারেই প্রতিষ্ঠিত পাশাপাশি দক্ষিণমুখী ছুটি আটচাল৷ রীতির মন্দির আছে, যা৷ স্থানীয়ভাবে আগুনখাগীর মাড়েো৷ ন।মে পরিচিত। আসলে গ্রামের বিষুঃ কোন এক বেরা পরিবারের স্বর্গত কর্তা গিন্লীর ছুটি সমাধি মন্দির। গৃহবধুটি যে একদা হ্বামীর চিতায় নিজেকে বিসর্জন দিয়ে সতী হয়েছিলেন, তারই বিবরণ উল্লিখিত হয়েছে মন্দিরে উতৎকীর্ণ এক লিপিতে। সে লিপিটির হুবহু পাঠ নিম্নরূপ £ ওশ্রশ্ররাধাকঞ্ণ জয়তি / সন ১১৭২ সাল তাং ছয়াই আধাড় / শ্রীবলরাম বেরার মাতা সহমৃতা হইয়াছে / সন ১৩৫১ মাল মাহ আধাড় জ্ঞাতি / সহ মেরামত করা হইল ।”, অতএব ১৭৬৫ গ্রীষ্টাবে এত্দঞ্চলে সহমরণ অনুষ্ঠানের এক লিখিত প্রমাণ এই লিপিটি।

এছাড়া এখানের ছুটী মন্দিরের একছুয়ারী প্রবেশপথের উপরিভাগের একটিতে সিঁছুর অগ্যটিতে কালে ভূষো কালি লেপে দেওয়া হয়েছে। সধবারা এখান থেকে প্লিঁছুর তুলে সি'থিতে পরার মধ্যে নিজেদের পরম সৌভাগ্যবতী যেমন মনে করেন তেমনি পুরুষেরা আবার ভূষো কালি চোখে কাজল হিসাবে ব্যবহার করে নিজেদের একান্তই ভাগ্যবান মনে করেন

সতরাং এতক্ষণ যে সতীদাহ অনুষ্ঠানের ম্মারকচিহ হিসাবে এইসব সতীমন্দিরের উল্লেখ করা গেল, সেগুলির অবস্থানগত এলাক। হল-_রাজা রামমোহন বায়ের পৈত্রিক বাসস্থান লাঙ্গুলপাড়ার কাছাকাছি এলাকা এক

সংস্কৃতি মানব লমাজ ১৩৫

লময়ে এসব এলাকায় রেশম হৃতীবন্ব এবং কীসা-পিতলশিল্প উন্নতির চরম শিখরে উঠেছিল। তাই একদিকে এইসব শিল্পের দৌলতে প্রতিষ্ঠিত বিত্বধানরা মন্দির-দেবালয় স্বাপন করেছেন এবং সেইসঙক্ষে ধর্মের নামে সমাঞ্জে প্রচলিত বীভৎস সব প্রথাকে উৎসাহ দিয়েছেন সেকালে গঙ্গাসাগৰে সপ্তান বিসর্জন, জগক্নাথের রথের চাকায় আত্ম বলির্দান, জলাশয় প্রতিষ্ঠার পুণাকাজের নামে যখ হিসাবে শিশু সন্তানকে পুকুরের তলায় ডুবিয়ে মার এবং সবশেষে সম্চ বিধবাকে মৃত স্বামীর চিতায় পুড়িয়ে মারার এইসব জঘন্ত গ্রথাই ছিল সমাজের কল্যাণকর কর্ম। অতএব রামমোহনের গ্রামের বসত- বাড়ির আশেপাশে রক্ষণশীল বর্ধিষুঃ পরিবারে প্রচলিত এই সতীঘাহ প্রথা কিভাবে গ্রাম্য সমাজে প্রসারলাত করেছিল তাঁরই এক জাজলামান নিদর্শন পূর্বে আলোচিত এই সতীমন্দিরগুলি। এই অঞ্চলে সহমরণ অনুষ্ঠান ক্ষেত্রের এই পট্ষিকায়, রামমোহন যে স্বাভাবিকভাবেই বিচলিত হয়েছিলেন তা বলাই বাহুলা এবং এরই পরিণতিতে তিনি এই কু-প্রথার মূলোৎপাটনে যে অগ্র্ণীর ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন, তাৰ ইতিহাস অল্পবিস্তর আমার্দের মকলেরই জান! এক্ষেত্রে আলোচিত আগুনখাগীর মাড়ো সেই. বীভৎস আচার-অঙ্গষ্ঠানের এক স্মারক মাত্র এবং জেলার গ্রাম-গ্রামাস্তরে আরও এমন কত যে সতী মন্দির অগোচরে থেকে গেছে কে জানে?

তু 2২ 2 ৪১৫) ০২ ২১ 4 নর উ.) 2১২ অিপিঠশ্সি ৩৩২৩

২৬. [স্রদিত্রীপ্বারর এক গণ-আাব্যাত প্রসঙ্ গাপাজন্গন্ধ ইউবিয় হো

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এযাবৎকাল বছ আন্দোলনের বিবর্ণ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ১৯২১-২২ খ্রীষ্টাবে মেদিনীপুর জেলায় সেকালের বিখ্যাত জননেত! বাঁরেন্্রনাথ শামমলের নেতৃত্বে ইউনিয়ন বোর্ড বিরোধী যে গণ-আন্দোলন স্থুরু হয়, তার ক্রম-বিবরণ সাফলা সরকারী বা বেসরকারী কোন লেখায় ধথাযোঁগাভাবে প্রকাশিত হয়নি আথচ_লা্াজ্যবাদের ছাতিয়ার

১৩৩ মেদিনীপুর $ হিসাবে ব্যবহৃত এইসব ইউনিয়ন বোর্ড স্থাপনের বিরুদ্ধে জেলার পূর্বাঞ্চলে যে প্রচ গণসংগ্রাম সুরু হয়েছিল, তার ফলে ইংরেজ সরকার অবশেষে তাদের প্রস্তাবিত ইউনিয়ন বোর্ড প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেদিক থেকে সেকালের এই সংগ্রাম কাহিনী যেমন আপামর জনসাধারণের এঁকাবদ্ধতার পরিচয় তৃলে ধরে, অন্যদিকে সাম্রাজ্যব|দী শোষণের বিরুদ্ধে নিপীড়িত জন- সাধারণের এক বলিষ্ঠ গণচেতনার স্বাক্ষর বহন করে৷ শাসক শ্রেণীর সব কিছু দমননীতি অতাচারকে তুচ্ছ করে গ্রামের সহায় সম্থলহীন মান্ছধদের এই আন্দেলনে শ।মিল হওয়ার ঘটনা ভারতের স্বাধীনত৷ আন্দোলনের ইতিহাসে এক সফল গণ-সংগ্রাম বলেই বিবেচিত হতে পাবে

তদানীস্তন বাংল! সরকার, ১৯১৯-এর বঙ্গীয় স্বায়ত্তশাসন আইন অন্যায় মেদিনীপুর জেলায় ইউনিয়ন বোর্ড স্থাপনের পরিকল্পনা করে এবং সেইভাবে ১৯২১ খ্রীষ্টান্দের এপ্রিল মাসে এই জেলায় পঞ্চাশভাগ চৌকীদারী ট্যাক্স বৃদ্ধি সহ ২২৭টি ইউনিক্সন বোর্ড স্থাপিত হয়। যে আইন অন্্য|য়ী এই ইউনিয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠ। হয়, সেই আইনে ইউনিয়ন ট্যাক্সের রেটও সময়ে সময়ে বাড়ানোর বিধান থাকায়, স্বভাবতই জনলাধরণের মনে আশঙ্কা জন্মায় যে, তাদের উপর ট্যাক্সের বোঝা চাপানোর উদ্দেশ্তেই সরকার এই বোর্ড প্রচলনের মতলব এটেছে। ফলে বিদেশী সরকারের প্রবতিত এই স্বায়ত্বশাসন নীতিতে জনসাধারণের যে ধুমায়িত বিক্ষোভ স্বকু হয়, তাঁকে কেন্দ্র করেই বীরেন্দ্রনাথ শাসমল এক এঁক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপ দিতে অগ্রসর হন এবং পরবর্তা সময়ে তা এক সার্থক সত্যাগ্রহ আন্দোলনে পরিণত হয়। ব্রিটিশ শাসকদের পৃ'জিবাদী সাজাজাবাদী নীতির ফলে দেশের কুটিরশিল্প বাণিজ্য কিভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে গ্রাম্য অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ার শামিল হয়েছে--এইসব বর্ণনার সঙ্গে শাঘমল জনসাধারণের মনে এইভাবে বিশ্বাস উৎপাদন করাতে চাইলেন যে, এক্ষেত্রে জনসাধারণের এই দুর্দশা গ্রস্থ অবস্থার মধ্যে এই ধরনের ইউনিয়ন বোর্ড-টাক্ম বসানে। হলে সাধারণ মানুষের অবস্থা এক অবর্ণনীয় কষ্টের মধো পৌঁছে যাবে। সুতরাং গান্ধীজীর নির্দেশমত অহিংস উপায়ে সত্যাগ্রহের পথে ইউনিয়ন বোর্ড বয়কট আন্দোলনের জন্তে তিনি গ্রামবাসীদের আবেদন জানালেন ইতিমধ্যে বন্তাজাণ নান|বিধ সেবামূলক কাজে অংশ গ্রহণের দরুণ সাধারণের মনে যে গভীর আত্মবিশ্বাস জন্নান্ম তার ফলে ভার সংগ্রামী আহ্বানে জেলার পূর্বাঞ্চলের জনসাধারণ স্বভাবতই এই আন্দোলনের পথে পা বাড়ায়।

সংস্কৃতি মানব সমাজ | ১৬৩৭

শাসমলের নেতৃত্বে এই ইউনিয়ন বোর্ড বয়কট আন্দোলন এমনই সফল আকার ধারণ করে যে, বহু স্থানের বেশ কিছু সংখাক নির্বাচিত ইউনিয়ন বোঙ সভ্যেরা পদত্যাগপত্র দাখিল করেন। যাঁরা সভ্যপদ ত্যাগ করতে চাননি, বা পরোক্ষে সরকারকে এই বিষয়ে সাহায্য করছেন তাদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীগণ সামাজিক বয়কট সুরু করেন। ট্যাক্স আদায় না দেওয়ায় সরকারী আমলারা যে সব অস্থাবর মাল ক্রোক করেন সেগুলি বয়ে নিঁয়ে যাবার মত কোন মভ্ভুর সেসময়ে পাওয়া যায়নি। যদিও শেষ পর্যন্ত সরকারী যানবাহনে এইসব ক্রোকী মালগুলি কোর্ট-কাছারীতে বহন করে আনা হয়েছিল, কিন্তু জনসাধারণের এক্যবদ্ধ প্রতিরোধের ফলে এগুলির নীলাম ডাকায় কেউ এগিয়ে আসেননি এছাড়াও জেলার বহুস্থান থেকে দফাদর, চৌকিদাররাও পদত্যাগ করতে স্বুরু করে। গুতরাং এই এক্যবদ্ধ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটি সরকার পিছু হটতে বাধ্য হন এবং এইভাবেই ১৯২১ গ্রীষ্টাঝের নভেম্বর মাসে এই জেলা থেকে ইউনিয়ন বোর্ড তুলে নেবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ কর! হয়।

মেদিনীপুর জেলার পূর্বাঞ্চলের এই ইউনিয়ন বোর্ড বিরোধী আন্দোলন যখন ইংরেজ শ[সকদদের কাছে এক ভয়াবহ শাসনতাস্বিক অচল অবস্থার হত করে, তখন পান্টা ব্যবস্থা হিসাবে একদিকে সরকারের তরফ থেকে সাধারণ মানুষের ওপর দমননীতি চালানে! হয়, অন্যদিকে অনুগত ব্যক্তিদের ছার। ইউনিয়ন বোড“পরিচালনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানান অপচেষ্টা চাল।নো হয়। সরকারের এই প্রচেষ্টা সম্পর্কে কলিকাতার মহাকরণের মহাফেজখানায় বক্ষিত সে সময়ের নধিপত্ত্রে দেখ। যায় যে, মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্্রেটে ১৯২১ খ্রীষ্টাব্বের ১৩ই ডিসেম্বর তারিখে তদানীত্তন বাংলা সরকারের স্বায়ত্তশীসন বিভাগের সচিবের কাছে এক রিপোর্ট পাঠিয়ে বলেছেন_-২২৭টি ইউনিয়ন বৌডের সভ্যগণের প্রত্যেকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, ভারা যদি ইউনিয়ন বোর্ড রাখতে ইচ্ছুক হন তাহলে ১২ই ডিসেম্বরের (১৯২১) মধ্যে জেল! ম্যাজিষ্ট্রেটকে জানাতে হবে এবং এই চিঠির উত্তরে ১১টি ইউনিয়নের ১৬ জন সভ্যের কাছ থেকে বোঁড “রাখার স্বপক্ষে মতামত এসেছে বটে, কিন্তু ছুটি ইউনিয়নের জন সভ্যের মধ্যে জন বোর্ড থাকার পক্ষে মতামত দেওয়ায় বোর্ড রাখার অন্কুলে কোন সঠিক মতামত পাওয়া যাচ্ছে না।

১০৮ . মেধিনীপুর £

মহাফেন্রখানায় রক্ষিত এসময়ের চিঠিপজ্ঞাদির মধ্যে দেখ যাঁয়। মেধিনীপুবের অতিরিক্ত জেল! ম্যাজিষ্ট্রেট পুনরায় ১৭ই ডিসেম্বর (১৯২১) তারিখে বাংল। সরকারের স্থায়ত্তশাসন বিভাগের সচিবকে একটি পত্রে অবগত করাচ্ছেন যে, পাশকুড়। খানার গোপালনগর ইউনিয়ন বোডের 'জন নির্বাচিত জন মনোনীত সভ্যের মধ্যে জন নির্বাচিত জন মনোনীত সভ্য বোর্ড রাখার পক্ষে গরিষ্ঠ মতাঁষত দেওয়ায়, বিশেষ করে এখানের ইউনিয়ন বোডটি প্রত্যাহার না করার পক্ষে স্থপারিশ করা গেল। জেলা শাসকের কাছ থেকে এই স্পারিশ আসায় বাংলা সরকারের স্বায়ত্তশসন বিভাগ ১৯শে ডিসেম্বর, ১৯২১ তাবিখে ৫*২৫ নং বিজ্ঞপ্তি জারী করে জানালেন যে, জেলার পাশকুড়া থানা এলাকার গোপালনগর ইউনিয়ন বোর্ড ছাড় সমস্ত জেল! থেকে ইউনিয়ন বোড তুলে দেওয়াহল।

ইউনিয়ন বোড" বয়কট আন্দোলনের গতি-প্রক্কতি সম্পর্কে পূর্বেই কিছুটা উল্লেখ কর! হয়েছে। দেখা যায়, মেদিনীপুর জেলার পূর্বাঞ্চলের অধিকাংশ গ্রামগুলিই ছিল কৃষি অর্থনৈতিক দিক থেকে অঙ্ন্নত এবং রলতে গেলে অধিকাংশই ছিলেন দরিদ্র নিরক্ষর কুষিজীবী পরিবার। কিন্তু কোলকাতার কাছাকাছি আলোচ্য গোপালনগর গ্রামটিতে উচ্চ জাতিবর্গের বহু বর্ধিফু পরিবাবের এবং সরকারী চাকুরীজীবীর বাম হওয়ায়, দরিদ্র নিরক্ষর মানুষদের এই গণচেত্রনা তাঁদের কাছে খুব গৌরবজনক বলে বিরেচিত হয়নি। তাই সরকারী ভোধগনীতির পৃষ্ঠপোষকতায় জেলার মধ্যে একটিমাত্র স্থান এই গোঁপালনগরে ইউনিয়ন বোর্ড বক্ষায় তীরা যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন তার প্রমাণ পাওয়। যেতে পারে মহাকরণের মহাফেজগানায় রক্ষিত পুরাতন কাগজ- পত্রে। এই কাগজপত্রের মধ্যে একটি প্রামাণ্য বিবরণ রয়েছে নিম্নোক্ত নথিটিতে £

10061009601 01 890881) 1,0981 96100306161080 106010- 2060) 1098] 56177030৬708788 (1.068] 81890), 3919 1922, 19986901788 নিও ৪. 36-39, 2115 [০ 1১, 2-0-৩ 86118) [২৩ ৪, 1-7+। আলোচ্য এই নথিটিতে ১ল। জাচুয়ারী, ১৯২২ ভারিখে গোপালনগর গ্রাম থেকে বাবু স্ুরেন্জনাথ মন্তুমদার অগ্ঠাণ্ঠ কর্তৃক প্রেরিত একটি দরখাস্ত গ্রথিত আছে। দরখাস্তটিতে লেখ! আছে £ :

সংস্কীতি, মানব সমাজ ১০৯

“ও 0৩511025015 111816061-10-01881 86, ' 89081 9৩11 0০9৬ 06001) 00৮1, 01 9617681 মহাশয়, মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত পাঁশকুড়া থানার এলাকাধীন ৩৭ নং গোপালনগর ইউনিয়ন বো” অধীন ভিন্ন ভিন্ন স্বাক্ষরকরী অধীনগণের কাতর প্রার্মনা এই যে, কতকগুলি অপহযেগ আন্দোলনকারী মতলববাজ গ্রামা মহাজনগণের দ্বার! প্রচারিত নানাবূপ মিথ্যা গুজবে উত্তেজিত হুইয়। আমরা অগ্ভান্ত গ্রামবসীগণ আমাদের ইউনিয়ন বোর্ড স্থাপনের বিরুদ্ধবাঁদী হইয়াছিলাম। ভজ্জন্য আমাদের বোড মেস্বারগণ সম্প্রতি বোটি উঠাইয়] দিবার জন্য মহামহিম প্রীল প্রীযুক্ত জেলার ম্যাজিষ্্টে সাহেব বাঁহাছুরেহ নিকট আবেদন করিয়াছেন। আমরা গ্রথমে আন্দোলনকারীদের চক্রান্ত বুঝিতে না পারিয়া বড” স্থাপনের বিরুদ্ধে ছিলাম, কিন্তু এক্ষণে আন্দোলনকারীগণের অন্ত উদ্দেশ্থট এবং বোডে অশেষ উপকারিত। বুঝিতে পারিয়ছি। অতএব হুজুর বাহাছুরের নিকট করজোড়ে প্রার্থনা করিতেছি যে, আমাদের ইউনিয়ন বোড” যেন উঠাইয়া। লওয়া না হয়। নিব্দেন ইতি। ১১২২” পূর্বেই বিজ্ঞপ্তি দে ওয়! হয়েছিল যে, গোঁপালনগর বাদে সমস্ত স্থানের ইউনিয়ন বোড” প্রত্যাহত হুল, কিন্তু ত! মতে গৌপালনগরবাসীরা সন্দেহমুক্ত হতে পারেননি বলেই এই গণ-দরখাস্ত প্রেরণ করেছিলেন এছাড়া বো রাখার সমর্থনকারীরা এই দরখাস্ত পাঠিয়ে সরকারের কাছে তাদের আঙছ্গত্যের গভীরতা বোঝাতে চেয়েছিলেন এই জন্তে যে, ভবিষ্যতে তাঁর। বলতে পারবেন গোটা জেলার £“অমহযোগ আন্দোলনকারী মতলবাজদের” চক্রান্তের বিরুদ্ধে একমাত্র তারাই প্রতিবাদ জানিয়ে এই বো রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছেন। গোপালনগর বাদে মেদিনীপুর জেল! থেকে ইউনিয়ন বো” উঠে যাবার সংবাদ সেসময় জেলার সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলিতেও প্রচারিত হয় ১৭ই জাহুয়ারী ১৯২২, তারিখে কাির সাপ্তাহিক 'নীহার” পত্রিকায় এই সম্পর্কে যে মংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল, নিম্নরূপ £

১১৯ মেদিনীপুর £ “ইউনিয়ন বোডের অন্তর্ধনি। মেদিনীপুর জেলার পীশকুড়া থানার কেবলমাত্র গোপালনগর ইউনিয়ন ছ'ড়া অন্য সকল স্থানের ইউনিয়ন বোর্ড উঠিয়া গেল বলিয়া! কলিকাত। গেজেটে প্রকাশিত হইয়াছে। মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর, 'তমলুক, ঘাট।ল কাৰি এই চারটি স্থানে স্বশুদ্ধ প্রায় ২২৭টি ইউনিয়ন বেড” স্থাপিত হইয়াছিল কিন্ত গোপালনগরবাসীর আন্তরিক ইন্ছ| শেষ পর্যগ পূরণ হুল না এবং তদের প্রেবিত দরখান্তের আবেদন-নিবেদন শেষ পর্ধস্ত বার্থ হল। গোট! জেল৷ জুড়ে অসহযোগ আন্দোলনকারীরা যে সঙ্ঘবন্ধ আন্দোলন স্থরু করেছিলেন, তা শত দমননীতি সত্বেও যখন সরকর পক্ষ থেকে ভেঙ্কে দেওয়। গেল না, তখন বাধ্য হয়েই সরকারকে পিছু হতে হল এবং সম্মান রক্ষার জন্যে গোপাল- নগর ইউনিয়ন বোর্ড রাখাটা তাদের কাছে যুজিযুক্ত বলে বিবেচিত হল না। তাই ১৯২২ প্রষ্টাববের ৩১শে জানুয়ারী তারিখে মেদিনীপুরের জেল। ম্যাজিষ্ট্রেট এই আন্দোলনের প্রচণ্ড তীব্রতা অনুভব করে গোপালনগর থেকেও ইউনিয়ন বোর্ডটি তুলে দেবার সুপারিশ করে পাঠালেন। জেল! ম্যাডিষ্রেটের সুপারিশ অন্যায়ী বাংল! সরকারের স্বায়ত্বশীসন বিভাগ থেকে সেইমত ১ল। মার্চ, ১৯২২ তারিখে ১১৬৭ নং বিজ্ঞপ্তি জারী করে গোপালনগর থেকেও অবশিষ্ট ইউনিয়ন বোডট প্রত্যাহার করে নেওয়ার আদেশ জারি করা হল। মেদিনীপুর জেলাবাসীর ১৯২১-২২ গ্রীষ্টাব্ের এই ইউনিয়ন বোর্ড বয়কট আন্দোলন এইভাবেই এক এক্যবন্ধ আন্দোলনের ফলে জয়যুক্ত হয় এবং তাঁর ফলে পরবর্তী অন্যান্ত আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণের পথ হ্থপ্রশস্ত হয়। সুতরাং আঁধুনিককালের ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বিখ্যাত জননেতা বীরেন্ত্নাথ শাসমলের নেতৃত্বে এই জেলায় ইউনিয়ন বোর্ড বয়কট ট্যান্ বন্ধ আন্দোলন যে একটি সফল গণসংগ্রাম হিসাবে বিবেচিত হবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

নংস্কৃতি মানব সমাজ ১১১

২৭. শিলীর প্রতিবাদের দ্বাজাছা

মধাযুগীয় কবিদের অনেকেই যার! সে সঙ্গয়ের শাসককুলের হাতে উৎপীড়িভ হয়েছিলেন, তার! সেই নিগ্রহের কাহিনী কিছু কিছু তুলে ধরেছিলেন তীদেন স্থ কাবাসাহিতযে প্রবলপ্রতাপ শামককুলের সঙ্গে মামান্ত মসীজীবী কবির! পেরে উঠবেন কেন? তাই কোনরকমে জান-প্রাণ বাচিয়ে অবশেষে কলম ধরেছিলেন প্রতিবাদের আকাঙ্খায়। তারপর সে কলমের কালি যখন তুলট কগজের পাতার উপর ফুটে বেকুলো!, তখনই জানতে পারা গেল এসব কবিদের বাথা-বেদনার কাহিনী আর অত্যাচারের দাপট ভিহিদার মামুদ সরিপের অত্যাচারে চশ্বীমঙ্গলের কবি মুকুন্দরাম শেষপর্যন্ত দেশছাঁড়া! হয়ে মেদিনীপুরের আড়ঢার গড়ে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন শিবায়নের বিখ্যাত কবি রামেশ্বরও তখৈবচ। মেদিনীপুরের চেতুয়া পরগণার ক্ষুদে লেঠেল জমিদার হেম্মত মিংহও তার ঘর ভেঙ্গে যছুপুর থেকে বাসত্যাগী করে দেয় শেষ পর্যন্ত তিনি কর্ণগড়ের - রাজাদের আশ্রয়ে এসে কাবাচর্চা করার স্থযোগ পান। হাওড়া জেলার পেঁড়োর রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র বা এই জেলার শিবায়নের আর এক কৰি বাঁমকষ্জ রায়ও বর্ধমান মহারাজাদের হাতে যথেষ্ট নিগৃহীত হয়েছিলেন। স্বভাবতই এইসব কবিরা যেমন পেরেছেন তেমনই শ্লেষাতআক কঠোর ভাষায় তাদের ঈপ্সিত কাবো তুলে ধরেছিলেন সে-সব ব্যথা বেদনার কাহিনী যা আজ প্রতিবাদের এক জীবন্ত স্বাক্ষর হয়ে আছে। তাই এসব কবিদের পু'থির বিবরণ আমাদের কাছে সেকালের সমাজজীবনের এক জীবস্ত দলিল বলেই বিবেচিত হয়ে আসছে।

এতো! গেল কবিদের কথা কিন্তু সেকালের শিল্পী-স্থপতিরা তীবা কি শাসককুলের অধীনে পরমানন্দে জীবন কাটিয়েছেন, ন। এবছিধ চিরাচরিতভাবে নিগৃহীতও হয়েছেন? যদি তীর! অত্যাচারিত হয়েই. থাকেন, তাহলে তার কোন প্রতিবাদের চিহ্ন কি রেখে গেছেন হাদেব সৃষ্ট স্থাপত্য-ভাক্কর্ষে ব1 শিল্পকলায়? এখন প্রশ্ন, সেকালের এমন কোন স্থপতি ব! শিল্পীর কৃত 'কোন শিল্পকর্মে তেমন কোন প্রতিবাদের নিদর্শন কি একালের শিল্পরসিক বুদ্ধিজীবীরা খুঁজে পেয়েছেন? |

হন মেদিনীপুর £

উত্তরে হয়ত অনেকে বলবেন, কেন পটুয়া চিত্রকরদের বেলায় তে৷ তেমন কিছু প্রতিবাদ দেখা গেছে! কেবলমাত্র এখানেই স্বীকার করে নিতে হয় যে, একদা দেশের'অবহেলিত পটুয়া-চিন্রকরর ব্রিটিশ শাসনের উৎপীড়নের কা?হনী তাদের পের মাধামে চিত্রিত করে বেশ কিছু বিদ্রোহের গান পরিবেশন করে- ছিলেন। এসব পটুয়ারা লম্বা ধরনের কাগজের উপর কোন এক কাহিনীর চিত্ররূপ অঙ্কন করতেন। তারপর ছুদিকের কাঠিতে জড়ানো সেই পটগুলি আস্তে আস্তে খুলে দেখাতেন এবং গ্রামা সুর সহযোগে সেগুলি গানের মাধাদম তুলে ধরতিন। পটুয়াদের এমন এক পটের নাম ছিল, “সাহেব পট? সাদ চামড়ার লাহেবরা একপময় কিভাবে দেশের বিদ্রোহী প্রজাদের শসন করার জন্যে তাদের ধরে গাছের ডালে ঝুলিয়ে ফাসি দিয়েছিল--তাঁরই প্রতিটি বিৰরণ ছিল' সে মব পটে। স্বভাবতই বিদেশী শ/সককুল এসব পটুয়া-পট বা! গান স্থনজরে দেখেনি তাই একমময় চৌকীদার দিয়ে এসব পটুয়াদের থানায় ধরে এনে' যথাবিহিত শান্তিও দেওয়া হয়েছিল রাজরোষে একসময় সাহেব পটও এইভাবে নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল

আঁর কীঁ আশ্চর্য, সাহেবর| দেশ ছেড়ে ১৯৪৭ সা!লে চলে গেলেও, স্বাধীনতার পরে' দেশের কি হাল হয়েছে, তাও যদি পটুয়ার! তাদের পটে ছবি একে দেখিয়ে গান, করতো, অমনি দেশের বলশ।লী রাজনৈতিক দলের ছড়ার! পটুয়াদের এসব পট জোর করে কেড়ে নিয়ে তাড়িয়ে দিত। এমন ঘটন। তে! হামেশাই ঘটেছে, তাই সেসব উৎপীড়নের ঘটন! এই প্রসঙ্গে নথিবন্ধ করে রাখা গেল।

লোকচিত্রকরদের প্রতিবাদের স্বরূপ তো! কিছুট। পাওয়। গেল। কিন্তু আর সব শিল্পী-স্থপতিদের প্রতিবাদের কিছু পরিচয় কি কোথাও নেই? যদিও প্রশ্নের জবাব দেওয়া খুবই কঠিন, তাহলেও খুঁজে পেতে দেখতে হবে। থানায় চুরির ডাইরী'ন! হলে, যেমন দেশে চুরির কোন ঘটন। ঘটেনি বলে থানার দীরোগাবাবু সদরে রিপোট করেন তেমনি বুদ্ধিজীবীদের নজরে না আনলে তারাঁও তেমন নজির খুঁজে পান না তাই এসব বিষয় নিয়ে আরাম কেদারায় পার্খার তলায় বসে পুঁথি-পত্র না ঘেঁটে বরং গ্রাম-গ্রামাস্তরে মঠ-মন্দিরে বা বনোি' বিত্তশালীদের আবাসগৃহে রঙ্গিত কাগজপত্র জঙ্জালে অনুসন্ধান চালানোর- প্রযোজন হয়ে পড়েছে তবেইহয়ত পাওয়া যেতে পারে এমন কোন গ্রতি- বাদের স্বীক্ষরধুক্ত নমুনা | |

সংস্কৃতি মানব সমাজ ১১৩

কারণ অভিজ্ঞতা বলছে, হয়ত কোথ।9 বা মিলতে পারে। অবশ্য এর অ।গে আমর] বেশ কিছু শিল্পী-স্থপতিদের পরিচয় খুজে বের করতে পেরেছি কেনন। আমাদের পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন স্থানে যে সব মন্দির-দেবালয় আছে সেগুলির প্রতিষ্ঠীলিশিতে উৎকীর্ণ আদ্ছ এমন সব মিশ্বী-ক।রিগবরের নাম। তাঁর ফলে আমরা জানতে পেবেছি মন্দিবগড়1] এইসব কারিগনের নিবাস কোন্‌ কোন্‌ জায়গায় কেন্দ্রীভূত ছিল (আমার লেখা “মন্দিরলিপিতে বাংলার সমাজচিত্র গ্রন্থ দ্রষ্টব্য )। অবহহল।ভরে যদি এগুলির কোনদিন খোজখবর না কর! হত, তাহলে মধাযুগের সাম।গিক ইতিহাসের এমন ছড়ানো-ছিটানো। মালমসল। সেই কবেই ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যেত।

মন্দির দেওয়লের উৎসর্গলিপিতে স্থপতির নাম খুঁজতে গিয়ে কিছু কিছু অদ্ভুত জিনিষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও যেন মনে হয়েছে শিল্পীর জীবন যন্ত্রন।র প্রতিবাদ মূর্ত হয়েছে তার সষ্টতে। যদিও বিধয়টি একট অস্বাভাবিকতার পধায়ে পড়ে, তবু মনে হয় এটি যেন শিল্পীর যথার্থ এক প্রতিবাদ শিল্পীব অভিনব প্রতিবাদের চিতুটি জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্যই এতঙ্গণ ধরে এই গৌরচন্দ্রিকা করা হল। কি পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টির অব'তার্ণ! করা হয়েছে তার পশ্চাৎ্পটটি এখানে তুলে ধরা ছাড় কোন উপায় ছিল না।

মন্দিরগাত্রে কামকল1-ভ।ঙ্ব্ষ বিষয়ে বুদ্ধিজীবী তথ] সাধারণ মান্থষের ধারণ! যে এগুলি পুরী, কেণারক খ|জুরাহ প্রস্তুতি স্থানেই বেশী দেখা যায়। কিন্তু এই পশ্চিমবাংলার বহু গ্রামের মন্দিরে মন্দিরে যে এমন মিথ,নমু্তি রয়েছে তা আমাদের অনেকেরই হয়ত অজানা এখন বক্তব্য হল, বাংলার মন্দিরে যেসব মিথন ফলক নজরে পড়ে, সেগুলির মধ্যে বিত্তশালী মন্দির প্রতিষ্ঠাতাদের 'ম'-কারান্ত সাধনায় বাবাঙ্গনা-বিলাসের এক পরিফার ইঙ্গিত পাঁওয়৷ যায়। এসব প্রতিষ্ঠাতার তাদের কামনা-বাসনাকে প্রথাগত মিথ ,ন-ভাস্বর্ষের শাস্দ্ীয় অনুশাসনে বেঁধে রাখতে চেয়েছেন বলেই মনে হয়েছে। তাই মন্দির নির্মাণের সময় দরিদ্র শিল্পীদের হুকুম দিয়ে এসব কীম-কলা ভাস্কর্য মন্দির দেওয়ালে ফাটিয়ে দেবার ব্যবস্থা করেছেন শিল্পীরাও মালিকের ইচ্ছায় কর্ম করে সেইমত গ! ভাসিয়ে দিয়েছেন

কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটে গেল, মেদিনীপুর জেলার দ।সপুর থানার উত্তর গোধিন্দ- নগর গ্রামে উনিশ শতকের মাঝ।মঝি সময়ে প্রতিষ্ঠিত ভুবনেশ্বর শিবের মন্দিরে মন্দিরের সন্মুখভাগের সঙ্জায় শিল্পী যথারীতি পোড়ামাটির ফলকে খোদাই করে

১১৪

মেদিনীপুর £ দিলেন রাম-রাবণের লঙ্কীযুদ্ধ প্রভৃতি ১৭৭২ শকাবৰে প্রতিষ্ঠত বলে যেমন এক ফলক তিনি উৎকীর্ণ করে দিলেন, তেমনি শিল্পী নিজের নামও খোদাই করে জানিয়ে দিলেন যে, এই মন্দিরের মিশ্বী প্ীানন্দরাম দাস, সাকিম দাসপুর সে সময়ের প্রথামত কামকলার মিথন-ফলক যখন বসানোর নিয়ম, তখন শিল্পী মালিকের হুকুমমত পোড়ামাটির ফলকে খোদাই করলেন কামক্রিয়ারত এক পুরুষ নারীর মৃত্তি আর তার পাশে দগ্তায়মান আবুও এক পুরুষের মৃত্তি। আর পাঁচট। মন্দিরের বন্ধকীম নরনারীর এই বিষয়ট। এখানেই শেষ হলে হয়ত কিছু বলার ছিল ন।। কিন্তু শিল্পী মিথ ,ন ফলকের নীচে কয়েকঠি কথা উৎকীর্ণ করে দিয়েই গোল বাঁধিয়ে বসলেন। এখানে তিনি যা লিপি খোদ্িত করে দিলেন তার মর্মার্থ হল যে, ফলকে নিবদ্ধ দণ্তায়মান পুরুষটি হলেন একজন নরন্ন্দর এবং মিথ,ন ক্রীড়ারত নারী হলেন নরন্ুন্দরের অর্ধ।ঙ্গিনী ; ঘিনি কিনা স্বামীর সাক্ষাতেই নরলোকের মান্থুষকে রতিদদন করে থাকেন।

বিষয়টা পাঁঠকবর্গের কাছে একটু জটিল হয়ে যাবে বলে, পরিষ্কার করে বলাই ভাল। পুরুষাহগক্রমে যে ঘটনাটি প্রচলিত আছে ভা হল, স্থানীয় এক নরহ্গন্বরের স্বভাবগত ধুর্ততার কাছে হতভাগ্য মন্দির-শিল্পী নানাভাবে লাঞ্চিত হয়েছিলেন, কিন্তু কোন পাণ্টা আঘাতে তাকে পরাস্ত করতে পারেন নি। তাই মন্দিরে প্রথানুযায়ী মিথন ফলক বসানোর যে রীতি ছিল, তাকে আশ্রয় করেই শিল্পী এহেন গ্রতিবাদ জানালেন নরন্ুন্দরের বিরুদ্ধে_যার নাকি সতীসাবিত্রী স্ত্রী সাধারণের কাছে এক উপভোগ্যা মাত্র। শতাব্দীর প্রাচীন এক সাধারণ শিল্পীর এহেন এক অভিনব প্রতিবাদ আমাদের একান্তই চমতকৃত করে।

আলোচ্য মন্দিবের মিশ্বী আনন্দরামের মতই আর এক প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে শুত্রধর-শিল্পী যুগলচন্ছরের তৈরী কাঠের মুত্তিতে। তদানীন্তন বংপুর জেলার (বর্তমানে বাংলাদেশ) ইমামগঞ্জে ছিল এঁ শিল্পীর নিবাস একদা! তিনি তান্থলপুর গ্রামের এক ভূত্বামীর আদেশে কাঠের এক রথ তৈরী করেন এবং রথটির গায়ে অনেকগুলি কাঠের পুতুলও লাগিয়ে দেন। এসব কাঠের পুতুলের মধ্যে একটিকে স্থানীয় ভোজন জেলেনীর মুক্তি বলে সকলেই সনাক্ত করেন। ১৯২৬ গ্রীষ্টাব্দে প্রকাশিত সুত্রধর সমাজের এক পুস্তিকায় লেখা হয়েছিল, কেন শিল্পী ভোজন জেলেনীর হুবহু মৃত্তি তৈরী করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তাতে লেখা ছিলঃ “ভোজন জেলেনী যুগলচন্্রকে মাছ দিতে চায় নাই। সুতরাং

সংস্কৃতি মানব সমাজ ১১৫

তোঞ্জনকে লোকচক্ষে হাশ্ত।ম্পদ করিবার, জন্য মাছের চুপড়ি সন্ুখে করাইয়া রথের পার্থে বসাইয়াছেন। এই দারুমূত্তি এরূপ স্বাভাবিক হইয়াছিল যে, যে কেহ দর্শন করিত উহা ভে।জনের ফৃত্তি বলিয়। চিনিতে পারিত:-*.***. 1”

এখন পাঠকবর্গের কাছে প্রশ্ন তোল! রইল, উল্লিখিত ছুটি নিদর্শনের মধ্যে কি শিল্পীর প্রতিবাদের স্বাক্ষর নেই? যর্দি থেকে থাকে, তাহলে সাবেক আমলের শিল্পীরা যে বন্থবিধ নিপীড়নের মধ্যে প্রতিবাদ জানাতে কমু করেননি এগুলি তাঁরই এক জলন্ত দৃষ্টান্ত

২৮. ঘেদিলীপুল্েঘ্র এক জন আন্দিঘ্ব-স্বপাতি : শিলপনিপুণ জীবন পর্রিচয়

খনার বচন বলেছে £ ধর্ম করিতে যবে জানি। পোখবি দিয়! রাখিব পানি গাছ কইলে বড় কর্ম। মণ্প দিলে বড় ধর্ম॥ সুতরাং হিন্দুশ।স্্রমতে বাঙ্গালীর জীবনে পুণ্যকর্মের পরিচয় দেবার জন্টে যা যা করতে হবে, তার মধ্যে পুকুর খনন, গাছ প্রতিষ্ঠা এবং ঠাকুর মগ্ুপ বা মন্দির নির্মাণ একযুগে রাঁজা-মহারাজ। আর ধনী ভূম্বামীদের কৃত এই সব মজে যাঁওয়। দিঘি আর জলাশয় এবং ভগ্ন মন্দির-দেবালয় আজ কিংবদস্তীর এমন বহু কাহিনী সৃষ্টি করেছে। সমাজ জীবন তে। বন্ধ জলাশয় নয়। তাই সে এক জায়গায় থেমে নেই; শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভাঙাগড়ার জীবন পরিচম্ন বহন করেই তার ইতিহাস রচিত হয়েছে আর্থিক পরিপুষ্টতায় একদিন ধর্মীচরণ করার অধিকার শুধু যেসব সামন্ত ন্পতি ভূম্বামীদের একচেটিয় ছিল, তারও একদিন পরিবর্তন ঘটলে। ক'লের প্রবাহে বাংলায় উৎপন্ন হস্তশিল্পজাত উৎকৃষ্ট দ্রব্যসম্ভাবের আকর্ষণে প্রলুব্ধ হয়ে দেশবিদেশের বণিক সমাজের একদা সমাগম ঘটলে! এদেশে আর তারপরে নানান পাঁকে-গ্রকারে কলা-কৌশলে পরাধীন করে রাখা হোল এদেশের মানুষকে শামন শৌহণে প্রতিষ্ঠিত জমজমাট

১১৬ মেদিনীপুর £

বাবসা-বাণিক্জার দৌলতে গ্রাম-বাংলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু ব্যবসায়ী, আড়তদ।র চ।লানীদার পরিবার ফুলে ফেঁপে উঠলেন। লাভের উদ্দত্ব কাচা পয়পায় আগগর দিনের রাজা-মহারাজাদের মতই,শ্র্ হোল “মণ্পপ দিলে বড় ধর্মের কার্ধকরণ অষ্টাদশ শতাব্ীর স্তর থেকে উনবিংশ শত.কর শেষ ভাগ পর্ধপ্ত এমনি ধরনের বহু পরিবার তাদের অজি'ত বিন্ুকে ধর্ম।চরণের কাজে লাগালেন মন্দির প্রতিষ্ঠার মধা দিয়ে তাই এই সময়েই দেখ! যাচ্ছে পো ড়া- মাটির মন্দির বেশী সংখাক তৈরী হয়েছে বাংলার গ্রাম-গ্রামাস্তরে |

এই সব মন্দির তরীর কাজে ডাক পড়তো ষ'।দের, তারা হলেন বাংলার সত্রধর সম্প্রদায়; অর্ধ সুতো ধরে নিখুঁত কাজ করার অধিকারী যারা পাঁকাবাড়ি তৈরী, আন বাধানে। ঘাট, কাঠের নানান রকম কাজ, দেবদেবীর মধ্তি তৈরী--এসব কাজের জন্তো স্ত্রধর সমাজর একচেটিয়া অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জনসমাজে লোকপ্রিয় হয়েছিলেন তাই “ছুতোর মিপ্থি” নামে লৌকিক পদবী লাভ করে। বিভিন্ন শিঞ্পে নিযুক্ত কুটিরশিক্পীদের বমতি যেমন একটা জায়গায় কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ে, তেমনি স্বত্রধরসমাজের ক্ষেত্রেও তাই দেখা গেল। আশপাশের জেলা গুলির মধো মেদিনীপুর জেলার চেতুয়া-দ(সপুর, হ[ওড়া জেলার থলে-বসপুর আর হুগলী জেলার বাজহাটি-নন্দনপুর-_-এমপি সব বুড়ো কেন্দ্র হয়ে পড়েছিল কুত্রধর সম্প্রদায়ের। অন্য জেলার এই সব স্ত্ধর সমাজের নিবাস সম্পর্কে আগ্রহীদের পূর্বোক্ত মন্দির লিপিতে বাংলার সমাঁজচিত্র” শীর্ষক পুস্তকটির কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যাতে বিষয়ে কিছুটা! আলে।কপাত করা হয়েছে।

এহেন মেদিনীপুর জেলার চেতুয়া-দীলপুর হোল ঘ'টালের নিকটবর্তী একটি বর্ধিঞণ এলকা দীসপদুর একদা তার শিল্প বাণিজ্যে সমৃদ্ধির চরম শিখবে উঠেছিল তাই বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ কাজে শ্ত্রধর কারিগরের প্রয়োজনে এখানেই গড়ে উঠেছিল এক বিস্তত স্ুত্রধরপন্তী_-যেখানে নাকি একদা ছিল ু'শে। ঘর ব্ুত্রধর পরিবারের বান আর এই গ্রামেরই শীল পরিবারের এমনই একজন মন্দির-স্থপতি ঠাকুরদাস শীল ; জাতি স্ত্রধর |

ভারতবর্ষের বহু বিশালাকার মন্দির দেখতে গিয়ে দর্শকরা হা-ছতাশ করেন /ব্পিদিফলক না৷ থাকায় শিল্পীর নাম না জানতে পাবীয় তাই শিল্পীর স্থাট- প্রসঙ্গ কল্পনাপক্ষ ধিস্তার করে একসময় তা! রক্তম।ংসের মানুষ থেকে দেবতা বিশ্বকর্মার ব্ূপ পরিগ্রহণ করে। বাংলার পোড়ামাটির ভান্বর্য সমন্বিত মণ্দির-

সংস্কৃতি মানব সমাজ ১১৭

গুলি সম্পর্কে একই কথা বল! যেতে পারে। সধ্ুদশ শতকের বহু মন্দিরে কোন লিপিকলক নেই। সুতরাং মন্দির কবে তৈরী হয়েছে বা কে তৈরী করেছেন--সে স্থাপয়িতা বা স্থপতির পরিচয় পাওয়া একাস্তই কষ্টকর হয়ে পড়ে। কিন্তু পরবর্তীকালে অষ্টাদশ শতক থেকে স্ব করে উনবিংশ শতকের শেব ভাগ পর্ষপ্ত ণিমিত বহু মন্দ্িরে কিছু কিছু লিপিঞ্লক পাওয়া যাচ্ছে-_-সাল তাগিখ স্থপয়িতার নামের সঙ্গে শিল্পীর নামও দুর্লভ,নয় ক্ষেত্রে শিল্পীর কর্মক্ধের পরিচয় আবার একটি কি ছুটির বেশী মন্দিরে দেখা যায় না। কিন্তু একজন শিল্পীর বিভিন্ন স্থানে মন্দির নির্মাণের কার্ধধারা সম্পর্কে যদি মন্দির- লিপি থেকে জানতে পারা যায়, তাহলে ত৷ একটা ছোটখাট আবিষ্কার বলা যেতে পারে এবং আবিষ্কারের ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই বোধ হয় মন্দির-শিল্পী ঠকুরদাস শীল মন্দিরলিপিতে নিজের বুদ্ধিবৃত্তির প্রসঙ্গ লিখে রেখেছিলেন।

দাসপুর গ্রামের এই স্থপতি-শিনীর মন্দির তৈরীর প্রথম পরিচয় পাওয়া যায়, দাসপুরের চক্রবর্তীদের মন্দির নির্মাণে মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়ালে চুনবালব পলেস্তারার উপর একটি লিপি আছে লিপির বয়ান নিম্নরূপ £ প্রশ্রী জিউ দৌধিবামনাসন/সকাব্বা ১৭৬৮ সন ১২স ৫৩ সাল/তারিক ১৫ ফাস্তন পরিচারক শ্রীযুত/রাসবেহারি চক্রবোপ্তির মন্দির/কৃত মিগ্ছি শ্রাঠাকুব্দাস সিল/সাং দাসপুর ইতি সমাপন |?

বোঝা! গেল, ১৮৪৬ খ্রীষ্টাব্দে ঠাকুরদা শীল কোন এক রাসবিহারী চক্রবতাঁর গৃহদদেবত| দধিবামনজীউ-এর মন্দির নির্মাণে স্থপ্তির ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। মন্দিরটি পঞ্চরত্ব ; অর্থাৎ চলতি কথায় এর পাঁচটি চুড়ে। আছে, যার চুড়াগুলি বেশ লম্বা লম্বা আকারের এবং সাধারণ ঢালু লাদা- মাঠা ছাদ চূড়াগুলির। এই ধরনের চূড়া দাসপুর অঞ্চলের শিল্পীদের বৈশিষ্টা এবং চূড়া দেখেই বলে দেওয়া যেতে পারে তা৷ সেখানকার শিল্পীদের কড়।

আঁলোচা মন্দিরটির সম্মুখভাগ পোড়ামাটির অলংকরণে সমৃদ্ধ। কানিসের উপরে অর্ধ বক্রাঞ্কৃতি প্যানেলে ছু'সাঁরি ফলক, একই ধরনের মু্তির পুররাবৃত্তি সবকটি কুনুঙ্গিতে এবং উপর থেকে আবার খাঁড়াভাবে নেমে এসেছে একসারি ফলকের মালা উনবিংশ শতকের মধ্যভাগে নিশ্লিত মন্দির। তাই ঠাকুরদাস শীলের নিগ্সিত এই পোড়ামাটির অলংকরণের কাজে বিষুরুরের বিখ্যাত মন্দিরের পোড়ামাটির কাজের মতে। মেই বলিষ্ঠত ব! ছন্দোবন্ধত! নেই, তবুও বা আছে ত| একান্তই আড়ষ্ট নয়। স্কুল পুতুলের মত গড়ন এই

১১৮ মেদিনীপুর £ ফলকগুলির। এই মন্দিরের সন্মুখতাগের মধ্যবর্তী পানেলে যে পাচসারি চিত্রফলক আছে সেই বিষয়বস্বগুলি আবার এই শিল্পীরই কৃত স্থরথপুরের মন্দিরের ঝাদিকের পাানেলে উপস্থিত করা হয়েছে চিত্রফলকের বর্ণনার মধো কোন ধারাবাহিকতা নেই। কৃষ্চলীল! রাম-বাঁবণের যুদ্ধ কাহিনীর বিভিন্ন ঘটনা ইতস্তত বিক্ষিপ্ত করে মন্দিরগাত্রে উপস্থাপিত করা. হয়েছে দাস- পুরের মন্দিরের ফলকগুলি নিরীক্ষণ করলে দেখা যাবে, যে সারিতে কুস্ত- কর্ণের নিদ্রাতঙ্গ করানে! হচ্ছে-_সেই সারিতেই রাম-নীতা তার অহ্থচর- বর্গকে দেখানো হচ্ছে। এমন অনেক ঘটনাই দেখানো হয়েছে মন্দিরগাত্রে, যার ধারাবাহিকতা পর পর সংরক্ষিত হয়নি। প্রাচীন মন্দিরগুলিতে দেখা যায় মেঝে থেকে সামান্য উচু পূ্বস্ত স্থানে এবং সেইসঙ্গে থামের দেওয়ালে পৌড়া- মাটির ফলক নিবদ্ধ হয়েছে এবং এই ফলকগুলিতে থাকতো কৃষ্ণলীলার ঘটনা টানা একসারি এবং তারপর নীচে থাকতো যুদ্ধ-বিগ্রহ, শিকারযাত্র। বা সমস[মগ্িক আড়ম্বরপূর্ণ ধণী ভূম্বমী্দের জীবনধারার চিত্র কিন্তু পরবর্তাকালের মন্দিরগুলিতে এই ধরনের ফলক আলোচা স্থানগুলিতে অনুপস্থিত থেকেছে এবং ঠাকুরদ।(স শীলের কৃত মন্দিরের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই ঘটেছে। দাঁসপুবের চক্রবতাদের মন্দিরটি বর্তমানে বিগ্রহ পরিত্যক্ত এবং তার ফলে এটি জঙ্গলাবৃত।

যাই হোক, এই মন্দিরের তিন বছর পরে ন্থুরথপুরের মন্দির তৈরীতে অংশগ্রহণ করেছেন আমাদের আলোচ্য স্থপতি সুরথপুর গ্রামটি দাসপুর থানার অন্তভূক্ত এবং এই গ্রামের শীতলা ঠাকুরের মন্দিরটির পূর্বদিকে দেওয়ালে যে লিপিফলক আছে, তার বয়ানের সঙ্গে আগের মন্দিগলিপির যথেষ্ট মিল আছে। বল] যেতে পারে এও সেই ঠাকুরদসি মন্দিরলিপি লিপিফলক হোল £ ,ভ্ীশ্ী/ সিতল। মাতা/সকাবা ১৭৭১ সন ১২৫৬/সাল তারিখ ১৮ বৈসখ পরিচারক শ্রযুক্ত/সেত্রঘন হাজরা মিগ্ি ঠাকুর দাস সিল/সাকিম দীসপুর পরগণে চেতুয়া ইতি ।”

স্থরথপুরের এই মন্দিরটিও পঞ্চবত্ব। তবে এর চুড়ার বৈশিষ্ট্য আছে। এর চূড়ার ছাদ হুল খাঁজকাটা-__-ঠিক কাঠের রথে যেমন খাঁজকাটা চূড়া থাকে এইখানে শিল্পী তার ভিন্নমুখী প্রতিভার এক ফ্লৃতিত্ব দেখিয়েছেন কিন্তু মন্দিরের পোড়ামাটির ফলক সংস্থাপনে আগের মতই ধারা অনুসরন করেছেন। সেই উপরের কার্িশে বীকানো চলে ছুসারি ফলক, তারপরে নীচে সামনের

পংস্কতি মানব সমাজ ১১৯

প্যানেলের মাথায় এক সরি ফলক এবং খাঁড়ীভাবে নীচে নেমে আমা এক সারি ফলকের মাল! ছুদিকে দুপাশে সুরথপুরের মন্দির-ফলকের কাজ দাসপুরের কাজের মতই-_বিষয়বস্তর যেন প্রাধান্ত আর সেই পুতুলের মত গতিহীন |

দাসপুরের হুসেনিবাজারে এর পরে চার বছর বাদে ঠাকুরদাসের এক কীত্তি তুলসীমঞ্চ নির্মাণ রাসমঞ্চ দোলমঞ্চের মতই আর এক প্যাটান”__তুলসী- মঞ্চ এটিও দেখতে ঠিক যেন পঞ্চরত্বের মত, তবে এর চারদিক খোলা শুধুমাত্র উচু বেদীর উপর চারটি থাম শির্ভর পঞ্চরত্বের ছাদ সংস্থাপন করা হয়েছে। তুলসীমঞ্চের মেঝেতে একট গর্তে মাটি ভরাট রয়েছে অর্থাৎ সেখানে তুলশীগাছ লাগানোর জায়গা তুলমীমঞ্চের গায়ে একটি লিপিফলকে সেই ঠাকুরর্দীসি লিপির বয়ান আগের মন্দিরলিপির মতই এটি হোল: রী বিন্দাদেষি সাবা ১৭ স৭৫ সন ১২স ৬০সাল তাবিক ২৭ যপ্রান / পরিচীরক শ্রীরাধামহন পবায়।নিক মিশ্ী ঠাকুদাম সিল।

তুলসীমঞ্চটিও বর্তমানে অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে এবং চতুর্দিকে আগ1ছার জঙ্গলে এমন ছেয়ে গেছে যে এটি ভেঙ্গে পড়তে আর বেশি দেরী নেই।

ঠাকুবদাস শীল এখন দেখা! যাচ্ছে, পঞ্চরত্ব মন্দির নির্গীণে পারদর্শী কিন্তু শুধুই কি তিনি পঞ্চরত্ব করেছেন? ভার জীবনমাধনায় দেখা যায় পঞ্চরত্ব ছাড়। নবরত্ব মন্দির নিম্মীণেই বা কম কি! দেখা গেল এবার ঠাক্কুর- দাসের ডাক পড়েছে দাসপুর আর ভ্যাবরা থান। এলাকার কোন গ্রামে নয়, একেবারে খাস খড্গপুর থানা এলাকায় চমক গ্রামে। হুসেনিবাঁজায়ের তুলসীমঞ্চ নির্মাণেক বছর তিন বাদে এবার ভাক এলে! চম্নক! গ্রামের বিরাশী মৌজার প্রবল প্রতাপান্বিত জমিদার অযোধ্যারাম নাগের পক্ষ থেকে। জমিদারী বিত্তবৈভবের দরুণ শিল্পী এবার বায়না পেলেন নাগ পরিবারের গৃহদেবতা শ্রীধরজীউর নবরত্ব মন্দির নিম্ণাণের, যার সম্মুখভাগে শিল্পী লঙ্কাযুদ্ কৃষ্চলীলার “টেরাকোটা”ফলক তো! উৎকীর্ণ করে দিলেনই, উপর্ত মন্দিরের কাঠের দরজাটির পাললাতেও খোদিত করে দিলেন নানাবিধ ভাস্কর্-অলংকরণ। মন্দিরে যে উৎসর্গলিপি নিবদ্ধ হল তাঁর বয়ানঃ শ্রিশ্রীন্ধর জয়তি/আরদ্ধ শকাবা ১৭৭৮ সন ১২৬৩ সাল তাং বৈসাথ যুক্রবার কৃত শ্রীযুক্ত/অযোধ্যারাম নাগ মি্ত্রী শ্রীঠাকুর দাষ সিল | শ্রীগোপাল চন্দ্র সাং দাসপুর |,

আগের বছরে মন্দির তৈরী নুরু হয়েছিল শেষ হল পরের বছর বৈশাখে এদিকে ভ্যাববীর বলবামপুর থেকে মঞ্পিকরা এন্টি শিবমন্দির নিমধীণের।

১২০

মেদিনীপুর £ দায়িত্ব দিয়েছেন শীল মশীইকে ভিনি এবার অন্ঠান্য বীতির মন্দির ছাড়] মন্দির তৈরীতে ওড়িশা! রীতি অন্ঠসরণ করলেন তর শিল্পকর্মে। চুনবাঁলির সাদামাঠা পলেস্তীরা দিয়ে যে পঞ্চরথ শিখর-মন্দির নির্মাণ করলেন তার আকার তেমন বিশাল নয় বটে তবে তা একান্ত ক্ষুদ্রও নয়। তবে মন্দিরটি বোধ

হয় ঠাকুরদাসের শিখর-মন্দির নিমর্ণাণের প্রথম পদক্গেপ। মন্দিরগাত্রের লিপিটি সাধারণের অবগতির জন্যে তুলে দিল।ম

“্রশ্রঞনিব ঠাকুর/নুভমন্ত সকাব্খা ১৭স ৭৮/সন ১২স ৬৩ সাল তাব্সিক/১৪ কান্তিক/ম্তি শ্রীঠাকুর দান শিল/স।ং দাশপুর চেতুয়া |”

এর ঠিক বছর তিনেক পরেই মল্লিক পরিবারের গৃহদেবতা সীতারাম জীউয়ের মন্দির নিমণণে শিল্পী তার কারিগরি নৈপুণোর স্বাক্ষর রাখলেন। নিম্সিত হোল সপ্তরথ শিখর-দেউল এই বলবামপুর গ্রামেই গড়িশাব মন্দির বীতিকে প্রকট করে তোল[র জন্যে মেধিনীপুররীতির ছে'ট “আমলক" ব্যবহারের পরিবর্তে বড় ধরনের আমলক বসানো হোল কিন্তু মন্দিরের সন্মুখভাগে বাংলা চাঁরচালা বাকানে। ছাদের ঢংয়ে জগমোহন নিম্ীণ করা হোল। জগমোহনের সম্মুখভাগ পোড়ামাটির অলংকরণ দিয়ে সজ্জিত করা হোল। এবারে কাত্সিসের উপরে দু'সারি ফলকের বদলে একসারি ফলক অর্ধবৃত্তাকারে ঝাখা! হোল। অত্যান্ত দুঃখের কথা, এই মন্দিরের সম্মুখভণগে মন্দির-ফলকের বিষয়বস্ত কি ছিল, তা বর্তমানে বোঝা যাবে না। জনৈক অপরিচিত ব্যক্তি আদিবাসী মজুর ল।গিয়ে সমন্ত খুলে গরুর গাঁড়ি বোঝাই করে নিয়ে চলে গেছেন। আজও এখানে গেলে সেই কালাপাহীড়ী অত্য।চাবের নিদর্শন দেখতে পাওয়া যাবে।

তবে সে যাই হোক, বলরামপুরের এই মন্দিরটির লিপিতে ঠাকুরদাস শীল এক অভিনব বুদ্ধিবৃত্তির পরিচয় দিলেন। তখনকার দিনের পু'ঘি পাঠের মধ্যে সেই প্রাচীন বাংলার কাব্যছন্দের প্রভাঁব বলবামপুবের মন্দির দেওয়ালে পড়লো! শুধু ছন্দোপ্রভাবই লিপিফলকটির বৈশিষ্ট্য নয়, এর মধ্যে কারিগরি- বিষ্ভা সম্পর্কেও যথেষ্ট মালমসলার সন্ধান দিয়ে গেলেন ঠাকুরদ।স। মন্দির- লিপিটি হোল 'শ্রীশ্রী/সিতারামচন্্র জিউ/শুন সর্বজন করি নিবেদন/মন্দীর নির্বাণ কথা) দাসপুরে বাষ মিদ্ত্ি ঠাকুরদ।স/শিল পদবীতে গাঁথা / মিশ্বীর সঙ্গে অশটজন

করিল শ্গঠন/শকলে ক্ষেমতী। পুর্ণ/আবম্ত সাতশগ্ঠী সালে গেল দিন হরি বলে/ আসষ্টীর আসাঁড়ে সংপূর্ণ।,

সংস্কৃতি মানব সমাজ ১২১

ঠাকুরদাসের লিপিচি থেকে একটি জিনিস ভবিষ্যতের গবেষকদ্দের কাছে উদ্দাহধণ হয়ে রইল যে, সাধারণত এইসব মন্দির নির্ম।ণে স্থপতিরা কতদিন সময় নিতেন। প্রভূতভাবে পোড়ামাটির অলংকরণ মন্দিরগাত্রে দেখে উৎসাহী বাক্তিমাত্রেরই ধারণ! হোত, বোধ হয় বহু দিন বহু বছর ধরে মন্দির নির্মাণের কাজ চলতে! | কিন্তু আঁলোচা মন্দিবলিপি বলছে, এক বছরের মধোই মনিন্র নির্মাণের কাজ সম্পাদন করা হয়েছে মনে হয় ব্বিষয়ে গৃহম্বামীর একট? তাগিদ আছে। আকারে বড়-ছোট বা! তুসঙ্জিত ইতাদির প্রশ্ন নেই, প্রশ্ন হোল এক বহরের মধোই শেষ হচ্ছে কিনা? বলরামপুরের মন্দির ছাড়াও অন্যান্য মন্দিরের লিপি থেকে জানা গেছে, সম্পূর্ণ করার সময়কাল এক বসর। এক্ষেত্রে আলোচা লিপিফলকে ঠাকুর্দাম শীল এইসব উদাহরণ রেখে গেছেন বলেই মন্দির নির্মাণের সময়কাল এবং প্রধান শিল্পীর অধীনে সহযোগীর সংখ্যা ইতাদি আমাদের গোচরীভূত হয়ে অশেষ উপকার সাধিত হয়েছে। এক্ষেত্রে তাই ঠাকুবদাসের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার অন্ত নেই।

এখন নানান রীতির মন্দির নিমণণে ঠাকুরদাসের বেশ সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে তাই ড্যাবরা থানার তাঁলবান্দি গ্রাম থেকে গোস্বামীর! ডাক ছিলেন শিল্পীকে তাদের বাঁধাবল্পতের একটি পঞ্চবত্ব মন্দির নির্মাণের জন্যে গোস্বামী ব্রাঙ্গণ, শিল্পীর দক্ষিণা তেমন দিতে পারলেন নাঁ। তাসত্বেও স্থপতি মন্দিবের প্রবেশপথের উপরে এক সারিতে দশাবতার কৃুষ্ণলীলার “টেরাকে।ট1'-ফলক বসিয়ে সাদা- মাঠা মন্দিরে সৌকর্ষবৃদ্ধিতে নিজের গুণপণার স্বাক্ষর রাখলেন। সেইসঙ্গে খোদাই করে দিলেন নিজন্ব কীত্িলিপি, যার পাঠ হলঃ 'ীশ্র রাধাবল্লভ জিউ সকাবা ১৭৮৫ সন ১২৭০ সাল তাং ১৫ আসাড়। শ্রঠাকুরদাস (সিল সাং দাসপুব ।”

এছান্ডা ঠাকুরদা বোধ করি শিখর-দেউল নির্মাণে খুব সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠে- ছিলেন। এর তৈরী সর্বশেষ আর একটি শিখর-দেউলের সন্ধান পাওয়া গেছে। মন্দিরটি হোল ড্যাবরা থানার অন্তর্গত চকবাজিত গ্রামে একশে। বাইশ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত শিব-মন্দির। মন্দিরের গায়ে ঘে লিপিটি আছে, তার বয়ান হোল £

প্রশ্ীজিউ সিব ঠাকুর £ যুভমস্ত সকাবা £ ১৭৮৭/য়ারস্ত ৭২ লালে সন ১২৭৩ সালে আ্াবণে সংপূর্ণ : / মিন্ত্ী শ্রীঠাকুর্দীষ মিল সাং দাষ পুর ।”

দেখা যাচ্ছে ঠাকুরদীম বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের মন্দির তৈবী করেছেন।

১২২ মেদিনীপুর £ কোন মন্দিরে পোড়ামাটির ফলক দিয়ে অলংক্কত করেছেন, আবার কোথাও সাদামাঠা রেখেছেন। বেশ বোঝা যাচ্ছে, এক্ষেত্রে গৃহন্থামীর আর্থিক দিকটা দেখা হোত। কত টাকা সর্সাকূলো খরচ করবেন সেই হিসেবমত আকার বা আয়তন ঠিক করে শিল্পী মন্দির নির্মাণে রত হতেন 'ঠাকুরদাসের সব কটি স্থাপতাকর্মে এই দিকটি ভালভাবে ফুটে উঠেছে তার বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন আকারের মন্দির নিমণাণের মধো |

মন্দির-ফলকের মোটামুটি হিসেবমত ঠাকুবদাঁসের প্রায় কুড়ি বছরের কমময় জীবনের এই হোল একটা পরিচয়। ঠাকুরদাস এই কুড়ি বছরে হয়ত অনেক পাকাবাড়ি, স্নানের ঘাট, আর অনেক প্রতিমা! নিমণণ করেছেন। কাঠ খোঁদাইয়ের বহু কাজও হয়ত করেছেন। সব ক্ষেত্রে নাম খোঁদাই:য়েব সুযোগ ছিল না বলে ঠাকুরদাস তার স্ষ্ট সব কাজেই হার নাম কালের সাক্ষী হিসেবে রেখে যেতে পারেননি ছাড়া ঠাকুরদাসের কৃত সব মন্দিরগুলির খৌঁজ- সন্ধন এখনও হয়নি। আলোচা মন্দিরগুলি ছাড়াও ঠাকুরদাস হয়ত আরও অনেক মন্দির নির্মাণ করেছিলেন, কিন্তু তা কালপ্রবাহে বিধ্বংসী বন্যার তা গ্ুবে ভূমিকম্পের আঘাতে শেষ হয়ে গেছে। মারী-মড়কের বিভীবিকায় গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে গেছে, তাই পরিচর্যার অভাবে গ্রামের মন্দিরগুলি তিল তিল করে ধ্বংসন্ুপে পবিণত হয়েছে হয] আজ পর্যপ্ত টি'কে ছিল তা৷ সামাজিক উদ্দাসীনত। অবহেলায় শেষ হয়ে যেতে বসেছে বাংলার মন্দিরগুলির কেউ আদমন্মাব করে রাখেন নি। তাই মাথ। খুঁড়ে মবলেও তার হিসেব খুঁজে পাঁওয়! ভাঁর-_কেননা ইতিমধ্যেই কত ধ্বংল হয়ে গেছে।

তবুও একটি কথা এই গ্রসঙ্গে আসছে তবে কি ঠাকুরদাস আরও যে সব মন্দির করেছিলেন, তাতে লিপিফলক দেওয়ার আদেশ পাননি গৃহস্বামীর কাছ থেকে? তা যদি হয় তাহলে অনেক মন্দির তার কৃত হলেও আজ তা অজ্ঞাত শিল্পীর নিম্নিত বলে ধরে নিয়েছি। কিন্তু এক্ষেত্রে ঠাকুরদ।সের চরিত্র বিলেষণ করলে তা মনে হয় না। ঠাকুরদাস যতগুলি মন্দির নির্মাণ করেছেন, মন্দিরের সম্ুখভাগে লিপিফলক দেওয়ার যৌগ যেখানে পাননি, সেখানে মন্দিরের পাশেও অস্ততঃ লিপিফলক রেখেছেন। এখানে মন্দির, স্থাপয়িতার আদেশ বা মজি অন্থসরণ করে ঠাকুরদা চলেন নি; শিল্পী ঠাব শিল্পক্ষেত্র স্বাধীনভাবে বিচরণ করেছেন আর সেই জগ্ঘেই বোধ হয় এতগুলি মন্দিরে তার শিল্পফ্কৃতির বিবর্ণ প।ওয়। সম্ভব হয়েছে।

সংস্কৃতি মানব সমাজ ১২৩

ঠাকুরদ[সের কাল শেষ হয়েছে বহুদিন আগে তার রচিত মন্দিরলিপিই তার শিল্পনিপুণ জীবনের ইতিহাস আমাদের ম্বরণ করিয়ে দেয়। ল্মরণ কবিয়ে দেয় মন্দির নির্মাণ-কৌশলের সেই হারিয়ে যাওয়! হ্থত্রের বিবরণ ; সেই পতন অভুদয়ের লামাঁজিক ইতিহাসের ছায়া যেন এসে পড়েছে এই বিবরণের মধ্যে। অনেক অজ্ঞাত অবজ্ঞাত মন্দিব-নিমণণ শিল্পী স্থপতিকুলের মধ্যে অন্ততঃ একজন স্থপতির পরিচয় পেয়ে আমবা! ধন্য 'ঠাকুবদাসের স্ৃত্তিসভ) হবে না জানি, কিন্তু গৌরবময় সুজ্রধর সমাজের ঠাকুরদাস শীল অমর হয়ে

রইলেন মেদিনীপুরের মাটিতে তার কৃত প্রতিষ্ঠাফলকে, জাতির গৌরব ঘোষণায়।

১? টি, ২৮১৯৬ ২৯, €পি সাহেবের ইন্তান্ান

একদ। মেদিনীপুরের জেল। ম্যাজিষ্টরেটে ছিলেন জে, পেডি। তখন ইংরেজ রাজত্বে স্বদেশী আন্দোলনের কাল। এই সময়েই সন্ত্রাসবাদীদের হাতে তিনি নিহত হয়ে লোকমুখে ইতিহাস হয়ে পড়লেন। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির কারণে কিভাবে মেদিনীপুরের বিপ্লবী তরণব। তাঁকে খুন করলো- সেই ঘটনাই তখন লেকের মুখে মুখে শোনা যেত। তাঁই সাধারণভাবে দয়। | করুণার আড়ালে পেডি সাহেবের মৃত্যু ঢাকা পড়ে গেল। কিন্তু তার আসল পৌরুষের মাহাত্ম্য আর শেষ পর্যগ্ত জানতে পারা গেল না।

তবে তখন জানা না গেলেও, সে সময়ের সংবাদপত্রে ব৷ পত্র-পত্রিকায় কিংবা সরকারী মহাফেজখানার দলিল-দস্তাবেজে বিলেতী রাজপুরুষদের শাসন পরিচালনার এমন বন্ধ কেরামতীর পরিচয় রয়ে গেছে। রাজ্য চালাতে গেলে কড়া শাসন চালাতে হয়--আর ত৷ যদি নেটিভদের দেশ হয়। এমনিতেই বশে আন! দায়, তার উপরে সবাই বদি জোট বেঁধে এককাট। হয়ে “ব্রিটিশ রাজত্ব ধংস হোঁক? বলে টেঁচামেচি করে, তাহলে উপযুক্ত দেশ-শাসন না! করে কি উপায় আছে! আমাদের আলোচ্য পেডি সাহেবও তাই ব্যতিক্রম নন, আর তিনি বখন ছিলেন জেলার সর্বময় কর্তা $ সুতরাং তার দখপটের নমুন। সম্পর্কে যদি

১২৪ মেদিনীপুর একট] ফিরিস্তি দেওয়া যায়, তাহলে মে সময়ে বিদেশী শীসকদের দমননীতির একটি চিত্র অতি সহজেই পাওয়া যেতে পারে।

কিন্ত তার আগে দেশের হালচাল সম্পর্কে দু'চার কথ! ন! বললে বিষয়টি একবগ গ। হয়ে যেতে পারে। কারণ মেদিনীপুরের রাজনৈতিক আকাশে তখন এক উত্তপ্ত আবহাওয়া বইছে। সে সময়ে সন্থামবাদী বিপ্বী তরুণদের ভূমিকা ছাড়াও, ১৯২১ সালের অসহযোগ আন্দোলনের স্থকুতেই জেলার পূর্বাঞ্চলে বীরেন্ত্রনাথ শাসমলের নেতৃত্বে যে প্রবল ইউনিয়ন বোর্ড প্রতিরে।ধ আন্দোলন ংগঠিত হয়, তাকে রুখে দেবার মত সাধা ছিল ন' গ্রবল প্রতাপ ইংরেজ সরকারের তাই সেই তীব্র ব্যাপক সত্যাগ্রহ আন্দোলনের মূখে পড়ে সরকারকে পিছু হটতে হয় এবং তারই পাঁরণতিতে গেট! মেদিনীপুর জেলা থেকে ব্রিটিশ মরকারকে ইউনিয়ন বোর্ড তুলে নিতে বাধা হতে হয়। ফলে এই আন্দোলন থেকেই জনসাধারণ নিজেদের অধিকার সংগঠিত প্রতিরোধের শক্তি যে কি--ত আবিষ্ষার করতে সক্ষম হয় এবং সেইভাবেই বিদেশী তার চেলাচামুণ্চা দেশী শোষক মহাজনদের বিরুদ্ধেও সংগঠিত হবার শপথ গ্রহণ করে। |

পরবর্তী পর্যায়ে ১৯২৯ সালের লাহোর কংগ্রেসে পূর্ণ স্বরাজের প্রস্তাব যখন গৃহীত হয়, তখন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে আইন অমান্য আন্দোলনের সুত্রপাঁত হুল নতুন করে। সেদিক থেকে মেদিনীপুর হয়ে উঠল এই আইন অমান্য আন্দোলনের ঞ্ুবতারা ১৯৩৭ সালের পটভূমিকায় লবণ আইন ভঙ্গ সত্যা- গ্রছের কেন্দ্র হিসাবে বেছে নেওয়া হল কাথি থানার পিছাবনী এবং তমলুক থানার নরঘাট গ্রাম।

মেদিনীপুরের জনগণকে ইংরেজ শাসকরা অনেক আগেই হাড়ে হাড়ে চিনতে পেরেছিলেন সুতরাং আইনঅমান্ত জনিত এই পরিস্থিতি মে।কাব্লাব উদ্দেস্তে সরকারী শাসনযস্ত্র তার চিরাচরিত কায়দায় দমননীতির 'উদ্যে।গ-আয়োজন সরু করে। ফলে দেশের জনসাধারণের সঙ্গে ইংরেজ সরকারের প্রত্যক্ষ সংঘর্ষ অনিবার্ধ হয়ে উঠে। সরকারী প্রশাসনের সেই পুরানো চিন্তা মাথাচাড়। দেয়__ লাল পাগড়ীর পুলিশ দেখলে গ্রামের লোকের! যেখানে আতঙ্কে ভিরমি যায়, যেখানে থানা-পুলিশ আর তার দোসর জমিদারি পাইক-বরকদ্দাজদের লেলিয়ে . দিলেই তো শায়েস্ত! হয়ে যায়। এক্ষেত্রে পেভি সাহেব তো জেলার ম্যাজিটটে। তাই অবাধ্য দেশবাসীর কাছে হুমকি দিয়ে ইস্তাহার ছাড়লেন। গ্রামের

সংস্কৃতি মানব সমাজ ১২৫

চৌকিদার-দকাদাররা ঢ্যাড়া পিটিয়ে . হাটে-বাঁজারে পেডি সাহেবের জারি করা ইন্তাহার দেখিয়ে বলতে লাগলেন,_খবরদ|র, খবরদার, আইন অমান্ত আন্দো- : লনে যোগ দিলে জেল-জরিমানা তো হবেই, তহুপরি অবস্থা বুঝে লোকের বিষয়-সম্পত্তিও ব|জোয়[প্ত করা হবে। অবশ্য পেতি সাহেবের দস্তখতমাতে জারি কর! সেই ইন্তাহারের ভাষা থেকে বোঝ যায় না যে, এটি গ্রামবাসাদের প্রতি সরকারী হুসিয়বি, ন। আগামী গণ-আন্দোলনের বাাপকতায় বিলেত মরকারের আতঙ্ক! এক্ষেত্রে পেডি সাহেবের ইন্তাহারটিই দেখা যাক। প্রচারিত সে ইস্তাহাবের হবছু নকল হল £ “ইস্তাহার

যেহেতু কংগ্রেস বনিয়ছে যে, তমলুকে লবণ আইন অন্তান্ত আইন ভঙ্গ করিবার জন্থ আবার চেষ্টা হইবে সেইহেতু এই বিজ্ঞাপন দ্বার! তমলুকের অধি- বাসীদের সাবধান করিয়! দেওয়া যাইতেছে যে, যদি আবার সেইরূপ আন্দোলন আবন্ত হয়, তবে তমলুকে নবম অডিন্ান্স জারী কর! হইবে সেই অিছ্া/্গ অচ্সারে যে কেহ ব।সম্থান বা খাগ্প্রবা বা গাড়ী দিয়! বা অন্ত উপায়ে আইন দমিতির হ্বেচ্ছাসেবকদের সাহাযা করিবে বা কোন উপায়ে আইন অমান্য সমিতির উদ্দেশ্টসাধনের সাহায্য করিবে- তাহাদের ছয় মান জেল এক হাজার টাক! জরিমানা হইতে তো পারিবেই, এমন কি তাহাদের বিষয় সম্পন্তি পর্যস্ত গবর্ণমেন্ট বাজোয়গ্ত করিবেন। ইতি তারিখ ২৮।১১।৩ৎ জে, পেডি, ডিগ্রি ম্যাজিষ্টেট, মেদিনীপুর ।”

বলাই বাহুল্য জেলা ম্যাজিষ্রেটের বকলমে দেওয়া এই ইন্তাহীর-বিজ্ঞ।পন দিয়ে দেশের মান্ৃধকে দমানো! যাঁয়নি। তবুও পিছাবনীর লবণ সত্যাগ্রহে নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর পুলিশের পক্ষ থেকে যে পশুনুলভ অত্যাচার চালানো হয়েছিল, তার ফলে জনমানসের মনোবল তো ভাঙ্গেইনি, উপরন্তু তা আরও বড়ো সংগ্রামের গ্রস্থতি গ্রহণে মহায়ক হয়ে উঠেছিল। অন্ুক্নপ 'নরঘাট? কেন্দ্রে লবণ আইন অমান্যের সঙ্ে ট্যান্স-বন্ধ আন্দৌলনও যুক্ত হয়ে এই জেলায় গণ- গঠনের যে গতিবেগ সঞ্চারিত হয়েছিল, তারই জের চলেছিল ১৯৪৪ মাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন গণ-আন্দোলনের মধো

১২৩ মেদিনীপুর:

১১২৫৫

৩৩. সলীত দাপ্রনাঘ (মদিঘীপুর

মেদিনীপুর জেলার শিল্প, স্থাপত্য ভাস্কর্য গৌরবের মত জেলার সঙ্গীত সাধনার অব্দানও একাস্ত উল্লেখযোগ্য অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত, সে ইতিহীস সংগ্রহ করলে দেখা যাবে খ্যাত-অখ্যাত বন্ধ কৰি গায়ক সঙ্গীত সাধনায় জেলার এঁতিহ বজায় রেখেছেন তাদের স্থষ্ট কাব্য সঙ্গীতে সেই সঙ্গে বিশ্বাতির গর্ডে এমন কত কবি সঙ্গীতকার যে হারিয়ে গেছেন এবং ভবিষ্যতে আরও কত ধে মনের মণিকোঠা৷ থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে চলতে বসেছেন তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। তাই আজ এদের সকলের পরিচয় নথিবন্ধ করে রাখার একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

জেলার প্রাচীন কবিদের প্রসঙ্গ তুললে, ্রীষ্ঠীয় ষোড়শ শতকে আমাদের ফিরে যেতে হবে__যে শতাব্দীকে মেদিনীপুরের কীর্তন সঙ্গীতের স্বর্ণযুগ খলে আখ্যা দেওয়া যেতে পারে। সেযুগে এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বন্ছ ভক্তিমান বৈষ্ণব কবি এবং মধুরকাস্ত পদাবলী রচন| করে তারা৷ কীর্তন সঙ্গীতের বিশেষ সমৃদ্ধি সাধন করে গেছেন। এদের মধ্যে প্রথমেই নাম করতে হয় ্টামানন্দ তীর প্রধান শিষ্য রসিকাননের বসিকানন্দের স্থযোগা শিস্ত গোপীজনবন্তভ দাস “রসিক মঙ্গল” গীতিকাব্য লিখে যশন্বী হয়েছিলেন শ্ঠামা- নন্দের দ্বিতীয় শিষ্য সংস্কৃতজ্ঞ ন্থপ্িত দামোদর এবং দামোদরের স্থযোগ্য শিল্প ছিলেন গোবর্ধন এর লেখা সাতটি বৈষ্ণব পদ পাওয়া গেছে। যাবু একটি হল,

“মধুর কেলি মধুব কেলি মধুর মধুর করয়ে খেলি মধুর যুবতী মাঝে মধুর হ্টাম গোরী কাতিয়। | কিব! সে দুছ'ক বদন বন্দু তাহে শ্রমজল বিন্ধু বিন্দু আনন্দে মগন দাস গোবর্ধন হেরিয়। তরল ছাতিয়। ॥%

লংস্কৃতি মানব সমাজ ১২৭

দামোদরের আর এক শিস্ত ছিলেন ধারেন্দার কাছরাম দান মোট চৌদ্টি পদ ব্রচন্মিতা৷ কবির একটি মধুর পদের অংশ হল : “চুপুর বণিত কলিত নব মাধুরী শুনাইতে শ্রবণ উল্তাস আগুসাৰি রাই কাননে অবলোকই কহতই কাঙ্গরাম দাস ।” তষলুকের বাহ্থদেব ঘোষও ছিলেন এমন এক বিখ্যাত বৈষ্ণব কবি। তিনি যেমৰ এঁতিহাসিক পদাবলী রচনা করেছিলেন তা! লোকমুখে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এছাড়া শ্যামানন্দের আর এক শিল্ত শ্যামাদাসও তার পদাবলী কীর্তনের জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন এর নিবাস ছিল কেদারকু পরগণার হরিহরপুরে এবং এ'র বিখাতত কাব্যগ্রন্থের নাম গোবিন্দমঙ্গল, যার অংশ বিশেষ হল £ “রক্তিম অধর শ্টাম রাঙ্গা আখি অন্ুপা্ রক্তিম বন কটি মাঝে রসন। কিন্কিনী সাজে রতন মগ্ধির রাজে রাঙ্গা পায় পু ঝুঙ্থ বাজে ॥? প্রাচীন বৈষ্ণব কবি কাব্য ছাড়াও জেলার মঙ্গলকাব্যের যেসব কৰি তার্দের কাব্য রচনা করেছিলেন, সেগুলিকে কোন বাগ-বাঁগিনীর কোঠায় ফেলা ন। গেলেও সে সব গান মেদিনীপুরের অন্তঃপুর মহলে পল্লীতে পল্লীতে বিশিষ্ট স্থর সহযোগে একদ। গীত হয়ে থাকতো বিষয়ে জেলার উল্লেখযোগা কবি কাব্য হল, মৃকুন্দরামের গ্তীমঙ্গল, বামেশ্বরের শিব সংকীর্তন, নিত্যানন্দের শীতলামঙ্গল, দয়ারামের লারদামঙ্গল, অকিঞ্চনের চঙ্গীমঙ্গল, শীতলামঙ্গল গঙ্ষামঙ্গল, ঘছিজ হুরিরামের অদ্রিজামঙ্গল, ছিজ গঙ্গারামের অভয়ামঙ্গল, কবি শঙ্কর কবি শ্রীক্ুষ্খকিহ্করের শীতলামঙ্গল, প্রীণবল্পভ ঘোষের জাহ্ৃবীমঙ্গল প্রভৃতি মঙ্গলকাবযর মতই হিজলী অঞ্চলে আর এক জনপ্রিয় লোকসংগীত প্রচলিত ছিল--য। “মসন্দলী? অর্থাৎ “মসনদ-ই-আলার গান" বলে সাধারণ্যে, পরিচিত ছিল। উনবিংশ শতকের গ্রীরস্তে এই জেলার সংগীত সাধনায় ছুটি ভিন্রমুখী ধারা লক্ষ করা বায়। এর মধ্যে একটি হুল, স্থানীয় ভূস্বামীদের পৃষ্ঠপোষকতায় দরবারী সংগীত সাধনা এবং অন্টি হল কবিয়াল ,লোক-কবিদের সংগীত

১২৮. মেদিনীপুর £ চর্চা। যদিও জেলার ভূষ্বামীদের উদ্যেগে বিষু্পুব ঘরানার মত মেদিনীপুরের নিজন্ব কোন সংগীত রীতি বা ০1০91 ০1 1881 গড়ে ওঠেনি, কিন্তু তাহলেও এখানে ফরপদ, ধামার, ঠুংরী, টগ্পা এবং সবরকম প্রাচীন যন্্সংগীতে বিশুদ্ধ হিনদুস্থানী গীতের পূর্ণ প্রভাব দেখ! যায়। এর কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে, বাংলার বাইরে অন্যান্য প্রদেশের শিল্পীরা বহুদিন থেকেই মেদিনীপুর জেলায় বমবাস করার এবং সেইসঙ্গে শিক্ষার্দটানের জন্যে জেলায় প্রাচীন হিনস্থানী সংগীতের প্রচলন প্রবর্তন হয়েছে। শুধু তাই নয় এই দক্ষে ভারতের উত্তরাঞ্চলের সব রকমের ঘরান। এবং বিভিন্ন রীতির গীতবাগ্যগ জেলায় স্থান পেয়েছে এইসব বিশুদ্ধ দরবারী সংগীত সাধনায় যাবা অগ্রণীর ভূমিক! গ্রহণ ক:র€ছন, তীর মধ নাম করা যেত পাবে পঁচেট- গড়ের চৌধুরী পরিবার, ন।ডাজোলের রাজবংশ খাঁ পরিবার, মত্ধাদলরাজ গর্গ পরিবার, বেলবেড়ার প্রহর/জ বংশ এবং মেদিনীপুর শহরের বাবু বাঁধা- গোবিন্দ পাল বাবু যামিশীনাধ মর্লিক। এঁদের মধো মেদিনীপুরের দববাবী ংগীত ভী গ্রে পচেটগড়ের দান অপামান্য। উচ্চাঙ্গ সংগীত শিক্ষার জন্য যখনই কোন ছাত্র পরিবারের দ্বারস্থ হয়েছেন, তাঁদের কিন্তু ফিরে থেতে হয়নি ওস্তাদ উজির খার সুযোগা শিল্ত চৌধুরী যাদবেজ্দরনন্দন দাস মহাপাত্র স্বয়ং একজন দক্ষ শিল্পী ছিলেন এবং এই সংগীতশিক্ষার জন্য অকাতরে অর্থব্যষ এবং শারীরিক কষ্ট স্বীকার করতেও তিনি কৃপ্টিত হননি পরবর্তী সময়ে পরিবারের অনাদিনন্দন সত্যেন্্রন্দন দাস মহাপশজ্ও সংগীতের ক্ষেত্রে বেশ সুনাম অর্জন করেছিলেন এবং বর্তমানে এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে “য।দবেক্ত্র সঙ্গীত মহাবিগ্ঠালয়? |

অন্তদিকে কবিয়াল সম্প্রদয়ের আলোচনায় এলে দেখা যায়, চন্দ্রকোণা শহরে সে সময় ছিল এক বিখাত কবিয়াল পরিবারের বসবাস--ষা দের তিন পুরুষ ছিলেন শীত রচনায় পারদর্শী নেই বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের রাম- সুন্দর হিলেন তক্কিগীতি রচপ্িতা, তাঁর পুত্র গঙ্গাবিধুও ছিলেন একজন দক্ষ সংগীতকার এবং গঙ্গবিঞ্চর পুত্র রমাপতি ছিলেন সেকালের বিখ্যাত শিল্পী প্রথমদিকে ইনি কবিয়াল হিসাবে কবির দলে গান রচনা করতেন। তারপর (তিনি অনেক উৎকষ্ট ফ্পদ বৈঠকী গান রচনা করেন এবং উদু ফাসী গান বাংলায় অন্গবাদ করে সেগুলিতে বিদ্ধ হিন্দম্থানী স্বর সংযোজন করেন। রমাপতির বিখাত শ্য/মাসংগীত হল,

সংস্কৃতি মানব সমাজ ১২৯

কার বামা এল সমরে জলদ রূপসী চঞ্চল! ষোড়শী করোতে অসি, সঘনে নাদ করে।” রমাপতির স্ত্রী করুণ।ময়ীও যে সংগীত বচনায় পারদর্ঠিনী ছিলেন, তার প্রমাণ পাওয়! যায়, স্বামীর বেহাগ রাগের বিখ্যাত গানের সঙ্গে সমানে তিনি প্রত্রাত্তর করে যেতেন। রমাপতির এমন এক বিখ্যাত গান হল £

"সখি, শ্যাম না আইল, অবশ অঙ্গ, শিথিল কবরী, বুঝি বিভাবরী অমনি পোহাল ।” বেহীগ রাগের তান বয়ে যাবার মৃহতেই শ্রী জবাব দিতেন £ “সখি, শ্বাম আইল, নিকুঞ্জ গুবিল মধুপ বঙ্কারে, কোকিলের স্বরে গগন ছাইল |”, বল] বাহুলা, বেহাগ রাগের গানটি সে সময়ে অঞ্চলে খুবই জনগ্ডিয় হয়ে উঠেছিল চন্দ্রকোণায় আরও যে মব কবি ছিলেন তদের মধো শ্যামাসংগীত বিষয়ে শিবু দে এবং হজেশ্বর সিংহ অন্যতম এই ছু'জন কবির গান একসময়ে খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। এই অঞ্চলের আগমনী সংগীতের আর একজন কৰি হলেন অখিলচন্দ্র দা ছাড়া চন্দ্রকোণ।র রুনাথপুরের আর এক সংগীত রচয়িতা গায়ক ছিলেন নদেরচাদ বারিক। বিখ্যাত “লালফুল+ উপন্যাসের লেখক চন্্র- কোণার প্রবোধচন্দ্র সরকারও “বিবিধ সংগীত" নামে এক পুস্তক প্রণয়ন করেন এবং সে সময়ে তার রচিত আগমনী গ।নটি খুবই জনপ্রিয়তা! অর্জন করে। সে গানটির কয়েক লাইন হ'ল : “আসবে না আর আমার উম আরোহিয়ে ইষ্টিমাণে, ঝড় তুফানে অনেক বিপদ জলপথেতে ঘটতে পারে। লাটসাহেবের হুকুম নিয়ে, রেল ফেলে পথ বেঁধে দিয়ে

১৩৪ মেদিনীপুর ট্রেনে করে আপনি গিয়ে, আমার উমাঁয় আনবে ঘরে ||” ইত্যাদি

চন্দ্রকোণার আর এক প্রতিভাধর সংগীত শিল্পী হলেন ক্ষেত্রমোহন গোস্বামী তাঁর রচিত সংগীতবিষয়ক পুস্তকের মধ্যে একতানিক শ্বরলিপি, সঙ্গীতসার, গণতগোবিন্দের স্বরলিপি, কণকৌমুদ্র, আশুরঞ্ণী তত্ব প্রভৃতি গ্রন্থগুলি অন্যতম | ঘাটালের বরদ] গ্রামে প্রাচীন এক মহিল! কবির সন্ধান পাওয়া যায়, খাব নাম তারিণী দেবী। তিনি মে সময় প্রায় শচারেক সংগীত বচন! করেছিলেন এরপর উল্লেখযোগ্য সংগীতজ্ঞ হিসাবে নাম করা যেতে পারে ক্ষীরপাইয়ের রামনারায়ণ ভষ্ট, পিংলার কৈলাসেশ্বর বন্থ, থেজুরীর পুরন্দর মগ্চল নন্দীগ্রথমের ব্রজলালচকের জয়গোবিন্দ দে প্রভৃতির নাম। ছড়া মেদিনীপুরেয় সংগীত রচয়িত। হিসাবে দুজন ভূম্বামীর নামও প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে। এরা হলেন, নাড়ীজোল-রাজ মহেন্দ্লাল খা নবেন্দ্রলাল খী। সংগীত বিষয়ে মহেন্দ্রবাবু পাঁচখানি এবং নবেন্দ্রবাবু একখানি গ্রন্থ ( সংগীত মঞ্রী ) প্রণয়ন করেন।

চন্দ্রকৌণার মত চেতুয়া! পরগণার দাসপুর এলাকায় মহাপ্রভু প্রবর্তিত কীর্তন গানেরও বিশেষ খ্যাতি ছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে যে, জেলার পশ্চিমাঞ্চলে শ্ঠামানন্দী বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মধো রেণেটি কীর্তন ধারা প্রচলিত থাকলেও পূর্বাঞ্চলের এই চেতুয়া পরগণায় অগ্ঠঠিত লীলাকীর্ভনে মনোহরশ।হী ঘরানার প্রভাব দেখ যাঁয়। এখানকার লীলাকীর্তনের অতীত গৌরবের সেই ধারাবাহিকতা সম্পর্কে স্থানীয় অধিবাসী শ্রদ্ধেয় ব্যোমকেশ চক্রবতী মহাশয় “বাংলার কীর্তন সংস্কৃতির আলোকে দীসপুরের একটি আঞ্চলিক সমীক্ষা” শীর্ক এক নিবন্ধে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি লিখেছেন বিগত দশকে দ।সপুর এলাকার বৈকুঠ ওস্তাদ ছিলেন এক খ্যাতিমান কীর্তনীয়া। সেজন্য তাঁকে সোনাখালি স্কুলের হেড মাষ্টার প্রসন্ন- কুমার নন্দিগ্রীমীকে নিয়ে সেসময়ে একটি প্রবাদ রচিত হয়েছিল, যথা৷ £ “বৈকুঃ ওন্তাদদের তেরেকিটি, প্রসন্ন মাষ্টারের এ. বি.সি, ডি” মহবৎপুর গ্রামের বাসিন্দা বৈকুঞ্ববাবুর পিতা মুক্তারাম গ্ুলও ছিলেন একজন যশস্বী কীর্তনশিল্পী। যোগ্য পিতার কাছে সঙ্গীতশিক্ষা ছাড়াও বৈকুঠবাবু সে সময়ের বিখ্যাত কীর্তনীয়। বংশী বায়েনের কাছে তালিম নিয়ে নবদ্বীপ থেকে ক্তবিদ্ঠ হয়ে ফিরে আসেন স্বভীবতই ত'কে ঘিরে এই এলাকায় মনোহরশাহী ঘরাণার এক বিশুদ্ধ কীর্তনগোঠী

সংস্কৃতি মানব সমাজ ১৩১

গড়ে উঠে বৈকুঞ ওন্তাদের বৈমান্রেয় ভাই গোবর্ধন খুলও কীর্তনীয়। হিসাবে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন এছাড়া বৈকুণ্ঠ ওস্তাদের সুযোগা শিল্ঠদের মধ্যে মহবৎ- পুবের চরণ ওন্তাদদ (মণ্ডল), হরেকষ্পুরের শশিভৃষণ পপ্চিত (বের), বেলিয়া- ঘাটার হৃদয় করণ, হাটগেছিয়ার বামচরণ মুখে।পাধ্যায়, ঘাটালের নবকুমার পাল কুশধ্বজ পাল প্রমুখের নাম সবিশেষ উল্লেখষে।গ্য উল্লিখিত চরণ ওস্ত।দের যেসব শিষ্য খাতিমান হয়েছিলেন তার। হলেন, বৈকৃঠ ওস্তাদের পুত্র কীর্তনগ।|য়ক শঞুনাঁথ মণ্ডল মৃঙ্গবাদক হবেফুষ্ণ শাসমল। অন্তদিকে গায়ক শশীভূষণ বেবার সুযেগা শিল্ত ছিলেন হরেরুষ্পুর গ্রামের পল্মলোচন বেরা এছাড়া আরও যে ছু'জন যশন্বী কীত'নীয়ার পরিচয় পাওয়া যায় তারা হলেণ দরি গ্রামের হরিপদ ঢাকী ফষ্ণপ্দ ঢাকী, যান্দের কাছে পন্মলোচনবাবুও একদা কীর্তনশিক্ষার পাঠ নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে রুষ্পপদ ঢাকীর পুত্র শীতল ঢাকী একজন ওস্তাদ মুদঙ্গবাদক হিসাবে খ্যাতিলাভ করেন। এই এলাকায় পদাবলী কীতর্নের আর এক যশস্বী গায়ক ছিলেন গুপী কাবাঁড়ী, যর স্থযোগ্য শিশ্ত ছিলেন বান্দেবপুরের শশধর চক্রবর্তী গোষ্ঠবিহারী বেরা প্রমুখ কীতরনীয়াগণ। বেশ বোঝা যায়, কীতনসঙ্গীতে দাসপুর এলাকায় সেই অতীত গৌরব আন অস্তমিত হলেও, সেকালের খ্যাতিমান কীত নীয়াদের পরিচয় আজও সাধারণ মান্থষের স্থ্তির মধো জাগরুক হয়ে আছে।

জেলার বাউল সংগীতে বিখাত ছিলেন হবিবপুরের নবীন বাউল। জাতিতে ইনি ছিলেন নমংশূদ্র তাঁর রচিত অনেক গানের মধো বিখ্যাত হল, মোহনপুর এযানিকেট-এনু ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে রচিত গান £

“কাসাই নদী বাধলে! ইংরেজ বাহাছুরে

পামার-কিমার দুজন এসে রাখল খ্যাতি সংসারে |”

কবিয়াল হিসাবে জেলার দু'জন বিখ্যাত সংগীত রচয়িতা! হলেন, ঘাটালের

হরিবোল দস এবং চন্দ্রকোণার জগন্নাথ দাস ওরফে যজেশ্বর দাস, ডাকনাম জগা। এদের দুজনের মধো জাড়ার জমিদার বাড়িতে যে কবির লড়াই হয়েছিল, তার গানগুলি সাধারণের কাছে এখনও ন্মরণীয় হয়ে আছে। সে গ[নগুলির মধ্যে জগাঁ যখন জাড়ার স্তুতি করে গাঁন করেছিলেন

“জাড়া গোলক বৃন্দাবন

জাড়ার পরব্রহ্ম বাবুগণ

যেমন গোলক হতে গোকুলেতে অবতীণ গোবর্ধন |” ইত্যাদি

১৩২ মেদিনীপুর £ অপরপক্ষে কবিয়াল হরিবোল কাটান দিয়েছিলেন এই বলে,

“কি করে বললি জগ জাড়া৷ গোলক বৃন্দাবন,

যেথায় বামূন রাজ! চাষী প্রজা চৌদিকে তার বাশের বন।

কোথায় রে তোর শ্যামক্ুু, কোথায় রে তোর রাধাকুও

সামনে আছে মাণিককুণ্ঁ, করগে মূল! দরশন

তুই বাজিয়ে যাবি ঢুলির ঢোল,

কেনবে তোর গণ্ডগোল

তুই কবি গাবি, পয়সা নিবি, খোসামূর্দির কি কারণ?”

ক্ষেপে, এই হল মেদিনীপুর জেলার সংগীত সাধনার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

তবে এটি সম্পূর্ণ নয়, হয়ত অনেকের কথা আমরা অগ্ভবধি জানতে পারিনি এবং এইভাবে কত যে অখাত অবজ্ঞাত সংগীত-শিল্পী বন চামেলীর মত

অঙ্ঞতে তাদের সংগীত প্রতিভার সৌরভ ছড়িয়ে গেছেন এই জেলার মাটিতে কে তার খবর রাখে?

/ ০১9৮2 ১০৫ ৯১০৪১ ৬) রী ০৩১১৫ ১১০০ শি

৩১. বাড দানের পম্ত

উদিশশো। তিরিশ সালের ব্রিটিশ রাঁজত্বে পেডি সাহেবের দেশশাসন ম্পর্কে আগেকার নিবন্ধে দু'চার কথা বলেছি। এখন বত্রিশ-তেত্রিশ সালের আর একজন খন বিলেতী মাজিষ্ট্র্টের দেশশাসন সম্পর্কে কিছু বলা যেতে পারে এবং এখানেও আলোচিত হচ্ছে পেডি সাহেবের উত্তরাধিকারী জেল! ম্যা জিষ্রেট বি. জে. বার্জের স্বদেশী আন্দোলন দমনে তাঁর মহৎ প্রচেষ্টার কিছু প্রসঙ্গ ধ্দিও তিনি পেডির মতই গুপ্তঘাতকের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন, কিন্তু তার & পদামীন থাক! শ।সনকালে নিজস্ব কীত্তি-কথা যে বিলীন হবার নয় !

তিব্বিশ মালের আইন অমান্ত আন্দোলন গোট। মেদিনীপুবে তখন ছড়িয়ে পড়েছে এবং তাঁর জের চলেছে সেই একত্রিশ সালের মার্চ মায় পর্যন্ত দেশের গণবিক্ষোভের চেহার! দেখে ইংরেজ শাসকরা ইতিমধ্যেই একটা মিটমাটের কথা চিজ করেছে__যার ফলশ্রুতি হুল গাদ্ধী-আরউইন চুক্তি। বিলেতে বসলে!

সংস্কৃতি মানব সমাজ ১৩৩

গোলটেবিল বৈঠক। কিন্তু তা কার্ধতঃ ব্যর্থ হওয়ায় গান্ধীজী ডিসেম্বরে ফিবে এলেন স্থদেশে | পুনবায় দ্বিতীয় পর্যায়ে শুর হল আইন অমান্য আন্দোলন

তমলুক মহুকুমায় আবার স্থুকু হল লবণ আইন অমান্ত আন্দোলন এবং তারই জের টেনে ম্ুন-মারা চললো! দিনের পর দিন। পুলিশ এসে সত্যা- গ্রহীদের তৈরীর পাত্র ভেঙে গুড়িঘ্রে দিয়ে সত্যাগ্রহীদের উপর মারধোর চাল।লো৷ সেইসঙ্গে কোর্ট-কাছারীতেও তাদের চালান দিল কিন্তু তা সত্বেও, জেলার প্রায় প্রতিটি বাজার বা হাটে সত্যাগ্রহীদের তৈরী শ্বদেশী লবণ বিক্রী জন্যে আসছে থাকে এবং খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ এসে সত্যাগ্রহীদের গ্রেপ্তার করে| তদুপপ্রি বেধড়ক প্রহারের সঙ্গে সত্যাগ্রহীদের কারাবরণ করতে হয়। চোরুপ।লিয়! প্রতাপর্দিঘি গ্রামের নিরক্স মানুষের উপর পুলিশের পক্ষ থেকে চালানো হয় নারকীয় অত্যাচার এবং তাদের গুলির মুখে' প্রাণ হারায় ছু' গ্রামের বেশ কিছু নিরীহ গ্রামবাসী তবুও অবাধ্য দেশ- বাসীদের ইংরেজ সরকার দমন করতে ক্রমশই অপারগ হয়ে পড়ে

এদিকে আবার এইসব দমন-পীড়নের পরেও হুন-মারা বা হুন বিক্রী আন্দে।লনের সঙ্গে যুক্ত হয় ট্যাক্স-বন্ধ আন্দোলন খাজনা-'টেস্কো” সব বন্ধ। তদুপরি ইংরেজ সরকারের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতাও বদ্ধ। স্কুল কলেজে ছাত্ররা যায় না। কারণ ইংরেজ সরকারের শিক্ষা বাবস্থায় তাদের কোন আস্থা! নেই। সবাই তখন এককাট্। মানুষের মনও তখন অত্যাচারে অত্যাচারে এক বাকুদের স্তুপে পরিণত হয়েছে অবস্থা চলতে চলতে ইংরেজ সরকারের শাসনব্যবস্থা! প্রায় ভেঙ্গে পড়ার মুখোমুখি এসে পৌছেছে

সময়ের এই আন্দোলনের তীব্রতা সম্পর্কে একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। ১৯৩২ সালের মাঝামাঝি সময়ে পঁ1শকুড়া থানার ১২ নং ইউনিয়নের আমদ|ন-খাসমহল হাটে জনৈক কংগ্রেস স্বেচ্ছাসেবক “কংগ্রেস-বুলেটিন” বিক্রী করার সময় পুলিশের দালাল শ্রেণীর কিছু লোকের হাতে নিগৃহীত হয় এবং স্বেচ্ছা- সেবকঠির উপর বেপরোয়াভাবে মারধর করা হয়। এরই পরিণতিতে স্থানীয় গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ্দে হাট বয়কট করার সিদ্ধান্ত করে এবং সেইমত বয়কটের ফলে স্বাভাবিকভাবেই এঁ হাট বন্ধ হয়ে যাঁয়। পুলিশের শুকনো হুমুকীতেও যখন হাট নতুন করে খোলানে! গেল না, তখন শাসকশ্রেণী পাণ্টা আঘাত দেবার জন্যে হাটের তরিতরকারী বিক্রয়কারী হাটের দেকানদারদের উপর জেল-ম্যাজিষ্্ে বার্ড সাহেবের” স্বক্ষরিত এক সমন

১৩৪ মেদিনীপুর 5

জারি করে। সমনে অবিলম্বে বিক্রয্কারীদের হাঁটে পুনরায় মাল-তরকারী বেচাকেনা করার জন্যে হুকুম দেওয়া! হয়। জেলা-মা|জিষ্টেট বার্ড সাহেবের দেওয়া সেই নোটিশটির বয়ান হল £ “মা।জিষ্টেটের নোটিশ

যেহেতু অমি অবগত হইয়াছি যে, তুমি পাশকুড়। থান।র আমদান-খাস- মহল হাটে হাটবারে তরীতরকারী বিক্রয় করিতে এবং যেহেতু বে-আইনী প্রতিষ্ঠানের বাক্তিগণ কর্ভক তুমি তোমার স্বাভাবিক পেশায় বাধাপ্রাপ্ত হইতেছ সেইহেতু আমি তোমায় আদেশ করিতেছি যে, তুমি তোমার স্বাভাবিক পেশ! পুনরায় আগপ্ত করিবে এবং ২৫শে এপ্রিল হইতে আরস্ত করিয়। প্রতি মঙ্গলবাবে আমদান-খাসমহল হাটে তরকারী বিক্রয় করিবে এবং প্রতি হ।টবারে আসিয়া খ(সমহল কাননগে।কে তোমার হাটে উপস্থিতির বিষয় জানাইবে ১০1৪1১৯৩৩

(স্বাঃ) বি, জে. বার্ড জেল! মাজিষ্টেট, মেদিনীপুর |?

বলা বানুলা, আমদ[ন-খ।সমহলের বিক্রেতারা সমনকে যে হেলায় তুচ্ছ করেছিল সে বিশ্বয়ে কোন সন্দেহ নেই। স্ুৃতর।ং থেকে বেশ বোঝা যায়, ৪৩১ সাল খেকে ১৯৩৩ সালের আইন অমান্য আন্দরলন জেলায় কীভাবে এক এক্যবদ্ধ আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল যার ফলে প্রবল প্রতাপান্বিত ইংরেজ প্রশামন মূলতঃ ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছিল এবং তাবই এক প্রকট উদাহরণ হয়ে আছে সেদিনের বার্জ সাহেবের দস্তখতম'্ত জ|বি করা এই সমন

*1/৮16২)৮-১২) 2০2) ৫১৫১১

৬২. ধ্রতিমাজ্

পশ্চিমবাংলার প্রতি জেলাতেই এমন সব হস্তশিল্প তার কারিগর রয়েছে যাদের সম্পর্কে আমর! তেমন খোজখবর রাখিনা অথচ বঙ্গ-সংস্কৃতির তা গাবে এইসব আঞ্চলিক শিল্পসম্পদপ্তলিকে কোনমতেই উপেক্ষ! করা যাঁয় না; কেনন। এইসব শিল্প কৃষ্টির সংমিশ্রণেই বঙ্গসংস্কৃতি সমগ্রতা বিশিষ্টত। লাভ করেছে।

লংন্কৃতি মানব সমাজ ১৩৫

সেদিক থেকে এমনই এক উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে জেলার “খড়িয়াল জাতিগোষ্ঠী সম্পর্কে, যাঁরা একজাতীয় নরম খড়িগাছের কাঠি দিয়ে ঝুড়ি বুনে থ|কেন। হয়ত “খড়ি' গাছ দিয়ে এহেন বৃত্তিগত শিল্পকর্মর জন্যে অতীতে তারা “খড়িয়াল” জাতি হিসাবে সমাজে চিহ্নিত হয়ে পড়েছেন। সমাজ রূপাস্তরের সঙ্গে সঙ্গে জাতিগত; বৃত্তি বিসর্জন দেয়নি বলেই গ্রাস্নগ্রামান্তরে আজও তাদের পরিচয় কোনরকমে টিকে রয়েছে। এদের কৌলিক পদবী পাত্র, ঘোড়ই, মণ্চল. ভূ ইয়া, মাজী প্রভৃতি হলেও এদের জাতিগত বা বৃত্তিগত বিষয় ণিয়ে এখনও তেমন কোন অন্রসন্ধ(ন হয়নি জেলার সরকারী আদমশু- মারীর বিবরণেও জাতি সম্পর্কে কোন উদ্কেখ নেই। স্বভাবতঃ ক্ষন জাঁতিগোষ্ঠী বলেই হয়ত বিদঞ্চসমাজের তেমন দৃ্টি আকর্ষণের সহায়ক হয়ে উঠতে পারেশি। অন্যদিকে তাদের শিল্পহ্যইতে হয়ত তেমন চমৎ্করিত নেই বলে "আট লাভার” সম্প্রদায়ের অ।গ্রহও সৃষ্টি হয়নি। তাহলেও এটি ঞপ্বসত্য যে, জেলায় *খড়িয়াল” নামের এক জাতিগোঠী এখনও বসবাম করে থাকেন

আমি প্রথম এদের সাঙ্গীত্লাভ করি সবং থানায় প্রবাহিত কেলেঘ|ই নদ-এর এক শাখা চণ্জী নদী তীরবর্তী শ্যামন্ুন্দুরপুর গ্রামে | এই মজা নদীর ধারে নরম কাঠির যে সক খড়িগাছ জন্ম|য় তা দিয়েই এর! ঝুড়ি-বুনোনীর কাজ কর থাকেন। সবং থানার বেশ কয়েকটি স্থানে উত্পাদিত বিশেষ এক ধরনের ঘাসের জন্য যেমন সেখানে মাছুর শিল্পটি কেন্দ্রীভূত হয়েছে, তেমনি এখানকার মজা খালবিল নদীর ধারে এই খড়ি কাঠি উৎপন্ন হওয়ার কারণে শা।মনন্দরপুরের মত, কাছাকাহি দশগ্রাম পটাশপুরের আড়গোড়া গ্রামেও 'এই সম্প্রদায়ের বসতি গড়ে উঠেছে উন্ভিখিত এসব স্থান ছাড়াও পটাশপুর থানার পুশা, খড়িগেড়িয়া, অমরপুর, গোকুলপুর, বাহ্থদেবপুর, সবং থানা মনসাগ্রাম, মহিষাদল থানার কেশবপুর গেঁওখালি প্রভৃতি গ্রামে এবং ভগবানপুর ময়না থানার কয়েকটি গ্রামে এইসব খড়িয়াল জাতির বসবাস। এছাড়া হাওড়া জেলার শ্যামপুর থানার ডিম ঞচলঘাটেও সম্প্রদায়ের কয়েক- ঘবের বসতি আছে, যাদের সঙ্গে জেলার খড়িয়াল জাতির বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে ' অধিকাংশ খড়িয়াল সম্প্রদায়ের নিজম্ব কোন জায়গ1-জমি নেই। মেয়ে পৃকষ সবাই মিলে পুরুষাক্রমে এই ঝুড়ি তৈরীর «জীবিকায় নির্ভরশীল

১৩৩ মেদিনীপুর নদীর ধার থেকে কীচা খড়ি কেটে এনে শুকিয়ে নিয়ে ঝোড়া বোনার কাজ শুরু হয়। এদের তৈরী ঝুড়িগুলির বুনন দেখলে মনে হয় যেন বেত কাঠি দিয়ে তৈরী। মাটির গামলার উপর দিকে যেমন মোটা বেড় দেওয়া থাকে, তেমনি এদের ঝুড়ির উপরের দ্রিকেও একট! মোট বেষ্টনী করে দেওয়। হয়, হয়ত হাতে ধরার স্ুবিধের জন্যে এসব ঝুড়ি ঘর গেরেস্থালী মায় যাবতীয় কাজে ব্যবহৃত হয়। একধময় বেশ চাহিদা ছিল, হাটেবাজাবরে বিক্রীর জন্যে তো আস'তোই, উপরন্ত পাইকাররা কিনে নিয়ে বাইরে চালান দেবার জন্যে বালীচক রেলট্টেশনে শুপীক্তভাবে জমা করে রাখতো

বর্তমানে সামজিক নানান প্রয়োজনে ঝুড়ির ব্যবহার কমে এসেছে, তাই এই হস্তশিল্পটিতে স্বাভাবিকভাবেই দেখ] দিয়েছে মন্দা ফলে এই সম্প্রদায় এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু পেটের ্ীত-ভিতের চিন্তা তো! করতেই হয়। তাই আজকাল ঝুড়ির বদলে মরম্থমে বাশের চাচারী দিয়ে ধান বাঁখার টুলী' তৈরীর কাজও এইসঙ্ষে সুক হয়েছে। আর সে টুলীও তেমন ছোটখাটে। নয়, তাতে পনের থেকে ষোল মণ ধান ধরতে পারে। কিন্তু বোনার বিষয়ে শত মৃন্সিয়ানার স্বাক্ষর রাখলেও, খদ্দেবদের কাছ থেকে দাম পাওয়া যায় সামান্যই, মাত্র বারো থেকে চোদ্দ টাকা বিকল্প জিনিষের গ্রচলনে যা দিনকাল এসেছে তাতে ঝোড়া৷ আর টুলী তো! হাটেকাজারে ঠিকমত বিকেো(তে চায় না, তাই দায়ে পড়ে সময়ে অমময়ে খড়িয়লদের জনমজুরীতে খাটতে হয়। এই জীবন সংগ্রামে খড়িয়ালবা কি তাঁদের জাতপেশ। শেষ পর্বস্ত বজায় রাখতে পারবে, ন৷ পেশ। হারিয়ে অবশেষে একান্তই ক্ষেতমজুরে পরিণত হবে, এটাই আজ জিজ্ঞাস্য?

২০৫১১

€ও. (স্দিজীপুত্ জজ্ঞাল ঘিনিপ্রিও পুজে।

বঙ্গ সংস্কৃতির ইতিহাসে গ্রাম দেবতার! চিরকাল অনাদৃত অবহেলিত হয়েই আছেন এবং এই সব দেবদেবীর উৎপত্তি অবস্থান সম্পর্কে বহু তথাই কুয়াশীবৃত হয়ে রয়েছে যদি এই কুয়াশীবৃত অবস্থ। থেকে বাংলার গ্রাম দেবতীদের উৎপত্তির ইতিহান উদ্ধার করা যায়, বঙ্গসংস্কৃতির অনেক এঁই্বর্ব

সংস্কৃতি মানব সমাজ বং

উপকরণেরই সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া লৌকিক আচার-অচষ্ঠান বার-ব্রতের বহু বিচিত্র তথ্য এখনও গ্রাষ-গ্রামান্তরে অনাবিষ্কৃত অবস্থায় রয়েছে যার সন্ধান পাওয়া গেলে বাংলর আদিম সংস্কৃতির সেই বদপটিব এক পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পাওয়া] যেতে পাবে। মেদিনীপুর জেলার স্ুতাহাট। থানার “বাড়-উত্তরহিংলী, গ্রামের মেয়েলী - আচাব-অন্ষ্ঠানের এমনই এক উদাহরণ হোল “বিরিঞ্চি” পুজো, যা গ্রামের মধাশ্রেণীর ব্রাহ্মণ পালোধিদের বাড়ির সম্মুখস্থ প্র।ঙ্গণে অন্ঠিত হতে দেখা যায়।

সমতল ভূমির উপর নরম কাদা বা গোবর দিয়ে বিমর্ত প্রতীক তৈরী করে পুজে। করার লৌকিক রীতিপদ্ধতি বহুদিন ধরবে গ্রাম-গ্রামানস্তরে চলে অস:ছ। আলোচ্য “বিরিঞ্চি পুজোর প্রতীক নির্মাণের মধো দেখা যাচ্ছে, শিবলিক্ষের গোৌরীপট্রের আকুতির মতো! একট। কাদার তাল আর তার পাশে যেন একট! ছেট বৃমীবের বাচচ1া। পুজার্চলার বিবরণ হোল সংক্ষেপে এই 2 পৌষ ম'সের প্রত্তি রবিবাধে এর পুজো! শেষ হয়। শেষ দিনের পুজোয় মেয়ে] ফলমূল অন্যান্য উপাচার, নৈবেছ্ের ডালা দেয় তাদের মনস্কীমন৷ *রণের জন্য ন্তরাং পুজো স্বভ।বতই মেয়েলী আচার-অনুষ্ঠান। আগে এই গ্রামের ভীম! মায়ের গানে €িরিঞ্চি পুজো হতো; বর্তমানে পালোধিদের বহিবাটির প্রাঙ্গনেই অন্ত হয়। তবে পালোধিরা ব্রাঙ্ষণ বলেই ব্রাঙগণ দিয়েই পৃজার্চনার কাজ সমাধা করেন। বিরিঞ্ি পুজো এদের কাছে সুর্য পূজারই সমতুল্য ত্বর্যের ধানমন্্ তাই উচ্চারণ কর। হয় এই পুজোয়। এই পুজো করলে বন্ধা! নারী সম্তানবতী হয়, মেয়েলী অস্খ বিস্তখ থেকে রোগমুক্তি ঘটে, ঘা-প।চড়ার উপশম হয় এবং সর্বেপরি ধন-সম্পদ লাভ ঘটে

পৌধমাসের প্রথম রবিবার দিন খুব সকালেই প্রাঙ্গণের এক কোণে সমতল ভূমির উপর কৌন এক সধবা রমণী বিবিঞ্ষিব প্রতীক নির্শীণ করেন নরম কাদার তাল দিয়ে, লম্ঘায় যা! হবে ২৫ থেকে ৩* সের্টিমিটারের মতো শীতের সময় বন জঙ্গলে কুঁচ ফল পাকে। ছোট ছোট মেয়েরা বিরিঞ্চি ঠাকুর তৈরীর জনে আগে থেকেই এই সব কুঁচফল সংগ্রহ করে রাখে। তীরপর বিরঞ্ষির কুমীর গৌরীপট্ট তৈরী হলে তার উপর সুন্দর করে লাল রডের ক্ষুদে কুঁচ ফলগুলি গেঁথে দেওয়া হয়। এই ভাবেই বিরিষ্চির প্রতীক নির্মাণ শেষ হয় তারপর ব্রাহ্মণের ভাক পড়ে পুজার্চনার জন্যে সাধারণতঃ সকালের দিকেই এই আচার-অনষ্ঠান সীমবদ্ধ থাকে

১৩৮ | মেদিনীপুর £

ুতাহাটা এলাক৷ ছাড়াও তমলুক থানার বিভিন্ন গ্রামে মধা্রেণী ব্রাহ্মণদের মধ্যেগ্ড যে এই পুজার্চনার প্রচলন রয়েছে সে সম্পর্কে ডঃ তারাশিস মুখোপাধ্যায় “যুলুকের বিরি্চি নারায়ণ? শীর্ষক এক প্রবন্ধে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি সায়র। গ্রামে চক্রবর্তী পরিবারের ছারা অনুষ্ঠিত প্‌জা মৃত্তি সম্পর্কে ধে বর্ণনা দিয়েছেন পুর্বো্ত বাড়-উত্তরহিংলীর বিরিষ্চি মৃত্তি থেকে ভিন্নতর। তার পর্যবেক্ষণ মতে, “পৌষ মাসের প্রথম রবিবারের ভোরে অথবা পূর্বদিন বিকেলে কড়ি, হরীতকী, কুঁচফল, নরম মাটি জল দিয়ে বনতবাটীর সামনে বিরিষ্চি ঠাকুরের মৃতি গড়া হয়। সময় বিরিষঞ্চির প্রতীক মাথ। হিসেবে গোলাকার মাটির স্ুপের ওপর লঙ্বাতাবে একটি হয়ীতকী বসানো হয়। এই হুরীতকীর সামনে বিরিঞ্চির চোখ হিসাবে পাশাপাশি দুটি কড়িও থকে সমগ্র শ্ুপের ওপর কুঁচ ফলের অলংকরণে সর্ষের রক্তিম আভা প্রকাশ পাঁয়। বিরিঞ্চির মাটির ভুপটিকে বেষ্টন করে ছোট ছোট চৌদ্দটি মৃক্তি সাজানোর প্রথা আছে। ...এদের কৌলিক চিন্তায়, কড়ি কুঁচফল সমৃদ্ধ এই চৌদ্দটি মুক্তি বিরিষ্চি নারায়ণের পুত্র সন্তান ...বিরিষ্চি ঠাকুরের বামে মনবস্য মৃন্তি তাঁর বাহন হিসাবে স্থান পায়। সেটিকে বল! হয় “বন্থুবল্পবা” বা চটিরাজ। বন্থবল্পবার মাথার উপরে জঘনে একটি করে হরীতকী লম্বাভাবে বসানো থাকে। বন্থবল্পবার চোখ হিসেবে তার মাথার ঠিক নিচে ছুটি কড়ি সারাদেহ কুঁচফলের রূপসজ্জ। -..আচ্ষ্ঠানিক পুজার সময় ব্রাহ্মণ বিরিঞ্চি নারায়ণের মাথ'য় যে কাচ। ছুধ ঢালেন তা! মৃত্তির সামনে কুণ্চে জমা হয়। দুধ ঢাল! ছাড়াও, হৃর্ধের ধ্য।নমস্থ্রে তিনবার অর্ধ্য দেওয়! হয়। "পুজার শেষে ব্রতিনীরা কুণ্ড থেকে কাচা ছুধ সংগ্রহ করে পান করেন। কেবল বন্ধা নারীরাই নয়, সন্তানবতী রমণীরাও সন্তান রক্ষা এবং ব্যাধিমুক্তির কারণে বিরিঞি পূজোয় অংশ নেন।

দেখা যাচ্ছে, আলোচ্য ছুটি স্থানের বিরিঞ্চি পূজোয় মৃত্তির বিভিন্নতা৷ থাকলেও, হুূর্ধের উদ্দেস্টে নিবেদিত ভক্তের কামন। বাসনার তেমন কোন হেরফের ঘটেনি তবে তমলুক থানার জয়ককষণপুর গ্রামের বিরিঞ্চি ঠাকুরের গুতীকমৃত্তি পূর্বে উল্লি- থিত্য ছুটি স্থানের মৃত্তির লঙ্গে খাপ খায় না। এবিফয়ে ডঃ মুখোপাধ্যায় সরজম্বিন অচুসন্ধীনকালে ধা' প্রত্যক্ষ করেছিলেন ত| হল, “. "মাটির ঘূপের আকারে তৈরি ধিনিফির ওপরে কুঁচফল এবং হুরীতকী বসানে। হলেও কড়ি দেওয়! হয় না।

নংস্কৃতি মানব সমাজ : ১৩৯

এছাড়া বিরিঞ্ষির বামে দক্ষিণে যে প্রতীক মনুস্ত মুক্তি চোখে পড়ে, তার উপরে কেবলমাত্র কু'চফল শোভা পায়।?

অন্যদিকে পার্বতীপুরে চক্রবর্তী পঞ্ধিব!রের পৃজিত বিরিষ্চির প্রতীক হল, হাতির শুড়ের মত আকুতি হাঙ্গরের মত লেজযুক্ত বন্গুবলদেব মৃতির সঙ্গে দংশ্লিষ্ট সাতটি গোলাকার মৃত্পিণ। এখানে বন্থবলদেবকে বিরিঞ্চির বাহন সাতটি মৃখ্পিণ্ুকে 'অষ্ঈবন্ুর' প্রতীক হিলেবে গণা করা হয়। অন্যত্র মীর্জাপুর গ্রমে বিরিঞ্চি দেবতার বাহন হল ঘোড়]।

এখন প্রশ্ন হোল, বিরিঞ্চি পুজোর এইসব প্রতীক কিসের সাক্ষ্য দেয়? বুধ- পূজার সঙ্গে বিরিঞি পুজার সম্পর্কই বা কি? এটিশাস্্ীয় পূজার্চনা, ন৷ একান্তই লৌকিক গ্রামা মেয়েলী আচার অনুষ্ঠান_-এ সব প্রশ্ন বিরিঞ্চি সম্পর্কে একান্তই মনে উদয় হয়। .

শব্ধ বৃত্বাবলী” অভিধানে বিরিফি হোল, ব্রহ্মা বা শিব বা! বিষণ অর্থাৎ সৃষ্টির অধিকর্তা এখানে স্থর্যের কোন উল্লেখ নেই। বিরিঞ্চির মত এমন ধরনের মাটির উপর প্রতীক তৈরী করে বিভিন্ন দেব-দেবীর পুজার্চনাঝ উদাহরণ বয়েছে বিভিন্ন গ্রাম-গ্রামাস্তরে। আজ থেকে বছর পঁচিশ আগে আমার লেখ! “হাওড়া জেলার লোকউতৎসব' পুস্তকে হাওড়া জেলার অরন্ধন-উৎসব সম্পর্কে বলতে গিয়ে আমি মনস! পূজার ্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলাম অরন্ধন উৎসব মূলতঃ মনস! পুজাকে কেন্দ্র করেই অন্ষিত হয়। হাওড়া জেলার গ্রামাঞ্চলে অরন্ধন উৎসবের সময়ে মনস! পুজা উপলক্ষে সমতল ভূমির উপর যে মৃত্তি তৈরী কর! হয় তা হোল, নারীর জননাঙ্ষের আকারে তৈরী একতাল কাদার উপর বসানো হয় একটি সিজ মনসা গাছের ডাল দেখলে মনে হবে যেন যোনিগর্ড থেকে উদগত হয়েছে এই বৃক্ষটি, যা উর্বরতাবাদ বা [8101116) ০81$-এরই পরিচায়ক এবং সংস্কৃতি বিজ্ঞানীদের বক্তব্য মতই মনসার লাপের সঙ্গে বৃক্ষের সম্পর্কের এক উজ্বল দৃষ্টান্ত

দক্ষিণ ২৪ পরগণার, বিশেষ করে এন্দরবনের ফ্রেজার্গঞ্জ অঞ্চলের কিছু কিছু গ্রামে লমতলভূমির উপর নিবন্ধ পাশাপাশি ছুটি শোয়ানো মাটির মৃত্তি দ্বেখেছি। এর মধ্যে একটি পুরুষ অন্টি যে নারীমৃত্তি তা বোৌঝ। বায় মাটির তাল দিয়ে তৈরী স্তন যুগলের অবস্থানে এছাড়া নারীমূত্তির যোনি- দেশে বস।নে! হয়েছে একটি সিজ মনস! গাছ। হাওড়ার মনসাপুজায় মনসার প্রতীক মৃত্তির সঙ্গে এটি বিশেষ লক্ষণীয় নাদৃষ্টস্চফ ! মেদিনীপুর জেলার

১৪৫ মেদিনীপুর £

পঁশকুড়া থানার শ্বামনুন্দুরপুর পাটন! গ্রামে গোবক্ষনাথযোগী মহস্তদের সমাধিতেও দেখা যাচ্ছে, মাটি দিয়ে তরী মনত্ত-মৃত্তির এক প্রতীক এবং তার বক্ষস্থলে মিজমনসা গাছ

ছাড়াও আরও এক নত প্রসঙ্গে আসছি। গ্রামাঞ্চলে সন্তান প্রসবের পর গ্রভিণীর স্থতিকা গৃহে যে 'সেটেরা পূজ।'র মে.য়লী অন্কষ্ঠান হয়, সেখানেও দেওয়।লের গায়ে গোবর দিয়ে একটি ম্টম্মুন্তিব প্রতীক নিাণ করা হয় এবং তার গায়ে কড়ি বসানো হয়। এটিও উর্ববতাবঝ|দ্‌ সম্পকিত অ।চার-অনষ্ঠানের একটি দৃষ্টান্ত

এখন দেখা য।চ্ছে, বিরিঞ্চি পুজোয় গৌরীপটের আকারের প্রতীকের সঙ্গে হাওড়া জেলার মনসার প্রতীকী মত্তির এক সাদৃশ্ট খুজে পাওয়া ষাচ্ছে এবং গ্মাুরঘরের “সে'টেরা” পুজোয় মন্গযসূত্তির সঙ্গে বিরিষ্চির কুমীরের সাদৃশ্ঠযুক্ত প্রতীকের বেশ মিল আচে এখানে কড়ি যেমন বাবহার কর হয়েছে তেমনি টকটকে লালরঙের কুচফল দিয়ে নারী জননাঙ্গের রূপটিকে যেন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তাহলে বিষয়টি দাঁড়ন এই যে, একটি হোল নারী জনণাঙ্গের এবং অপরটি হেল এরই পরিপুরক সেই ভাবী সন্তানের ভ্র“ণরই যেন প্রতীক

সুর্য প্রচ্ছন্নভীবে লৌকিক সমাজে কৃট্রকর্তা হিসেবে পরিচিত | ন্ষুর্য- পুজ।র এই আদিম রূপটি এখনও গ্রামাঞ্চলে বনু আচার-অনষষ্ঠানের মধো রয়ে গেছে। অনুরদিকে 561011 ০৪1এর সঙ্গে কুর্যের সম্পর্ক বহুদিন থেকেই। অতএব বাঁড়-উত্তরহিংলীর এই বিরিখি পুজে! 'একদা উবরতাবাদের প্রতীক হিসেবে গ্রাম-গ্রামান্তবরে অনঠিত হোত। পরবর্তীকালে এর লৌকিক রূপটি হারিয়ে গেছে এবং এর বদলে একাপ্তই কেন্দ্রীভূত হয়েছে বর্তমান পৃষ্ঠপোষক এই ব্রান্ষণাসমাজের আগ্ুতায়। কিন্তু তা হলেও তার আদিম বূপটির অস্তিত্ব এখনও যে নিশ্চিন্ধ হয়নি তার প্রমাণ এই প্রতীকী পুজান্ষ্ঠান। বিরিঞি তি লৌকিক দেবতা হিসেব 11118 ০91:-এর এক উজ্জল দৃষ্টান্ত অন্তযাঁয়ী এখনও বর্তমান রুয়ছে। এইলব £91611109 ০৫11-এর গ্রামদেবতাদের সম্পর্কে আপ বিশ্ব(বিত গবেধণ।র প্রয়োজন আছে বলেই মনে করি।

পংস্কৃতি মানব সমাজ | ১৪১

বু 12১০৯ ১১ ৫6 টি

€$6. স্যান্ধল সহঘ।দ

শ্রীরামকুঞ্চদেব একদা বলেছিলেন, “যত মত তত" পথ” কথাটির গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায় জেলার নানাস্থানে প্রতিষ্ঠ'ত ধর্মীয় আখড়াগুলির দিকে দৃষ্টিপাত করলে। বস্থত: জেলাটি সর্ধধর্মের উপ(মকদের সাধনক্ষেত্র বললেও অতু্তি হয় না। সত কথ! বলতে কি, কোন ধর্মই বাদ নেই এখানে, প্রায় সব ধর্মের আবাঁধকরাই এখানে এসেছেন শুধুমাত্র পদধুলি নয়, ধনী ভূস্বামীদের পঠ্ঠপো'ধকতাঁয় ক্রমে ক্রমে তারা স্থায়ীভাবে সাধনভজনেবর মঠ-মন্দিরও বানিয়ে ছিলেন যেগুলি স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত হয়েছিল “অস্থল” নামে আজও জেলায় এমন মব অস্থলের বহু উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যেতে পাবে।

অস্থলের প্রসঙ্গ উঠলেই একটি প্রশ্ন থেকে যায়, কিসের টানে নানান ধর্মীয় উপসকরা এখানে এসেছিলেন? অবশ্য অন্রমান করে নিতে কষ্ট হয় না যে, 'এ জেলায় চাল, চিনি, গুড়, মাখন, লবণ, পিতল-কাসা এবং সতী রেশম- বগ্ব প্রভৃতির উৎপাদন বাবসাবানিজোর দৌলতে যে এলাকাগত শ্রীবৃদ্ি ঘটেছিল, তারই টানে প্রলুব্ধ হয়ে একদা এসেছিলেন এসব ধর্মপ্রচারকের দল তারপর নিজ নিজ ধর্মের মাহাত্মা বা নিজস্ব অলৌকিক প্রভাব বিস্তার করে স্থানীয় রাজা-মহার[জাদের স্ব স্ব ধণূর্ম অবশেষে দীক্ষিত করতেও তারা সমর্থ হয়েছিলেন। প্রতিদানে রাজ-অন্তগ্রহে বেশ কিছু ভূলম্পত্তিও দান হিসেবে পেয়েছেন, যার ফলে উপ।সকদের সাঁধনভজনে কোন অন্তবিধে হয়নি অনেক ক্ষেত্রে ধর্মীয় এইনব উপসকর্দের মধো কেউ কেউ নানাবিধ বাবসা-বাঁণিজ্যের ভিতরেও নিজেদের শেষ অবধি জড়িয়ে ফেলেছিলেন এমন উদাহরণও দুলভ নয়।

এছাড়া দেখা যাঁয়, সব ধর্মের উপাসকরাই যে সহজ সবলভাবে তাদের সধনভজনে ধর্মীয় অলৌকিকতায় মানুষের হায় জয় করেছিলেন এমন নয়। কেননা মেরদিনীপুর জেলার উপর দিয়ে পুরী গমনাগমনের পথ হওয়ার বেশ কিছু বহিরাগত মন্ন্যাসী সহজেই জেলায় পৌছে ঘোবতর বিশৃঙ্খলা

১৪২ মেদিনীপুর £

যে সৃষ্টি করেছে তেমন নজিরও রয়েছে ইতিহাসের পাতায় দেখা যাচ্ছে আঠার শতকের মাঝামাঝি সময়ে সতী রেখমবপ্র প্রভৃতি শিল্পসমৃদ্ধ অঞ্চল- গুলিতে, বিশেষ করে ক্ষীরপাই এলাকায় এইসব সন্বাস্টীরা লুঠতরাজ চালিয়ে দেশের মধ্যে বেশ একটা আতঙ্কের স্থতি করে তুলেছে, যা ইতিহাসের পাতায় এটি “সন্নাসী বিদ্রেহ" নাষে চিহ্নিত

অন্তদিকে জেলায় বমতকারী ভূম্বামী বা রাজা মহারাজাদ্দের অনেকেই এসেছিলেন ওড়িশা, বিহার উত্তরপ্রদেশ থেকে ছুর্গম অরণোর মধো বা কোথাও ছোটখাটে৷ নদীনাল! ঘেরা সুরক্ষিত স্বানে তারা যেসব গড় ব। দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন, সে সবের জীর্ণ অবশেষ আজও জেলার নানাস্বানে দেখ। যায়। সেকালের স্থলতানী বা মোগলশক্তির কাছে মামুলি অধীনতাস্বরূপ নলজরাণা পাঠিয়ে কার্ধত তারা স্বাধীনই ছিলেন তাই এইসব স্প্রে ভূম্বামীরা নিজেদের বাজাশাসনের সঙ্গে ধর্মীয় উপাসকদের ধর্মচিন্ত। যুক্ত করে প্রজাদের সহজেই বশে রাখতে সমর্ধ হয়েছিলেন সেজন্য স্থানে স্থানে এইসব নান।ন ধর্মের অখড়৷ যাতে গড়ে ওঠে সে বিষয়ে স্থানীয়ভাবে বাজ অস্থগ্রহের ঘাটতি দেখা যায় নি। এক্ষেত্রে আলে।চা বিতিন্ন ধর্মীয় মঠ মঠাধিকারী মহস্তের ইতিহাস পর্যালে।চনা করলে বাংলার লোক।য়ত সংস্কৃতির বহু বিস্ময়কর ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যেতে পারে বলেই ধারণ!

তবে মঠ মহন্ত সংস্কৃতির বিস্তারিত আলোচনা এক্ষেত্রে আমার উদ্দেশ্য নয়। শুধুমাত্র জেলায় কোন্‌ কোন্‌ ধর্মের উপাসকরা এসেছিলেন তারই ফিরিস্তি রচনার এটি হল এক গৌরচন্ট্রিকা মাত্র। তবে হাল আমলের মঠ বা আখড়াগুপি এর অগ্তভূক্ত কর! হয়শি, একশে! বছর আগের প্রাচীন সেসব অস্থলের বিবরণই এর মধো নথিভুক্ত করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে প্রথমেই আস! যাক, শৈব সম্প্রদায় প্রসঙ্গে জেলার অধিকাংশ গ্রামে প্রতিষ্ঠিত শিব মন্দিরগুলি দেখলে বোৰ। যাপন শৈব সাধনার প্রভাব কত বিস্তত। চৈত্রমাসে শিবের গাজন চড়ক জেলার এক অন্যতম লৌকিক অন্রষ্ঠান। দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত শৈব ধর্মের এই প্রাধান্তের মধ্যে দেখা ঘাচ্ছে, বাইর থেকে দশনামী শৈব সন্গামীরা এসে জেলার নানাস্বানে মঠ-মন্দির প্রতিষ্ঠা করে মহস্ত বৃতি চালু করে দিয়েছেন। বাংলার ধর্মাচরণ ক্ষেত্রে এই “মহপ্ত' প্রণ। যে বাই;র থেকে অবাঙ্গালীরা আমদানী করেছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। আঠার শতকের মধ্যভাগে তারকেশ্বরে এই

সংস্কৃতি মানব সমাজ ১৪৩

মন্নাসীরা প্রথম মঠ তৈরী করেন এবং পরে এর! অন্যান্ত জেলায় ছড়িয়ে পড়েন

১৯২১ সালে প্রকাশিত তারকেস্বরের প্রাক্তন মহস্ত সতীশচন্ত্র গিরি মহা- রাজের লিখিত “তারকেশ্বর শিবতত্ব নামে এক গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে, মেদিনীপুর জেলায় চাইপাট, রেয়াপাড়া, চেতুয়া, মারীচদা, গড়বেতা এবং কাথি মহকুমায় কোন এক বালুযুক্ত গ্রামে এই সম্প্রদায়ের মঠ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রকাশিত বিবরণ থেকে দেখা যায়, জেলায় দাসপুর থানার টাইপাটে দশনামী গিরির বদলে ভারতী সম্প্রদায়ের মঠ এখনও বর্তমান রয়েছে, যেটি আজও উত্তর ভারতের শৃঙ্খেরী মঠের শাখা নন্দীগ্রাম থানার রেয়াপাড়। গ্রামে মিদ্ধিনাথ শিবের মন্দিরটি নাকি প্রতিষ্ঠা করেন তারকেস্বরের দশনামী গিরি সম্প্রদায়ের মহগ্ভ মায়গিরি এবং সম্পর্কে প্রচলিত কিংবদন্তী হল, মায়গিরির শিষ্য তারামল্ল সন্নাস গ্রহণ করে এখানে চলে আসায় তার পত্বী স্বামীর সন্ধানে এখানে এসে দুঃখে ক্ষোভে রেয়াপাড়ার কাছাকাছি গোপাল- পুর গ্রামের এক দিথিতে আত্মবিসর্ূন দেন) কিংবদস্তী যাই হোক, সিদ্ধিনাথের শিবমন্দিরটি আজও আছে তবে বর্তমানে দশনামীর্দের কোন কর্তৃত্ব নেই।

অন্যদিকে প্রদত্ত তালিকা অনুযায়ী জেলার চেতুয়। অর্থাৎ দাসপুর থানার ডিহিচেতুয়। গ্রামে সম্প্রদায়ের কোন মঠ খুঁজে পাওয়া না গেলেও, কাছা- কাছি স্তরতপুর গ্রামে সম্প্রদায়ের এক শৈবমঠ ছিল, য! পরে সেখানকার মঠাধাক্ষ বুরথগিরির নামে গ্রামের নামকরণ হয় হুরতপুর দশনামী মহস্তদের লিখিত বিবরণ থেকে জানা যায়, বর্ধমান রাজার সঙ্গে এই দশনামীদের একদা বিরোধ হওয়ায় বর্ধমানরাজ সম্প্রদায়ের শৈব গ্রভীব খর্ব করার জগ্ কোন এক হাজারী পরিবারকে এখানে পাঠান। বিবরণটির মধো যে যথার্থত। নেই এমন নয়; বর্তমানে গ্রামে বমবামকারী হাজারী পরিবারের কাছে অঙ্থসন্ধানে জানা যায়, তাঁদের পূর্বপুরুষ এসেছিলেন বিহার থেকে এবং কান্তকুজীর ব্রাহ্মণ হলেও তারা লোহার বর্মজালে দেহ আবৃত করে যুদ্ধবিগ্রছের মধ্য দিয়ে এখানে অধিপত্য বিস্তার করতে সমর্থ হন। পরে বর্ধমানরাজ প্রদ্র তৃসম্পত্তি ভোগ করে স্বীয় গৃহদেবতা৷ বধূনাথের মন্দিরও প্রতিষ্ঠ। করেন।

তবে স্ুুরত্বপুরে দশনামীদের বর্তমানে কোন অস্তিত্ব না থাকলেও কাছাকাছি

১৪৪

মেদিনীপুর £ দাসপুর থানার লাওদা গ্রামের ভুতেশ্বর শিবমন্দির মঠের মহস্ত ছিলেন এই সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসীরা এবং লোকনাথ গিরি হলেন এখানকার শেষ মহন্ত |

মহস্তদের বিবরণ অন্ত্যায়ী। মারীচদা-কেওড়ামালে হটেশ্বর শিব এবং কাখি মহকুমার পঞ্চবদন গ্রামের কোন সঠিক হদিশ পাওয়া যায় না। গড়বেতায় দশনামীদের আশ্রম হয়ত ছিল, কিন্তু বর্তমানে সেসম্পর্কে কোন খোজখবর পাওয়। যায় না। তবে দাতণ থানর এল।কাধীন কেদার গ্রামে কেদা পাবকেশ্বর শিবের সেবাইত হিসাবে গিরি মহস্তদের নাম পাওয়া যায়। তবে এরা দশনামী গিবি সম্প্রদীয়ভূক্ত কিনা তা জানা যায় না। স্তরাং বেশ বোঝা যায়, দশনামী সন্গ্যাসীরা এইভাবে স্থানীয় ভূম্বামীদের সহযোগিতাঁয় নানাস্থানে মঠ-মন্দির প্রতিষ্ঠার মধা দিয়ে নিজেদের অধিপতা বিস্তারে সচেষ্ট হয়েছেন, যার ইতিহাস আজও অন্রল্লেখিত থেকে গেছে।

দশন।মী ছাড়াও জেলায় শৈব উপামকদের মধ্যে আছেন নাথ ষে।গশ সম্প্রদায়। এদের প্রধান গুরু গোরক্ষনাথ অববৃত যোগী, পিতার নাম মহেন্দ- নাথ পিতামহ হলেন আদিনাথ তাছাড়! সম্প্রদায় “কনফট; যোগী নামেও পরিচিত। এদের সাধন ভজনের প্রাচীন আশ্রম ছিল হুগলীর মহানাদে এবং পরে কলকাতার দমদমের কাছে অজুনপুরে প্রতিষিত শাখা আশ্রমই বর্তমানে প্রধ!ন আশ্রমে পরিণত হয়। সম্ভবতঃ আঠ[র শতকের প্রথম দিকে এদের একটি শাখা আশ্রম হয় পাঁশকুর্ডা. থানার শ্ঠামন্তন্দবপুব-পাটনা গ্রামে কাশীজোড়া পরগণার ভূম্বামীদের আ্ঠকুলো এরা যেমন বহু জমিজিরেত ভোগ করেছেন তেমনি রাজপরিবারের সাহাযো শ্ঠামন্গন্দরপুর-পাটনা গ্রামের আশ্রমে বেশ কিছু মন্দ্ির-দেবালয়ও প্রতিষ্তিত হয়েছে এখানকার প্রধান মহন্ত সিদ্ধিনাথের সমাধির উপর যে পঞ্চরত্ব মন্দিরটি নিক্সিত হয়েছে, সেটির লিপিফলকে প্রতিষ্ঠাকাল উল্লিখিত হয়েছে ১৬৮৯ শকাব, অর্থাৎ ১৭৬৭

উগ্র কলহপ্রিয় বলে কথিত নাগা সন্ন্যাসীর।ও এসেছেন চন্দ্রকেণায় সম্ভবতঃ সতর শতকে চন্দ্রকোণাঁর অধিপতি ভান রাজাদের আমলে বা তারও আগে এদের পদার্পণ ঘটেছিল। “ভারতৃবর্ধায় উপ[সক সম্প্রদায় পুস্তকের রচয়িতা অক্ষয়চন্দ্র দত্তের মতে, 'যে সমস্ত সন্ন্যাসী মন্তকের জটাগুলি রজ্জুর ন্তায় পাক দিয়া উষ্ধীষের মত বদ্ধ করিয়া রাখে তাহারাই নাগা |, চন্ত্রকোণ। থানার এলাকাধীন বীশদহ গ্রাযে নাগ! সন্গযাসীদের প্রতিষ্ঠিত একটি প্রাচীন ঝামা-

সংস্কৃতি মানব সমাজ ১৪৫

পাথরের ভগ্ন মন্দির এবং 'ন।গা পুকুর" নামে কথিত এক জলাশয়ের পাড়ে এই সম্প্রদায়ের মহস্ত-সঙ্গাসীদের সমাধি-মন্দিরগুলিই সেই সাধকদের শ্বৃতিচিহ আজও বহন করে চলেছে। ছাড়া আঠার শতকের মধ্যভাগে হরিদাস নাগ! নামে জনৈক পশ্চিমদেশীয় সাধক কাশীজোড়া পরগণার ভূস্বামী রাজ- শারা়ণের আম্নকুলো পশকুড়া থানার রঘুন।খবাড়িতে রধূনাথজীউর এক অহ্ল প্রতিষ্ঠা করেন। কাথি থানার বাহিরী দরিয়।পুরেও নাগ? সম্প্রদায়ের প্রাচীন অস্থল ছুটি এখনও বর্তমান।

শিব উপাসক হিসাবে জেলায় আর এক গৃহখ যোগণী সম্প্রদায় আছেন তিক্ষা- কালে মৌনী অবস্থায় এদের একহাতে যাকে লাউখোলা থেকে তৈরী এক ভিক্ষা- পাত্র অন্যহাতে একটি ডমরু বাগ্য। ভিক্ষা প্রার্থনায় গৃহস্থের দৃষ্টি আকর্ষণের ভন্ত দিগ্রহর পর্যন্ত ভমরুটি বাজানোর নিয়ম এবং পরবর্তাঁ সময়ে বাছাটির পরিবর্তে বাজানো হয় একটি ক্ষুদ্রাকার শিক্গা। জনশ্রুতি যে, কাশীজোড়। পরগণার ভূম্বামীদদের আহুকুলো এই সম্প্রদায় প্রথম যে গ্রামে বসতি স্থাপন করেন, পরবর্তাকালে সেই গ্রামের নামকরণ হয় যুগশবেড়।

পঞ্চোপাসকদের মধ্যে শৈব ছাড়া বাংলায় শাক্তধর্ম সর্বাপেক্ষা যে প্রবল তাতে কোন সন্দেহ নেই। জেলায় শাক্ত সম্প্রদায়ের প্রাচীন মঠ বা অস্থল সম্পর্কে তেমন কিছু জানা না গেলেও, বিভিন্ন পুথিপত্রে জেলায় অবস্থিত ছুটি শাক্ত-উপপীঠের উল্লেখ পাওয়া যায়। ভঃ দীনেশচন্দ্র সরকার রচিত এশিয়াটিক সোসাইটির পত্রিকায় (দ্রঃ লেটার্স ১৪, খণ্ড ১, ১৯৪৮) প্রকাশিত এক প্রবন্ধ থেকে জানা যায় যে, জেলার তমলুক এবং কাছাকাছি বিভাস গ্রাম খ্যাত হয়েছিল দুটি শাক্ত-উপপীঠ প্রতিষ্ঠার জন্যে। তবে ছুটি উপ- পীঠের উল্লেখ পাওয়া গেলেও, স্থান ছুটির সনাক্তকরণে বেশ অসুবিধে দেখা যায়। তমলুকে প্রতিচিত বর্গভীমা দেবী যদি শাক্ত-উপপীঠের একটি হয়, তবে অবশিষ্ট বিভাস গ্রামটির কোন হদিশ পাওয়া যায় না। বর্তমানে জেলায় শাক্তর্দের তেমন কোন আখড়। না থাকলেও, একদা জেলার নানা স্থানে যে শক্তি উপাসনার উদ্দেস্তটে বেশ কিছু মন্দির-দেবালয় নির্মিত হয়েছিল, তা আজও বর্তমান। বিষয়ে আন্তমানিক খ্রীষ্টায় ঘোল শতকে প্রতিষিত গড়বেতার নতের শতকে প্রতিটিত কেশিয়াড়ীর ছুটি সর্ধমঙ্গলার মন্দির উল্লেখযোগ্য তবে জেলার নানাস্থান থেকে শক্তিমৃত্তি হিসাবে গৌরী, চামৃণ্চা, মহিষমর্দিনী, সধমাতৃকা প্রভৃতি পাথরের যেসব তাস্বর্য-মৃত্তি পাঁওরী গেছে, তা থেকে বেশ

১৪৬ মেদিনীপুর বোঝা ধায় শান্ত উপাননার ক্ষেত্রেও জেলায় এক এঁতিহ বর্তমান বৈষ্বধর্মের শ্রোতে শান্ত উপাসনা! পরবর্তীকালে যে ম্লান হয়ে এসেছিল তাও এই প্রসঙ্গে স্মরণ করা যেতে পারে।

পঞ্চোপ(সকর্দের মধ্যে আর একটি হল সৌর সম্প্রদায়। হূর্য যাদের দেবতা, তারাই হলেন সৌর। ব্রাঙ্মপুরা"ণ জান! যায়, উৎকলে এক সময় হর্যোপাসনার সামধিক প্রচলন ছিল। ওড়িশ।র লাগোয়া জেলার নান! স্বানে গ্রীষ্টীয় দশ শতক থেকে তের শতক পর্যন্ত সময়ের বহু স্ুর্যমৃত্তিও পাওয়া গেছে। কুর্ধ উপামনার সব প্রাচীন এঁতিহ্ব ছাড়াও জেলায় সৌরব্রঙ্গ সম্প্রদ/য়ের আগমন ঘটেছিল। দাসপুর থানার রাজনগরের কাছাকাছি ঝুম- ঝুমি গ্রামে এবং চন্জ্রকোণ। থানার পলাশচাবড়ী গ্রামে একদ। গ্রতিষ্ঠিত হয়ে- ছিল এই সৌরব্রক্ম সম্প্রদায়ের আশ্রম, যা ছিল ওড়িশার বাকলদাস বাবাজীর আখড়ার অধীন।

সৌরত্র্ম ছাড়া গাণপত্য সম্প্রদায়ের মঠও জেলায় একদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গণপতির অর্থাৎ গণেশের উপাসকরাই হলেন গাণপত্য এজেলার ঘাটাল থানার এলাকাধীন নিমতলায় এই সম্প্রদায়ের একটি মঠের অস্তিত্ব ছিল, যেখানে স্থ(পিত হয়েছিল বৃহৎ একটি গণেশ মৃত্তি। তবে বর্তমানে মঠের তেমন কোন অস্তিত্ব না থাকলেও মঠের শেষ মহন্ত ভৈরবেন্দ্র পুরীর সমাধি- মন্দিরটি বর্তমান। মঠে উপাসিত গণেশ মৃত্তিটি যে কোথায় স্থানান্তরিত হয়েছে তা জান! যায়নি

পঞ্চোপাঁসকদের মধ্যে আর একটি প্রধান সম্প্রদদায় হলেন বৈধাব। জেলাক়্ বিভিন্ন স্থানে একটদা। গ্রীষ্টায় দশ থেকে তের শতক পর্যন্ত সময়ে নিমিত যেসব বিষুমৃত্তি পাওয়া! গেছে তা থেকে জেলার বৈষ্ণব সাধনার ধারাবাহিকতা সম্পর্কে বেশ কিছুটা! উপলব্ধি করা যাঁয়। তবে পরবর্তাকালে বিভিন্ন বৈষ্ণব সম্প্রদায় ধে জেলায় নানাবিধ মঠ-মন্দির অস্থল স্থাপন করেছিলেন তেমন নজিবও বর্তমান

পন্নপুরাণে বৈষণবের যে চার সংপ্রদায়ের কথা উল্লেখ কর! হয়েছে, তারা হলেন বামাহুজ, বিষুস্বামী, মধবাচার্ধ এবং নিষ্বার্দিত্য। জেলায় দেখ! যাচ্ছে, বি্কুম্বামী ছাঁড়া অপর তিন সম্প্রদায়ই তাদের আখড়। স্থাপন কষেছিলেন। ঝামাহজ সম্প্রদায়ের পণ্ডিত শ্বরূপরামান্গজ আমুমানিক যোল শতকে দাক্ষিণাত্যের প্রধান গণদী শ্রীরঙ্গধম থেকে চন্দ্রকোণায় এসেছিলেন নিজ ধর্ম প্রচারার্ষে

সংস্কৃতি মানব লমাঙগ ১৪৭

তদানীন্তন চন্ত্রকোপারাজ তার সাধনভজনের জন্য অন্থল নির্মাণে বেশ কিছু ভূসম্পত্তিও দান করেছিলেন। হ্বরূপরামাহজ জঙ্গল কেটে যে স্থানটিতে অস্থল নির্মাণ করেন, পরে ভারই নাম হয় নয়াগঞ্জ। সম্প্রদায়ের রঘুনাথ | গোপীনাথজীউর মন্দির অস্থলবাড়ি আজও বতন্থীন। পরবর্তী সময়ে কেশপুর থানার শট মটাদপুর, দাসনুর থানার সামাট বৈকুগপুর, চন্ত্রকোণ। থানার ক্ষীরপাই হুবিনাবাযণপুর সম্প্রনয়ের শাখামঠ গ্রতিঠিত হয় রমান্ুজ আশ্রমের মহাপ্ত লছমন দাপ মহারাজের শিষ্ক দামের দাস চন্্রকোণার দক্ষিণবাজারে আর এক শাখ! অস্থল নির্মাণ করেন এবং কালক্রমে সেখানকার মস্থলটি উঠে গেলে নির্ভয়পুরে একটি শাখা অস্থল প্রতিষ্ঠা কর! হয়। রাযান্চজ সম্প্রদায়ের প্রতিষঠত আর একটি অস্থলের সংবাদ পাওয়া ঘাচ্ছে, “অধরচজ্র ঘটক রচিত 'নন্দীগ্রাম ইতিবৃত্ত" গ্রন্থে। বামাহজ সম্প্রদায়ের মন্তারাম আউলিয়ার স্থাপিত মৃর্সিদাবাদের সাধকবাগ আখড়ার মহস্ত ভরতদাম আউলিয়! ্ব্টায় আঠার শতকে একটি শাখা কেন্দ্র স্থাপন করেন নন্দীগ্রাম থানার কা/লিচরণ- পুর গরমে গঙ্গামাগর তীর্য তখন এই সম্প্রদায়ের হাতে থাকায়, মহস্ধের শিষ্য গৌরীর।মদাস আউপিয়া পৌধ সংক্রাপ্তির একমাম আগে এখানে অবস্থান করে পরে এখান থেকেই গঙ্গানাগর তীর্ঘে গমন করতেন। সম্ভবত্তঃ মহিষা- দলের ভূত্বামী উপাধ্যায় গর্গ পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতাঁও সম্প্রদায় লাভ করতে সমর্থ হয়েছিলেন কেননা অস্থলের কাঠের রথটি ভগ্ন হয়ে যাওয়ায় তা সংস্কার করে দেন মহিষাদলের গর্গ পরিবার। অন্যদিকে মহিষাদলের রাণী জানকী যে চিত্রিত তুলপীদাসী রামায়ণটি পাঠ করতেন সেটি এই আশ্রম থেকেই সংগৃহীত হয়ে বততমানে কলকাতার আশ্ততোষ মিউজিয়মে স্থান পেয়েছে রামাচুজ সম্প্রদ[য়ের মত উত্তর ভারত থেকে রামানঙ্দী সম্প্রদদায়ও এখানে এসেছেন এবং চন্দ্রকোণার নরহরিপুরে একটি অস্থলও প্রতিষ্ঠা করেছেন কিংবদন্তী যে, সতের শতকের গোড়ার দিকে গোঠীর হাবড়া দাস নামে এক মহন্ত সহারাজ রাজস্থানের গলতাগাদী থেকে এখানে আসেন এবং চন্ত্র- কোণীর ভূঙ্ামীদের আহ্কুলো তৃষ্ম্পত্তি লাভ কনে এই বামানন্দী মঠটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ঘাটাল থানার রাণীরবাজার দন্দিপুরেও এদের শাখা মঠ স্বাপিত হয়। রি

১৪৮ ্‌ মেদিনীপুরঃ

বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মধো নিষ্ধার্ক সম্প্রদয়ও জেলার দাসপুর খানার বৈকুগঠপুর গ্রামে এক অস্থল স্থাপন করেছিলেন আঠার শতকের প্রথম দিকে বর্ধমান রাজগঞ্জের নিষ্বার্কমঠর শ্রীহ্বখদেবশরণ দেবাচার্ধ ছিলেন এই মঠটির গ্রতিষ্ঠাতা বতমানে গ্রামে রামানজদের অস্থলটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলেও গোঠীর মঠটি এখনও বত'মান।

বৈষ্ণব সমাজের আর এক প্রধান সম্প্রদায় হলেন মধ্বাচারী। চন্ত্রকোণ। থানা এলাকায় ক্ষীরপাইয়ের কাছাক।ছি কাশীগঞ্ধে খ্রীষ্টীয় সতের শতকের প্রথম দিকে যে মধ্বাচ্য মঠটি স্থাপিত হয় তার মহন্ত ছিলেন জয়গোপাল দাস। পরে আঠার শতকের মাঝামানি সময়ে বগা আক্রমণের দরুণ অস্থলটি উঠে আসে চন্দ্রকোণা থানার অগ্তর্গত জয়স্তিপুর গ্রামের মুড়াকাটা এলাকায় বর্ধমান-মহারাজ সম্প্রদায়ের সাধনভজনের জন্য একদা বহু ভূসম্পত্তি দান করেছিলেন বর্তমানে দাসপুর থানার খুকুভদ1! কৈগেড়িয়া-কুলপুখুব, পাশকুড়া থ।ণ এলকার দক্ষিণ ময়নাডাল, নারায়ণগড় থানার পুরুযোত্তমপুর, নন্দীগ্রাম থানার বাড়সি'ছুরটিকা এবং পিঙল! থানার এলাকাধীন কাটাপুকু মীরুপুর গ্রামে সম্প্রদায়ের মঠ-মন্টির প্রভৃতি আজও লক্ষ্য কথা যায়।

জেলায় আর একটি প্রাচীন বৈষ্জবমঠ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল £ঘাটালেরর নিমতলায়, যাগ প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বৃন্দাবনের পরশুরাম ব্রজবাসী। কিংবদন্তী যে, চেতুয়া-বরদ।র ভূতম্বমী শোভা সিংহ এই শ্রীকষ্ণচৈতন্য সম্প্রদায়ের অস্থলটির পুজার্চন(র জন্য ভূদম্পত্তিও দান করেছিলেন।

এছাড়া জেলায় নানাস্থানে চৈতন্য প্রবন্তিত গোঁড়ীয় বৈষ্ণবদের যেসব মঠ বা আখড়া প্রতিষ্ঠত হয়েছিল তার মধো চন্দ্রকোণার গৌঁসাইবাজারে প্রতিষ্ঠিত বৈষ্ণব মঠটি উল্লেখযোগ্য শ্রজীব গোস্বামী কর্তৃক বৃন্দাবন থেকে প্রেরত হয়ে আন্রমানিক সতর শতকের গোড়ার দিকে প্রেমসখী গোন্বামী বৈষ্ণবধর্ম প্রচারে এখানে আসেন। আজও এখানে তার ভগ্ন সমাধিমন্দিরটি সেই প্রাচীন স্বতিচিহ্ন বহন করে চলেছে।

জেলার গোপীবল্পতপুরে প্রভু শ্যামানন্দের শিশ্ত রনিকানন্দ সতক শতকের প্রথম দিকে যে বৈষ্ণব মঠট প্রতিষ্ঠা করেন, সেটির ছুটি শাখা! আশ্রম স্থাপিত হয় কেশিয়াড়ীতে, যার একটির পরিচালক ছিলেন কিশোর পুরুবোত্বম এবং অন্থটির উদ্বব দামোদর। এছাড়া গোপীবন্ভভপুর মঠের অধীনে যে শাখা আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার মধ্যে দীসপুর থানার কিসমৎ নাড়াজোল,

সংস্কৃতি মানব সমাজ ১৪৪

আজুড়িক্া কিশোরপুর, খঞ্জাপুর খানার ধারেন্গা নাাকোয়া, সবং থান|র আদ।লিমল! গ্রাম এবং তমলুক, নন্দীগ্রাম, স্তাহাটা, ময়ন!, ভেবরা, ভগবান- পুর, পটাশপুর নারায়ণগড় থান। এল।ক।র বিভিন্ন গ্রামে গ্রতিষ্ঠত সেসব বৈষ্ণব মঠগুলি অন্যতম |

বৈষ্ণব সাধক নিতানন্দের পৌন্র গোপীবল্পভের প্রতিটিত আউলিয়া গোস্বামীর শ্রীপাট স্থাপিত হয়েছিল চন্দ্রকোণা থানার বুসনছোড়? গ্রামে, যাঁর একটি শাখা আশ্রম ছিল থানার রবুনাথপুরে

শুধুমাত্র চন্ত্রকোণ।র আশপাশে সেকালে যেসব বৈষ্কব শ্রীপাট গ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার মধে বাশদহ গ্রামে প্রভু অভিগাম গোম্ব।মীর শ্রীপাট, গোপীনাথ- পুরে সরস্বতীবংশীয় গোন্বামীগণের শ্রীপাট, লালবাজার গ্রামে শ্রীনরোত্বমের শ্রীপাট, প্রভু নিতানন্দের অধ্বস্তন চতুর্থ পুকুয় শ্রীবলরাম গোস্বামীর প্রতিটিত খড়দহ শ্রাপাটের অধীন দল্রমাদল গ্রামে প্রতিষ্ঠিত শ্রীবলরাম শ্রীপাট, যার শাখা আশ্রম ছিল কাছাকাছি নিতানন্দপুর গ্রামে, জয়স্তিপুরে শ্রীরাধারসিক- নাগরজীউর শ্রীপাট, বৈকুঞপুর গ্রামে চৈতন্য পার্ধদু বক্রেশ্বর প্রভুর শিত্ব শঙ্কর র্ণোর পৌত্র শ্রাহরিদেবাচাধ প্রতিষ্ঠিত শ্রাগোপীমোহনজীউর প্রপাট প্রস্ৃতি উল্লেখযোগ্য

পাশাপাশি ঘাটাল থান! এলাকার নানাস্থানে একদ। স্থাপিত হয়েছিল গৌড়ীয় বৈষ্ণবদের আশ্রম, যার শ্বৃতিচিহ্লন্বরূপ আজও বেশ কিছু প্রাচীন- মন্দির-দেবলয় লক্ষ্য করা যায়। এর মধো উল্লেখযোগা হল, কোন্নগর, শ্যামপুর, কিলমৎ কোতলপুর প্রভৃতি গ্রামে স্থাপিত বৈষব আখড়া আশ্রম।

অনুরূপ দাসপুর থানার চতুর্দিকে যেসব গৌড়ীয় বৈষবমঠ স্থাপিত হয়ে- ছিল তার মধো উল্লেখযোগ্য হল, ডিহি বলিহারপুর গ্রামে শ্রীচৈতন্য পর্ধদ বক্রেশ্বর গোস্বামীর স্থযোগা শিশ্তু শ্রীগোপাল গুরুর ভক্ত শ্রীগোবিন্দরাম পাঠক গোস্বামীর শ্রীপাট এই থানা এলাকার দাসপুর, হরেফফুপুর, বামকৃষুপুর, বান্ুদেবপুর, রামদেবপুর, ফকিরবাজার, গোরা, কিশোরপুর, কোটালপুর, সোনামুই, চেঁচুয়া-গোবিন্দনগর, রখুনাথপুর, সৌলান, বৃন্দাবনপুর, কাদিলপুর, জেতবাণী, শ্রীরামপুর, হে।সেনপুর, বৃন্দাবনচক প্রভৃতি গ্রামেও একদ। প্রতিটি হয়েছিল বৈষ্ঞব মঠ ঠাকুরবাড়ি। পিংল। থানার আগড়আড়া গ্রামেও দেখ। যায় এক প্রাচীন বৈষ্ণব আশ্রম।

পাশকুড়া থানার অন্তভু-ক্ক দেড়েচক গ্রামের গীরিগোবর্ধনজীউর আশ্রম

২৫৪. মেদিনীপুর এবং গোপীমোহনপুর গ্রামের বাঁধাবল্লভজীউ আশ্রম গ্রতিষ্ঠায় সাহাধা কষেন কাশীজোড়া পরগণার তদানীত্তন ভূম্বামী

দীতন থান! এলাকায় সাউরি গ্রামে একদা প্রতিঠত হয়েছিল মায়াপুর গোক্কম আশ্রয়ের শাখা বৈষ্ণব মঠ প্রপন্ন। শ্রম এবং কেশিয়াড়ীতে এই আশ্রমের একটি শাখ। হুল শুদ্ধভক্তি নিকেতন।

এছাড়া জেলার বিতিন্ন গ্রামে শতাধিক বৎসবের প্রাচীন আরও যেসব বৈষ্ণব আশ্রম মঠ-মনির প্রতিটত হয়েহিল সেগুলির তালিকা যে অলমাধ্ধ থেকে গেল, তা বলাই বাহুল্য

এতক্ষণ পঞ্চে'পাসকরদদের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে এছাড়া আরও যেসব উপাসক-স্প্রদ(য় জেলায় অস্থল প্রতিষ্ঠ। করেছিলেন তাদের মধো সহজিয়া পন্থীরা অন্যতম সে সময়ে জেলায় সে সম্প্রদ[য়ের যেসব আখড়া স্থাপিত হয়েছিল তাঁর কেন্দ্র ছিল পটাসপ্ুর, নৈপুর, সৌলান, জো।তঘনস্টাম তমলুক এলাকায়। গোঠীও বৈষ্ব্দের মত তিলক মাল! ধারণ করেন বটে, তবে এরা ভীষণভাবে গোড়ীয়-বৈষ্ব মতবাদের বিরোধী এদের ধর্মীয় মূলতত্ব হলো; "যাহা নাই ভাগে তাহ! নাহি ব্রন্ষাণ্ডেঃ, অর্থাৎ অখিল বরহ্মাণ্থের নিখিল পদার্থ মানুষের শরীরে বিদ্যমান আছে এবং জীবের যে ধর্ম স্বভাবিক তাহাই সহজ ধর্ম বা সহজিয়ার ধর্ম। স্বতরাং রস আম্বাদনই যখন জীবের স্বাভাবিক ধর্ম তখন মগ্য, মাংস মৈথুন ছারাই দেহস্থিত বস প্রকাশিত করাই হলে সহজিয়1 ধর্ম

জেলায় আর এক অন্ততম ধর্ম প্রচারক হলেন নানকপস্থীরা।। পাঞ্জাব থেকে আগত উদাপীন সম্প্রদায় একদা চন্দ্রকোণা৷ থানার রামগড় মৌজায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এক নানক-সঙ্গত। এছাড়া মেদিনীপুর শহবেও নানক- পন্থীদের যে একটি অস্থল প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তার সাক্ষ্যম্বব্প “সঙ্গত বাজার" এলাকার নামটি সেই স্থৃতি বহন করে চলেছে আঠার শতকের প্রথম দিকে কাশীজোড়া পরগণার রাজাদের আহ্ককুলো নানকপন্থী আর একটি সঙ্গত প্রতিষ্ঠা হয় পাশকুড়। থানার চাচিয়াড়া গ্রামে

পরিশেষে, জেলার অস্থলের কথা “অধিক কহিব কত্ত পু'খি বেড়ে যায় ।” একদিকে তো৷ তালিকা সম্পূর্ণ করা গেল না, অন্যদিকে বিভিন্ন উপাসক সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠিত আলোচা এসব অস্থল বা! মঠের অনেকগুলিরই অস্তিত্ব হয়ত আজ আর নেই। তবুণ্ড যে কটি আশ্রম কোনক্রমে টিকে ছিল, সেগুলি

লংস্কৃতি মানব সমাজ ] ১৫১

জমিদীরীপ্রথা উচ্ছেদের ফলে ভূমিস্বত্ব থেকে আয়ের পথ রুদ্ধ হওয়ার কারণে ক্রমশঃ বিলুপ্ত হয়েছে বা হতে চলেছে তাই সে সব বিভিন্ন উপাসকদের এক বিস্তারিত তালিক! প্রণয়নের প্রয়েেজন আজ জরুরী হয়ে দেখ! দিয়েছে কারণ প্রশ্ধ থেকে যায়, কিসের টানে এমেছিলেন এমব ধর্মপ্রচারকর। ? শুধুই কি ধর্মের টানে, না অন্য ধর্মের বিপক্ষে নিজ ধর্ম গ্রসাবে, অথবা! ধর্মীয় আবরণে এলাকাগতভাবে আধিপত্য বিস্তারে বা কোন, অর্থ নৈতিক প্রাচুধের টানে? এখন আগামীকালের গবেষকচদর দরবারে আর্থ-সামাজিক প্রশ্নটি মীমাংসার জন্য তোল। রইল।

রী ইউ িতি ঠ্হ

ও$. লুরুগ্রাঘড়া £ দুর্গ লা দবায়তণর?

পথ চলতে চলতে জেলায় কত যে ধ্বংসন্থপ নজরে পড়ে তার হযত্তা নেই। পাথর দিয়ে তৈরী এমন অনেক সৌধ ব৷ মন্দিব-দেবালয়ের ভগ্নাবশেষ আমাদের যখন কৌতুহলী করে তোলে তখন সেগুলির গ্রক্কৃত ইতিহাল জানার জন্যে একান্তই বাগ্র হয়ে পড়তে হয়। কিন্তু কিংবদপ্তী ছাড়! সেক্ষেত্রে আর কোন তথ্যই জান! যায় না। তবে ভগ্রন্থুপে পরিণত না হয়েও এমন দু'একটি স্বাপত্যসৌধ যে আজও কালের করাল গ্রাম এড়িয়ে কোনমতে দীড়িয়ে আছে তেমন উ্দাহরণেরও অভাব নেই। এর মধ্যে উদ্লেখযোগা একটি হ'ল কেশিয়াড়ী থানার অন্তর্গত গগনেশ্বর গ্রামে ঝামাঁপাথরের কুক্মবেড়া দুর্গ, ঘাকে কেউ কেউ করমবেড়াও বলে থাকেন। ইংবেজ সাহেবরা জেলার গেজেটিয়ার রচনার সময় এটিকে দুর্গ বলেই আখ্যাত করেছেন। সেজন্ত এখানের এই কেপ্নাটি সম্পর্কে আমাদের আগ্রহের অস্ত নেই।

এখানে যেতে হলে খঙ্ডাপুর-বেলদার যে বাদ কেশিয়াড়ী হয়ে যায় সেই রাসে কুকাই নেমে পশ্চিমে প্রায় চার কিলোমিটার দূরত্বে গগনেশ্বর গ্রামে আসতে হবে। অবশ্য কেশিয়ড়ী থেকে হাটাপথেও গ্রামে আসা যায়, তবে দূরত্ব একটু বেশি। কথিত এই গগনেশ্বর গ্রামের (জে, এল. নং ১৫৪) এক প্রান্তে অবস্থিত প্রসিদ্ধ কুরুমবেড়া ছুর্গটি আজ তভগ্র্দশায় পৌঁছোলেও এখনও কিন্তু %াড়িয়ে আছে। স্থানীয়ভাবে জানা ধায়, “কুড়,ম” শবটি একান্তই

১৫২ মেদিনীপুৰ £ দেশী শব, যাঁক অর্থ করা হয়েছে পাথর; সুতরাং পাথরের বেড়া দিয়ে ঘেরা স্থাপতাকর্মটির নাম শেধ পর্যন্ত যে কুরুমবেড়া হয়ে উঠবে তাতে আর আশ্চর্য কি!

দুর্গের বর্তমান প্রবেশপথ উত্তর দ্রিকে। আর তারই লাগোয়া মজে যাওয়া এর বিরাট পুক্ষবিণী যাঁর নাম ছিল নাকি বজেশ্বর কুপ। কিংবাস্তী যে, এখানের এই সুগভীর পুষ্করিণীটিতে একদ| বেশ কিছু কুমীর চরে বেড়াতো কিন্তু জলাশয়ের মে ভরা যৌবন কবেই যেন হারিয়ে গেছে, পুকরের চার- পাশের ঘেরা উঁচু বাধ আর মাথ৷ তুলে দাড়িয়ে নেই, বরং সেটি আজ এক শুক্ক সরোবর মাত্র।

যজেশ্বর কুণের দক্ষিণ গায়ে আলোচা দুর্গগ্রাকারের প্রবেশপথটি, বলতে গেলে সেটি ঝামাপাথরের এক বিরাট তোরণ। প্রায় বাঁর ফুট উচ্চতাবিথিষ্ট পাথরের দেওয়াল দিয়ে ঘেরা সৌধটি। বাইরের প্রাচীর দেওয়ালের মাথায় “ছাজ।” হিসাবে ব্যবহৃত প্রায় দেঁড়ফুট আকারের যে পাথন্ুটিকে উদগততাবে বসানে! হয়েছে, তার গায়েও খোদিত হয়েছে পীঢ়া রীতির ধাপযুক্ত নকশা অন্যদিকে ফটকে সংযুক্ত কপাটটি আজ নিশ্চহছ। কিন্তু তা হলেও বিরাট সে দরজাটি যে খোল! বন্ধ করা হ'ত তার টানাপোড়েনের দাগ আজও রয়ে গেছে পাথরের মেঝেতে ভিতরে প্রবেশ করলে দেখা যাবে আয়তাকার মৌধপ্রাকারটির চারদিকেই প্রায় আটফুট প্রশস্ত খোল! বারান্দা, যার ছাদ তৈরী হয়েছে ধাপযুক্ত 'লহরাপদ্ধতি অনুসরণ করে। বারান্দায় ছ' ফুট ন' ইঞ্চি ছাড়া ছাড়া একটি করে স্তস্ত ংযোজিত হয়েছে উপরের ছাদটিকে ধরে রাখবার জন্য দুটি স্তন্তের মধা- বর্তী স্থানটি নিখ্িত হয়েছে চারদিক থেকে বর্গাকারভাবে 'লহরা” পদ্ধতি অস্থায়ী ধাপে ধাপে পাথর বসিয়ে ছাদ নির্মাণে এবং তার শেষ কেন্ত্রস্থলে স্থাপন করা! হয়েছে একটি প্রন্ফুটিত পদ্মের নকশাযুক্ত প্রস্তরফলক। ফলে বারান্দায় পাশাপাশি দুটি থামের মধ্যবর্তাঁ স্থানে ছাদের মধ্যবিন্দুতে এই পদ্ম- নকশা! সহজেই দেখতে পাঁওয়! যায়। অনুরূপ উত্তরের প্রবেশপথটির ছাদের মধ্যস্থলেও পল্সা-নকশাযুক্ত পাথরের এক ফলক সংযোজিত হয়েছে, তবে তা যে তুলনায় বেশ বড়ো আকারের তা বলাই বাহুল্য এবড়ো-খেবড়ে। ঝামা- পাথর খোদাই পদ্ম-নকশাগুলির ফলকের উপর চুনবালির পলস্তারা৷ দিয়ে যে (সটির যথার্থ রূপ দেবার চে হয়েছিল তার নিধর্শন আজও বর্তমান।

সংস্কৃতি মানব মমাজ

১৫৩

কুকমবেড়ার দালানে নিবদ্ধ থাঁমগুলির ভাস্কর্ষের মধোও বেশ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করাযায়। পুব-উত্তর দিকের থামগুলির গড়ন ঠিক মতের শত্তকে বাংলার চাল-মন্দিরে ব্যবহৃত থামের অন্্কতি, কিন্তু পশ্চিম দিকের থামগুলি শিখর- দেউলের 'পাভাগ” অংশের মত খরা? কুভ্ত।ক্তি করে নিমিত। দক্ষিণ অংশের বারান্দার ছাদ ভেঙ্গে পড়েছে মেজন্য মেখানের অলিন্দে কি ধরনের ভাঙ্কর্ষ খোর্দিত ছিল তা জানা যায় না সেকালের বাস্তশাত্মমতে পুব দিকের দেওয়ালে ছিল একটি গবাক্ষ পথ, যার নিদর্শন আজও রয়ে গেছে। বলতে গেলে, গোট। চত্বর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা ছে1টবড় পাথরের টুকরো! যেন এক বিষঞ্ পরিবেশের কৃষ্টি করে তূলেছে।

নির্ভন পরিবেশে দাড়িয়ে থাকা তিনশো ফুট লম্বা আর ছু'শো পঁচিশ ফুট চওড়া আয়তনবিশিঈ স্থাপত্যসৌধ গ্রাকাবের পুব গ! লাগোয়া দেখা যাঁবে একটি দেবালয়ের ধ্বংসন্তুপ | . এখনও স্পষ্টভাবে দেখ! যাচ্ছে মে মন্দিরের ভিত্তিভূমি, যেটি ছিল পশ্চিমমুখী' এক দ্েবালয়। ভাল করে নিরীক্ষণ করলে বোৌঝ। যায় এটি ছিল ওড়িশি মন্দিররীতির জগমোহনসহ সঞ্চরথ এক শিখব- দেউল। দেবালয়টির ভগ্ন্তুপের মধ্যে মাপজোক করে জান! যায় মূল মন্দিরটি উদগত অংশ বাদে দৈর্ঘ্যপ্রন্থে ছিল আঠারো ফুট ছঃ ইঞ্চি এবং মন্দিরটির দেওয়াল ছিল চার ফুট ছ" ইঞ্চি চওড়া সুতরাং হিসেবে অনুমান করা যেতে পাবে যে, অতীতে হয়ত মন্দিরটির উচ্চত। ছিল প্রায় পাশ থেকে ষাট ফুটের মত। অন্যদিকে মূল মন্দিরের সঙ্গে লাগোয়া জগমোহনটির আকৃতি প্রথাগত সমান মাপের ন! হয়ে বেশ একটু বড়ো আকারের, যার তুল্য নিদর্শন দেখা যায় পশ্চিম ওড়িশায় বিভিন্ন স্থানের মন্দিরে ব্যবহৃত 'মুখশালা” নামক স্বাপত্যে। জগমোহনটি যে তিরিশ ফুট বর্গাকার ছিল তা৷ মোটামুটি পরিমাপ করে জানা যায়। মন্দিরের চারদিকে ঢাকা পড়ে যাঁওয়া পাথরগুলিকে সরিয়ে দিলে অতীতের সে মন্দিরটির ভিত্তিভূমি আক্কৃতি সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধাবণ। গড়ে তুলতে পারা যায়।

প্রাঙ্গণের পুবদিক লাগোয়া যেমন এই মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ তেমনি পশ্চিম- দিকে রয়েছে একটি পুবমূখী তিন গম্বজ মসজিদ বক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মসজিদটিরও অবস্থা শোচনীয়, সর্ব দক্ষিণের গম্ব,জটি বর্তমানে ভেঙ্গে পড়েছে এটির পশ্চিমের দেওয়ালে নিবন্ধ এক ক্ষরিত শিলালিপি অবশ্য আমাদের জ্ঞাত করার এই মসজিদের নির্মাণকাহিনী।

০০

১৫৪ | মেদিনীপুর £

মোটামুটি এই হুল এখানকার স্থাপত্যকীতিটির বর্তমান অবস্থা। এখন প্রশ্ন হ'ল এটি কোন্‌ আমলের বা নির্মাণকর্তা কে? জেলা গেজেটিয়ারে সম্পর্কে আলোকপাত করে লেখা হয়েছে যে, ওড়িশা! নৃপতি কপিলেশ্বর দেবের আমলের একটি ক্ষয়িত শিলালিপি এই দুর্গ মন্দিরের সময়কাল স্ুচিত করে। বিষয়ে “মেদিনীপুরের ইতিহাস” প্রণেতা যোগেশচন্দ্র বন্থুর বক্তব্য হ'ল, “...মর্দির গাত্রে উড়িয়া ভাষায় লিখিত যে প্রস্তর ফলকখানি আছে, তাহার প্রায় সকল অক্ষরই ক্ষয় হইয়া গিয়াছে, কেবল ছু” একটি স্থান অপেক্ষারুত স্পষ্ট আছে, উহা! হইতে বুধবার” 'মহাদেবন্ক মন্দির এই দুইটি কথা মাত্র পাওয়৷ যায়|?

যৌগেশবাবুর কথিত এই ধরনের কোন শিলালিপির সন্ধান পাওয়া ন। গেলেও, পশ্চিম দেওয়ালে যে ক্ষয়িত শিলালিপিটি দেখা যায়, সেটি অবশ্ঠ এখানকার মসজিদটির নির্মাণ সম্পক্িত। সে ঘাই হোক, যোগেশবাবু কথিত শিলালিপির যেটুকু পাঠোদ্ধার করেছেন তাঁতে কপিলেশ্বর দেবের নাম নেই। তাহলে জেল। গেজেটিয়।বে কপিলেশ্বর দেবের প্রমঙ্গটি এলো কিভাবে? এ- ক্ষেত্রে যোগেশবাবু স্থানীয় জনগ্রুতির উপর নির্ভর করে যে অম্ুমানতিত্তি সিদ্ধান্তে এসেছেন সে সম্পর্কে তার বক্তবা হ'ল, “-উড়িস্কধিপতি রাজা কপিলেশ্বর দেব কতৃক এই মন্দিরটি নিঞ্সিত হইয়াছিল এবং সেই কথাই উক্ত প্রস্তর ফলকটিতে খোদ্িত ছিল। কপিলেশ্বর ব৷। কপিলেন্দ্র দেব গ্রীষ্টীয় পঞ্চদশ ' শতাবীর মধ্যভাগে উড়িস্তার সিংহাসনে প্রতিষ্টিত ছিলেন। .-"এইব্প কিংবদস্তী যে, রাজা কপিলেশ্বর দেব কতৃক শিব মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হইবার গুর বহুকাল যাবৎ উহ] হিন্দুর্দিগের একটি পুণ্যস্থানরূপে পরিগণিত ছিল।” আসলে জনপ্রবাদটির যূল উৎসটি হ'ল, মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্কের নাম কপিলেশ্বর মহাদেব থেকেই এককালে রাঁজা-মহারাঁজাদের নামেই যে শিব- লিঙ্গ প্রতিষ্ঠা কর! হ'ত তেমন উদীহরণেরও অভাব নেই। সেক্ষেত্রে যোগেশ- বাবুর অঙ্ন্মানও যে তাই, তা ভার মস্তব্যেও জানা যায়। তীর মতে, '..পর্বোন্ত কপিলেশ্বর নামক মহাদেবই এঁ শিবলিঙ্গ এবং কপিলেশ্বর দেবের প্রতিষ্ঠিত বলিয়াই উহার এপ নামকরণ হইয়াছে ।”

ওড়িশার ইতিহাসে দেখ। যায়, গজপতি বংশের প্রতিষ্ঠাতা কপিলেশ্বর বা কপিলেন্্র দেবের রাজত্বকাল হল, ১৪৩৫ থেকে ১৪৭* প্রীষ্টাব্দ পর্ধস্ত। এঁতিহীসিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, তার রাজত্ব বিস্তত ছিল

সংস্কৃতি মানব মমাজ : ১৫৪

বর্তমান হুগলী জেলার দক্ষিণ অংশ মান্দারণ থেকে দক্ষিণ ভারতের মাদ্রাজ পর্যন্ত ঘা মধো যুক্ত ছিল পূরথাট পর্বতমালা! বঙ্গোপসাগরের মধাবর্তী সমতল ভূভাগ। রাজত্ব বিস্তু'তির সঙ্গে সঙ্গে তার ক্নামের স্বাক্ষর রয়ে গেছে

ংখা মন্দির নির্মাণে আর দেব-ছ্বিজের মধো ভূমিদানে। সেদিক থেকে গগনেশ্বরে এই প্রাচীর ঘেরা মন্দিরটির প্রতিষ্ঠা, হয়ত তার রাজত্বের বন কীত্তিরাঁজির মধো একটি উল্লেখযোগা সংযোজন |

তাছাড়া! গগনেশ্বর কোনদিনই আজকের মত নিংশব জনহীন গ্রাম ছিল না। সেকালে কেশিয়াড়ী পাশাপাশি গগনেশ্বর ছিল তমব-সিক্ক উৎপাদনের এক বড়ো কেন্দু। ফলে স্বভাবতই বাবসা-বাঁণিজোর দৌলতে এটিকে ঘিরে একদা গড়ে উঠেছিল এক সমুদ্ধ জনপদ জেল] গেজেটিয়ারে উল্লেখ কর! হয়েছে যে, উশিশ শতকের গে(ড়ার দিকেও এই এলাকায় ছিল আট-নশে। তন্তবায় পরিবার, যার! তখনও ছিলেন শিল্পটির প্রতি নির্ভরশীল। সুতরাং আদতে 'এই এলাকার কি সমৃদ্ধি ছিল তা সহজেই অনুমান কর! যেতে পারে। সেজন্য এমন এক শিল্পসমৃদ্ধপূর্ণ স্থানের লঙ্গে সংযোগকারী কোন বাঁণিজাপথের ধারেই যে রাজ অগ্রগ্রহে একটি দেবায়তন স্থাপিত হবে এমন ধারণা কর! অশন্বাভাবিক নয়। তাই যদ্দি হয় তাহলে এখানকার মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাকাল দাড়ায় পনের শতকের শেষ দিকে, অর্যাৎ' কিন! যাঁর শতাধিক বংমর পরে নিমিত হয়েছিল কেশিয়াড়ীর সর্বমঙ্গলাদেবীর মন্দিষ। তবে যিনিই এব প্রতিষ্ঠাতা হন না কেন, সেকালের এই স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য আকার-গ্রকার অন্তমানের স্বপক্ষেই মত প্রকাশ করে

প্রাকার মধাস্থিত ভগ্ন মন্দিরছ্রিব সম্পর্কে কিছু আলোচন। কর! গেল, এবার এখানের মসজিদটির দিকে দৃষ্টিপাত করা যাক। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, মসজিদটির পশ্চিমে প্র।চীর দেওয়ালে ওড়িয়! ভাষায় উতৎকীর্ণ এক শিলা- লিপি খুঁজে পাওয়া যায়। তবে সেটি এতই অস্পষ্ট যে, তার পাঠোদ্ধার করা খুবই দুঃসাধ্য তা সত্বেও লিপিটির মর্মোদঘাটন করে একদা জেল! ৫গজেটিয়ারে লেখা হয়েছিল যে, লট আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে ১১৭২ হিজরীতে অর্থাৎ ১৬৯১ শ্রীষ্টাধে জনৈক মহম্মদ তাহির মসজিদটি নির্মাণ করেন। কথিত মহম্মদ তাহির ষে কে, সে সম্পর্কে কোন হদিশ পাঁওয়। যায়

১৫৬ মেদিনীপুর £ না, তবে একথা স্পষ্ট যে, এখানের এই হিন্দু মন্দির-স্থাপতাটির বন্থ পরে এই ষসজিদটির প্রতিষ্ঠা। “মেদিনীপুরের ইতিহাস: গ্রন্থে লেখ! হয়েছে, “".-মসজিদটির প্রস্তবগুলি দেখিলে মনে হয় যে, কোন হিন্দু মন্দিরের উপকরণ লইয়াই ইহ নিমিত হইয়াছিল।” বিষয়ে জেলা গেজেটিয়ারের বক্তব্যও তাই। কিন্ত ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বেশ বোঝা যায়, মসজিদটি নির্মাণে বাইরে থেকে আলাদ!ভাবে বহু পাথর আন! হয়েছিল এবং গাথনিতেও চুনবালির পলস্তারা ব্যবহৃত হয়েছিল। মন্দিরে ব্যবহৃত পাথর দিয়ে যদি এঁ মসজিদটি নিত হয়েছে বলে অহ্থমান কনা! হয়, তাহলে বর্তমানে দাড়িয়ে থাকা পাথরের সৌধপ্রাকারটির আর কোন অস্তিতুই আজ আর খুঁজে পাওয়া যেত না। সুতরাং মন্দিরে ব্যবহৃত পাথরগুলি দিয়ে যে এই মসজিদটি নিমিত হয়েছে ধারণা একেবারেই ভিত্তিহীন

তবে এটি নির্মীণের সময় এখানকার পশ্চিমের প্রবেশদ্বারটিকে সম্পূর্ণভাবে যে ভেঙ্গে ফেল! হয়েছিল সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই বলতে গেলে এটিই ছিল স্থাপতাসৌধটির প্রধান প্রবেশদ্বার, অর্থাৎ সে সময়ে যাকে বলা হত সিংহদ্বার। বিশেষভাবে লক্ষ্য করলে প্রকৃতই বোঝা! যায় প্রধান এই প্রবেশপথে নিবদ্ধ অবশিষ্ট কিছু স্থাপত্য ভাস্কর্য নিদর্শনই সেই সিংহদ্বারের স্মারকচিহ হয়ে আছে। অন্গমানি কর! যায়, পরবর্তাঁ সময়ে মসজিদ নির্মাণের পর এই প্রবেশছারটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং সেইসঙ্গে পশ্চিম দেওয়ালে সিড়ি সংযুক্ত করে একটি চিল্লাখান। নির্মাণ করে সিঁড়ির বীদিকে লাগানে। হয় ওড়িয়! ভাষায় রচিত মসজিদ নির্মাণের প্রতিষ্ঠাফলক।

মসজিদ প্রতিষ্ঠার এই ঘর্দি ইতিহাস হয় তাহলে দেখা যাচ্ছে, গড়িশ।র হিন্দু নরপতির পতনের পর মন্দির-প্রাকার মুললমান অধিকুত হয় বিধর্মীদের দখলে আসায় স্বাভাবিকভাবেই মন্দির বিধ্বস্ত হয়, কিন্তু রেখে দেওয়া! হয় সৈনিকদের বিশ্রাম লাভের জন্য মন্দির-গ্রাকার সংলগ্ন অগ্িন্দটি। এইভাবেই বিজেতা বিজিতের যে সব শাক্ষ্য থেকে যায় এই স্থাপত্যরীতিতে, তাই পরে হয়ে গঠে ইতিহাস। কিন্তু সে ইতিহাসের রথচক্র এখানেই থেমে থাকেনি। আঠার শতকের গোড়ার দিকে হুর্ধ্ধ মারাঠার! মোগলদের হটিয়ে দিয়ে এখান্কার স্বাপত্যসৌধটি দখল নেয়। যুদ্ধই যখন তাদের ধানজ্ঞান, তখন তারাও এটিকে নিজেদের প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর ছাউনিতে পরিণত করে। লেনা- নিবাষের সৈন্যরা! শিবভক্ত, তাই ভগ্ন মন্দিরে একদ। স্থাপিত শিবলিঙ্গটির নতুন

লংস্কৃতি মানব সমাজ ১৫৭

করে পুজার্চনা সুরু হয়, কিন্তু মলজিদটি থেকে যাঁয় অক্ষত। তবে এটিকি মারাঠাদের সহনশীলতার এক দৃষ্টান্ত, না তাদের ধর্মাধর্ম পালনে মসজিদ ভাঙ্ার উদ্যোগ গ্রহণ বিষয়ে চিন্তার অবকাখই হয়ে ওঠেনি সেজন্ত ? ভাগাচক্রের শিয়মটাই এই! কোথায় স্থাপিত হয়েছিল এক মন্দির যার চারপাশ ঘের! বারান্দায় ছিল যাত্রীনিবাস আর তাই শেষে কিনা হয়ে উঠলে। বিজেতাঁদের লেনানিবান, ঘা! পরবর্তীকালে স্বতন্দুর্ভভাবেই পরিচিত হয়ে উঠলো। “ছুর্গ' যা “ছাউনি আখায়। পশ্চিমের লিংহদ্বার বিনষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বয়ে গেছে উত্তরের দরজ1, মেখান দিয়ে একদ] তীর্থযান্রীর! “যজ্কু % নামক জলাশয়ে সহজেই পৌছুতে পারতে। |

এখন লক্ষা করার বিষয়, দেনানিবাণ ব। ছাউনী হলে তার তো একটা পাহারা দেবার উচু স্তত্ত বা বুরুজ থকতো। যা এখানে অন্থপস্থিত। এবার যদি আমরা দক্ষিণ ভারতের কাঞ্চিপুিরমের কৈল1পনাথ মন্দির বা বৈকুপেরুমলের মন্দিরের দিকে দৃষ্টিপাত কবি তাহলে গগনেশ্বরেঘ এই মন্দির চত্বরের মতই চারদিক ঘেরা৷ অলিন্দযুক্ত মন্দিরের নিদর্শন খুঁজে পাবে! দুরের উদাহরণের কথ! ছেড়েই দেওয়া যাক। এই মেদিনীপুর জেলার নয়াগ্রাম থাঁন। এলাকার দেউলবাড়ের বাষেশ্বরনাথের মন্দির-স্থাপত্য প্রসঙ্গে আসা যাক্‌। সেখানের মন্দিরের এই বাস্ত-নকসার সঙ্গে গগনেশ্বরের বেশ সাদৃশ্ঠ খুঁজে পাওয়া যায়। রামেশ্বরন।থের মন্দিরটি পাথরের পীঢ়া জগযোহনসহ শিখর মন্দির, যার চার পাশেই ছিল ঘের! প্রাচীর সংলগ্ন বারান্দা যদিও অলিন্দটি বর্তমানে ধ্বংস- প্রাপ্ত, কিন্তু পর পর নিবদ্ধ স্তস্তের সারি সে বিশেষ স্থাপত্যটির পরিচয় আজও বহন করে চলেছে ম্থতরাং দুরদৃরান্তের যাত্রীরা যাঁতে মন্দিরচত্ববে বিশ্রাীমলাত করতে পারে, সেজন্যই হয়ত ধরনের স্থাপতাবিশিষ্ট মন্দির-দেষালয় নির্মাণ করা হয়েছিল। আলোচ্য প্রথাগত রীতির দেবাঁলম্ন, যে আঞ্চলিকতাবেও প্রচলিত ছিল তার কিছু নিদর্শনও দেখা যা়। ইট বা পাথরের না হলেও, নারায়ণগড় থানার ব্রন্ধাণী দেবীর এবং পাশাপাশি সবং থান! এলাকার বেলকী গ্রামের লক্মীজনার্দন মন্দির দুটিও এই স্থাপত্যের অনুসারী ন্মুতবাং আজকের এই কুরুমবেড়ার দুর্গ আঁদিতে কোনদিনই সেনানিবাস ব1 ছাউনি হিসেবে থে নিক্সিত হয়নি, সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ হওয়া গেল। অর্থাৎ, অতীতে য। ছিল মন্দির সংলগ্ন যাত্রীনিবান, তাই পরে বিজয়ী শক্তির হাত বদল হয়ে রূপান্তরিত ছঞ্জ দুর্গে, পরিণতিতে মন্দির ভেঙ্গে হয় মসজিদ, আরও কত কি?

১৫৮ মেদিনীপুর :

গগনেশ্বরের এই কুরুমবেড়ার প্রস্তর-স্থাপত্য সেই অতীত দিনের উত্থান- পতনের কাহিনী নিয়ে আজও এই নির্জন প্রান্তরে দাড়িয়ে আছে। ভারতীয় গ্রত্বতাত্বিক সর্বেক্ষণের দায়িত্বে এসেও তার হৃতরূপ আজও ফিরবে আমেনি। জান! গেল, বর্তমানে সর্বেক্ষণও তার কর্তবাভার সঁপে দিয়েছেন রাজ্য পুবাতত্ব অধিকারকে স্থৃতরাং অবিলম্বে এটির সংস্কার না হলে প্রায় পাচশে। বছর ধরে কালের সঙ্গে লড়াই করা পশ্চিমবাংলার এই অমূলা স্থাপত্য-কীত্তিটির বিনাশ যে অতি অবশ্যন্তাবী, তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে কি এটি আদৌ বস্কারযোগায হয়ে উঠবে না, বা ভ্রমণরমিকদের কাছে কি এটি কোনদিন আকর্ষণীয় হতে পারবে না, আক্ষেপ কি চিরদিনই থেকে যাবে ?

ও৬. জন্তিদাঘী (পল্ামী ম্াঙ্াস্া

ইংরেজ কোম্পানীর শানে একদা র্লূষকদের কাছ থেকে জমির মালিকানা কেড়ে চিরম্থয়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে জমিদারকে করে দেওয়া হ'ল জমির মাঁলিক। সুতরাং ফল যা হবার তাই হ'লো। বাংলার সমাজজীবনে এই জমিদারীগ্রথা হয়ে উঠলে। এক সামাজিক অভিশাপ, যার বহু নজির থেকে গেছে এমন অনেক ঘটনায় বা কাগজপত্রে অথব! সাহিত্য-নাঁটকের বিষয়বস্ত্রতে বন্ততঃ দীর্ঘকাল ধরেই সে অভিশাপের পীড়ন লাঞ্চনা সহ করতে হয়েছে বাংলার অন্নদাতা৷ কষকসমাজকে |

জমিদীরীপ্রথার মূল কথাই হু'লো৷ কৃষকের কাছ থেকে খাজনা বাবত আদায়, তা৷ মে প্রজার জমিতে ফমল হোক বা না হোক। শুধু খাজন! দিয়েই নিস্তার ছিলন। প্রজাদের খাজনার উপরে ছিল জমিদারী নানান আবওয়াব, ধার অর্থ নির্ধারিত খাজনার অতিরিক্ত দেয় কর। তছুপরি আবার দিতে হত নানাবিধ সেলামী। খাঁজন! বাকী পড়লে তো সদ লাগতোই, সেইসঙ্গে জমিদারের নাঁয়েব-গোমস্তা পাইক-পেয়াদাদের দিতে হত উপযুক্ত তনুবি, পালপার্ণে পুণাছে জমিদ|রী বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাবত দিতে হত হরেক

লংস্কৃতি মানব সমাজ ১৫৯

রকমের মাথট। এইভাবে দীর্ঘকাল ধরে. শোষণের একচেটিয়া অধিকার ভোগ করে জমিদার শ্রেণী হয়ে উঠেছিল গ্রাম-জীবনের সবময় কর্তা

জমিদারী আবওয়াব অর্থাৎ চলতি বথাম়্ “বাব যে কিভাবে প্রজা - শোষণের এক ফন্দি হয়ে দাড়িয়েছিল, সে সম্পর্কে আজ থেকে শতাধিক বৎসর পূর্বে সোমপ্রকাশ' পত্রিকা মন্তব্য কর! হয়েছিল, “গুজাবা যেবপ মূর্খ তাহাতে তাহারা বরং পাঁচটা বাহিরের “বাব দিতে পারে, , কিন্ত বধিত কর দিতে সহজে সম্মত হয় না; এই কারণেই এই সকল বাবের স্বক্টি হইয়াছে .. এই- সকল বাব আদায় না কৰিলে জমিদারদিগের লাভ হয় না, কিন্তু আদায় জন) রাজছ্বারে যাইবার উপায় নাই, সুতরাং বলপ্রয়েগ কিম্বা ভয় প্রদর্শন দ্বারা আদায় করিয়৷ লইতে হয়। ..'অতবাচার করিলে জমিদারের নামে অভিযোগ করিয়া কৃতকাধ হয়! দরিদ্র প্রজাঁঞ্দর পক্ষে সহজ নয়, শতরাং তাহার! সহ করিয়া যাকে এবং এই স্ুুধিধা অবলম্বন করিয়। অনেক হৃদয়শন্য জমিদার মহশ্ প্রকারে প্রজাদিগকে শোষণ করিয়! থাকেন সকল বাব যে চিরক্রমাগত তাহা নয়, বৎসর বমর নতুন বাবের সৃষ্টি হয়। জমিদারের বাটীতে পূজা প্রভৃতি সকল ব্যয় অবশেষে প্রজার স্কনেই পড়িয়া! যায়, বাস্তবিক বিষয়টা বড় জচিল। বর্তমান সময়ে যেরূপ দেখ। যাইতেছে তাহাতে প্রজারই সমূহ কষ্ট। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দ্বারা জমিদারের দেয় কর চিরকালের জন্য নির্ধারিত ইইয়ছে। কিন্তু গ্রজার্দিগের দেয় করের সীম! নাই। তত্নিবন্ধন জমিদার- দিগের দিন দিন শ্রীবৃদ্ধি হইতেছে (২৪ ভাদ্র, ১২৮০)।৮

জমিদারের পক্ষ থেকে বাজে আদায়ের চাপে কুষকের অসহায় অবস্থার এই চিন্রটি 'সোমপ্রকাশ” পত্রিকায় ষথার্থভাবেই তুলে ধরা হয়েছে। তবু কৌতুহল থেকে যায় কি কি দফা এবং কারণের অজুহাতে দেসব আবওয়াৰ বা সেলামী আদায় কর! হত তা বিস্তারিতভাবে জানার জন্যে এই উৎস্থক্য- বশতঃ খোঁজনন্ধান করতে গিয়ে অবশেষে জমির খাজনা ছাড়। এই ধরনের জমিদারী বাজে আদায়ের এক লিখিত বিবরণ পাওয়। গেল। স্বতবাং বিষয়টি সম্পর্কে যথার্থভাবে অবগত হতে হ'লে আমাদের ফিরে তাকাতে হবে জেলার মেসময়ের মাজনামুঠা জমিদারীর দিকে আলোচ্য জমিদারী কেন্দ্রটি ছিল কাধি থান! এলাকার কিশোরপুর গ্রামে

সেকালের স্থানীয় ইতিহাসে এই মাজনামূঠা জমিদারীর সর্বশরেষ্ট ভূম্বামী হিসাবে রাজ! যাদ্বরাম চৌধুরীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মেদিনীপুরের

১৬৪ . মেদিনীপুর £

অন্যান্য কীত্তিমান ব্যক্তিদের সঙ্গে তাকে নিয়েও গুরগগ্রহীরা একদ! যে ছড়াঁটি বচন! করেছিলেন, তাতেও তিনি ব্যাখ্যাত হয়েছিলেন জেলার এক বিখ্যাত রাজ! হিসাবে। ছড়াঁটি এই £ “দানে চচ্চঃ অঙ্নে মান্চ, রঙ্গে রাজনারায়ণ বিশ্বে ছকু, কীর্তে নরু, রাজ। যাদবরাম 1?

ছড়ায় বর্ণিত “চন্* হলেন দানশীল চন্দ্রশেখর ঘোষ, অন্নদানে আপ্যায়নের জন্য বিখ্যাত “মানু অর্ধাৎ পুয্াপাট গ্রামের মানগোবিন্দ তগ্, বাজনাবায়ণ হলেন জকপুরের কানুনগো রাজনারায়ণ রায়, “ছকু” ছিলেন মলিঘাটির বিত্তবান ছকুরাঁম চৌধুরী, জলামূঠা' বংশের নর” অর্থাৎ নরনারায়ণ চৌধুরী এবং রাজা যানবরাম হলেন আলোচ্য মাজনামূঠ'র যাদবরাম চৌধুরী, ধায় খ্যাতি ছিল দেবত। ব্রাহ্মণদের প্রতি নিস্কর ভূমিদানে (এই ছড়াটির বিস্তুত বিবরণের জন্য বর্তমান লেখকের রচিত “ছড়াপ্রবাদে গ্রাম-বাংলার সমাজ গ্রন্থ দ্রঃ)। এহেন ঝ/জা! যাদবরাম পুণাল্লেংক হিলাবে চিত্রিত হলেও তীর জমিদারীতে জমিদারী খাজন। ছাড় প্রজাদের যে বিভিন্ন প্রকারের সালামী আবওয়াব দিতে হ'ত, তার বিবরণ পড়ে আমাদের বীতিমত শিউরে উঠতে হয়। আলোচ্য এই জমিদারী থেকে ১৮১৫ সাল নাগাদ বাজে দফা! বাবত যে আদায় হয়েছে তাঁর এক বিবরণ রেখে গেছেন মে সময়ের জেলার ইংরেজ কালের বেইলী সাহেব তাঁর “মেমোরাগ্ডা অৰ্‌ মিডনাপোর, গ্রস্থে। তার দেওয়। প্রতিবেদন থেকেই জানতে পারা যাঁয় কতরকমের জমিদারী আবওয়াব ঢালু ছিলে। সেঘময়ে এবং কি কি খাতে সেলামী আদায় কর! হত প্রজাদের কাছ থেকে, যা অগ্রাহ্হ করলে প্রজার তাগ্যে জুটতো। জমিদারী পাইক-ববকন্দাজের নানাবিধ নির্যাতনের উপহার

এবার বাজেআদায় দফাগুলি সম্পর্কে আলোচনায় আমা যাক। জমিরদীরীতে বিয়েসাদী উপলক্ষে প্রজাদের যেসব অতিরিক্ত কর দিতে হতো তার একটি হুল 'বরপূর্বকা কন্তা সালামী?। অর্থাৎ কিন। বিয়ের পাকা দেখা শেষ হুলে কন্তাপক্ষের তরফে জমিদারের হুকুম-অস্মতির জন্য এই সেলামী প্রজাদের বাধাতামূলকভাবে দিতে হ'ত। এবার গ্রজাদের পুত্র-কন্াঁর বিবাহ অনুষ্ঠানের জন্য মাজনামূঠা জমিদারকে দিতে হ'ত “বিভা! তরফী” নামের আবওয়াব। এর মধ্যে মজক্ুরী বাঁয়তকে দিতে হত নির্দিটট এক সিকা টাকা এবং নাঁনকর বায়তের বেলায় দু" সিকা টাকা “সিক্কা” টাক! অর্থে বোঝায়

সংস্কৃতি মানব সমাজ ১৬১

বাংলায় প্রচলিত অন্যান্ত স্থানের ভিন্ন ভিন্ন, মানের এক টাকার মুত্র! ছাড়াও মোগল পরবর্তী কোম্পানি আমলের রূপোর টাকা, যার মূলামান ছিল ৮*ছিতে এক সের ওজন। সেদিক থেকে আজকের দিনে ছু" টাক৷ এক টাকার তেমন মূলা হয়ত আমর] দিতে চাইনা, কিন্তু সময়ে কাছ!কাছি হিজলী এলাকাতে যে টাকায় চার মণ চব্বিশ সের ধান পাওয়া! যেত, সে বিষয়ে আগের প্রবন্ধ 'শতবর্মের এক অবহেলিত জলপথণ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। শ্রধু 'বিভাতরফী” বারত জমিদারের প্রাপা টাকাটি আদায় দিয়ে গ্রজ্গার রেহাই নেই, এর উপরে প্রজাদের একটি করে নতুন বস্থও দিতে হত জমিদারদের যম্মানার্থে। তবে কত দামের বস দিতে হস্ত সে ষম্পর্কে অবশ্ত কিছু জান যায়নি

কায়স্থ সমাজের জাতিগত নিচু স্তরে কোন বিবাহাদি সংঘটিত হলে জমিদারুকে বক্ষ/কর্তা হিসাবে দিতে হ'ত “সংগোত্র দেশ বিবাহ ষালামী”, যা ধার্য ছিল সাড়ে চার মিল্তা টাকা। ছাড়া প্রজাদের মধ্যে বিবাছ উপলক্ষে স্থানীয়- ভাবে প্রচলিত আচার-অনুষ্ঠানে বরের মাথায় যে চিত্রিত ছাতা ধরার রেওয়াজ ছিল, মে ছাতা! ব্যবহারের অনুমতি বাবত বরপক্ষকে দিতে হ'ত “ছাত। হুকুমী সালামী?। যদি অন্য জমিদারী এলাকার রর জমিদারীতে বাছি-বান্ধন। করে বিয়ে করতে আমে, তাহলে জমিদারী গ্রাঙ্গ্য হিলারে বরপক্ষকে দিতে হবে “ভিঙ্গানী সালামী*, যা ধার্য ছিল এর সিক্কা টাকা তারপর বিয়ে হয়ে যাবার পর বরক*নের জোড়ে আগমন উপনাক্ষে জমিদারকে দ্বিতে হুবে “পোনো। ৰিরাহ সালামীঃ। তাছাড়া দি কোন প্রদ্ধার দু” ছেল্লের একই বছরে বিয়ে ছয় তাহলে জমিদারের প্রাপ্য হবে “বিভান্” নাষের এক শ্বতৃঙ্্ মনেল্লামী। এছাড়া বিশ্বে-খা উপলক্ষে আছে 'অকাল বিবাহ সাল্গামী+, যা ধার্য শুভদিনে রিরাহ স্বন্িত না হয়ে অন্ত ষময়ে হলে জমিদারকে দিতে হ'ত। এছাড়া ছমিদারী হুকুম অনুমতি না নিয়ে বিবাহাি অনুষ্ঠিত হলে মে সর পক্ষঘ্থের জন্য নির্দিষ্ট ড্রিল 'বেছুকুম বিবাহ* নামের সেলামী গ্রদান। এসর ছাড়াও “ত্বোজন সেলামী। বাবত এক নিক্কা টাকা আদায় দিতে হত ম্লেইসর প্রজ্বাদের, যারা নিষ্ম জাত ছাড়া অপর নিচু জাতের ঘুরে ছেলেমেয়ের বিয়ে দিতেন

সে সময় দেখা ঘাচ্ছে। মাদ্বনামূঠ। ছ্মিদবীরতে বিধর। রিবাছের চঙ্গন ছিল। মনে হয় গরীব নিচু জাতের প্রজাদের মধো, এয়র রাধ়ানিষের তেয়ন ছিল ন]। তবে ধরনের বিধরা বিবাহ অনুচিত হু'ললে জমিদারকে দিতে হত “নাগা সালামী” বাধত এক লিক্ব! টাকা। জাবাৰ বর্দি, কোন পুরুষ বাঁ শ্রীলোক

5২ | মেদিনীপুর £ স্বেচ্ছায় বিবাহ বিচ্ছেদে করে, সেক্ষেত্রে তাদের জমিদীরকে দিতে নির্দিষ্ট ' ্বামীতা।গী সালামী? |

বিয়ে-সাদী উপলক্ষে ধার্য এসব সেলামীর পর প্রজাদের নিজ নিজ সম্পত্তি ঝক্ষার প্রয়োজনে খেলব আবগয়াব দিতে হস্ত তার মধ্যে একটি হ'ল, “হুকুম! সালামী”, অর্থাৎ প্রজাক সম্পত্তি নিয়ে কোন গোলমাল দেখ দিলে তা সালিশ- নিষ্পত্তির জন্য জমিদারকে দেয় প্রদত্ত কর। অন্যের জমি জোরপূর্বক নিজ দখলে নিলে তার দরুণ জমিদারকে দগ্ুম্বূপ দিতে হদ্ত “সিমাপুরি সালামী? একাঙ্গবর্তী সংসার থেকে ভাইয়ে ভাইয়ে ভিন্ন হওয়ায় সম্পত্তি বিভাগ-ব্টনের জন্য দিতে হ'ত “ভাই ভাটি সালামীঃ, যার “রেট? ধার্য ছিল এক সিকা টাক। হিমাবে। বর্দি কোন ব্যবসায়ী জমিদারী এলাকায় জলপথে নৌকো নিয়ে প্রবেশ কবে তার জগ নির্দিট “খেলনা নৌকা সালামীঃ বাবত আদীয় দিতে হ'ত এক সিক্ক। টাক

জাতপাত নিয়ে যে সব জঙ্গিদারী বিধান ছিল, সে সম্পর্কে বিয়ের অনুষ্ঠানে ' দেয় জমিদারী সেলামীর কথ! আগেই কিছু কিছু উল্লেখ করেছি। এখন কোন প্রজা যদি জাত হারিয়ে পুনরায় ম্বজাতিভুক্ত হতে চায় কার জন্যে জম্দারকে দে নজরানা হ'ল “সমন্য়ী সালামী?। এছাড়া কোন প্রজার সমুদ্রপথে মাদ্রাজ, মসলীপট্টম প্রভৃতি স্থানে গমনের, ছোট জাতের কোন ব্যক্তির সঙ্গে , একই নৌকায় আরোহছণের অথব! সিউনি দিয়ে সেই নৌকায় জলসেচনের জন্তে তার জাত শুদ্ধিকরণ বাবত জমিদারকে দিতে হ”ত 'জাত মাল্পা! সালামী”। কোন কারণবশতঃ কুলগুরু কর্তৃক পরিত্যাজ্য হলে পুনরায় সেই গ্রজার সমাজ- তুক্তির জন্য জমিদারকে প্রদত্ত লেলামীর নাম ছিল 'গুরুত্যাগী ছোড়,ন?। এছাড়া, এমন কোন নীচু জাতির বাড়িতে কাজ করা নিষিদ্ধ সত্বেও যে মভুর সেখানে কাজ করার দরুণ জাতিচ্যুত হয় সেক্ষেত্রে পুররায় স্জাতিভুক হাতে হ'লে তাঁকে দিতে হবে “মজুর ছোড়,ন সালামী;।

সমাজে প্রচলিত আনঠানিক ক্রিয়াচার ইত্যার্দির নিয়মভঙ্গের কারণে জমিদারে যেসব নজরাণ! দিতে হত, তার মধ্যে একটি হ'ল 'যাত্রীত্যাগী সালামী' এটি দিতে হ'ত প্রথাগত ক্রিয়াচারের নির্দিষ্ই দিন হ্রাস করার জন্ত। অন্তদিকে অশোচ পালনের কারণে নির্দিষ্ট দিন কমানোর জন্যে অথবা মৃতের শ্রান্ধাদি অনুষ্ঠানে ভোজসতা অহষ্ঠানের জন্তে দিতে হ'ত 'অশোচত্যাগণ "সালামী? এছাড়া মংস্যজীবী পদ্বিবারের কোন আহুষ্ঠীনিক ক্রিয়ীকর্মে নাপিত

লংস্কৃতি মানব সমাজ ১৬৩,

ঘাতে মশাল ধরার অন্থমভি পায় তার হুকুম আদায়ের জন্ত জমিদারকে দিতে. হ'ত “জৌলি' নামের মেলামী। সর্বোপরি সমাজে প্রচলিত শাস্মলন্মত বিধির ' বিরুদ্ধাচরণ করলে সেই বেয়াড়! প্রজাকে অবশ্যই দিতে হ'ত 'অশাস্মী” নামের সেলামী। এছাড়া কোন অবৈধ সন্তানের বিধমা মাতার পক্ষে ধোপা-নাপিতের নাহাধা পাওয়।র অথবা কোন বিধবা তার পুরুষ উপপত্তির মঙ্গে বলবাসের জন্য . জমিদারী হুকুষ আদায়ের কারণে দিতে হণ্ত “বেদে ছাড় স]লামী” |,

জমিদারীতে প্রচলিত নিয্পমভক্ষের জন্য প্রজাদের যে নজরানা দিতে হ'ত, তার একটির নাম হিল 'বাহুর মিতি সালামী:। অগ্চচিততাবে কাউকে অপদস্থ করার বা ইচ্ছাপূর্কভাবে কোন অনুষ্ঠানে অতিথির যোগদান বাঁধ! দেওয়া বা চলে যেতে বাঁধা করার দরুণ এই সেলামী দিতে হ্ত। তাছাডা। জমিদারের (বিন হুকুম-অন্নমতিতে যে রঙ্জক নাপিত অপরের কোন আনুষ্ঠানিক কাজে অংশগ্রহণ করে অথব! অসদাচরণের জন্য যিনি নির্দিষ্ট পেশাগত কাজ কর! থেকে অধিকারচাভ হুন, সেক্ষেত্রে জমিদারে 'বেহুকুমী সালামী' আদায় দিলেই লমস্যার অমাধান। কোন প্রজার খামারে ধান বাড়ার সময় সেই ধান কেউ মাড়িয়ে গেলে তাদের নিস্তার পেতে হলে জরিমানা হিসেবে দিতে হ'ত 'খামাৰ মাড়। সালামী"।

এত মন্ধেও জমিদারীতে প্রচলিত ছিল “আব্ধেল সালামী', যেকথা আমব! প্রীয়ই কথায় কথায়-উচ্চারণ কবে থাফি। কিন্তু কল্পেকটি বিশেষ কারণে মাজনামৃঠা জমিদারীর গ্রজাদের দণস্ব্ূপ মতই সেলামী দিতেই হত, যা শুধু কথার কথা ছিল না। পিতা বা ক্রান্ষণকে কটু কথা বলার ব! মারধোর করার অপরাধে, বা কোন ব্যক্তির নামে মিথ্যে বদনাম রটনার দায়ে, অথব! নীচজাতির কোন বাক্তির সঙ্গে কলহ বা দাঙ্গা করার অপরাধে, কিংবা কোন কারণ ছাড়াই জমির পৰিবর্তন ঘটানোর দায়ে প্রজাদের দণসন্বরূপ জমিদারকে দিতে হত এই 'আকেল সালামী,

সেকালে জযিদারীতে 'বাধবনিত1” বসানোর যে রেওয়া্ধ ছিল তার প্রমাণ পাঁওয়। যায় “কোমবিয়ান ছাড় সালামী” থেকে। গণিকাবৃত্তি গ্রহণের পূর্বেই' জমিদারী সেরেম্ত। থেকে অস্থ্মতি গ্রহণের জন্য হবু বারবধূদের অবশ্ঠই দিতে হ'ত এই নাষের নজরানা এবার এই বৃত্তি গ্রহণ বাবত সেলব বাবাঙ্গনাদের বা্মরিক কর আদায় দিতে ছু"ত তার নাম হিল 'কোসবিয়ান কুড়ারী" | অন্তদ্দিকে নর্তকী ধরনের গণিকার্দের মধ্যে কেউ খুদি তার পুরুষ পরিচারক-

১৬৪ মেদিনধপুর £ ভূতোর সঙ্গে সহবাস করে অথবা কোন গণিকা ষর্দি মুসলমান ঈদ পর্ধে কোন

আগন্তকের ফাছে দেহদান করে, তাবু জগ্ত জমিদারকে দিতে হবে দপ্রস্ববপ “ষেন্ফুমী মালামী? |

"তবে এখানেই শেষ নয়। মজনামূঠা! জমিদারীর আরও অনেক বাঁজে আদায়ের ফিরিস্তি দেওয়া যেতে পারে। জমিদারীতে কোন অনুষ্ঠান বা পুূজ/পার্ণ উপলক্ষে যেমন প্রজাদের কাছ থেকে নানাবিধ সেলামী আদ্দায়ের প্রথা 'ছিল, তেমনি বিভিন্ন পেশায়রত প্রজাদের কজিরোজগার বাবতও দিতে হ'ত বাধাতামূলক কর। যেমন নববর্ষে বিভিন্ন ব্যক্তি জমিদারী আমলাদের অবশ্বই দিতে হত "শুনিয়া সালামী” "শুনিয়া! কুরচ1 নামের কর। দ্রশহরা উপলক্ষে নির্দিষ্ট ছিল “শের সালামী” সেই সঙ্গে ভাদ্র মাসে কোন বিশেষ পর্য উপলক্ষে প্রজাদের দিতে হ'ত “ভাছুই মাগন' জমিদার মহোদয়ের সান- পর্ব উপলক্ষে প্রজার দেয় ছিল 'অভিষেক সালামী' আবার শীতকালে বিভিন্ন জমিদারী এলাকায় ' প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহের জন্য যে শীতবস্ত্র প্রয়োজন হ'ত তার দাঁয় মেটাবার জন্য, প্রজাদের আদায় দিতে হ'ত রাজশিত্তোরী” নাষের দেলামী।

পালপার্ধণ ছাড়া বিভিন্ন পেশায় নিধুক্ত প্রজাদের উপর চাপানে। ছিল নান! ধরনের ষেলামীর বোখ। গ্রামের প্রধান মোড়লদের দিতে হ'ত 'আামাণিক সলামী'। মুদিখান। দোকানদারদের কাছ থেকে “গাকান মাগন' বাব সেলামী আদায় ছাড়া, ব্যক্তিগত বাবসাযস, অর্থাৎ মহজিনী ঘ। সুদে টাকা খাটানোয় নিযুক্ত বাবসায়ীদের দিতে হ'ত “ছভুর পান্না” সেলামী। জমিদারী কাজে নিযুক্ত পাইকদের প্রত্যেককে দিতে হ'ত এক আন হিসেষে 'পাইকান আনী' সেলামী এবং জমিদারী পরিচারক ব। ভূতাদের মধ্যে ধার! নিষ্কর জি ভোগ করতেন তাদের জন্য বরাদ্দ. ছিল “নোকীবান ছুজনি সালামীঃ, ধা ধার্ধ- হ'ত বিঘেভৃই দু'আনা, হিসেবে হাত পাল্লায় মাপা পণাজ্রধোর ওজমদার হিস।রে জমিদ(ব যাকে মনোনীত করতেন তার কারণে তাঁকে “কয়াল পালামী। দেওয়! ছাড়াও, পরে ওজনদ্দার হিমাবে কর্মরত থাকাকালে তাকে দির্তে ইত 'বাটকয়ালী সালামী' জমিদারের নিজন্ব গোমস্তাদের বেলাগ্ন ধার্য ছিল “থানা গোমন্তা সালামী'।. জমিদারীতে বসবাদকারী পান্ধী বা ভুলি বাঁহকদের

, দ্রিতে হ'ত 'বেহারা. সালামী? এবং জমিদারীতে বসবাসের বরুণ দখাজের দীচু-

দংস্কতি মানব সমাজ ১৬৫

তলার অধঃপতিতদের জন্ত বরাদ্দ ছিল "খার্দাল বাহমিন সলামী" নামের অতিরিক্ত কর।

, মাজনামূঠা জমিদারের বাজে আদায়ের এখানেই অবশ্থ শেষ নয়। প্রজাদের, মধ্যে কৃষির উদ্দেশ্টে যারা নির্দিষ্ট খাঁজনায় জমি বন্দোবস্ত নিয়েছেন, তাদের দিতে হ'ত “বাজে ইজারাদারী সালামী ; নদীর ঘাট বাহারের. জন্য প্রজাদের কাছ থেকে আদায় করা হ*ত “ঘাট সালামী, ; পুকুর বা দিঘিতে, মাছ ধরার উদ্দেশ্যে জাল ফেললে জমিদারের প্র/পা হিসেবে দিতে হত “দিখি সালামী” ।; জমিদারী এলাকার ফেবিঘাট থেকে আদায় করা হ”্ত খেয়ারো? . নামের সেলামী। বিশেষ করে সেখানকার জমিদ।রী এল।কায় মির্জাপুর খালে ফেরি বাবত জার্দাঘ্ের না ছিল “খাল মির্জাপুর সালামী”। এছাড়া সেসময় জমিদীরী এলাকায় দেশীপ্রধায় নোনাজল জাল দিয়ে সন তৈরী কেন্দ্রকে বল। হ'ত নিমক খালাড়ি .এবং এই ধরনের খবলাড়ি পিছু জমিদারী প্রাপ্য হিসাবে দিতে হ'ত “নিমক চিয়ানী লালামী' বাবত ছ' আনা দুধ সরবরাহ- কারী এবং অন্যান্য শাকপর্জী: উৎপাদনফারিকে দিতে হ'ত 'ছুধশ'গ সালামী' মাছ ধরার জন্য যে মতস্জীবী পঁচকুটিয়া নামের জাল ব্যবহার করে তাকে আদায় দিতে হ'ত 'পাচকুটিয়। সালামী"। জমিদারীতে প্রজার! চাঁষ করবে মোটা ধান, কিন্তু মিহি ধান চাষের বেলায় চাধীকে দিতে হুবৈ “মিহি চাল' বাবত সেলামী। জমিদারের নিজ জোতে চাষ আবাদের জন্য সেই চাষীকে দিতে হুত "গ্রাম নিজ জোত' নামের সেলামমী এবং চাঁধীর উৎপন্ন ফসল ধান কাটার সময় প্রতি ধানের ্াটি পিছু এক হালা ধান-খড় প্রাপা ছিল জমিদারেব, ঘ। আদায় হ'ত “হাল! মীগনি সালামী” নামে।

ঘাজনাধৃঠ। জমিদারীর 'বাজে দফা” বাবত আদায় তালিকার এখানেই, শেষ। নিম্নে অধিক মঞ্তধযও নিশ্রয়োজন। এরপর জমিদারী শাসন নিজে অনেক জল গড়িয়েছে। এই শতকের তিন দশক নাগাদ, ইংরেজ শাসকরা যে ধাযান্ত রেভিনিউ কমিশন! বসিয়ে ছিলেন, তাতে জেলার জমিদাররা এসব আবগয়াধ-মাখট আদীর়্ের কা একেবারেই স্বীকার করেননি যদিও জেলার

আঁ এক বিদেশী জত্রির্দার 'মেদাস” মিগনাঁপোর জঙিনদারী কোম্পানি” কষিশনৈর কাছে স্বীকীর করেছিলেন যে, এই ধরনের বাজে আদায় গ্রচলিভ ছিল, বটে, তবে কোম্পানি বরীবরই গ্রর্জাদের নেঁটিশ দিয়ে এলব আঁদায় দিতে নিষেধ করে এপেছে [ক্র “দি লা রেভোঁিউ কথিশন, বেঙ্গল (ভলাম ফোর),

১৬৩৬ | মেদিনীপুর £. ১৯৪০]। যদিও সাহেব জমিদার কোম্পানি মোটেই সত্য কথাটি কবুল করেননি কেননা কোম্পানির রাজশাহী, নদীয়া মুর্সিদাবাদের জমিদারী থেকে এইভাবে যে জ্োোরজুলুম করে আবওয়াব আদায় কর! হয়েছে, তার বিবরণ বেখে গেছেন সোমেশ্বরপ্রসাদ চৌধুরী, তাঁর "'নীলকর বিজ্রোহ' পুস্তকে যাই হোক, শেষ অবধি বিদেশী শানে সে সময়ে জেলার জমিদারবা চিরস্থায়ী বন্দোবন্তের পক্ষে শত-সহত্র ওকালতি করলেও, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী পর্যায়ে জমিদারী প্রথার অবসান ঘটেছে। কিন্তু থেকে গেছে সেদিনের জমিদার শাসনে গরীব খেটে খাওয়! প্রজার জীবনযন্ত্রণার এই দ'লিলটি, ধার বৃত্তান্ত আমাদের একান্তই মর্মস্পর্শী করে তোলে

৬৭. (জজ্ান্র এতিহথাপিন কৃষশ্ত সাদত্বম

জমিদারী শাসন শোষণের এক জাজ্লামান নত আগের নিবন্ধে তুলে ধরেছি ।. বেশ বোঝা যায়, গ্রামের অবহেলিত কৃষকমমাজ কিতারে দীর্ঘদিন, ধরে নিপীড়িত হয়েছে বিদেশী শাসনপুষ্ট এই জমিদাবী গ্রভুত্বে। অবশেষে দেশের স্বাধীনত। আন্দোলনের মঙ্গে সঙ্গে ফুষক সমাজের মধ্যেও দাবী উঠতে থাকে জমিদারী শোধণ বন্ধ হোক, জমিদারী প্রথ। উচ্ছেদে হোক। দিকে দিকে কষক সমাজের মধো তারই প্রস্তুতি চলতে থাকে।

সামাজাবাদ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের পটভূমিকায় জেলায় যেসব গণতান্ত্রিক আন্দোলন সুরু হয়, তার মধো উল্লেখযে।গা হল ১৯২১:২২ সালে ইউনিয়ন বোর্ড বিরোধী আন্দোলন এবং পরবর্তী ১৯৩* মালের আইন অমান্ আন্দোলন, যা সেসময়ে ব্রিটিশ শাসকদের রীতিমত আতঙ্কিত করে তুলেছিল। মেদিনীপুরের মত জেলার পুব অংশে হুগলী জেল!র আরামবাগেও জমিদার ও. মহাজন বিরোধী জাতীয়ত]বাদী আন্দোলন ১৯২১ সাল থেকে দান! বাধতে, স্থরু করে। সেই সঙ্গে জেলায় জেলায় সংগঠিত হয় কবকদের বিভিন্ন দাবী- দাওয়ার ভিত্তিতে কৃষকমতা। ফলে পরবর্তী . কার্বক্রম নিয়ে আলোচনার উদ্দেস্টে বিভিন্ন জেলায় অহষ্িত হয় এইলব কৃষকসভার সম্মেলন ১৯৩৩. সুলে ঘাটালের হরিশপুর গ্রামেও সেসময়ের স্থানীয় কৃষক আন্দোলনের উৎসাহী, কর্মীদের উদ্যোগে এক কৃষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যার বিবরণ আজ স্বৃতিপটে

সংস্কৃতি মানব সমাজ , ১৬৭

ম্লান হয়ে এসেছে। কুষক্‌ আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে যেসব গ্রন্থ রচিত হয়েছে তার মধ্যেও বিস্তারিতভাবে সশ্মেলনের তেমন কোন উপুল্পখ নেই। অথচ সন্মেলনটি ছিল প্রায় বিশ হাজার ফুষক সমাবেশে কুষকমতা৷ গঠনের জমিদারী উচ্ছেদের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণের এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। কুষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা আবছুল্লাহ রন্্ুল তার 'কুষক সভার ইতিহাস: গ্রন্থে ১৯২৫ সালের বগুড়ায় এবং ১৯২৬ লালের কষ্ণণগবে অন্ুঠিত কৃষক সম্মেলনের উত্লেখ গ্রসঙ্গে শুধুমাত্র লিখেছেন যে, “মেদিনীপুর জেলার দাসপুর অঞ্চলে (ঘাটাল মহুকুম।) এক ক্লুষক সম্মেলন হয় (পৃঃ ৫১)। সে সম্মেলনের কোন বিস্তারিত বিবরণ থেকে অবশ্ট জানা যায় না।

উল্লেখযোগা যে, সম্মেলনে যোগদানকারী ঞতিনিধি হিসাবে স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন বর্তমানের বিখাত কমিউনিষ্ট নেতা সরোজ মুখোপাধ্যায় কিন্তু তিনিও তার লেখ “ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি” আমরা? গ্রন্থে ঘাট।লের এঁতিহাসিক সম্মেলনটির সম্পর্কে কিছুই উল্লেখ করেন নি। সে সময়ের ফূষক সম্মেলন সম্পর্কে প্রসঙ্গত লিখেছেন, '..“মেদিনীপুর ময়মনসিংহ জেল তেও কৃষক সম্মেলনের প্রচেষ্টা হয়েছিল তবে সেখানে 'সাফলা অর্জন সম্ভব হয়নি। এই দুটি জেলায় আব্,ল হালিম ধাদের সাহাযা নিয়েছিলেন তারা হলেন যথাক্রমে ত্বদেশরঞজন দাস ডাঃ জোোতিষ ঘোষ এবং আলতাব আলি মনি সিংহ (পৃঃ ৭২)।'

দেখা যাচ্ছে, ১৯৩৩ সালে ঘাটালে অনুষ্টিত এই কৃষক সম্মেনটির কথ। সমসাময়িক কৃষক আন্দোলনের ছুই নেতার লিখিত ইতিহাস স্থৃতিকথায় স্থান পায়নি। বহুদিনের কথা বিস্বরণের ফলেই কি এটি অন্প্লেখিত থেকে গেছে, অথবা সম্মেলনের নেতৃত্ব ধাদের হাতে ছিল তার! ভিন্ন মতবাদে বিশ্বাসী হওয়ায় এই অনীহার কারণ কিন কে জানে?

সেজন্ত ঘাটালের এই সম্মেলনটি সম্পর্কে সেসময়ের বিভিষ্ন সংবাদপত্রে যে বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল সেগুলি উদ্ধার নাধিবন্ধ করে বাখার একাস্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ঘাটালের এই সম্মেলন উপলক্ষে লিখিত যেসব তথা পাওয়া যাক তার মধ্যে প্রথম হ'ল সম্মেলন সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদপত্রে 'প্রকীশিত বিজ্প্তি। সে বিজাপিত নিবেদনটি নিয়রাপ £ 'প্রাদেশিক কৃষক সম্মেলন আগামী ৫ই চৈন্জ রবিবার মেদিনীপুর ভিলার

১৬৮ মেদ্িবীপুর : ঘাটাল সহরে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কৃষক সম্মেলনের ৫ম বাৎসরিক অধিবেশন হুইবে। রঃ

শ্রমতুলচন্দ্র গুধ, মৌলনা! আলি আহমেদ ইসলামবাদী, ডাঃ ভূপেন্ত্রনাথ দত্ত, শ্রীযুক্ত হেমণ্ড কুমীর সরকার, মৌলবী আফতাবউদ্দীন চৌধুরী, বাংলার নমশদ্র নেত! শ্রীযুক্ত গুরুচবণ ঠাকুব প্রমুখাৎ বহু নেতা কর্মীগণ সশ্মেলনে উপস্থিত থাকিবেন।

সম্মেলনে আলোচা প্রস্তারগুলি ১৬ই তারিখের মধ্যে কষকসভার সম্পাদকের নিকট প্রেরণ করিতে হুইবে।

সকলে দলে দলে সম্মেলনে যোগ দিন এবং এই ঘোর দুর্দিনে বাংলার কৃষককে নিশ্চিত মৃত্যুর কবল হুইতে রক্ষা করিবাঁর উপায় নির্ধারণে সহায়তা করুন__ ইহাই বিনীত অন্ুরৌধ। বাংলার বিভিন্ন জেলার কুষক সমিতিগুলি হইতে প্রতিনিধি প্রেরণ করিতে অন্গরোধ করা যাইতেছে। প্রতিনিধি ফিঃ চারি আনা, দর্শক ফিঃ দুই আনা, আহার বাসস্থানের ব্যবস্থা বিনামূল্যে করা ' হইবে। সরোঙ্গকুমার মিত্র, সম্পাদক ফ্ুবক সভা, স্বদেশরপন দাস, অভ্র্থন| সমিতি) ঘাটাল' [বঙ্গবাপী ১৫.৩.৩৩]। |

সংবাদপঞ্জে গ্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জান যায়, কূয়কদের স্বার্থ রক্ষার্থে _ঘেসময় বিভিন্ন জেলায় যেসব নেতা! কর্মীর। অগ্রণী ছুয়েছিলেন তাদের পরিচয় তাছাড়া লময়ে প্রতিষ্ঠিত “বঙ্গীয় প্রাদেশিক কৃষকসভাঃ নামের একটি নংগঠনের পক্ষে যে তার পঞ্চম বাৎসরিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সেটিও এই প্রসঙ্গে অবগত হওয়। যায়।

এছাড়া সম্মেলন উপলক্ষে ১৯৩৩ সালের বিভিন্ন সংবাদপজে যেসব বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে তার সংক্ষিগ্রসার হ'ল, ১৮ই ১৭শে মার্চ, ১৯৩৩ তারিখে নিথিলবঙ্গ কুষক সম্মিলনীর অধিবেশন হয়েছিল বর্তয়ান ঘ্াাটাল শহরের পুবে প্রায় পাচ কিলোমিটার দুরতে রূপনারায়ণ তীরবর্তী হুরিশপূর গ্রামে স্্মেলনের সাধারণ প্রকাশা অধিবেশনে প্রায় রিশহাজার ফুষকের যোগদান থেকেই বোঝ) যায় আঞ্চলিক কর্মী উদ্মোক্তার। এই সম্মেলনকে সফল করে তোলার জন্ত অত্যন্ত সচেষ্ট ছিলেন। সংবাদপত্রে সম্পর্কে থে প্রতিবোনটি প্রকাশিত হয় তা থেকেই সে সময়ের কুধক আন্দোলনের গতি-গ্রক্কতি বিষয়ে যোটা মুচি একটা। ধারণ! কর! যায়। প্রতিবেদনটি ছবছ নিয়রূপ : ্‌

দংস্কতি মানব সমাজ ১৬৯

“...সশ্মেলনে বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধি, কৃধককমী ফুষক উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দিনে পরদিন সক[লবেলায় বহুক্ষণ ধরিয়! বিষয় নির্বাচন সম্মিতিতে সম্মেলনের প্রস্তাবসমূহ ভালভাবে আলোচিত হইয়াছিল। পরদিন বেল তিনটার সময় সাধারণ অধিবেশন আরম্ত হয়। অভার্থনা সমিতির সভাপতি স্বদেশবঞ্জন দাস প্রায় বিশ হাজার চাষীর বিপুল সভায় তাহার অভিভাঘন পাঠ করেন। তিনি দীর্ঘ অভিভাষণে মোটামুটি বলেন-_“বাঙ্গল!র চাষীর আজ নানাদিক দিয়! দুর্দিন আসিয়াছে অর্থ নৈতিক, সামাজিক অবনতির হাত হইতে রক্ষা পাইতে হইলে চাষীদের কৃমি ব্যবসায় বৈজ্ঞানিক উপায়সমূহ প্রয়োগ করিয়া, প্রাচীন প্রথায় কৃষিকার্য বন্ধ করিয়া, কৃষক সম্প্রদায়ের ক্ষতিজনক জমি- দারী প্রথার উচ্ছেদ করিয়। চাষীদের নাধা অধিকার আদায় কৰিতে হইবে। রোগ, শোক, জরা মৃত্যুর কবল হইতে মুক্তিলীভেব জন্য সমবায় প্রণালীতে ক্ুষিকার্য চ।লাইবার আধিক স্বচ্ছলত। আনিবার ব্যবস! চাবিদিগকে স্বয়ং করিতে হইবে এই সকল বিষয় আলোচনা করিয়। চাষীদের প্রক্কুত পথ দেখাইবার জন্য বঙ্গের বিভিন্ন জেলার কৃষকদের একতাবন্ধ হইয়! কার্য করিবার জন্য সকলকে আহ্বান করিতেছি সকলে আমাদের উদ্দেশ্কে সফল করিয়! তুলুন।'?

পরে অতার্থনা সমিতি কতৃক নির্বাচিত সভাপতি শ্রঅতুলচন্দ্র গুপ্ত মহাশয় অন্রপস্থিত থাকায় স্থানীয় ফুষক শ্রীভুজঙ্গভৃষণ বাগ সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। তারপর কয়েকজন কৃষক কতকগুলি প্রস্ত(ব উত্থাপন সমর্থন করিলে সেগুলি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। কতকগুলি প্রস্তাবের মর্ম নিম্নে দেওয়া হুইল :₹(১) শন্যমূলা হ্রাসের অনুপাতে খাজনা শতকরা ৬ৎ ভাগ কমাইতে হুইবে। (২) আর্থিক হূর্গতির জন্য আমল স্থদের টাক! মহাজনদের হ্রাস করিয়া দিতে হইবে। (৩) সুদ প্রথা তুলিয়া দেওয়া উচিত, অন্তত হার কমাইয়। শতকর! টাকা করিতে হইবে (৪) পূর্বে চৌকিদারদের যেমন জমিবিলি ব্যবস্থা ছিল সেই ব্যবস্থার পুরঃপ্রণয়ন করিয়া চৌকিদীরী ট্যাক্স উঠাইয়। দিতে হইবে . (৫) জমিদার নায়েবদের বেআইনী আদায় (রী মাথট ইত্যাদি) বন্ধ করিবার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা৷ যাইতেছে (৬) যে জমিতে উৎপাদন নাই তাহার খাজন! মকুব করিতে হইবে। (৭) বাকী খ/জনার নালিশ বদ্ধ করিতে হইবে (৮) জমিদারী চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত (পার্মানেট লেটেলমেন্ট) উঠাইয়! দিবার জম সরকারকে ক্রোধ করা যাইতেছে

১৭৩ মেদিনীপুর £ এই প্রস্তাবগুলি উত্থাপন সমর্থন করিতে উঠিয়া হীরালাল পাত্র আরো অনেক চাষী বক্ত.তা করেন।

সমস্ত গ্রস্তাবগুলিকে সমর্থন করিতে উঠিয়া হ্মস্তকুমার সরকার চাষীিগকে ফষক সমিতির ভিতর দিয়া কিরূপ লড়িতে হুইবে সরলতাবে বুঝাইয়! দেন। পরে বর্ধমান জেল! কুষক সমিতির প্রতিনিধি রমেন্নুন্দর চৌধুরী চাষীদের সংগ্রামে তাহাদের একমাত্র সাহাযাকারী সংগ্রামশীল মজুরশ্রেণীর সহিত যোগা- যোগ স্থাপন করিবার স্বাধীনতাযুদ্ধে মজুর চাষীর মিলন স্থাপন করিবার উদ্দেশ্টে একটি প্রস্তাব আনেন। সরবোজ মুখাজি প্রস্তাব সমর্থন করেন। পরে হীরালাল দে মীরাট মামলায় ভারতের চাধীমভুরদের পূর্ণ প্রকৃত স্বাধীনতাকামী নেতাদের কার[দণ্ধের তীব্র প্রতিবাদ তাহাদের অবিলম্বে বিনাসর্তে মুক্তির দাবী করিয়া এই প্রস্তাব উখাপিত করেন। এই প্রস্তাব সমর্থন করিতে উঠিয়। শ্রমিক নেতা অবনী চৌধুরী একটি মর্মস্পর্শী বক্তৃতা দেন চাষীদের প্রকৃত স্বাধীণতার জন্য নিজেদের সকলপ্রকার স্বার্থরক্ষ৷ করিবার জন্য বর্তমান প্রতিষ্ঠান হইতে পৃথকভাবে কুষক সমিতির ভিতর দিয়] লড়িতে বলেন।

তারপর ব্বদেশরঞ্চন দম একটি প্রস্তাব করেন, তাহাতে তিনি বলেন, বঙ্গদেশে কৃষকদের মধ্যে কার্ধ করিবার স্বিধার জন্য বিভিন্ন জেল ফুষক সমিতির সমবায়ে চাষীদের অর্থনৈতিক, সামাজিক রাজনৈতিক সকলপ্রকার উন্নতির জন্য কুষকদের শ্রেণী্বার্থ রক্ষা। করিবার উদ্দেশ্টে একটি বঙ্গীয় কুষকসভা গঠন করা হউক। এই সভাটি ইপ্সিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন আইন অশ্যায়ী রেজেহী করা হউক। পরে তিনি এই প্রস্তাবের অঙ্গ হিসাবে এই নবগঠিত কুষকসভার কি

কি নিয়ম উদ্দেশ্য হইবে তাহাও পাঠ করেন। সরোজ মুখাজি এই প্রস্ত(ব সমর্থন করেন।

হেমস্তকুমার সরকার সমর্থন কন্সিতে উঠিয়া সভার উদ্দেশ্য নিয়মাবলী বেশ ভাল করিয়৷ বুঝাইয়। দেন। এই প্রস্তাবটি সকলে সমর্থন করেন ইহা গৃহীত হয়। সরোজকুমার মিত্র, হেমন্তকুমার সরকার প্রমুখ ধাহারা বঙ্গদেশে রুষক আন্দোলন চালাইবার জন্য কলিকাতায় একটি অস্থায়ী বঙ্গীয় কুষকসতা। করিয়াছিলেন, তাহারা সমস্ত জেল! রুষক সমিতিদের লইয়া এই প্রস্তাব অন্তযায়ী কার্ধ করিতে ইস্ছুক হন ইহাতে পরিচালক হিসাবে যৌগ দেন। এই

সংস্কৃতি মানব সমাজ ১৭১

্রস্তাবেই এই বৎসরের জন্য সভার কা্যনির্বাহক সমিতি গঠিত হয় রেজেট্টারী করার ভার হেমন্ত সরকারকে দেওয়া! হয়।* [বঙ্গবাণী, ২৩.৩.১৯৩৩]

সংবাদপত্রে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, সম্মেলনটি সফল করার পূর্বোক্ত আবেদনে আহ্বায়ক হিসাবে উল্লিখিত বঙ্গীয় প্রাদেশিক কৃষক সম্মেলনের নাম পরিবন্তিত হয়েছে 'নিখিলবঙ্গ কৃষক সম্মিলনী” এই নামে। - নাম পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে কিছুই জানা! যায় ন। অন্যদিকে সম্মেলনে যেসব প্রস্তাব গ্রহণ করা হ"য়েছিল তা যে একান্তই সময়োপযোগী ছিল সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। ক্লুষকসমাজের বিভিন্ন দাবীর ভিত্তিতে বৃহত্তর এক আন্দোলনে শামিল হওয়ার যে আহবান জানানে। হয়েছিল তা শুধুমাত্র কষকের স্বার্থ সংরক্ষণের অন্ুকুলেই ছিল না, অন্যদিকে সেটি ছিল শোষক মহাজন, নায়েব জমিদ|রদের পৃষ্ঠপোষক ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণ আন্দোলনের পক্ষে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। এছাড়। সমসাময়িক কক আন্দোলন সংগঠিত করার কাজে ধার! যুক্ত হিলেন, তাদের মধো ডঃ ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন অন্ততম। যদিও তিনি আলোচ্য সম্মেলনে পুর্ব ঘোষণা সত্বেও যোগদ'ন করতে পারেনি, তাহলেও পরবর্তী সময়ে জেলায় জেলায় যেমব কুষক সম্মেলন হয়েছিল তার উদ্যোক্ত1! হিসাবে অধিক।ংশ সম্মেলনেই তিনি যোগদান করেছেন। বলতে গেলে, সে ময় কলষক সংগঠন গড়ার কাজে এবং যুবক ছাত্র সমাজের মধ্ো সমাজতাবিক ভাবধার! প্রচারে তিনি ছিলেন একান্তই প্রেরণান্বরূপ। প্রসঙ্গত অভ্যর্থন। সমিতির নির্ধাচিত সভাপতি বিশিষ্ট আইনজীবী অতুলচন্ত্র গুপ্তেরও সম্মেলনে যোগদানের কথা৷ ঘোষিত হলেও তিনি অনুপস্থিত থাকেন বটে, তবে তিনি হেমগ্তকুমার সরকার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ যে কষক আন্দেলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন সে সম্পর্কে সরোজ মুখোপাধ্যায় রচিত পুর্বোক্ত ম্থৃতিকথা থেকে জান] যাঁয় যে, ১৯৩* সালে প্রতিষিত ফকষক-শ্রমিক দলে ছিলেন ডঃ ভূপেন দত্ত, কাজী নজক্ুল ইসলাম, হেমস্তকুমার সরকার প্রমুখ ১৯৩২ সালে অবশ্ত এই কৃুষক-শ্রামক দল উঠে যায় এবং পরিবর্তে যে ওয়।কার্স পার্টি অফ ইন্ডিয়া গঠিত হয় সেই পার্টির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন কুতুবুউদ্দীন আহমদ, আইন- জীবী অতুল ৫, সাহিত্যিক ডঃ নরেশ সেনগুপ্ত হেমন্ত সরকার প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ

ঘাটাল সম্মেলনের স্থানীয় উদ্চেক্তা হিসাবে শ্বদেশরঞন দাসের নাম উল্লিখিত হয়েছে। তিনি ছিলেন তদানীস্তন ঘাটাল মহকুম। কংগ্রেসের

১৭২ মেদিনগপুর £ সতাপতি মোহিনীমোহন দাসের (উকিল) পুত্র এবং গুথমদিকে সঙ্জামবাদী আন্দেলনের সঙ্গে জড়িত থাকলেও পরে তিনি কৃষক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন সেইসঙ্গে ভারতের কমিউনিষ্ট পাটির সভ্যপন্ন অর্জন করেন অবশ্য তিনি শেষর্দিকে বিপ্লবী মানবেন্দ্রনাথ বায়পন্থীদের দলে যোগদান কৰবেন এবং

মানবেজ্দ্রনাথ রায়ের জীবন দর্শন নিয়ে বাংলায় একটি গ্রামান্ত গ্রন্থ রচনা করে খাত হন

এছাঁড়া সম্মেলন সম্পর্কে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আর যে দু'জন আঞ্চলিক কষককর্মীর নাম পাওয়া যায় তাদের মধ্যে ভুজঙভূষণ বাগ সম্পর্কে কিছু জান না গেলেও স্থানীয় কলষককর্মী হীরালাল পাত্র সম্পর্কে অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনি ছিলেন কাছকাছি বন্দর গ্রামের অধিবাসী এবং রায়পস্থীদের দলভুক্ত এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ১৯৩০-৩৩ সালে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বায়পন্থী সংগঠনের যে অস্তিত ছিল, সে বিষয়ে আবছুল্লাহ রস্তল পূর্বে উপ্রিখিত গ্রন্থে লিখেছেন যে, “এই সমস্ত প্রগতিশীল বামপন্থী পাটি” ব্যক্তি ছাড়া সে সময় ছিল আর এক পার্টি ঘ৷ সাধারণত বায়বাদী পার্টি-_-এন. এম, রায়ের অঙ্কগামী পাটি ব'লে পরিচিত ছিল? (পৃষ্ঠা ৫৪)

সম্মেলন অন্যান্য যোগদানকারীদের মধ্যে রমেজস্থম্দর চৌধুরী, সরোজ মুখোপাধায় অবনী চৌধুরীর তদানীন্তন রাজনৈতিক সক্রিয়তা সম্পর্কে পূর্বোক্ত “ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি আমরা” গ্রন্থে বিস্তারিতভাবে উষ্ভিখিত হয়েছে। বর্ধমান জেল! কৃষক সমিতির প্রতিনিধি রমেন্রহুন্দর চৌধুরী ছিলেন ১৯৩১ সালে গঠিত বর্ধমান জেল কৃষক সমিতির সম্পাদক এবং ব্যক্তিগতভাবে সে সময়ের বর্ধমানের বিখ্যাত কৃষক নেত! বিনয় চৌধুরীর (বর্তমানে বাযস্রণ্ মন্ত্রীঘভার সুযোগ্য মন্ত্রী) মধাম ভ্রাতা বিখ্যাত কমিউনিষ্ট নেতা বর্তমানে তারতের কমিউনিষ্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সম্পাদক সরোজ মুখোপাপাধ্যায় সে সময়ে ছিলেন বিচ্যাসাগর কলেজের ছাত্র এবং প্রথমদ্দিকে তিনি বর্ধমানে ফুষক সমিতির সংগঠন কবর কাজে যুক্ত থাকলেও পরে রেলশ্রমিক ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। মীরাট ষড়যস্থ মামলায় বন্দীমুক্তি প্রস্তাবের সমর্থক অবনী চৌধুরী ছিলেন লে সময়ে কমিউনিষ্ট পারি প্রথম দিকের সভ্য, ট্রেড ইউনিয়ন তথ মোটর ট্রান্পোট ওয়াকার্স ইউনিয়নের সংগঠক ১৯৩২ সালে প্রকাশিত 'মার্কসবাদী” পত্রিকার সম্পাদক এবং ব্যক্তিগতভাবে তিনি ছিলেন বিনয় চৌধুরীর পিসতৃতো ভাই

লংস্কৃতি মানব সমাজ ১৭৩

আক্ষেপের কথা, সংবাদপজে প্রকশিত এই রিপোট থেকে আমর! শেষ অবধি জানতে পারলাম না, সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নবগঠিত বঙ্গীয় কষকমভার কার্যনির্বাহক সদশ্তদের নাম। লক্ষ্য করার বিষয়, আলোচা সম্মেলনটি সফল করে তোলার বিষয়ে শ্থানীয়ভ।বে স্বদেশরঞ্জন দাস অগ্রণী হলেও সে সময়ে ঘাটালের আর এক বিশিষ্ট জননেতা ছাঃ জ্যোতিষ ঘোষের নাম সম্মেলনের বিপোর্টে উল্লিখিত হয়নি যদিও পুবেণক্ত “ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি আমরা? গ্রন্থে লেখক মেদদিনীপুরে কষঝ সম্মেলনের উদ্যোক্ত। হিসাবে স্বদেশবাবুর সঙ্গে জ্যোতিষবাবুর নামও উল্লেখ করেছিলেন। বিষয়ে বলা যেতে পারে, জোতিষবাবু সে লময়ে ছিলেন ঘাটাল মহকুম| কংগ্রেসের সম্পাদক এবং তিরিশ সালে দাসপুর থানার রূপনারায়ণ তীরবর্তী শ্টামগঞ্জে লবণ আইন অমান্য আন্দোলনে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে কারাবরণ করেছিলেন সেজন্া সময় তিনি এই সম্মেলনের সঙ্গে জড্ডিত ছিলেন না বটে তবে পরবর্তা সময়ে তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করে ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টিতে যৌগ দেন এবং পার্টির প্রার্থী হিসাবে এম, এল, এও নিবণচিত হন। যাই হোক, কষকস্ভ। ংগঠনের ইতিহাসে মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের হরিশপুর গ্রামে অন্ুঠিত ১৯৩৩ সালের এই কৃষক সম্মেলন যে পরবতাঁ আন্দৌলনের পদক্ষেপ রচনার সহায়ক হিসাবে নামাক্কিত হয়ে থাকবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই।

৫১২৫১১২৫১২৭

€৮. দুর্মের সংগাল

জেলার গ্রাম-গ্রামান্তবে ঘুরতে ঘুরতে এখানে ওখানে বেশ কিছু পাথব- খোদাই মৃত্তি পড়ে থাকতে দেখা ঘায়। এসব মূত্তির মধ্য কালে! করিপাথর সবুর্জ আভাযুক্ত মুগনী পাথরের তৈরি প্রতিক্কৃতি যেমন দেখা বায়, তেমনি আবার বাদামী রঙের ঝামাপাথরের মুততিও রয়েছে তবে শেষোক্ত ধরনের মৃত্তিটিকে লবরঙ্গম্ন্দর করে তোলার জন্য পথ্থ-পলন্তারার প্রলেপ দিয়ে যে রূপবৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোল! হ'ত, তেমন প্রমাণ বিদ্যমান কিন্তু সে যাই হোক্‌, এসব মুক্তির মধ্যে এমন বেশ কিছু মৃত্তি স্থান গয়েছে গাছতলায়, কোথাও

১৭৪ : মেদিনীপুর £ বা কাছাকাছি কেন মন্দির-দেবালয়ে তবে সেসব মৃত্তি যেখানেই প্রতিষ্ঠিত হোক না কেন, তখন সে দেবতার আমল পরিচয় হারিয়ে যায় সেখানকার মান্ষ- জনের কাছে; পরিবর্তে তাদের পছন্দ অস্থায়ী সে দেবতার নতুন করে নাম- করণে বিড়ৃষিত করা হয়। তাই কোন জৈন দিগন্রমূন্তি গ্রামবাসীর কাছে হয়ে যায় যষ্টিমৃর্তি, আবার কোথাও কোন বিষ্মুত্তি পরিণত হয় পঞ্চানন্দ দেবতায়।

জেলায় পাথরের এহেন যেসব মৃততি আপাততঃ নজরে পড়েছে, সেগুলি অধিকাংশই মনে হয় পাল-সেন আমলের। মৃত্তির গড়ন ভান্বর্শৈলী দেখে অনুমান, এসব মূৃত্তি মূল বিগ্রহ হিসাবে স্ব স্ব উপাসকদের নির্সিত কোন পাকা- পোক্ত মন্দিরে একদা পূজিত হ'ত। পরে নানা কারণে মন্দির ধ্বংস হয়েছে, কিন্তু মৃত্তিগুলি কোনরকমে ধ্বংসন্ডুপের ভেতর থেকে গেছে। পাথরের মৃত্তি বলে তাই আজ জঙ্গল পরিষ্কার করার বা মাটি খোঁড়ার সময় মেগুলিকে পাওয়! বাচ্ছে। এইভাবে নানাস্থান থেকে যেসব মৃত্ঠি পাওয়া গেছে তা থেকে মেদিনীপুর জেলায় বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসকদের আধাত্মিক চিস্তার চিত্রটি মোটামুটি পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে

তবে এসব মৃত্তি-ভাস্কর্ষের মধো জেলায় সৌর-সম্প্রদায়ের উপাসিত েসব নপ্চাশ্ববাহিত হৃর্যমৃত্তি পাওয়া]! গেছে তা৷ বেশ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এবং বিষয়ে নতুন করে আলোচনার অপেক্ষা রাখে তবিষ্ততে মৃত্তিবিদ্যা গবেষকরা জেলার আদিত্য উপাসনার এঁতিহা সম্পর্কে সহজেই যাতে অবহিত হতে পারেন সেই উদ্দেস্তে সেলব সুর্ধমূর্তির বর্তমান অবস্থানগত গ্রামের একট। তালিকা দেওয়া গেল) যথা, আমনপুর, গঙ্গাদাসপুর, বেহারাসাই, জিদ্ধা, অনস্তপুর প্রভৃতি

হুর্ধ যে রোগবিনাশক দেবতা এমন লৌকিক বিশ্বাম ছাড়াও বুর্যমৃত্তিতে উৎ্কীর্ণ লিপিতে যে ধারণার সমর্থন পাওয়া যায় তার প্রমাণ, পশ্চিম- দিনাজপুর জেলার বৈরহাট1 গ্রামের এক স্র্যমৃত্তির পাদপীঠে নিবন্ধ লিপি, যাতে খোদিত হয়েছে “সমস্ত রোগানাং হর্তা”। অধিকাংশ হুর্যমূত্তিই দেখা যায় “ব1-রিলিফ' অর্থাৎ নতোল্নত পদ্ধতিতে খোদাই এবং সে দেব দণ্ডায়মান অবস্থায় ছু'হাতে ধরে আছেন ডা টানহ প্রস্ফুটিত পল্মফ্কল। মূল মূৃত্তির ুপাশে রয়েছে দৃন্তী পিঙ্গল নামে দুই অন্ুচর অথবা কোথাও আবার একই সঙ্গে রয়েছে অন্ধকার বিনাশকারী ধনুর্ধারী ছুই দেবী উহা প্রত্যুষের মৃতি।

মংস্কৃতি মানব সমাজ | ১৭৫

মৃত্তির পদতলে সাত ঘোড়ার রথ চালনারত অকণ, কখনও বা তিনি উপবিষ্ট আবার কখনও দপ্তায়মান অবস্থায়

সাধারণতঃ ্র্যের এই প্রথাগত দগ্চায়মান বীতির বিগ্রহ ছাড়া উপবিষ্ট আর এক ধরনের ৃর্যমৃত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে জেলার মাটিতে, যা পশ্চিম- বাংলায় দুর্লভ বললেও অততুক্তি হয় নাঁ। এর আগে এই আফুতির হূর্যমৃ্তি যে পশ্চিম দিনাজপুর জেলার বৈরহাটা (থানাঃ কুশমচি) এবং পশ্চিমবাংলার সীমান্ত সংলগ্ন মযুরভঞণ্ডে পাওয়া গেছে, সে সম্পর্কে বিশিঃ মৃক্তিততববিদ জিতেন্্র- নাথ বন্দ্যোপাধায় তার লেখ “দি ডেভেল্যাপমেন্ট অফ হিন্দু আইকোনোগ্রাফিঃ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। অতএব যাবৎকাল আমরা উপবিষ্ট রীতির এঁ দুই সূর্যমূত্তির কথাই জানি। তবে ওড়িশা সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিমবাংলার দাতন থানার রাণীপুর গ্রামের এক গগ্রামা দেবদেবীর থানে বহুবিধ ভগ্মমৃক্তির সমাবেশে এই বীতির এক উপবিষ্ট কূর্যমূন্তির সন্ধান পাওয়। যাঁয়। বলা যেতে পাবে, উন্তরবঙ্গের পর দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলায় প্রথম এই বিরল শ্ুর্য- মুক্তির সন্ধান পাওয়া গেল। এখন যে এলাকায় এই অমূলা মৃত্তিটি পায়! গেল সেটি যে এককালের 'দণ্ততৃক্তি তেমন অঙ্মান কিছুমাত্র অসঙ্গত নয়। কারণ প্রাচীন দাতনকে কেন্দ্র করে সংলগ্র মমুরভঞ্জসহ এক বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়েই একদা গঠিত হয়েছিল প্রাচীনকালের সেই গ্রভুক্তি। সেজন্যই বুঝতে অন্থবিধা হয় না যে, প্রাচীন এই বিভাগের মধোই আমর! ময়ুরভঞঙ এল|কায় যে রীতির স্ুর্ধোপাসনার মৃত্তি দেখি, তারই হুবহু আকৃতি দেখা যায় দক্ষিণ- পশ্চিমবাংলার এই সীমান্ত অঞ্চলে অন্যদিকে" মযুরভগ্ তথা জেলার এই দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে যে এক মময়ে আদিতা উপাসনা প্রধান্থলাভ করেছিল, তা৷ এইসব এলাকায় প্রাপ্ত সূ্যমূত্তিগুলির অস্তিত্বই তার প্রমাঁণ।

আলোচ্য বাণীপুর গ্রামের সুরধমূন্তিটি প্রন্ফুটিত সনাল পদ্ম হাতে পদ্মানে উপবিষ্ট বটে, তবে মযুব্রতপ্জের খিচিং-এর উপবিষ্ট হুর্যমৃত্তিটির মত পাদপীঠে উৎকীর্ণ সপ্ঠাশ্ব বা সারথি অরুণের কোন ভাব্বর্য মৃত্তির পাঁদগীঠে লক্ষ্য কব! যায় না। এখানকার মুক্তিটির মাথায় কিরিট মূকুট, কানে কু গুল, গলায় কঠাতরণ, বেশভূষায় উদীচ্যবেশ মুখম গুলে প্রশাস্তি। সর্বোপরি মু্িটির আর এক বৈশিষ্ট্য হল, পিছনের গ্রভাম গলে উৎকীর্ণ হয়েছে প্রজ্জলিত এক অগ্নিশিখা। সেদিক থেকে মেদিনীপুরের এই উপথিষ সুবমূত্তিটির বেশ গুরুত্ব

১৭৬ মেদিনীপুর £

রয়েছে। ভাক্কর্ধশৈলী দেখে অগ্কমান করা যায়, এটি গ্রীষ্টায় দশ-এগাবো। শতকে নিগ্সিত হয়ে থাকবে

জেলায় এই গুরুত্বপূর্ণ উপবিষ্ট স্র্ষমৃত্তির আবিষ্কীর যেমন মৃত্তি-ভাস্কর্ষের ক্ষেজ্রে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন, তেমনি ত্বার পুত্র রেবন্তের যোগদানও বেশ চমকপ্রদ ন্ুর্ধের চার পুত্রের মধো বেবস্ত অন্যতম এবং এই বেবস্তের মৃত্তি- ভাক্র্ধ বাংলায় বেশ বিরল বল! চলে। ১৯৩৬ সালে অবিভক্ত বাংলার দিনাজপুর জেলায় পরিভ্রমণকালে অধ্যাপক সরসীকুমার সরস্বতী ইটাহারের কাছে সোনাপুর গ্রামে দশম শতকের এমন এক বেবস্তমৃন্তির সন্ধান পেয়েছিলেন বলে রয়েল এশিয়াটিক সোসাইটির পত্রিকায় উল্লেখ করেছিলেন। সেখানে সে মৃক্তিটির বর্ণনায় দেখ যায়, এক সজ্জিত অশ্বপৃষ্ঠে আসীন রেবস্ত যার পিছনে আর এক ছত্রধারীর. মৃন্তি এবং তার সঙ্গে নানাবিধ অস্কে সজ্জিত চার অঙ্চবের প্রতিকৃতি পুব বাংলায় (বর্তম।নে বাংলদেশ) ঢাকা মিউজিয়মে যে একটিমাত্র রেবস্ত মূত্তি সংগৃহীত হয়েছে সেটিও পূর্বোক্ত মৃন্তিটির অন্রূপ অশ্বাবোহী আকৃতি |

সম্প্রতি এই জেলার নানাস্থানে অঙ্সন্ধানকালে পাওয়া গেল এমন ছুটি পৃথক বৈশিষ্টাযুক্ত বেরপ্তমৃত্তি, যাঁর যথার্থ বর্ণনা পাওয়া যায় ভিন্ন ভিন্ন পুরাণ গ্রন্থে। প্রথম ধরণের মৃত্তিটির সন্ধান পাওয়া যায়, জেলার দাতন থানার কাকড়াজিৎ গ্রামে সেখানে প্রাচীন এক দিঘির দক্ষিণপুব কোণের এক গাছতলায় রাখ! নানাবিধ ভগ্রমৃত্তির মধো যে ছুলভ রেবস্ত মুক্তিটির সন্ধান পাই, তা প্রথম দর্শনে আমাকে বিন্ময়বিষ্ট করে তোলে। এই ধরনের গুরুত্ব- পূর্ণ মূর্তি পশ্চিমবাংলার আর কোথাও পাওয়া গেছে বলে জানা যায় না। তারতের অন্যান্য স্থানে প্রাপ্ত বেস্তমৃত্তির যে আলোকচিত্র বিভিন্ন মূন্তিতত- বিষয়ক গ্রন্থে দেখেছি সেগুলির সক্ষেও এর মিল খুঁজে পাওয়া যায় না।

সেজন্য প্রথম দর্শনে এই অভিনব মৃত্তিটিকে সুর্যের মৃত্তি বলেই সনাক্ত করেছিলাম কারণ হৃর্যমূত্তির ভাস্কর্য অলংকরণে আরোপিত যাবতীয় লক্ষণ মৃর্তিতে পরিস্ফুট, কেবলমাত্র তফাৎ এই যে, বিগ্রহটি অশ্বপৃষ্ঠে আসীন। সঙ্গে সঙ্গে সন্দেহ জাগে, তবে কি এটি বেবাস্তের মৃত্তি? অবশেষে আমার অন্ঠসন্ধিতনর প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেল, বিখ্যাত পুরাণগ্রস্থ “বিষুধর্সোত্তরম'-এ| বেবপ্তমুর্তির সম্পর্কে সে গ্রন্থে বলা হয়েছে প্রভু রেবস্তের মৃত্তি হবে সুর্যের মতই এবং তা হবে ঘোটকপৃষ্ঠে আমীন। অন্ধত্র কালিকাপুর।থেও বল! হয়েছে,

সংক্কতি মানব সমাজ ১৭৭

কুর্ঘপূজায় যেমত অনুষ্ঠান হয় সেভাবেই হবে রেবস্তের অর্চনা, যা হবে ঘটে অথবা মৃতিতে। শাস্বগ্রন্থের এসব ভাত অনুযায়ী অবশেষে আমার ভ্রম নিরসন হয় এবং এটিকে তখন স্র্যপুত্র রেবস্তের মৃত্তি বলেই সনাক্ত করতে পারি।

এবার মৃন্তিটির বর্ণনায় আমা৷ যাক। মৃত্তিটি কালো পাথরে 'বা-বিলিফ' অর্থাৎ নতোন্নত পদ্ধতিতে খোদাই। ত্রিরথ পাদপীঠের উপর অশ্বপৃষ্ঠে আসীন রেবস্ত, স্্যের মতই ছৃ"হাতে প্রক্ষটিত সনাল পদ্ন। যদ্দিও অশ্বের সম্মখ- ভাঁগ বিধ্বস্ত, তাহলেও অবশিষ্ট অংশের ভাস্বর্-খোঁদাই দেখে ঘোড়াটির অবয়ব সম্পর্কে বোধগম্য হতে অন্থ্বিধা হয় না। কুর্ষের মতই মৃত্তির পাশে ছুই বামনাকৃতি অন্চর, সম্ভবতঃ দৃণ্দী পিঙ্গল। যৃত্তির পৃষ্ঠপটের উপরিভাগে ধার ঘেসে কীতিমুখ ভাস্কর্ষের দু'পাশে উৎকীর্ণ হয়েছে শূন্যে সঞ্চবণশীল বিষ্ভাধর কিন্র মালা হাতে গন্ধর্ধের মৃত্তি। মূল মু্তির মাথার উপর ত্রিপত্রাক্কৃতি চৈত্য গবাক্ষের আক্কৃতিযুক্ত খিলানের অলংকরণ, যা ওড়িশা মুক্তির পটবিন্তাসের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। পাদপীঠের দুধারে উৎকীর্ণ ছুটি মুক্তির মধ্যে এক- জনের হাতে তরবারি এবং অন্যজনের হাতে ঢাল। বাংলাদেশের রাজশাহী মিউজিয়মে সংরক্ষিত এমন একটি বেবস্ত মৃত্তির পাদপীঠে অন্যান্য মৃত্তির সঙ্গে যে ঢাল-তলোয়ারধারীর মৃত্তিও উৎকীর্ণ সে সম্পর্কে জিতেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পুঝোক্ত গ্রন্থটিতেও উল্লেখ করেছেন মোট কথ], আলোচ্য রেবস্ত মু্তিটির অশ্বপৃষ্ঠে আসীন ছাড়া, সবটাই কু্যমৃন্তির আদলে নিম্িত। মৃততির মাথায় কিরীট মুকুট, দুই কানে ছুটি ভাঁত্বি কর্ণাভরণ এবং কটিদেশ অপেক্ষা- কৃত ক্ষীণ। তবে মুখম গুলটি ক্ষয়িত হওয়ায় সেটির কমনীয়তা সম্পর্কে কোন ধারণা কর! যায় না। বেশ বোঝা যায়, মৃত্তিটি এখানে কোন এক ঝামা- পাথরের শিখররীতির মন্দিরে মূল বিগ্রহ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যার নিদর্শন মৃত্তির আশেপাশে ইতস্ততঃ ছড়িয়ে রয়েছে ভগ্ন আমলকশিলা শিখর মন্দিরের অঙ্গভূষণে ব্যবহৃত লক্ষমান সিংহের মু্তি। মৃত্তিটির ভাক্কর্ঘশৈলী দেখে অস্থমা'ন, এটি শ্রীষ্টীয় দশ-এগারো! শতকে নিগ্সিত হয়ে থাকবে তাই বল! যেতে পারে, এই ধরনের বিচিত্র মৃত্তিটি বাঁংল! ভাস্বর্য জগতে বিরল বললেও অতত্যুক্তি হয় না

রেবস্তের এই রীতির মৃত্তি ছাড়া, অশ্পৃষ্ঠে আসীন দ্বিতীয় আর এক বিশিষ্ট মৃত্তির দর্শন পাওয়। গেল জেলার নয়াগ্রাম থানার এলাকাধীন দৌলগ্রামে। সেখানকার স্থানীয় দৌলগ্রাম বালকেস্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের চত্বরে বর্তমানে

১৭৮ মেদিনীপুর £

আলোচ্য মু্তিটি রাখা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে জানা য।য়, পাথরের অশ্বারোহী মৃত্তিটি কাছাকাছি মাঠ থেকে খোড়াখুড়ির কলে আবিষ্কৃত হয়। শুধু মৃ্তিটি নয়, অনুরূপ আর একট ঘোটকপূণ্ঠ আমীন মৃতিও লঙ্গে পাওয়া যায়, তবে সে মৃতির মন্তকট এবং তত্মহ অশ্থের মুখাবয়বটি মূল মৃত্তি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শিখোজ। মুতিটির এই ভাঙ্গাচোরা অবস্থার জন্য বিদ্যালয় করৃপক্ষের অনাগ্রহের কারণে নয়াগ্রামের বীণাপাণি গ্রঞ্থগ বের কমীবা অবশেষে তাদের গ্র্থগারে এট সংরক্ষণের জন্য নিয়ে যন পরে অবশ্য স্থাণ"য় বিদ্যালয় কতৃপক্ষ বিুক্ত মুণ্চটির সন্ধান পেয়ে সেটিকে সংগ্রহ করেন। কিন্তু দুঃখের কথা, বর্তমানে বিদ্যালয় নির্মাণে ব্যবহৃত জমানো পিমেন্ট গুঁড়ো করার সাধিত্র হিসাবে সেটি ব্যবহৃত হুচ্ছে।

দোলগ্রামের বিদ্যালয়টি যে স্থানটিতে অবস্থিত সেখানেও বেশ কিছু প্রাচীনত্বের নিদর্শন বর্তমান। বিষ্তালয় এলাকার গেট? চত্বক্টির চতুদিকে এক সময়ে খামাপাথরের চওড়া দেওয়াল দিয়ে যে ঘেরা! ছিল তার অবশেষ এখনও লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে উন্তর দিকের সে প্রশস্ত পাথরের দেওয়াল আজও বর্তমান। পূর্বতন সে প্রাচীন দেওয়ালে ব্যবহৃত পাথরগুলি খুলে এনে নতুন করে বিদ্যালয়ের গৃহনির্মাণের কাজে লাগানো হয়েছে সেইসঙ্ষে বেশ কিছু পাথরের খণ্চাশ আঅ।মলক শিলার অংশও ইতস্ততঃ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অন্ুমন কণা খায়, ঘেরা প্রকারযুক্ত এই স্থানে হয়ত কোনকালে গ্রতিষ্ত হয়েছিল এক প্রাচীন মন্দির, যেখানে মূল বিগ্রহ হিসাবে স্থাপিত হয়েছিল পূর্বে/ক্ত ছুটি অশ্বারোহ? মৃতি।

বিদ্যালয় চত্বরে রক্ষিত মু্তিটি ভাস্কধবৈশিষ্ট্য একান্তই লক্ষণীয়। পূর্বোক্ত কাকড়াজিৎ গ্রামের মৃত্তিটি খোদ।ই প্রথাগত অন্যান্ত প্রাচীন মৃত্তির মত 'বা- ধিলিফে' হলেও মৃত্তিটির তঞ্ষণ কাজে বেশ অভিনবত্ব দেখা যায়। অর্থাৎ মুত্তিটি কেবলমাত্র স্বল্প গভীরে খোদাই না হয়ে ত্রিমাত্রিক পদ্ধতিতে উতৎকীর্ণ। মবুজ আতা যুক্ত এক নিবেট পাথর থেকে খোদাই কর! এমৃত্তিটি এক সুসজ্জিত লশ্ফমান অশ্বপৃষ্ঠে উপবিষ্ট এবং সে ঘোড়ার পিছনের পা ছুটি এক সপ্তরথ পাদপীঠের উপর স্থাপিত। মুত্তির অবশ্ত খালি গা, কিন্তু পরণের বস্ মালকোছ! দিয়ে পর এবং কোমরের একদিকে নিবন্ধ তরুযারির খাপ তীর রাখার তুণীর, অন্দ্দিকে খাপসহ ছুরিকা | মৃতির ছু'চালে। দীড়ি, মাথার লম্বা চুল মেয়েদের মত খোঁপা বাধ! এবং সেটিকে ধরে রাখার জন্য কপালের সঙ্গে

মংস্কৃতি মানব সমাজ ১৭৯

একটি পটি বাধা হাত ছুটি কাধের কাছ থেকে ভগ্ন বলে বোঝা যায় না মৃদ্তির দু'হাতে কি প্রতীক ছিল। তবে অন্তমান করা যায়, সম্ভবতঃ একহাতে ছিল লাগাম এবং অন্তহাতে চাবুক। বীরত্বব্প্তক মুক্তিটি যে একান্ুই বৈশিষ্ট্পূর্ণ সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। ভান্বর্য বিচারে মৃত্তিটি সম্ভবতঃ ্রীষ্টায় এগার-বার শতকের বলেই মনে হয়।

পূর্বে আলোচিত রেবন্ত মৃতির বর্ণনা থেকে জান! গেছে, শাস্বীয় পুরাণ অনুসারে ক্ূ্বমৃত্তির মতই নির্সিত হয়েছে রেবস্ত মৃত্তি 1 কিন্তু অশ্বপৃষ্ঠে আসীন মুন্তিটিতে তো! কৃর্যমৃত্তির কোন লক্ষণ উপস্থিত নেই। যদিও 'অগ্রিপুরাণ, মতে রেবস্ত হবেন একজন অশ্বারোহী, তাহলে মুন্তিটিকে রেবস্ত মৃত্তি বলে সনাক্ত করায় অন্থবিধে দেখা যায়। তবে সমাবান খুঁজে পাওয়া যায় আর এক শাস্বগ্রন্থে। “কালিকাপুরাণে' রেবপ্ত মুত্তির যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তা এই প্রসঙ্গে গ্রণিধানযোগায সে পুরাণ গ্রন্থের বর্ণন| অস্থ্যায়ী নগরের বহিদারে স্থাপিত হবে সাদা ঘোটকপৃষ্টে আঙীন নানাবিধ অস্প শোভিত, ছুই বলিষ্ঠ বাহুযুক্ত রেবস্তের মৃত্তি। তার মাথার চুলগুলি হবে কবরীদ্বারা সংযত, অথবা তা ঢাকা থাকবে কোন পাগড়ি দিয়ে; এছাড়া মুন্তির বা হাত্তে থাকবে একটি চাবুক, ডানহাতে তরবরি এবং হুর্ধপূজায় পাঁলশীয় বিধির মতই হবে তার পৃজার্চনা

অতএব কালিকাপুরাণের বর্ণনামত মুক্তিটিকে রেবন্ত বলে সনাক্ত করতে কোন অন্থবিধা হয় না। মুত্তিটির হাত ছুটে অক্ষত থাকলে কালিকাপুব্রাণের ভাষ্য অনুযায়ী মৃত্তির হস্তধূত নিদর্শনগুলির সঙ্গে হয়ত মিল খুঁজে পাওয়া যেত। অন্যদিকে দৌলগ্রামে আর যে একটি অশ্বারোহী মূত্তি পাওয়া! গেছে সেটির খণ্ডিত মন্তকটির ভাস্কর্য পুবোক্ত মুত্তির মন্তকের মত নয়। পাথরের মুগ্ডটিতে কবরী নেই, সাধারণ বাবরি চুল এবং স্চালো দাড়ির পরিবর্তে গালপাট্ট। দাড়ি তাহলে এটিও কি রেবস্তের যৃত্তি? বরাহমিহির রচিত 'বৃহৎসংহিতা*ম বলা হয়েছে, শিকারযাত্রীয় সঙ্গীসাথীদের নিয়ে লহগমনরত অশ্বপৃষ্ঠে আমীন মৃত্তিই হবে বেবস্তের কল্পযূতি তাই বদি হয় তাহলে এটি কি রেবস্তের কোন সহযোগীর মৃত্তি? অবশ্ত প্রশ্ষের মীমাংসা করা খুবই কঠিন। কেনন! অন্যস্থানে প্রাপ্ত রেবস্তযৃত্তির মত একই সঙ্গে তার সহযোগিদের মৃত্তি উৎকীর্ণ কর! হয়নি, বরং এখানে পৃথক পৃথক ছুটি অশ্বারোহী মৃত্তি, যা বিভিন্ন পুরবগগ্রস্থ অন্ক্ায়ী বিচার বিবেচনায় রেবস্ত মুত্তির হ্যোতক।

হি | মেদিনীপুর £

অন্যদিকে বেবন্ত উপাসনা ফলপ্রাপ্তি সম্পর্কে “মার্কপ্েয় পুরাণে? উষ্ভিখিত হয়েছে যে, রেবন্তের দেহ হবে বর্ম আবৃত, তরবারি তীবুসহ ধনুক থাকবে তার হাতে। এছাড়া তিনি হবেন বনের ভিতর অগ্নিকাণ্র নিবারণের, শব্র ডাকাত নিধনের এবং সর্বপ্রকাবের গুরুতর বিপদের হাত থেকে রক্ষা করার দেবতা, যার উপাসনায় স্থাস্থা, নুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, গরিমা বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি পায়।

আলোচ্য দু'টি মুত্তি সেদিক থেকে মনে হয় বন্যনমাজের সংরক্ষক হিসাবে দোলগ্রামের মত বনাঞ্চলে কোন ভৃত্বামী কতৃক নিগিত আবাসবাটীর বহিদ্ধারে এক প্রাকারবেঠিত স্থানে একদ। প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কালের প্রভাবে সে স্থাপত্যপ্রাকার কবেই বিনষ্ট হয়েছে, কিন্তু কোনক্রমে এখানকার বিগ্রহ ছুটি উদ্ধার পেয়েছে বলেই এই অনুমানের স্বপক্ষে ধরনের চিস্তাভাবনা করার যুক্তি রয়েছে জঙ্গলপূর্ণ স্থানে অনুরূপ রেবস্ত পূজার নিদর্শন সম্পর্কে সন্ধান দিয়েছেন মনোমোহন গাঙ্গুলী তার লেখ “গড়িশ্তা। এা৭ হার রিমেনস্‌) গ্রন্থে সেখানেও তিনি অশ্বপৃষ্ঠে আসীন সে মুত্তিটিকে বেবস্ত বলেই উল্লেখ করেছেন। থেকে বোঝা যায়, ওড়িশার পুব লাগোয়! মেদিনীপুরের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত জঙ্গলমহল এলাকায় একদ1 সূর্ধ তার পুত্র রেবস্তের আরাধন৷ যে প্রসার লাভ করেছিল, তার স্বপক্ষে এই অনাবিষ্কৃত মুত্তিগুলিই এক জাজল্য প্রযাণ।

নিত টি রর ১১২৬৫ ১১২

হিবুপ্ত পাপ্রল্ন রূপন্লেপ্র।

পথের সন্ধানে শীর্ষক অধ্যায়ে জেলার বহু পুরাতন রান্তাঘাটের কথা আলোচনা করেছি সরজমিনে ঘুরে বেড়িয়ে যেসব অব্যবহার্য বিধ্বস্ত রাস্তা দেখেছি তারই অন্থমানমূলক এক বিবরণ সে নিষদ্ধে তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু ছু তিনশো! বছরের পুরাতন সাহেবদের তৈৰী মানচিত্রে জেলায় যেসব রাস্তাঘাট দেখানো হয়েছে সেগুলির বহুক্ষেতে আজ অস্তিত্ব না থাকলেও মেক লে জেলার প্রাচীন জনপদ ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান কেন্জ্রগুলি গড়ে ওঠার

লংন্কৃতি মানব সমাজ | ১৮১

পিছনে যে এনব পথগুলির এক গ্রক্ষত্বপূর্ণ ভুমিকা ছিল তা বেশ বোঝ] যায়। সেজন্য জেলার এই প্রাীন পথঘাট সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট ধারণা গড়ে তোলার জন্যে কিছুটা বিচার-বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে বিদেশীদের তৈরী মান- চিত্রে সে মময়ের রাস্তাঘাটের নকশায় যেসব স্থাননাম উল্লিখিত হয়েছে, সেগুলির ইংরেজি ভাবাপন্ন উচ্চারণ বিকৃতির দরুণ বর্তমান স্বাননামের সঙ্গে সাযুজ্য না থাকায় স্থানগুলির সনক্তকরণে বেশ অসুবিধে আছে। এঁতিহাঁসিক গবেষকগণও বিদেশীদের মানচিত্রে দশিত জেলার সেপব স্থানগুলির পরিচিতি নির্দেশকরণেও তেমন উৎসাহ দেখাননি। জেলার আঞ্চলিক ইতিহাস রচয়িতারা এমন দু'একটি সাবেকী মানচিজর অন্ুমরণে যেসব নকশা প্রণয়ন করেছেন সেগুলি শুধু বিকৃত ধরনেরই নয়, উপবস্ত সেগুলিতে প্রধান পরিচিত স্থানমাম ছাড়া অন্যান্য স্থানগুলিকে সনাক্ত করার অস্থবিধের কারণে সেগুলির ইংবেজি ভাবাপন্ন নামগুলিকে যথাযথ বহাল রেখে পাঠক সমাজকে অন্ধকারের দ্রিকেই ঠেলে দিয়েছেন। ফলে এসব গবেষকদের লেখায় সাতপাটি নামটি হয়েছে শতপথি এবং জাহানপুর হয়েছে জানপুর, যা ইংরেজী বিরুত নাম। অথচ যাঁরা ঘুরে বেড়িয়ে জেলার সব রাস্তাঘাট অলিঘলির সন্ধান বাখেন, তাদের কাছে এসব বিকৃত স্থাননামের সনাক্তকরণে তেমন কোন অস্বিধের কথা নয় বলেই আমরা জানি

সামান্য একট] উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হতে পারে। এজেলার চুয়াড় বিদ্রোহ সম্পর্কে বেশ কিছু ছোটবড় পুস্তক প্রবন্ধমাল৷ রচিত হয়েছে। বিষয়ের অধিকাংশ লেখকই বিদেশীদের প্রতিবেদনমত এবং পুরাতন নথি- পত্রের নিরিখে এই বিভ্রোহটির পটভূমিকায় সে সময়ের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে করে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তাদের লেখায় উপস্থাপিত করেছেন। কিন্ত সে সময় এই লড়াইয়ের রণকৌশলের দিক থেকে পক্ষে বা বিপক্ষে পথের যে একট গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ছিল সে বিষয়ে তাদের লেখায় কোন উচ্চবাচ্য নেই। অবশ্ত এই না থাকার কারণটাও স্পষ্ট কারণ সে সময়ে এই সাবেকী পথের হর্দিশ করতে না পারায় বা পুরাতন মানচিজে দলিত বিকৃত ইংরেজিয়ান। নামগুলির সনাক্তকরণে অন্থবিধে হওয়ায় যে এই নীরবতা! তা বুঝতে অন্ৃবিধা হয় না।

সুতরাং পুরাতন মানচিত্রের পথগুলি পথিপার্খের গ্রাম-জনপদগুলি সম্পর্কে সাধারণ পাঠকদের একট! স্পষ্ট ধারণ! দেওয়ার জন্যই এই নিবন্ধের অবতারণ]।

১৮২ | মেদিনীপুর £

সেজন্য যেসব স্থাননাম বিদেশীদের মানচিত্র থেকে সনাক্ত করা গেছে সেগুলির সঙ্কে সে মানচিত্রে বণিত ইংরেজি নামটিও বন্ধনীর মধ্যে উল্লেখ করা হল। বল! বাহুল্য, পুরাতন সে সব বহু পথই আজ বিলুগ্ধ; কোথাও বা অতীতের স্বৃতিচিহনম্বরূপ প্রাচীন গাছপালাসহ বীধ রাস্তার অস্তিত রয়েছে, আবার কোথাও বা নতুন কোন পথ সে পুরাতন পথকে গ্রাস করে ক্রমে স্ফীত হয়েছে

বিদেশীদের রচিত যেসব ম।নচিত্রে জেলার পরিচয় স্পষ্ট্ূপে বিধৃত হয়েছে, তার মধ্যে একটি হ'ল ওলন্দাজ গভর্ণর ফান্-ড্রেন-ব্রোকের ১৬৬০ সালের মানচিত্র। মানচিন্রটি প্রাচীন হলে কি হবে, সেটিতে যেসব স্থান নির্দেশ করা হয়েছে তা কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে মিলতে চায় না তাহলেও সে মানচিত্রটিতে দেখা যাচ্ছে, বর্ধমান থেকে সোজা দক্ষিণে একটি পথ চলে এসেছে মেদিনীপুর (71৩011091১961) হয়ে নারায়ণগড়ের (1 81680861) উপর দিয়ে দাতনে (08001002)। অন্কুমান করা যায়, এটিই সেই বাদশাহী সড়ক, যা “হুসেন শাহে'র আমলে গোঁড় থেকে সপ্তগ্রাম হয়ে ওড়িশা পর্যন্ত নতুন করে নিমিত হয়েছিল। মানচিত্রে মেদিনীপুরের কাছাকাছি “গিডেহ্কটিকেন” (0651 181৩০) লামে যে স্থানটি নির্দেশ ক্র! হয়েছে, তা সনাভ্তকরণে বেশ অন্ুবিধে হলেও, স্থানটির সামান্ত উপরে “বরদা'র উল্লেখ থাকায় অন্থুমান করা যাঁয় এটি বর্তমান ঘাটালেরই ওলন্দাজী বিকৃত বূপ। তাছাড়া! ঘাটালে একটি ওলন্দাজ্ব্দের রেশমকুঠিও ছিল, সে সম্পর্কে আমার রচিত 'পশ্চিমবাংলার পুরা- সম্পদ £ উত্তর মেদিনীপুর” গ্রন্থে আলোচনা! করেছি। আগেই উল্লেখ কর! হয়েছে মানচিত্রটির স্থানমামে কোন সঙ্গতি নেই। ম্যাপে দণিত এক নদীর পশ্চিম তীরে মেদিনীপুরের অবস্থিতি দেখানো! হয়েছে, যা নিভূলি নয়। রূপনারায়ণের সঙ্গে হুগলী নদের যেখানে সঙ্গম হয়েছে, হাওড়া জেলার সে স্বানটির নাম একদা মাকড়াপাথর হওয়ায় বিদেশীর! রূপনারায়ণকে পাথরঘাট। নদী নামেই চিহিত করতে! | সেই হিসেবে ফান-দ্রেন ব্রোকের মানচিত্রে এটি হয়েছে পাত্রঘাট। নদী (880186808 [২1%.)। মেদিনীপুরটি যেখানে দেখখনো হয়েছে তার প্রীয় সামান্ত পুবে যে লব স্থানের নাম উষ্িখিত হয়েছে তা আমার সনাক্তমতে, বরদা (88:৫8) উত্তরে উায়গঞ্জ (05৫883$708), খানাকুল (08105890981) জাহানাবাদ (8)8589818)। চন্দ্রকোণাকে (918561- ০928) দেখানো হয়েছে মেদিনীপুরের উত্তরপশ্চিমে নদীতীরবর্তা এক ভিন্ন স্থানে এছাড়া মানচিজে আত ধেসব স্থান দেখানে। হয়েছে তার মধ্যে

মংস্কৃতি মানব সমাজ | ১৮৩

নারায়ণগড়ের লামান্য দক্ষিণপশ্চিমে কেশিয়াঁড়ী (085856118), পাথরঘাটা (রূনারায়ণ) নদের তীরে তমলুক (75800911), তার দক্ষিণে বাশজা (880318 ;) এটি সনাক্ত করা যায়নি), কাথি (&11)08৪) গ্রৃতি মানচিত্রে দশিত স্থানগুলির অবস্থ/নে অনঙ্গতি দেখা গেলেও একটি বিষয় বেশ ভাল- ভাবেই উপলব্ধি করা যায় যে, মৃতের শতকে মেদিনীপুর জেলার এসব স্থানগুলি একসময়ে শিল্পলম্পদে, বিশেষ করে বস্ুুশিল্পে গ্রসিদ্ধি অর্ভন করে বিদেশীদের যে বাবসা-বণিজ্যে আকুষ্ট করেছিল, তারই ফলশ্রুতিতে স্থানগুলি উল্লিখিত হয়েছে।

এরপর ১৭৫৬ খ্রীষ্টাব্দে জি, হার্কলটস নামে ইংরেজ সাহেবের তরী একটি মাপে মেদিনীপুর জেলার যেসব পথঘাট দশ্িত হয়েছে তা সংন্দিপ্ত হলেও পরবর্তী রেনেল সাহেবের কৃত ম্যাপের সঙ্গ বেশ সাদৃশ্ঠ রয়েছে তবে আঠার শতকের মাঝাম।ঝি সময়ে জেল! সম্পফিত অন্য যেসব মানচিত্র গ্রস্তত করা হয়েছিল তার মধ্যে নির্ভরযোগ্য হল, ১৭৭৯ খ্রীষ্টাব্দে জেমস রেনেল অস্কিত ৭নং নক্সায় £ [109 (1051005$ 01 73:10881) 9108805৫ 90 0175 ৬/৩৪ 91 1135 17০08%1/ [7২1%67, শিরোনামের মানচিত্র। সে মানচিত্রে প্রায় ছুঃশে। বছর আগে এজেলার প্রাচীন বাস্তাঘাট, নদীনালা স্থাননাম সম্পর্কে একট। সুস্পষ্ট চিত্র ফুটে উঠেছে। বলা যেতে পারে, ইংরেজ শাসন সময়ে গ্রতিষিত হলেও ম্যাপে দিত পথঘাটগুলি বিদেশীদের তো! নয়ই, বরং এগুলি পাঠান মোগল আমলে ব্যবহৃত ছোট বড় রাস্তা হিন্দু-যুগের প্রাচীন জাঙ্গালগুলি অবলম্বন করে এবং সেটিকেই বাড়িয়ে-বুড়িয়ে গৌড়ের বাদশাহরা নান দিকে যে পথ তৈরী করেছিলেন, তার পিছনের উদ্দেশ্য ছিল মূলতঃ সৈম্তচালন! বাবস-বাণিজোর প্রসার পববর্তী রেনেল সাহেব তার মানচিত্রে সেইমন্ পুরাতন পথই দেখিয়েছেন যেগুলির বহুলাংশই আজ অবলুপ্ত। পরে অবশ্ত ইংরেজ আমলে শাসন কাজের নুবিধের জন্য মে পুরাতন বাস্তাগুলি বাদ দিয়ে স্ববিধেমত বহু রাস্তাঘাট নির্মাণ কর! হয়েছে যার সাক্ষা আজও রয়ে গেছে জেলার নান। পথঘাটের মধ্যে সুতরাং রেনেলের মানচিত্রে প্রদ্দগিত বান্ত। এবং তার পার্খববর্তা স্থানগুলির নাম সনাক্ত করে একটি বিষরণ দিলে সে সময়ে জেলার ভৌগোলিক চিত্রটি যেমন সহজবোধ্য হয়, তেমনি জানা যায় জেলায় মুসলমান শাসন বিস্তারে এবং বাণিজ্যিক যোগাযোগের প্রয়োজনে এসব পথঘাটের ভূমিকা সম্পর্কে এক বিস্তু

১৮৪ মেদিনীপুর £ রূপরেখা তাই এই নিরম আলোচনাটি যাতে সহজভাবে উপলব্ধি করা যাঁয়

সেজন্য সেলব প্রাচীন পথগুলিকে ২১টি ভাগে বিভক্ত করে আলোচনা কর! হয়েছে।

১৯. গোপালনগর-মেদিন'পুর-নারায়ণগড়-জুলেশ্বর রাজপথ £

রেনেল সাহেবের মানচিত্রের নকশায় জোড়া রেখ! দিয়ে রাস্তাটিকে দেখানো হয়েছে যাতে বেশ বোঝা যায়, এটি এক সময়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ এক রাজপথ ছিল। কলকাতার পশ্চিমে হুগলী-ভাগীরধর পশ্চিম তীরবর্তী হাওড়া জেলার থান ম1কুয়ার কাছ থেকে এটি সুরু হয়ে সাকরেল বঝড়গাছিয়1 হয়ে আমতার উপর দিয়ে মানকুরের কাছে রূপনাবায়ণ পার হয়ে মেদিনীপুর জেলার গোপালনগর।0০০৪11)8 ৪) পর্যস্ত গুসাবিত। তারপর সেখান থেকে সোজাপশ্চিমে বসেছে বর্তমানে পাঁশকুড়। থানায় খন্/ভিহি (09910৫806) হয়ে পীচবেড়য। (৮8088195), যা আজকের উত্তর পাচবেড়্যা মৌজা এরপর এখান থেকে ডেবরা থানার নবাবগঞ্জ (86০90891085) হয়ে পশ্চিমে গোলগ্রাম (0981- ৪০০৪) এসে পৌছেছে সেখান থেকে পশ্চিমে কীসাইয়ের যে শাখা উত্তর- বাহিনী তা পেরিয়ে রাস্তাটি কেশপুর থানার কাপাসটিকরি (08198818819) এসে দক্ষিণপশ্চিমে বাগরোই (888191) হয়ে দোগাছির (0০9891০0195) উপর দিয়ে অলিগঞ্ (411)8478) হয়ে মেদিনীপুর (14190819901) পৌঁছেছে। তারপর মেদিনীপুর হয়ে এই রাজপথটি দক্ষিণে খড়াপুরের (08118010091) উপর দিয়ে মার্দারচক (10৫৪1০1১019) হয়ে মকরামপুর (10851907999) পৌছে দক্ষিণে চলে এসেছে নাবায়ণগড় (৭ 8187801)) এরপর দক্ষিণে বাখরাবাদ (89০461818), খটনগর (0800218881), ঝাণীপরাই (88010950181) হয়ে দ[[তনের (081০8) উপর দিয়ে চলে গেছে দক্ষিণপশ্চিমে জলেশ্বর (3০118509179) বস্তার (88581) হয়ে বালেশ্বর

রেনেলের মানচিত্রে জোড়া রেখ! দিয়ে দেখানোর জন্য রাস্তাটি বিশেষ করে মোগল-পাঠান আমলে যে গুরুত্বপূর্ণ পথ ছিল, সেকথা আগেই বল! হয়েছে বোঝা যাচ্ছে, ওড়িশর সঙ্গে ক'লকাতার যোগাযোগের এটি ছিল দেসময়ের এক গ্রধান সড়ক। কিন্তু শুধু কি যোগাযোগের উদ্দেস্াই এই রাস্তাটিকে এমন বৃহৎ আকারে দেখানো হয়েছে-_এ প্রশ্ন থেকে যায়। সেই সঙ্গে অবশ্ত অনুধাবন করা যায়, রাজপথটি সেমময়ে যেসব এলাকার উপর দিয়ে প্রসারিত হয়েছে, আসলে সেসব স্থানগুলি ছিল রেশমবন্তর উৎপাদনের

'লংস্কতি শ্ানক' গমাজ 4১৮৫

জন্য বিখ্যাধ্দ। “এফ কথায় 'বলা যেতে পারে এটি ছিল সে-সময়েক রেশম পথ, অর্থাৎ “সিক্ক কট” দ্বেখা মাছে জেল।র অন্যান্ত বিখ্যাত রেশমবস্্ উত্পাদনের স্থানগুলির সঙ্গে নানান' পথঘাট দিয়ে রাজপথের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটেছে। আর এই পথ দিয়েই 'সুতী রেশমজাত বন্ত্র-একদা. আমদানি হয়েছে ছগলী- ভাগশীরদধীর অপর পারে কলকাতায়, অর্থঃ রুলকাতার. বাঙ্জারকে যেব্গান দেবার জন্যেই ধেন এই পথের স্ষ্টি। তাই য়দি হয়, তাহলে এই পথের অস্থিত্ধই আমাদের স্মরণ করিতে দেয় ইংবেজরা ক'লকাতাকে সৃষ্টি করেনি, বরং সেকালের কলকাতায় .নানাবিধ ' 'বন্ুশিল্পের রমরমা ব্যবমা-বাঁণিজ্যের লোতে . সাহ্বরাই শেষ .পর্ধস্ত এর মাটি- কামড়ে: পড়ে থাকে, আর বণিকের মানদ গু যখন শেষ অবধি রাজদ০% পরিণত হয় তখন তারাই কলকাতার স্ু্টিকর্তা রুলে নিডেদের জাহির করতে কম্ুর কৰে না

সরজমিনে তদস্ত করে দেখা :গেছে, গ্লোপালনগর- থেকে। মেদিনীপুর; পর্যন্ত বাস্তাটিঘ তেমন “অস্তিত্ব আঁজ আর খুজে .পাঁওয়! যায়না, বটে, তবে -এখন মেদ্রিনীপুর শহবের অলিগঞ্জের উপর, দিয়ে. বর্তমান, কেশপুর যারার সড়কপথে 'পাঁচখুরি "থেকে 'কমল।ধুর হয়ে বাগরোই :ও ।কাপামট্রিকবি যাবার যে ক্ষীণ শড়কপথটি আজও বিছ্ামীন, মনে হয়, এটাই" সেই পুরাতন রাস্তার অবশেষ অন্তদিকে, কাঁপাসটিকরি থেকে পুবে গোলগ্রাম হয়ে পাঁচবেড়ে পর্যন্ত রান্তাটির পুরাতন চেহারা হ্দিশ করতে না পা্লেও বর্তমানের খণ্যাডি ছি থেকে গোপাল- নগর পর্যস্ত'বিস্তুত রাস্তাটি -যে স্ই পুরাতন রাঁজপ্থটির এক কঙ্কাল, সে.বিষয়ে কৌন মন্দেহ'নেই।

২." মেদিনীপুর-কেশিয়াড়ী-রীজ্ঘাট

- : মেদিনীপুর থেকে আদ. একটি রাস্তা' মানচিজে দেখা যাচ্ছে যেটি খুঁডাপুর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে . প্রসারিত : হয়েছে ' খড়গপুর . থানার অযোধ্যাগণ় 1 (8৫)84881) হয়ে সে.রান্তাটি দক্ষিণ-পুবে বলরামগ়ির (80151860815) উপঝ দিয়ে “নারায়ণড়' থান! এলাকায় শীটলি (9,111) থেরে মাধকো খা ' (061 00920686810): এসেছে” তাক্পর সেখান থেকে ঝাস্তাটি ছু'ভাগ হয়ে মূল রাস্তাটি : ছলে" গেছে: একেবারে ' দক্ষিণ-পগ্গিম কেশিয়াড়ী (0:9888756) এবং অন্যটি. ।দৃক্ষিণ-পুবে. পূরোক্ত '১নং.।বাস্ত।য়, : নারায়ণগ্নড় . থানার বাখরাবাদে (8964৩1৪৪) এসে. মিশেছে, এখন গ্সপুর থ্রু কেশিয়াড়ী। যাবার যে”রাস্তাটি আছে সেটির সক্কে.এর মিল খুঁজে পায় যায় না.1 + িবেনসুবেকের

৯১৮ মেদিনীপুর 5 বরাস্তাটি, তখন 'অযোধাযাগড়, বলরামগড় (বর্তমানে বলরামপুর), শিটলি, মারকোঞ প্রভৃতি গ্রামগ্ুলির উপর দিয়ে প্রসারিত হওয়ায় সেগুলি একসময়ে বেশ বরধিষুঃ গ্রাম হিসেবে পরিগণিত হয়েছিল। এসব গ্রামগ্ুলি আজকের নতুন বাঁন্তার দুরে দুরে অবস্থিত হওয়ায় বর্তমানে লোকচক্ষুর আড়াল হয়ে গেলেও সেখানে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন পরিবারের নি্িত ভগ্র মন্দির-দেবালয় অট্টালিকাগুলি গামাদের ম্মরণ করিয়ে দেয় এসব পুরাতন পথের সংযোগের দরুণ মেসব অঞ্চলের লমুদ্ধির কথা

কেশিয়াড়ীতে পূর্বে উল্লিখিত বাস্তাটি ছু'ভ।গ হয়ে একটি দক্ষিণে অন্যটি পশ্চিমে জাহানপুর চলে এসেছে দক্ষিণের বাস্ত।টি দলক' (7981০81)) থেকে বালিয়। (8৪৪11৩89) হয়ে স্ববর্ণবেখ! পেরিয়ে রায়বাণিয়া (7২০9810768) হয়ে স্ববর্রেখার পশ্চিমতীরে রাজঘাটে এসে জজেশ্বর-বালেশ্বর রাস্তায় 'অংযোগ হয়েছে।

৩, -জাহানপুর £ পূর্বকথিত কেশিয়াড়ী থেকে পশ্চি:মর বান্তাটি চলে গেছে কেশিয়াড়ী থানার দীপা (1081) হয়ে উত্তর-পশ্চিমে নবকিশোরপুর (1৭8৮1887799); তারপর ডুলং নদ পেরিয়ে কাটমাপুর (০8%99০:) হয়ে হুবর্ণরেখার পুব তীরবর্তী গোপীবল্পভপুর থানা এলাকার জাহানপুর (829190ঃ)। পরবর্তী সময়ে গোঁপীবল্লভপুরে থানা হওয়ায় এবং ঝাড়গ্রাম বা মেদিনীপুরের সঙ্গে নব- নিগিত রাস্তার সংযোগ হওয়ায় জাহানপুরের গুরুত্ব কমে যায়। তবে চুয়াড় বিদ্রোহের সময় ব্রিটিশ শাসকরা জাহানপুরেই' থানার কেন্দ্র করে, যার অধীনে থাকে বেলবেড়া, চিয়াড়া, বরাজিত, কিয়ানুটাদ দিগপাকুই প্রভৃতি গ্রাম চু্লাড় বিদ্রোহ সম্পর্কে জে. সি, প্রাইসের লেখায় জাহানপুরের নাম বেশ কয়েকবার উদ্ভিখিত হতে দেখা যায় ৪, জাহানপুর-মীরগৌদা-কীথি-হিক্ষলী জাহানপুর থেকে আর একটি বাস্তা দেখ! যাচ্ছে দীপ। হয়ে,দ ক্ষিণ-পুবে দলক। (98108) থেকে তিনের (0881989) উপর দিয়ে দাতন খানার কড্ডিহা (0901688), মোহনপুর থানার তয় (5958) এবং নাড়বন (শৈজ:১989) হয়ে 'মীরগোদায় (8৫৪575০৩9৫৪) প্রসারিত সেখান থেকে রাস্তাটি আবার গুবে বাঁক দিয়ে বারাঙ্গ। (887898), দেপাল (091811), বেলঘনি (881560805)

জাস্কৃতি মানব সমাজ ১৯৮৭

গ্রামের উপর দিয়ে আধারবনি (2৯888169085 ০৩৩৫) নামের সামুদ্রিক খশাড়ি পেরিয়ে 10902186891 (সনাক্ত হয়নি) হয়ে কাথি (09181) এবং পরে পুবে আদাবেড়া। (8৫86801)8) হয়ে হিজলীতে ([716116) শেষ হয়েছে। খেভুরী তখন বন্দর হিসেবে গড়ে ওঠেনি, তাই সেখানের সঙ্গে কোন বাস্তার সংযোগ দেখা যাচ্ছে না।

৫. মেদিনীপুর-নারায়পগড়-মীরগোদা-কীথি £

মেদিনীপুর থেকে নারয়ণগড় পর্যন্ত রাস্তার উল্লেখ ১নং বান্তার আলোচনায় দেওয়া! হয়েছে দেখ। যাচ্ছে নারামণগড় থেকে কাখি ঘেতে হলে. ছুটে। ভিন্ন ভিন্ন পথ ধরে যাওয়া যেত; তার মধ্যে একটি হ'ল নাঝায়ণগড়-মীরগোদ। হয়ে কাধি, এবং অন্যটি হ'ল নারাধণগড়, সাবড়া লাউরি হপ্নে বাহ্থদেবপুরের উপর দিয়ে কাথি। এর মধ্যে প্রথম রাস্তাটি প্রদারিত হয়েছে নাবায়ণগড় থানার দক্ষিণে নরলিংবাড়ির (1৭181588582) উপর দিয়ে কেলেঘাই (081195881) পরে তার শাখা নদ পেরিয়ে মাকড়্যা (2180590158) গ্রামের উপর দিয়ে তন থান! এলাকায় সাবড়। (35৮8118) হয়ে নানজোড়। (খ৪0190181১)। তারপর আরও দক্ষিণে মোরাদাবাদের (17401808৮৪৫) উপর দিয়ে এগরা থানা এলাকার আলংগিরি (যদিও মানচিক্রে বলা হয়েছে (.8108156) পেরিয়ে পা থয (289৫00815) হয়ে মীরগোদা (159189968) এবং সেখান থেকে কাথি পর্যস্ত যাবার রাস্তাটি সম্পর্কে ইতিপূর্বেই নং ব্বাস্তাব বর্ণনায় উল্লেখ কর! হয়েছে। আলোচা রাস্তাটি অবশ্ঠ ইতিহাসের দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সড়কটি ধরেই নানজোড়ার প্রায় কি.মি, পশ্চিমে তুর্কার কাছে ১৫৭৫ গ্রীষ্টাব্ে আকবর বাদশার আমলে সংঘটিত হয়েছিল মোগল- পাঠান যুদ্ধ, যা ইতিহাসে তুকারোইয়ের যুদ্ধ নামে খ্যাত। পটাশপুর থেকে আর একটি পথ নাবড়া নানজোড়ার মাঝামাঝি দক্ষিণ-পশ্চিমে সাউরির (890916৩) উপর দিয়ে তুর্ক। (১১নং পথের বর্ণন। দ্রষ্টব্য) হয়ে জলেশ্বব পর্যস্ত বিস্তুত-ছিল। ক্কার যছুনাথ সরকার তার “মিলিটারী হিহ্রি অফ ইপিয়া, গ্রন্থ 'অ(কবরনামা” অন্থমরণে সে যুদ্ধের রণকৌশল জয়পরাজয় নিয়ে যে বর্ণন! দিয়েছেন তা থেকে জানা যায়, এই তুর্কার বর্তমান নাম তুর্বাকসবা এবং এই গ্রামের কাছাকাছি ছিল সে লড়াইয়ের ময়দান, যেখীনে মোগল সেনাপতি মুনিম খা! টোডরমলের লঙ্গে পাঠান ন্বপতি 'দাউদের ঘোরতর যুদ্ধে

৭» |

টির মেক্লিনীপুনইর :

দাউদের পরাজয় ঘটেছিল “এবং ধুদ্ধ'শেবে বন্দী পাঠান সেনাদের শিরচ্ছেদ,করে :ব তাদের মুগ্ত দিয়ে আটটি স্তস্ত'বানানে হয়েছিল .

৬. নারায়পঞড়-সাউরি-কীথি ১:

নারায়ণগড় থেকে কখি যাবার আর যে একটি পথ ছিল সেটি দ।'তন খানার : সাধড়া থেকে পপুবমূখী হয়ে ' সাউরির (39816) উপর দিয়ে পটাশপুর থানার : খড়,ই (0811581)' হয়ে দক্ষিণ:পুষে, এগরা। থানার খেজ্ুরদা (09391066), .. পরে বানুদেবপুর (848৫৩১০৪:) পর্যস্ত প্রসারিত ছিল। এবপর বাস্ুদেবপুর থেকে একটি রাস্তশি দক্ষিণ-পুবে রায়পুর :(8০)1০81)। হয়ে কাথি একং এখান . থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে “আর: একটি রাস্তা বিশ্বনাথপুর (88809 050॥$) এসে দুভাগ হয়ে একটি দক্ষিণ-*শ্চিমে দেপালে এবং অন্সটি 'দক্ষিণ-পু বেলবনিকে, পৌছেছে। . ধার বর্ণন। ৪নং রাস্তায় উল্লিখিত হয়েছে

. ৭*' নারায়ণগর্ড-প্রতাপপুর £ :

নাবায়ণগড় থেকে “একটি বান্তা" দেখা যাচ্ছে.-উত্তর-পুষে নারায়ণগড় থানার: ভগ্রকালী : 314৩10814),। খঞ্জাপুর থাঁনার বংশীচক :(887459)09০1) হয়ে পিঙ্গল! থানার স্ুতগুড়ার ($০9০:০18118) কাছে ৮নং রাস্তায় (যা একদ। নপ্দকাপাসিয়ার -বাধ নামে" পরিচিত ছিল) সংযোগ' হয়েছে.এরং ডেবরা৷ থানার: ফেদারে ' (80৫88£) চৌমাথা। পেরিয়ে উত্তর-পুবে দোগাছ। (9০8)06599)। হয়ে ছুটি: স্থানে পরপর' কাসাই: পেরিয়ে পাঁশকুড়া থানার. প্রতাপপুরে (90108799101) এল মিলেছে আর এখান থেকে উত্তরে. ১নং রাজপথের: পঁ[চবেড়ে অথবা ৯নং রাস্তায় মেরদিমীপুর ব। তমলুক যায় যেতে পারতো]

৮.. কাঁপানটিকরি-পটাশপুর-কীথি' £

পূর্ববর্ণিত: ১নং রাজপথটিতে যে. কাঁপাদটিকরির উল্লেখ পেয়েছি). সেখান, থেকে" একটি পথ' কাসাইয়ের মূল নদীটি পেরিয়ে দক্ষিণে ডেবর] থানার শ্ঠামপুর: (80800 09031) হয়ে ডেবরার প্রীয় কিমি. পশ্চিম দিয়ে বনলাম গ্রামের; (880165. নামের গ্রার্টি সনাক্ত করা যায়নি), উপর দিয়ে এসেছে, কেদার, বেখানে দেখা যায সেটি দুটি বাস্তার সংযোগস্থল। এর মধ্যে দক্ষিণের: বীর্তাটি দক্ষিণ-পচ্চিমে সামান্য বীক নিক্বে স্থৃতৃছড়া হয়ে সোজা চনে এসেছে, পঁটাশপুর (78088901)। তারপর রাস্তাটি দেখান থেকে দক্ষিণে পটাশগুর ধানার খড়,ই (051151) হয়ে এগরা। থানার খেভুবদা (€০)0836৬) বাহদেব-

লংস্কৃত্-9 মানুর সাত . ১৮৯

পুরের উপর দিয়ে .গেছে কাথি,- যে রাস্তার হি ৬নং রাস্তায় দেওয়া হয়েছে কাপাসটিকরি -থেকে পটাশপুর পর্যন্ত এই রান্ত/টি মনে হয় সেই বিখ্যাত নন্দ

কা্রাসিয়ার বাধ, . বা. দেখান থেকে বাস হয়ে দক্গিণ-পশ্চিমে বিস্ত তত ছিল। |

৯. তমলুক-প্রতাপপুর-ভেবরা-মেদিনীপুর £ তমলুক থেকে মেদিনীপুর যেতে হলে তখন টি পথ/অবলম্বন করে যাওয়া

যেতে পারতো! প্রথমতঃ তম্লুক থেকে প্রায় কি.মি, উত্তরে আসতে হত

তম্লুক খানার গঙ্গাখালি (09988808119) ; তারপর মেখান থেকে সোজা

পশ্চিমে টুল ।199118) হয়ে উত্তর-পশ্চিমে পাশকুড়া থানার প্রতাপপুর (6118029%)। এবার প্রতাপপুর থেকে, একটি রাস্তা উত্তরে চরছকড়ি

(6:০910890158-_-এই গ্রামটি সনাক্ত করতে পানি) হয়ে পাচবেড়েতে যোগ হয়েছে ১নং রাজপথে, যেখান দিয়ে পচ্চিমে মেদিনীগুরে আসা যেত।

মেদিনীপুর যাওয়ার অন্য সড়কটি প্রনারিত ছিল প্রতাপপুর থেকে সোজ!

পশ্চিমে কসাই. পেরিয়ে পাশকুড়ে। (2578০9018) হয়ে ডেবর ' 19৮8) ও, কুশিয়া (৪০8892) তারপর কাঁসাই পেরিয়ে সামান্য উত্তর-পশ্চিমে পাথর! হয়ে মেদিনীপুর পর্যন্ত পাশকুড়ো থেকে আর একটি বাস্তার যোগ

দেখা যাচ্ছে ৮নং রাস্তায় বনিত, শ্তামপুরের সঙ্গে, যা! উত্তর-পশ্চিমে বিশ্ব. হয়েছে ভেবরা থানার মূড়াস্থি (84490880169) হয়ে। এছাড়। শ্যামপুর থেকে আর একটি রাস্তা! দেখা. যাচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমে কাসাই পার হয়ে উলানগর (01828891) দিয়ে পাথবায় (88608) এসে যে।গ হয়েছে |

১৪. মেদিনীপুর-ট্যাংরাখালি হাট গঁওখালি: ন্‌

মানচিত্রে রাস্তাটি দেখানো হয়েছে মেদিনীপুর থেকে পুবে পাখরা হয়ে কীসাই, পেরিয়ে সোজ! ক্ষিণপুবে কেদারের উপর দিয়ে সবঙ্গ থানার পুবপ্রান্তে অবস্থিত ছুববা'জপুর গ্রাম (১০০9৫৪8০০97) থেকে পুবে ময়ন। থানার শ্যামপুর (58107991) পর্যন্ত বিস্তুত। তবে এই দীর্ঘ পথটির মধ্য কোন গ্রাম দেখানো হয়নি পরে সেখান থেকে রাস্তাটি কেলেঘাই (০911588101 খ.) পুর হয়ে দক্ষিণ-পুবে নন্দীগ্রাম থানার ট্যাংরাখালি ঘাট পর্ধগ নিয়ে আবার ছুলদী নদী পার হয়ে দোজ। প্রায় পুবদিকে চলে এসেছে রুঙ্গিবসান (ম্যাপে নামটি যদিও দেওঘা হয়েছে শ8088088 0), অর্থ/ৎ ঘা মাহযার্ঘল শহর

১৯৩ মেদিনীপুর এলাকার অন্তডূক্ত। এবার উত্তর-পুবে রাস্তাটি ধাক নিয়ে চলে গেছে রূপনা রাঁয়ণ তীরবর্তী বর্তমান গেঁওখালি পর্যস্ত, যদিও সে স্থানটির নাম মানচিত্রে উল্লিখিত হয়নি। দেখা! যাচ্ছে সবঙ্গ থানার প্রান্তবর্তা ছুবরাজপুর গ্রামটি এখন নিতান্ত অখাত হলেও, বর্তমানে এখানে ছু* একটি প্রাচীন পোড়ামাটির ফলকযুক্ত মন্দিরের অস্তিত্ব থাকায় অন্মান যে, একসময়ে সড়কপথের্‌' যোগাধোগের জন্য সেটি বেশ উন্নড় গ্রাম খিংসবে পরিগণিত ছিল।

১১. তমলুক-পটাশপুর-জলেশ্বর ঃ.

তমলুক থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে এই রাস্তাটি নিকামী (৭ €০৪88৩৫) হয়ে কামাই পেরিয়ে এসেছে ময়নাগড় (81517800881) ;) সেখান থেকে দক্ষিণে বিচালিঘ।টকে (81911) 89) পুবে রেখে পূর্ববর্ণি5 ১৭নং বাস্তার ময়ন। থাণ্ার শ্যামপুর যোগ হয়েছে) এবার মে রাস্তাটি শ্যামপুর অতিক্রম করে দরক্ষিন-পশ্চিমডিমুখী হয়ে আবুন্তল। গ্রাম (/৪/৩০6৪11৪, স্থানটি সনাক্ত কর! ধায়ণি ; তবে ভগব।নপুর থানার আমড়াতল] হ'তে পাবে) পেরিয়ে ভগবানপুর থানার শিউলিপুর (9০।199299:) পটাশপুর খানার অমি (£8)8)0186) হয়ে এসেছে পটাশপুৰ। এরপর পটাশপুরে পূর্বে উদ্লিখিত ৮নং রাস্তাটি অতিক্রম করে দরক্ষিণ-পশ্চিমে ৬নং রাস্তায় বণিত সাউরির উপর দিয়ে ৫নং ্াস্তা অতিক্রম করে তুর্কা (78068) হয়ে ৪নং রাস্তায় বপ্ধিত দাতন খানার

কড়িহার (0০91680) উপর দিয়ে জলেশ্বর পর্যন্ত গ্রমারিত বলে দেখানে। হয়েছে

১২. হুবরাজপুর-শোলপুর-বাস্থদেবপুর-কাথি

ইতিপূর্বে বর্ণিত ১০নং রাস্তার বিবরণে যে বাস্তাটি মেদিনীপুর থেকে পাথরা, কেদার ছুবর/জপুর হয়ে শ্যামপুরের দিকে চলে গেছে সেই রাস্তায় ছুবরাজপুর থেকে দক্ষিণে একটি ব্াস্তা বের হয়ে ১১নং ' রাস্তায়, বগ্িত শিউলিপুর অতিক্রম করে "ঝাড়া দক্ষিণে ভূ'ঞামুঠা 89০82990808), তগবান- পুত্র -থানার দুবাই (09৮০) গ্রাম পেরিয়ে রাণীগঞ্জে (2২8010189085) এসে পুনরায় দক্ষিণ-পশ্চিমে বেঁকে পটাশপুর থানার মথুরা! (1£9$90115) পৌছেছে। এবার রাস্তাটি দক্ষিণে প্রসারিত হয়ে পটাশপুর থানার ব্রজবন্পভগুষ (897 2৫- 911807991) পরে এগরা খানার চৌমুখ (08879) পাহাড়পুরের (৮81087998ঃ) উপর দিয়ে খানার দাউদপুরে (0০5৫0০81) মিলিত হয়ে দক্ষিণে ৮নং সড়কের সঙ্গে বা্থদেবপুক হয়ে কীথি পৌছেছে।

সংস্কৃতি মানব সমাজ

১৩ মেদিনীপুর-ভ্বাহানপুর-বলরামপুর £

মেদিনীপুর থেকে বীনপুর থ|নার বলবামপুর যাবার যে ছুটি পথ ছিল, 'তারমধ্যে একটি গোপীবল্পভপুর থানার জাহানপুর হয়ে এবং অন্যটি কেশপুর থানার আনন্দপুর শালবনি হয়ে প্রথম রাজ্ত।টি দেখা যাচ্ছে, মেদিনীপুর . থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে কাসাই নদী পেরিয়ে খক্জাপুর থানার বসন্তপুর (988590- 7১০০1) হয়ে ঝাড়গ্রাম থানার মদিপুর (ট91৫517১9:),এবং চড়দার 0117 081) কাছে কেলেঘাই নালা (0411881 খৈ,। পার হয়ে থানার হ্যাম- নগর '989080887) এতসছে। তারপর সেখান থেকে বাস্তাটি দক্ষিণ-পশ্চিমে গোপীবন্ভপুর থানার বীশদা (93810881) গ্রামের উপর দিয়ে & থানার চিয়াড়া (01)6818)-স্থানটি সন।ক্ত করা যায় নি) হয়ে গোপীবল্পভপুর থানার জাহানপুর (380108:) এসে পৌছেছে। প্রকাশ থাকে যে, জাহানপুবের অপর পারে পশ্চিমে সুবর্ণরেখা তীববর্তী বর্তমানের গেপীবল্লভপুর |

এবার জাহানপুর থেকে রাস্তাটি সোজা উত্তরমুখী হয়ে গোপীবল্লভপুর খানার তেঘরি (88:৩৩), ডুমুরনির $১০০০19 ) সনাক্ত কর! যায়নি) উপর দিয়ে জামবনি 381900029) ) তারপর জামবনি থানার আলমপুর (41190009871, বীনপুর (8880০07), বেলারবনি (89119169820) গ্রাম পেরিয়ে এসে পৌঁছেছে বীনপুর থানার বলরামপুর (3118 891০90£) | বলরামপুর একসময়ে বেশ বধিষু স্থান বলে খ্যাত ছিল। চুয়াড় বিদ্রোহের পটভূমিকায় স্থানটি সেসময় বেশ উদ্ভেখযোগ্য হয়ে উঠেছিল

১৪. মেদদিনীপুর-আনন্দপুর-শালবনি-বলরামপুর

মেদিনীপুর থেকে বলরামপুর যাবার আর যে পথটি ছিল সেটি মানচিত্রে দেখা। যায়, উত্তর-পুবে শালবনি থানার কণগর্ত (08178081) কেশপুর থানার আনন্দপুবের (১081০৪7) উপর দিয়ে উত্তর-পশ্চিমে কেশপুর থানার কোন্টাই :09109), শালবনি (9810)01)7)9) হয়ে শালবঝনি থানার জাতড়া (38680) পর্যন্ত বিস্তাত। এবার জাতড়া থেকে একটি রাস্তা সোজ। উত্তরে চলে গেছে গড়বেত। থানার নয়বসান (খ18১9858ট ; বর্তমান নাম নয়াবসত) হয়ে কৃষ্চনগর (80185108891, দঃ ১৭নং রান্তা) এবং এখান থেকে অন্ত আর একটি রাস্তা পশ্চিমাভিমৃখী হয়ে এসেছে গড়বেতা৷ থানার .রায়গড় (89৪0 , তারপর সেখান থেকে আবার উত্তব-পশ্চিমে গড়বেতা৷ থানার

১৯২ মেদিনীপুর £ কড়াশাই (00186118) হয়ে সোজা পশ্চিমে কাদাশোল 108৫281916১, বীনপুর থানার রামগড় (8800891) হয়ে বলরামপুর প্স্ত প্রসারিত হয়েছে

মানচিত্রে দেখা বাচ্ছে সে সময় বীনপুর থানার এই বলরামপুরের উপর 'দিয়ে উত্তর-দক্ষিণ বেশ কয়েকটি রাস্তা অতিক্রম করেছে

১৫, মেদিনীপুর-পাত্রপুর-বলরামপুর

মেদিনীপুর থেকে বলরামপুর যাবার ছুটি ভিন্ন ভিন্ন রাস্তার বর্ণনা 4৩ ১৪নং পথের আলোচনায় ব্যক্ত হয়েছে। এছাডা বলবামপুর যাবার'আবর যে রাস্তাটি ছিল তা পাত্রপুর (৮৪৫18204: স্থানটি সনাক্ত করা! বায় 'নি) অথবা! জামবনি থানার মরাকাট। (39915০০০৫৪) হয়ে বীনপুবের উপব দিয়ে বলরামপুর পাক্রপুর যাবার রাস্তাটি মানচিত্রে দেখানো হয়েছে মেদিনীপুর থেকে উত্তর-পশ্চিম জামনা (3870581)), পাটচীপুড়ার (7805878115) চিনন্থরিয়ার (08125075জ1-পুর্বোজ তিনটি স্থানই 'সনীক্ত করা যায়নি) উপর দিয়ে শীলবনি থানার সাতপাটি (81667817))) মইলদা (2০81481) হয়ে পশ্চিমে, পাত্রপুর। তারপর সেখান থেকে উত্তরে বীনপুর খানার ডাইনটিকরি (01001081049), * সিজুয়। (96198:) হয়ে কাসাই পেরিয়ে বলরামপুর্র। বর্তমানে ভাইনটিকরি দুর্গম স্থান হলেও, এক সময়ে যোগাযোগ- হেতু স্বানটি যে বেশ বর্ধিষুঃ ছিল, তার প্রমাণ হল এখানে প্রতিষ্ঠিত একটি পাথরের পীঢ়া-দেউল। অতীতে আরও কয়েকটি মন্দির ছিল বলে শোন গেছে, কিন্তু তা সবই বর্তম।নে ক'াসাই গর্ভে বিলীন

পাত্রপুর থেকে ৰলবামপুর যাবার অগ্ভ আর একটি পথ সোজা দক্ষিণ- পশ্চিম চলে এসেছে কাসাই পেরিয়ে জামবনি থানার সরাকাটা ; তারপর সেখান থেকে সোজ। উত্তবে ১৩নং রাস্ত'য় বীনপুর হয়ে বলরামপুর

১৬, বলরামপুর-ঝাড়গ্রাম £

বলবামপুর থেকে ঝাঁড়গ্রাম যাবার যে রাস্তাটি দেখ যাচ্ছে, তা বলগ্লামপুর হয়ে ১৫নং রাস্তা মে(তাবেক পাব্র পুর থেকে দক্ষিণে পলাশীর (681588)) পর, কসাই পেরিয়ে বীনপুর থানার বৈতা (8০15৮) হয়ে ঝাড়গ্রাম (3478998). এবং সেখান থেকে উত্তর-পৃবে আর একটি রাস্তা বাধগোড়। -8988918) হয়ে কসাই পেরিয়ে মেদিনীপুর থানার ধেড়, য়া (0৬2%8100) ) তারপর সেখান থেকে দক্ষিণ-পুবে ভারমা। ()৩15581 ? নাজ কর খায়নি )

মংস্কৃতি মানব লমাজ ১৪৩

হয়ে দক্ষিণে মেদিনীপুর থানার মনিদহ (8£800081) হয়ে কসাই পেবিয়ে ১৩নং রাস্তায় ঝাড়গ্রাম থানার মর্দিপুরে যোগ হয়েছে

১৭, বিষুঃপুর-কষ্ণনগর-বেতা-রাজবলহাট £

হাওড়ার শালকিয়! থেকে সুরু হুয়ে সৌঁজ। পশ্চিমে হুগলী জেলার যাজবল- হাট দেওয়ানগঞ্জের উপর দিয়ে পুব-পশ্চিমে বিশ্তুত যে পথটি মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে, সেটি পশ্চিমে মেদিনীপুর জেলার চন্ত্রকোণা থানার মাধবপুর (2480৫5. 099), রামজীবনপুর (8২810185৩20) লাহিরগঞ্জ (1.81180086) হয়ে শিলাই নদী পেরিয়ে মঙ্গলাপোতার (1০789170018) উপর দিয়ে বেতায় (8৩৫২1, পৌছেছে ছু'শো বছর আগে আজকের গড়বেত। যে বেতা। নামে পরিচিত ছিল ত। জানা যায় বেতা৷ থেকে কামারবেডিয়ার (09868165158) উপর দিয়ে কৃষ্ণনগর (8.1500880:) হয়ে বান্তাটি উত্তর মুখে বীকুড়া জেলার বিষুপুরে পৌছেছে।

১৮ মেদিনীপুর-ক্ষীরপাই-মাধবপুর £

বাস্তটি আসলে প্রাচীন পথ এবং একদা এটিই ছিল বাদশাহী সড়ক নামে বিখ্যাত, যা! বর্ধমান থেকে মেদিনীপুর জেলার উপর দিয়ে ওড়িশ। পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। বান্তার দক্ষিণ অংশটির বিবরণ ইতিগুবেই ১৭ং রাস্তা গসঙ্গে উন্ভিখিত হয়েছে পরবর্তী আলোচ্য উত্তরের অংশটি মানচিত্রে মা! দেখ! যাচ্ছে, তা বর্তমানে কেশপুর থেকে তলকু'য়াই যাবার পথ | মেদিনীপুর থেছে পথটি উত্তর-পুবে অলিগঞ্জ হয়ে মেদিনীপুর খানার বনপুর! কেশপুর থানার আগুবঙ্গাবাদের মধ্যবর্তী জিমোহানী নাল! (:01200206৬ [ব.) নামে এক নাশ (বর্তমানে যা! পারাং নদী নামে খ্যাত) পার হয়ে ঈশ্বরপুরের (588197988) উপর দিয়ে কুবাই (0০০৮১) নদী পেরিয়ে নেড়াদেউল (খ৪81809151) হয়ে পিঙলাস (2108188) পর্যস্ত বিস্তুত এবং সে পুরাতন পট্টি দাজও রয়েছে। পিও.লাস থেকে ব্াস্তাটি ছুম্ভাগ হয়ে এরটা৷ রাস্তা চঘ্ে গেছে সোজা চজ্রকোণ! জডিমুখে (এরং অন্যটি উত্ধরপুবে ক্গীরপাই অভিমুখে এই রাস্তায় পিঙমস থেকে সামান্থ এগিয়ে গেলেই একট্রি নন্দী গ্রার হতে হয়। রেনেনের অনুচিত যদিও নদীর কোন মাম উল্লিখিত হয়নি, তান্ছলেও এটি য়ে বর্তমানের হোনাই নদ ভা বুঝতে জুনবিধে হয় না1। ওই মোনাইয়ের উপর একটি গ্লাড়ীন লেতুব উদ্কেখ করে তৎকালীন সায়াদিক পরিস্থিতি সন্তর্কে এরসমুয়ে 'মিনীপুয়ের

১৯৪ মেদিনীপুর ইতিহাস, গ্রন্থ প্রণেতা যোগেশচন্দ্র বন্থ লিখেছিলেন যে ““দনাই নদীর উপরে বর্ধমান রান্তায় “পিঙলাসের সাঁকো” নামে একটি প্রস্তর নিশ্সিত পুরাতন পোল ছিল। এই পিঙলাসের স্টকো পূর্বে কাতলা ফেলার' জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। এখনও স্থান সম্পূর্ণ নিরাপদ হয় নাই ।” চক্্রকোণা থানার পিঙলাস থেকে আরও উত্তর-পুবে আলোচা রাস্তাটি দেখা যাচ্ছে ঝীকরা (3৪০:81১) অতিক্রম করে পুনরায় শিলাই নদী পেরিয়ে প্রায় তিন কিমি. পুবে ক্ষীরপাইকে (8.৩০19১) ডাইনে রেখে ১৭নং রাস্তায় মাধবপুরে (2198798£) এসে মিলিত হয়েছে . বর্ণিত ঝাকর গ্রামটিও বেশ গ্রাটীন ; “চৈতগ্তচরিতামুতে গ্রামটি উল্লেখ আছে (ঝাকরার পুরাকীন্তি সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের পুরাসম্পদ উত্তর মেদিনীপুর গ্রন্থ” দ্রষ্টব্য)। সরজমিন অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, প্রাচীন সে বাদশাহী সড়কটি মেদিনীপুর থেকে ঝাকরা অবধি মোটামুটি ঠিকই আছে, কিন্ত এরপর বঙমান গোয়ালনিনি পর্বস্ত পুগ্লাতন সে লড়কটির বহুম্থানে কোন চিহ্ত নেই এবং বেশ পরিবর্তনও হয়েছে

১৯, মেদিনীপুর-চন্দ্রকোণা-বিষুঃপুর £

মেদিনীপুর থেকে বিষুঃপুর যাবার বর্তমান যে সড়কপথটি আমর। দেখি, ছু'শো বছর আগে কিন্তু বাস্তাটির অস্তিত্ব ছিল না। তখন মেদিনীপুর থেকে বিষণপুর যাওয়।র যেসব রাস্তা ছিল তার মধ্যে একটি হল ১৮নং রাস্তায় বণিত মেদিনীপুর থেকে পিঙ্‌লান হয়ে উত্তরে চন্দ্রকোণা (08006100008) অতিক্রম করে তারও উত্তরে ছত্রগঞ্জ (00806189086) পৌছুতে হছুত। এরপর বেশ কিছুদূর গিয়ে শিলাই পেরিয়ে ১৭নং রাস্তায় লাহিরগঞ্জ (7911892586) হয়ে উত্তরে হুগলী জেলার বদনগঞ্জ এবং পরে বীকুড়া জেলায় বৈতল হয়ে উত্তর-পশ্চিমে প্রসারিত বাস্তা। ধরেই বিষ্ণপুর যাওয়া যেত।

২০. মেদিনীপুর-রলকুণ্ড-বিষুগপুর :

বিষণপুর যাবার অন্ত রাস্তাটি পূর্ধে/ক্ত ১৪নং রাস্তায় উল্লিখিত আনন্যপুব হয়ে উত্তর-পুথে কুবাই পেরিয়ে শীর্ষ পর্বস্ত প্রসারিত 7 তারপর সেখান থেকে বাস্তাটি উত্তরপশ্চিমে কেশপুর থানার আমনপুবে (4১03126952) এসে হু'ভাগ 'ছুয়ে একটি পশ্চিমে চলে গেছে নয়াবসান কষ্নগর হয়ে বিষ)পুর এবং অঙ্ঠটি শীর্ধ। থেকে -উত্তর-পশ্চিমে চলে এসেছে বসকু গু (8089996) ; এখান থেকে আবার বিষ্ণপু্ যাবার বে ছুটি পথ দেখা যাচ্ছে, তার মধ সোজা পথটি হুল,

সংস্কৃতি মানব সমাজ ১৯৫

উত্তর-পশ্চিমে মঙ্গলাপোতার উপর দিয়ে ফুলবেড়িয়! .(89০1891681)) পরৈ বগড়িদিহি (8০০৪7৫৩৩) হয়ে উত্তরে বিষ্ণুপুর এবং অন্ত ঘুর পথটি হল, রসকুণ্ড থেকে বেত। হয়ে ১৭নং রাস্তা ধরে কৃষ্ণনগরের উপর দিয়ে বিষ পুব।

২১ গোলগ্রাম-ঘাটাল-ক্ষণারপাই £

১নং সড়কে উল্লিখিত গোঁলগ্রাম থেকে রাস্তাটি, সুরু হয়ে উত্তর-পুষে প্রসারিত হয়েছে ডেবর৷ থানার কুলা! €(08111810), জগন্নীথবাটী (38 88108. ৮৪৮৪) হয়ে কাসাই পেরিয়ে সোজ। দাসপুর থানার বাস্থদেবপুর ; সেখান থেকে উত্তরমূখী হয়ে কোটালপুর (0৪1৪1791) গ্রামকে ডাইনে বেখে শিলাই পেরিয়ে মোজা এসেছে ঘাটাল (0০11891)। ঘাটালে এসে তিনদিকে তিনটি রাস্তা চলে গেছে। সোজ। উত্তরের বাস্তটি হল ঘেষপুর হয়ে দেওয়ান- গঞ্জ থেকে আরামবাগের কাছাকাছি ১৮নং সড়কে বণ্িত বাদশাহ সড়কে যোগ হয়েছে বান্তটির অবশেষ এখনও অবশ্ঠ দেখা যায়। শুধু তাই 'নয়, একসময় পাঠান সর্দার দায়ুদ খার পশ্চাদ্ধাবন করে এই বাস্তা ধরেই মোগল সেনানী ৮নং রাস্তা বরাবর 'তুকারোই, এনে পাঠানদের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণ! করেছিল, যার বিবরণ ৫নং বাস্তার আলোচনায় দেওয়া হয়েছে। ঘাটাল থেকে প্রনারিত পুবমুখী রাস্তাটি শিলাই পার হয়ে রাজগড় (88189: ; সম্ভবতঃ দাসপুর থানার জোতকাম্ুরামগড়) এসে বূপনারায়ণ পার হয়ে হুগলী জেলার উপর দিয়ে সোজ। দক্ষিণ-পুবে হাওড়] জেলার আমতা চলে গেছে। ঘাটালে প্রধান সড়ক উত্তর-পশ্চিমে বরদা (88148), বাঁধানগর (88৫80889) ক্ষীরপাই হয়ে ১৮নং বাস্তায় যোগ হয়েছে।

এন্কপ্ী

গম্যালী, এল, এস, এস._-বেঙগল ডিহ্রিক্ট গেজেটিমার্স, মিভনাঁপোর, ১৯১১ গিরি, সতীশ--্তারকেশ্বর শিবতত্ব, ১৯২১ ঘটক, অধরচন্দ্র--ননদীগ্রাম ইতিবৃত্ত, ১৯৬৪, ঘটক, শস্তুনাথ__'গড়বেতাঁর তাঅযুগেন নিদর্শন? (প্রবন্ধ), স্বাধীনবার্ভী, ১৭.৩,৭৭, ঘোষ, বিনঘ্--পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি, ১৯৫৭ | স্সাময়িকপত্জরে বাংলার লমাজচিত্র (১৮৪০-১৯৭৫), ১৯৬৬ ঘো, তান্বক্স আও বনু, সন (সম্পীদিত)__-ওয়েইবেজল ডিগ্িক্ট বেকর্ডদ্_ ছিজলী সপ্ট ভিভিসন, ১৯৭১ ঘোষ, যামিনীমোহন--মগ বেডার্স ইন বেঙগবী, ১৯৬ চক্রবর্তী, বোমকেশ-বাংলার কীর্তন সংস্কৃতির আলোকে দালপুরের একটি আঞ- লিক লমীক্ষা। (প্রবন্ধ) বান্থদেবপুর বিদ্যালাগর বিদ্যাপীঠ পত্রিকা, ১৯৭% চন ব্রজনাথ-্শোলাক্কি বা অক্রিজাতির আদি বৃত্তাস্ত, ১৩১৪ চৌধুরী, মোমেশ্বর প্রসাদ--নীলকর বিদ্রোহ, ১৯৭২ ট্যাটার্জি, রেপীমাধব--এ শট স্কেচ অভ. মহারাজ! ভখময় রায় বাহার আগ হি. ফ্যামিলি, ১০২৭ -মন্ক, অক্ষয়হুয়ার--ভাঝতবরধাঁয় উপাসক সম্প্রদায় (১ম ২ম), ১৩৭৬ দাশগধ, পরেশচন্্র-প্রস্ুতত্বের আলোকে তাশ্রলিগ্ত' (প্রবন্ধ), নিখিলভারত রক্ন সাছিত্য সম্মেলন ম্মরণিক1, ১৯৭৪ দ্বীন, দীপকরপ্ধন--'বালিহাটির জৈন মন্দির (প্রবন্ধ), কৌশিকী',১০ সংখ্যা, ১৯৭৬ দন সুধীন-_'লালজলের গ্রত্ব নিদর্শন? (প্রবন্ধ), অস্থেয়া, ধর্থ সংখ্যা, ১৯৮৩ পতিশর্ম।, রাধানাথ-কেশিয়াড়ি, ১৩২৩ পাল, ব্রেলকানাথ--মেদিনীপুরের ইতিহীস, ১০৮৩ ফিসার,এবারহার্ড শা,হাকু--কুরাল ক্রাফটস্ম্যান আগ দেঘান ওয়ার্ক, ১৯৭০ বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিয়কুমায-_হড়ায় স্থান বিবরণ, ১৯৮৬ বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রজেন্দ্রনাথ (সম্পাদিত)_সংবাদপত্রে সেকালেষ কথা, ৯৩৪৪ ষন্থ, অযোধ্যানাথ- গ্রভূপাদ শ্রীল ভক্তিতীর্থ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী, ১৩৬৬ বসু, গ্রিপুরা--বিস্বৃত কবি কাব্য, ১৯৮৭ বন্ু, যোগেশচ্ত্র--মেদিনীপুরের ইতিহাস, ১৯৩৬ বেলী, এইচ. ভি.-মেমর্য (৩ অভ. মিভ.নাপোর, ১৯০২. থ্যানা্সি, জিক্েন্নাথ-্-ডেভল্যাপ মেট অভ. হিন্দু আইফোনো গ্রাফ, ১৯৭৬

সংস্কৃতি মানব সমাজ ১৪৭,

উট্টশালী, নলিনীকাস্ত-_আইকোনোগ্রাফি অভ, বুদ্ধি আও ব্রামনিক্যাল স্কাল্নচার ইন্‌ ঢাকা মিউজিয়ম, ১৯২৯ ভৌমিক, প্রবোধকুমার- মেদিনীপুর সংস্কৃতি এতিহ্‌, ১৯৮৪ মিত্র, অশোক (সম্পাদ্দিত)__-আযান আযাকাউণ্ট অভ ল্যা্ ম্যানেজমেন্ট ইন ওয়ে বেঙ্গল (১৮৭০-১৯৫০), ১৯৫৩ মুখোপাধ্যায়, তারাশিস-_-তমলুকের বিরিঞ্চিনারায়ণ, পরিবর্তন, ১৬, ৪, ৭৯ মুখোপাধ্যায়, দিলীপকুমার-- বাঙ্গালীর রাগ সংগীত চর্চা, ১৯৭৬ মুখোপাধ্যায়, প্রভাত হিষ্রি অভ্‌ দি জগন্নাথ টেম্পল ইন দি নাইনটিস্থ সেঞ্চুরি, ১৯৭৭ | মুখোপাধ্যায়, সরোজ-_-ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি আমরা, ১৯৮১ রন্ুল, আবদুল্লাহ-_-কৃষকসভার ইতিহাস, ১৯৬৯ রায়, নীহাররগ্ন-_বাঙ্গালীর ইতিহাস, ১৩৫৯ রায়, যোগেশচন্দ্র_-“মেদিনীপুরের ইতিহাস” (প্রবন্ধ), প্রবাসী, অগ্রহায়ণ, ১৩৬৬ রায়, রাসবিহারী বস্থু সত্যেন্্রনাথ রাজনারায়ণ বস্থ স্থৃতি পাঠাগার শতবাধিক জয়ন্তী, ১৯৫২ সরকার, যছুনাথ_ মিলিটারী হিষ্টি অভ, ইতডিয়া, ১৯৭০ সাতরা, তারাপদ- পশ্চিমবঙ্গের পুরাসম্পদ : উত্তর মেদিনীপুর, ১৯৮৭ _ পুরাকীতি সমীক্ষা : মেদিনীপুর, ১৯৮৭ _ন্যাশানাল গভমেপ্টস্‌ ইন দি সাব-ডিভিশন অভ, কণ্টাই আযাও তমলুক, দি ফোকাল পয়েপ্টস্‌ অভ, দি ফাইন্যাল ফ্রেজ অভ, দি ন্যাশানাল ম্যুভমেপ্ট ইন দি মিডনাপোর ডিস্িক্ট (প্রবন্ধ), “দি কোয়াটারলি রিভিউ অভ, হিস্টরিক্যাল স্টাডিজ” অক্টোবর-নভেম্বর, ১৯৮৪ _-'আকিটেক্ট আযাও বিজ্ভার্স' (প্রবন্ধ), "ব্রিক টেম্পলস্‌ অভ, বেঙ্গল £ ফ্রম দি আর্কাইভস্‌ অভ ডেভিড, ম্যাককাচ্চন”, ১৯৮৩ --পত্ধের অলংকরণ” (প্রবন্ধ), “পট” বর্ষ, ১ম সংখ্যা, ১৯৭৫ সা্ঠাল, হিতেশরঞ্জন-__“দক্ষিণপশ্চিম বাংলায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলন? (প্রবন্ধ) চতুরঙ্গ, বৈশাখ-আষাঢ়, ১৩৮৪ সামস্ত, বিহ্বনাথ-_লালজলের প্রত্বসম্পদ (প্রবন্ধ), কৌশিকী, শারদীয়, ১৩৯১ সিংহ, রাধারমণ-_প্রপ্নীগৌরস্থন্দরের অমিয় কাহিনী, ১৩৯২ হরিমোহন-_চেরে £ আয স্টাডি ইন্‌ এযাকাল্চারেশন, ১৯৭৩

অকালপৌষ-১০৪ অনস্তপুর-১৭৪ অমরপুর-১৩৫ অযোধ্যাগড়-৯৯ অনগনপুর ১৪৪ . আকুলডোবা-১০ আজুড়িয়া-১৪৯ আড়াসিনি-৯৯ আদমবাড়-৯৮ আদাসিমলা-১৪৯ 'আবাদনগর-৬৯ 'আবাসগড়-৮১১ ৮২ আমদান-১৩৩, ১৩৪ আমনপুর-১৭৪ আরড়াগড়-৭২, ৭৫, ১১১ আস্তি-৯৮ ইটাহার-১৭৬ ইড়িঞ্ি-৭, ২২ ইন্জ্রী-২৬ উত্তর গোবিন্বনগর-১১৩ উদয়গঞ্জ-১০৩ একতেশ্বর-৩৪ একারুকি-৩৬ এগরা-১ কর্ণগড়-৯৯, ১১১ কাকড়াজিৎ-৭, ১৭৬ 'কাটাপুকুর"৪৭, ১৪৮

অনুক্রমণিক।

কাথি-২২, ২৩, ৫৬-৫৯, ১০৯, ১১৬ ১২৪১ ১৪৩-১৪৫, ১৫৯

কাদিলপুর-১৪৯

কালীচরণপুর-১৪৭

কাশীগঞ্চ-১৪৮

কাশীজোড়া-৬, ৭, ৮১, ১৪৪, ১৫৯

কিয়ারঠাদ-৭, ৮৬ |

কিশোরপুর-১৪৯, ১৫৯

কিসমৎ কোতলপুর-১৪৯

কিসমৎ নাড়াজোল-১৪৮

কুমারগড়-৯৯

কুরুমবেড়া-৬১, ১৫১-১৫৩, ১৫৭, ১৫৮

কৃষ্ণনগর-১৬৭

কৃষ্পুর-২৬, ১০৩.

কেদার-৭, ১৩, ১৪, ২৯, ৩০১ ৪৫, ৯২, ৯৭, ৯৮১ ১০০) ১২৭, ১৪৪

কেঞ্জাপাড়া-৭৩

কেশবপুর-৪৪, ১৩৫

কেশপুর-৪, ১৪, ৩৭, ৭২, ৭৩, ১৪৭

কেশিয়াড়ী-৭, ১৩, ৩৬১ ৮৬ ১৪৫, ১৪৮) ১৫০১ ১৫১, ১৫৫

কৈগেড়িয়া-১৪৮

কোটালপুর-১৪৯

কোন্নগর-১৪০

কোলাঘাট-২১, ৪২, ৪৬১ ৪৯

ক্ষীরপাই-৫, ১৩০) ১৪২১ ১৪৭, ১৪৮

খড়ার ৩৫, ৩৬

খড়িগেড়িয়া-১৩৫ ..

সংস্কাতি মানব সমাজ

খড়গপুর-৭, ১২, ২৯, ৪8৪, ৪৯, ৫৩, ৫৫, ৬০, ৭৭, ৮১, ৯৮) ১১৯, ১৪৯

খণ্ডরুই-৩০

থাকুড়দা-২৯

থুকুড়দা-১৪৮

খেজুরী-৫৭, ৬২, ৬৮, ৬৯, ৯২, ১৩০

খেলাড়গড়-৮১

গগনেশ্বর-৭, ৬১, ১৫১, ১৫৫) ১৫৭,

গঙ্গাদা সপুর-১৭৪

গড় আরডা-৭৪, ৭৬

গড় কমলপুর-২৩

গড় চক্রবেড়িয়া-৬৬

গড়বেতা-৪, ১০, ১৪, ১৫, ৩৭, ৭৩ ১৪৩-১৪৫

গুমগড়-৭, ৬৫, ৬৬

গেঁওখালি-৫৫, ৫৬, ১৩৫

গৌসাইবাজার-১৪৮

গোকুলপুর-৫৪, ১৩৫

গোপালনগর-১০৫, ১০৮, ১০৯, ১১০

গোপালপুর-১৪৩

গোপীনাথপুর-১৪৯

গোপীবল্লভপুর-১৪৮

গোপীমোহনপুর-১৫০

গোবর্ধনপুর ৩১

গোবিন্দপুর-৪৪, ৮৭

গোয়ালতোড়-১৪, ৭৩

গৌরা-১৪৯

ঘাটাল-৪, ৫, ১৪2১৫, ২০) ২৫১ ৩১ ৩৫, ৩৮) ৬৯)

$

১৩৩, ১০৪, ১১৩১

১৯৯

১১৬, ১৩০, ১৩১, ১৪৬-১৪৯, ১৬৬-১৬) ১৭১, ১৭৩

চকবাজিত-১২১

চঞ্চলপুর-৪৪

চণ্তীপুর-৪৩

চন্দ্রকোণা-৫, ১৫, ২০, ২৫, ৩৫, ৩৬, ৩৮, ১০৩৮ ১০৪, ১২৮-১৩১৯

১৪৪, ১৪৬-১৫০ মকা-৮৮-৯১১ ১১৯ চাইপাট-১৪৩ চাচিয়াড়া ১৫৭ চা্গুয়াল-৯৮, ৯৯ চাতল1-১০ চেচুয়া গোবিন্দনগর-১৪৯ চোরপালিয়া-১৩৩ ছাঁতনা-৪১ ৩৪, ৮৩ জকপূর-১৬০ জয়কষ্ণপুর-১৩৮ জয়স্তিপুর-১৪৮, ১৪৯ জয়পুর-৭৫, ৭৬ জলামুঠ-৭, ১৬০ জাড়া-১৩১, ১৩২ জামনা-৭, ৯৪ জামবনী-৭, ১০ জালিমান্দা-৩৫ জাহাজঘাটা-৬৫ জিন শৃহর-৭৭, ৭৮ ৭৯ জুনপুট-৫৭ জোতবানী-১৪৯

২০০

জোয়ারহাটি-৪৪, ৮*, ৮১

জ্যোতঘনশ্টাম-১৫ *

ঝাঁকরা-৩৬১ ৩৭

ঝাড়গ্রাম-৭, ৮১ ১০১ ১৩, ১৫, ৩৭,

ঝুমঝুমি-৩৬,১৪৬

ডিঙ্গল-৮7

ভিহিচেতুয়া-১৪৩

ডিহি বলিহারপুর-১৪৯

ডেবরা-১২, ১৩, ৩০, ৩৪-৩৬, ৪২, ৪৩, ৪৯, ৮৫১ ১০৪১ ১১৯১ ১২১, ১৪৯

তমলুক-৪, ৭, ১০, ১২১ ২১, ২৩, ৩৪) ৩৬, ৪৬, ৫৫১ ৬৪, ৬৬, ৬৮, ১১০, ১২৪, ১২৫১

১২৭১ ১৩৩, ১৩৮,

১৪৫, ১৪৯, ১৫০

তলকুঁয়াই-৩ ।১ ৭৬

তামাজুড়ি-৯, ১০

তালবাদ্দি-১২১

দক্ষিণ ময়নাডাল-১৪৮

দন্দিপুর-১৪৭

দরিয়াপুর-১৪৫

দলমাদল-১৪৯

দশগ্রাম-১৩৫

দাতন-৭১ ১৩, ১৯, ২৯, ৩৫, ৩৬, ৩৪৯ ৪০১ ৪৩, ১৪৪, ১৫০১ ১৭৫, ১৭৬

দাদখালি-৬৫

দামোদরপুর-৩৫ দাসপুর-৪, ১৫১ ৩৬, ৯০১ ১১৩, ১১৪, ১১৬-১২১০ ১৩০, ১৩১, ১৪৩,

১৪৪) ১৪৬-১৪৯, ১৬৭, ১৭৩

1-২৯, ৫৬-৫৯ দেঁড়েচক-১৪৯ দেউলবাড়-১৫৭ দেহাটি-৩০ দোরো 4, ২২ ধারাশোল-৩৭, ৭৬ ধারেন্া1-৭, ১২৭, ১৪৯ নন্নপুর-১১৬ নন্দীগ্রাম-৬৫, ১৩০, ১৪৩, ১৪৭-১৪৯ নবাসন-৫১ নয়া-৮৭ নয়াগ্রাম-৮১, ১৫৭ নরঘাট-৬২, ৬৭, ১২৪, ১২৫ নরহরিপুর-১৪৭ নাড়াজোল-১৪, ১৫, ১২৮, ১৩০ নারায়ণগড়-৭, ১৩, ২০, ৩৫-৩৭, ৬০, ৬১, ৮১১ ৮৭১ নিত্যানন্দপুর-১৪৯ নিমতলা-১৭৬, ১৪৮ নির্ভয়পুর-১৪৭ নিশ্চিন্তা-৮৯; ১০ নেড়াদেউল-৩৭ নৈপুর-৩৬, ১০১, ১৫০ পঁচেটগড়-১২৮ পটাসপুর-৪, ৫, ৭, ১৩, ১৯. .০১. ১৩৫, ১৪৯, ১৫০ পরিহাটি-১, পলাশচাবড়ী-১৪৬ পসঙ-৯৮

৯৭১ ১৪৮, ১৫৭,

সংস্কৃতি মানব সমাজ

পাশকুড়া-১২, ২০, ২১, ২৫, ৩৫, ৪২- ৪৭) ৫৫১ ১০৮-১১০১ ১৩৩) ১৩৪, ১৪০ ১৪৪, ১৪৫, ১৪৮-১৫

পাকুড়সেনী-৮১

পান্না৩৫, ৩৬

পাথরঘাটা -৩৬

পারুলিয়া-১৪, ২৪-২৮

পার্বতীপুর-১৩৯

পাহাড়পুর-২২

পিউলা-১২-১৪, ৩১, ৩৫, ৩৬ ৮৭) ৮৮, ৯২, ৯৩) ১৩০১ ১৪৮, ১৪৪৯

পিছাবনী-১২৪, ১২৫

পুঁয়াপাট-১৬০

পুকুষোত্তমপুর-১৪৮

পেক্চয়া-১০

পোক্তাপোল-৬৭, ৬১

প্রতাপদিঘি-১৩৩

ফকিরবাজার-১৪৯

বক্রেশখবর-২৯, ৮৭

বগড়ী-৪, ৭, ১৮

বন্দর-১৪, ১৭২

বরদা-৩৫, ৩৬১ ১০০, ১৩০

বলরামপুর-৭, ৯৮, ৯৯, ১১৯-১২১

ব্সনছোড়া-১৪৯

বসস্তপুর-৪৪

বাঁশদহ-১৪৪, ১৪৯

বাগনান-৫১

বাড়উত্তরহিংলী-১৩৭, ১৩০, ১৪০

বাড়ুয়া-৮২, ৮৩, ৮৭

বালিচক-৩০, ৯২, ৯৩, ১৩৬

বালিডাঙ্গা-১৫

বালিহটি-৭৭-৭৯

বাস্থদেবপুর-১৪, ১৩১, ১৩৫, ১৪৯

বাহাদুরপুর-৭: ১৮ স-১৪৫

২১

বিষুরপুর-৩৪, ৩৭, ৬৬, ১১৭, ১২৮ বীনপুর-৮-১০, ১২-১৪ বীরসিংহপুর-৯২, ৯৩) ৯৫-৪৮) ১৬১ বুন্দাবনচক-১৪৯ বেড়জনার্দনপুর-৪৪

বেলকী-১৫৭

বেলদা-১৯, &৭, ৬০ বেলবেড়]-৭, ১২৮

বেলাড়-৩৫

বেলিষাঘাটা-১৩১

বেলুন-৯৪

বেহারাসাই-১৭৪ বৈকুগ্ঠপুর-১৪৭-১৪৯ বৈচ্যনাথপুর-১০৪

বৈরহাটা-১৭৪১ ১৭৫

. ভগবানপুর-১৩, ১৪, ১৯, ১৩৫, ১৪৯

মণ্ডলকুপি-৭৩

মধুপুর-১৫, ১০১ মনিনাথপুর-৩৫

মনিবগড়-৪২, ৪৪

ময়না-৬, ৭, ১৩, ১৪) ৩৩; ১৩৫, ১৪৯

মলিঘাটি ১৭৪, ১৬০

মহবৎপুর-১৩০, ১৩১

মৃহ্ষাদল-৪, ৭, ১৩, ২২, ২৩, ১২৮, ১৩৫১ ১৪৭

মাজনামৃঠা-৭৩, ১৫৯) ১৬০১ ১৬১, ১৬৩-১৬৫

মাদপুর-১২, ১৪, ৪৯, ৮৯, ৯৮

মায়াপুর-১৫০

মারীচদা-১৪৩, ১৪৪

মীরুপুর-১৪৮

মীর্জাপুর-১৩৯

মুণমারী-৯২, ৯৩, ১৯১

মেচগ্রাম-৪৩

মেছেদা-৪৯, ৫৭ মেট্যাল-১৪, ৭৩ মোহনপুর-১২, ১৯৪৭, ১৩১ যছুপুর-১১১

যুগীবেড়-১৪৫

রঘুনাথপুর-১৫, ৩৪, ১২৯, ১৪৯ রঘুনাথবাড়ি-১২,১3৫ রাজগঞ্জ-১৪৮

রাজনগর-১৪৬

রাজহাটি-১১৬

রানীপুর-১৭৫ রানীরবাজার-১৪৭ রামকৃষ্পুর-১৪৯

রামগড়-৭, ১২, ৩৮, ১৫০ রামচক্্রপুর-১০ রামজীবনপুর-২৫, ৩৬ রামদেবপুর-১৪৯ রামনগর-৪২, ৪৪ রেয়াপাড়া-১৪৩ রোলাপাট-৭৬

লক্ষমীপুর-২৫

লাওদা-১৪৪

লালজল-৮, শ'াকরাইল-১৩) ১৫ শালবনী-৪, ১৪, ৩৭, ৭২ ৩. ৯৯ শিরসা-১৫, ৭৬ ূ্‌ শ্রীধরপুর-৯৮

অশীনগর-২৫

শীরামপুর-৪৩, ৯৪, ১৪৯ স্টামগঞ্জ-১৭৩

মেদিনীপুর

হামচাদপুর-৭৫, ৭৬, ১৪৭

শ্যামপুর-১৩৫, ১৪৯

হ্যামনুন্গরপুর-১৩৫, ১৪০৪ ১৪৪

সবং-৭, ১০১ ১২-১৪,১ ১৭১ ২০ ৩৩- ৩৫) ৯৫) ১৩৫, ১৪৯, ১৫«

সাকোয়-১৪৯

সাউরি-৩৫, ৩৬, ১৫০

সাতপাটি-৯৯

সাবড়া-৩৬, ১০০

সামাট-১৪৭

সাহারা-৯৮

সিদ্ধা-১৭৪

স্থৃতছড়া-৯৩, ১০

স্থতাহাট1-১৩৭, ১৩৮, ১৪৯

স্থরতপুর-১১৮, ১১৯, ১৪৩

স্থলতানপুর-৩৫, ৩৬, ৮১, ১০৩

সোনাখালি-১৩০

সোনাপুর-১৭৬

সৌলান-১৪৯, ১৫০

হবিবপুর-১৩১

হরিনারায়ণপুর-৮৫, ১০৪, ১৪৭

হরিশপুর-৪৪, ৮১, ১৬৬, ১৬৮, ১৭৩

হরিহরপুর-৬৬, ১২৭

হরেকৃষফ্পুর-১৩১, ১৪৯

হাতিহোলকা-৪৪

হিজলী-৩-৫, ১৭, ২৩, ৪৫) ৫৭ ৬৬ ৬৬, ৬৮, ১২৭, ১৬১

হিরাপাড়ী-৮১

হুসেনিবাজার-১১৯

হোসেনপুর-১৪৯

[পরবর্তী আলোকচিত্রগুলি শ্রীঅমিয়কুমার বন্দযোপাধ্যার (৮নং), পশ্চিমবঙ্গ প্রত্বতৰ অধিকারের শ্ীরণজিৎকুমার সেন (১১ নং), ওড়িশা স্টেট মিউজিয়াম, ভুবনেশ্বর €১৫নং) এবং অবশিষ্ট ১২টি লেখক কর্তৃক গৃহীত এব" দেগুলির সর্বশবত্ব বা ক্রষে তাদের ঘার! সংরক্ষিত ]

১. রেবস্ত মুতি কাকড়াজৎ (পৃ: ১৭৬-১৭৭)

ডা ১, সী ৯৯ .. দা? ৮, রর 2 রা রি রি ৬. ৯৮ £ দন মশা, & নি সিটি ৪] রা নি

4

১০৬৮

নি রঙ নি টস নি 4 পশা- /:, রঃ ৮৮ টন টির. 8...

5 ] ইরা এল হি

২. পারুলিয়। গ্রামের ঝর্ণাধার। প্‌: ২৪-২৮)। ৩. প্রন্রবণ-কুণ্ডের উপর পাথরের চ্ছাপত্য £ কেদার (পৃ: ৩০-৩১)।

৪. নাগা সন্নযাসীদের প্রাতাষ্ঠিত মন্দির £ চন্দ্রকোণ। (পৃ: ১৪৪) $* গগনেশ্বর গ্রামের প্রস্তর স্থাপতা পৃ: ১৬১-১৫৮)।

প্র কহ টে

৮: কসিন রি... চারার ৮০০০ | | ২৭ নিট৫ রি লই নি দশ শত লি 2/১71238 পি টি জর 0... শী 1 $ [৮৮1 কুন 2 রন 3৮: 77 রব বিচ 7 ৭৭.১০৭ শি 7 এ. 4৮ ০৮০০ উস এ) "আধ... 17৬ নী তি

85... 4. 1 ডিক". পরি 855 উকি চি শি

% গা

] 5৫১৭ 5154 5 হি রিকি: শখ |. ৪. শি টুপ এর 8৩০

৬. আগুনখাগীর মাড়ে। £ হারিনারায়ণপুর পৃ: ১০৪)। হ. প্রা্টীন সেতু £ পোলস্তাপোল পে: &৯-৬২)।

টি +1]1 প্র) !

খু

ফু হা রা টা শপ নদ ৪০ | রঃ রি লি রি এট

44

নি সণ? লা পা $িল। রি চি

এসেই

এজাজ 0 ৫, লস রী র্‌ না 1১৬৮

যা নি সী পা

টি

৮. শীবার'-র প্রতীক £ বাড়উত্তবাহংলী (পৃ: ১৩৭)। ৯. ঝুঁড় টুলী সহ খাঁড়য়াল শিস্পী (পৃ: ১৩৪-১৩৬)

শর আছে লে

হস রি গভ

লিঃ রা

“30

8 এর ৬/ রা $ “রান ০০

রা নী 8 দি চা ,

4১২ ৬০ সা রে ৩৬৭৮৭,

বা দুজ মা +।

রা হন 500 পে নর রি রি দড

রি

৮১২2 রি

7. '১. ৮. লাস

শগ 7 ]

খুনী 7 রি ছা এ৪ না নি গ্- £ 7 র্‌ নিন রা ০0

৫15.

রঃ হর টি ॥লিটা ০0৮ সর্িনি ৮4 একী [দি মি এপ ১: ধা পা

% দঃ নখ “০ রর & ] চা নল

৮২ ১৭? সি 1 ৮, ঈপ্য নি, * 1৮.

9 ৪০৭ তে ৪২0) 1151 1 বত

&।

রর তা

চি না ক? চা রস মি 7? রি মা / শত টি নে ৬4) রি 1 445 ১৪ ,

১০. বাড়ুয়। গ্রামের স্মারকন্ততন্ত পৃ: ৮২-৮৫)। ১১, কিয়ারঠাদের নিবেদন মন্দির (পৃ: ৮৫-৮৭)

১২. রেবস্ত মৃ'তি দোলগ্রাম পৃ: ১৭৭) ১৩. সৃধ বিগ্রহ £ রানীপুর পৃ: ১৭৫) ১৪. তামার কুঠার £ আগুইঝান পে: ১০)।

এজ

8;

স্ধ শি।

রাস:

৪২-৪৩)

স্্ভ্ঞ

জগন্নাথ রাস্তার উৎসর্গালাপ (প

১৫